দিল্লি
ঢাকা-দিল্লি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পরিকাঠামো নির্মাণে অগ্রাধিকার দেয়: হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বুধবার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পরিকাঠামো নির্মাণে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের দেওয়া অগ্রাধিকার তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে সকল ক্ষেত্রেই নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং বাংলাদেশ মূল্যমান ও প্রকল্পের সংখ্যা উভয় দিক থেকেই ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার, যাকে রেয়াতি অর্থায়নের আওতায় প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যমানের চুক্তি হয়েছে এবং প্রদত্ত অর্থের পরিমাণ ২০২২ সালের মধ্যে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
তিনি প্রশংসা করে বলেন, অতিমারির সবচেয়ে সংকটপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে ভারত দ্রুততম ও বৃহত্তম সহায়তাকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
বুধবার ‘বারৈয়ারহাট-হেঁকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ’- প্রকল্পের জন্য একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
প্রকল্পটি ভারত সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারকে দেওয়া ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৃতীয় কনসেশনাল লাইন অব ক্রেডিট-এর আওতায় গৃহীত হচ্ছে।
সড়ক ভবনে অনুষ্ঠিত এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা ও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ.বি.এম. আমিন উল্লাহ নূরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত
প্রকল্পস্থলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ওয়ার্ক প্যাকেজ ১-এর জন্য বাস্তবিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
হাই কমিশনার সড়ক ও মহাসড়ক খাতের প্রকল্পসমূহের গুরুত্বের ওপর জোর দেন, যেখানে রয়েছে ৯৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের পাঁচটি প্রকল্প; যা সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মোট প্রতিশ্রুতির ১২ শতাংশ।
এছাড়াও ডাবল-ডেকার, সিঙ্গেল-ডেকার, এসি ও নন-এসি বাস এবং হেভি-ডিউটি ট্রাক সরবরাহের জন্য ৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের তিনটি সরবরাহ প্রকল্প ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। যার ফলে সড়ক ও মহাসড়ক খাতে ভারতের মোট প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে।
‘বারৈয়ারহাট-হেঁকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প’- ভারত সরকারের লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় মোট ৮০ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে খাগড়াছড়ি জেলার অন্তর্গত রামগড় উপজেলার বারৈয়ারহাট-হেঁকো-রামগড় সড়কের প্রায় ৩৮ কিলোমিটার অংশ প্রশস্তকরণের পরিকল্পনা করছে। যা চট্টগ্রাম বন্দর ও রামগড় স্থলবন্দরের মধ্যে সড়ক নেটওয়ার্কের উন্নতিতে অবদান রাখবে।
এছাড়াও ভারত সরকারের অর্থায়নে ফেনী নদীর ওপর ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে, এই সড়ক প্রকল্পটি সাব্রুম-রামগড় এলসিএস-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছে। ভারতীয় পক্ষ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বড় আকারের বিনিয়োগ করতে চায় সৌদি আরব: প্রধানমন্ত্রীকে দেশটির দুই মন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী কাতার: দেশটির প্রধানমন্ত্রী
দিল্লিতে জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক: পার্শ্ব বৈঠক করবেন মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ১ ও ২ মার্চ নয়াদিল্লিতে জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ সহ একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মোমেন বলেন, তিনি এই মুহূর্তে সবার নাম বলতে পারছেন না তবে ফ্রান্স, সুইডেন ও ভারত ছাড়াও আরও দুই থেকে তিনটি দেশের প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার বৈঠক রয়েছে।
জি২০-এর ফাঁকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে কোনো পরিকল্পিত বৈঠক আছে কি না জানতে চাইলে মোমেন বলেন, মার্কিন পক্ষের আমন্ত্রণে তিনি এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন যেখানে তিনি বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ১ মার্চ নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীও জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নিতে ১ মার্চ নয়াদিল্লি যাবেন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং ২ মার্চ জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ইউকে'র আয়োজনে ইলফোর্ডে মাতৃভাষা পথ-উৎসব
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ১ থেকে ২ মার্চ নয়াদিল্লিতে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নিতে তিনদিনের ভারত সফর করবেন।
জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে বহুপক্ষীয়তা জোরদার করা এবং খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন, মাদকবিরোধী, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা এবং দুর্যোগে ত্রাণ এবং লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে সহযোগিতা জোরদার করার ওপর জোর দেয়া হবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের সভাপতিত্বে জি২০-এর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (এইইউ) তার সভা এবং শীর্ষ সম্মেলনে অতিথি দেশ হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
ভারত তার সভাপতিত্বে এ বছর সারা দেশে ২০০টিরও বেশি জি২০ বৈঠকের আয়োজন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, আমরা খুবই সম্মানিত বোধ করছি।
আরও পড়ুন: দূতাবাস চালু হলে আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে: সফররত মন্ত্রীর আশা
জি-টোয়েন্টি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক বিষয়ে মোমেন বলেন, যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করা এবং এসডিজির যথাযথ বাস্তবায়নসহ বাংলাদেশ তাদের মতামত ও পরামর্শ দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের মতামত এবং পরামর্শ উপস্থাপন করব। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উন্নয়ন চাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নয়াদিল্লিতে চলতি বছরের ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ১৮তম জি-২০ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
শেখ হাসিনা তার ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত বছরের ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর করেন।
জি২০ নেতারা ছাড়াও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ সাইদ হুসেইন খলিল এল-সিসি, মৌরিতানিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ কুমার জুগনাউথ, ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটো, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদু বুহারি, ওমানের রাষ্ট্রপ্রধান সুলতান হাইথাম বিন তারিক, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘কৌশলগত’ সম্পর্ক গড়ে তুলতে কাজ করবে ঢাকা-জাপান
মোদির তথ্যচিত্র প্রকাশের পর বিবিসির দিল্লি অফিসে তল্লাশি
নয়া দিল্লিতে বিবিসি’র কার্যালয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতের আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয় বলে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে(এপি) জানিয়েছে বিবিসি’র তিনজন সম্প্রচারকর্মী।
২০০২ সালে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা মূল্যায়ন করে এমন একটি বিতর্কিত তথ্যচিত্র প্রকাশ করার কয়েক সপ্তাহ পরে তল্লাশি অভিযানটি চালানো হলো।
নাম পরিচয় গোপন রেখে কর্মকর্তাদের বরাতে বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) জানিয়েছে, ট্যাক্স বিভাগের আভিযানিক দলগুলো বিবিসির দিল্লি এবং মুম্বাই অফিসে অনুসন্ধান চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: গুজরাট দাঙ্গা: ১১ দণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ
ভারত গত মাসে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ দুই-অংশের ডকুমেন্টারি নিষিদ্ধ করেছে এবং কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠান প্রদর্শন বন্ধ করতে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে এর ক্লিপগুলোকে সীমাবদ্ধ করতে একটি পদক্ষেপ নেয়। সমালোচক এবং রাজনৈতিক বিরোধীরা এই পদক্ষেপকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা জানিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডকুমেন্টারিটিতে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব থাকার কথা উল্লেখ করে ‘অসম্মানিত আখ্যানকে বিশেষভাবে তুলে ধরার জন্য ডিজাইন করা একটি প্রোপাগান্ডার অংশ’ বলে অভিহিত করেছে।
বিবিসি এক বিবৃতিতে বলেছে যে ডকুমেন্টারিটি নিয়ে ‘কঠোরভাবে গবেষণা করা হয়েছে’ এবং এতে বিভিন্ন কণ্ঠ ও মতামত জড়িত।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা ভারত সরকারকে সিরিজে উত্থাপিত বিষয়গুলোর উত্তর দেয়ার অধিকারের প্রস্তাব দিয়েছিলাম- এতে তারা প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকার করেছে।’
আরও পড়ুন: দিল্লির দাঙ্গায় পুড়িয়ে দেয়া মসজিদে জুমার নামাজ আদায়
আরও পড়ুন: বাংলাসহ ১০ ভাষায় রেডিও সম্প্রচার বন্ধ করছে বিবিসি
বিনয় কোয়াত্রার সফর ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে আরও জোরদার ও গতিশীল করবে: ভারত
পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার সফর ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে ও গতি দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ভারত।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ নীতি অনুযায়ী দেয়া ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ অনুযায়ী পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বাংলাদেশ সফরে আসবেন।
ভারত বলেছে, বাংলাদেশ ভারতের সর্বোচ্চ উন্নয়ন সহযোগী এবং এই অঞ্চলে তার বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।
মন্ত্রণালয়ের মতে, ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে চলমান সহযোগিতার গতি বাড়াবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের আমন্ত্রণে আগামী ১৫-১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সরকারি সফরে আসবেন পররাষ্ট্র সচিব কোয়াত্রা।
সফরকালে উভয় পররাষ্ট্র সচিব রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা, পানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রতিরক্ষা, সংযোগ এবং উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সম্পূর্ণ পরিসর পর্যালোচনা করবেন।
নেপালে (১৩-১৪ ফেব্রুয়ারি) দুদিনের সরকারি সফর শেষ করে ঢাকায় আসবেন কোয়াত্রা।
আরও পড়ুন: বৃহত্তর বাণিজ্য, সংযোগ ব্যবস্থা ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে ধারণ করে: দোরাইস্বামী
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং তার ভারতীয় সমকক্ষ ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
কোয়াত্রা গত বছরের ১ মে পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং এরপর এটিই হবে তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।
সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৯ জানুয়ারি ভারতের নয়াদিল্লিতে এফওসি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ১৮তম গ্রুপ অব টুয়েন্টি (জি২০) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনাকে সম্মেলনে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আগামী ১-২ মার্চ নয়াদিল্লিতে জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেবেন।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন সফর সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
কাত্রার সফরে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারত ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জি২০ এর সভাপতির দায়িত্বে থাকবে। দেশটি তার সব বৈঠকে বাংলাদেশকে ‘অতিথি দেশ’ হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ এই বছর সভাপতিত্বে জি২০ বৈঠকে ভারতের আমন্ত্রণকে ‘বড় সম্মান’ হিসেবে মনে করছে।
মোমেন সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সেখানে আমাদের বিষয়গুলো তুলে ধরব। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সম্মানের। আমাদের বিচক্ষণ হওয়া উচিত, আয়োজক দেশের আমন্ত্রণ পাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ বাংলাদেশ।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারত বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (ইউএই) তার সভা এবং শীর্ষ সম্মেলনে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
জি২০ সদস্যরা বিশ্বব্যাপী জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ, বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশের বেশি এবং বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক ‘সবচেয়ে ভালো অবস্থানে’, টানাপোড়েনের জল্পনা নাকচ
বাড়ছে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক, ২০১৯ সালে রেকর্ড ১৫ লাখ ভিসা ইস্যু
দিল্লিতে ৪র্থ বাংলা-ভারত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু
দিল্লির সিরি ফোর্ট মিলনায়তনে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে চতুর্থ বাংলা-ভারত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব।
ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসাবে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: প্রীতিলতাকে ধারণ করা চ্যালেঞ্জের ছিল: তিশা
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা আশীষ রঞ্জন দাসের সঞ্চালনায় ও আলোচনায় শাবান মাহমুদ বক্তব্য দেন এবং বলেন, এই ধরনের অনুষ্ঠান মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বাড়ায় এবং একে অপরের সঙ্গে আরও ভালো বোঝাপড়ার সূচনা করে।
২০১৭ সালে শুরু হওয়া চলচ্চিত্র উৎসবটি কয়েক বছর ধরে মহামারি দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, তিন দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশের জনপ্রিয় সিনেমা ‘হাওয়া’ প্রদর্শিত হবে ৫ ফেব্রুয়ারি।
এছাড়াও প্রশংসিত পরিচালক গৌতম ঘোষের দুটি ফিচার ফিল্মও উৎসবে প্রদর্শিত হবে।
আরও পড়ুন: রটারড্যাম ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রশংসিত নুহাশের ‘পেট কাটা ষ’
তিন বছর পর শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকা আর্ট সামিট
ঢাকা বিশ্বের সপ্তম দূষিত শহর
ঢাকার বাতাসের বর্তমান অবস্থা ‘অস্বাস্থ্যকর’। কারণ, মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৮৮ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান সপ্তম।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
কিরগিজস্তানের বিশকেক ও ভারতের দিল্লি যথাক্রমে একিউআই ২৪৫ ও ২২৪ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম দু’টি স্থান দখল করেছে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হল- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা শীর্ষে
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাস ঢাকার
দূষিত শহরের তালিকায় সোমবার সকালে ঢাকা তৃতীয়
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিজয় দিবস উদযাপন
আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার নিয়ে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন বিজয় দিবস উদযাপন করেছে।
মিশন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসব্যাপী যুদ্ধে জাতির ঐতিহাসিক বিজয়ের এক গৌরবময় উদযাপনে স্বাধীনতা যুদ্ধের লাখো শহীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ করে।
হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে ১৬ ডিসেম্বর সকালে জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
হাইকমিশনার রহমান ও অন্যরা মিশনের মুজিব কর্নারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: জাতি বিজয় দিবস উদযাপন করছে
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের বিজয় দিবসের বাণী পাঠ করা হয়। এ.কে.এম. আতিকুল হক (বাণিজ্যমন্ত্রী); উইং কমান্ডার এস এম রাগিব সামাদ (সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা - বিমান); মো. আব্দুল ওয়াদুদ আকন্দ (কাউন্সেলর - রাজনৈতিক), জাকারিয়া বিন আমজাদ (দ্বিতীয় সচিব) ও সেলিম মো. জাহাঙ্গীর (মন্ত্রী - কনস্যুলার) আলোচনায় অংশ নেন।
বঙ্গবন্ধু ও যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিশেষ মোনাজাতের পর ৫২ বছরের বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের যাত্রার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
হাইকমিশনার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেটি হবে শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির দেশ। গত পাঁচ দশক ধরে আমরা তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ক্রমাগত পদক্ষেপ নিয়েছি।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি, শিক্ষার উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পথে।
প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী তত্ত্বাবধায়নে হাইকমিশনার বলেন, তারা এখন বাংলাদেশকে একটি উন্নত, প্রযুক্তিনির্ভর ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তর করে বর্তমান সরকারের ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে আবারও ৭ দিনের টিকা ক্যাম্পেইন
ঢাকার বাতাসের মানে মঙ্গলবার সকালেও উন্নতির দেখা মেলেনি
বায়ু দূষণ এখনও বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি। মঙ্গলবার সকালেও ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে রাজধানী স্কোর ১৬৭ নিয়ে বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে। ভারতের দিল্লি, ভিয়েতনামের হ্যানয় ও পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে একিউআই ৩০৯, ১৮৫ ও ১৮৫ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য বাতাসের একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে সে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খারাপ’ বলা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়; যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: ঢাকার 'অস্বাস্থ্যকর' বাতাসের মানে উন্নতি নেই
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
আজ সকালে ঢাকার 'অস্বাস্থ্যকর' বাতাসের মানে উন্নতি নেই
শেষ মুহূর্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারত সফরে যাচ্ছেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রলায়ের এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) অসুস্থতা বোধ করায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফরে যাচ্ছেন না।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে (৫-৮ সেপ্টেম্বর) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিন বছর পর শেখ হাসিনা ভারত সফরে যাচ্ছেন। এর আগে করোনা মহামারির আগে ২০১৯ সালে ভারত সফর করেছিলেন তিনি।
পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে আশার বাণী শুনালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকার বলছে, এবারের সফরটি বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলছে, এই সফরের মধ্য দিয়ে দুদেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন, পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়া সহ বহুমাত্রিক সম্পর্ককে গভীর করবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে আর কোন শরণার্থী নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে সরকার: মর্টার শেল ছোড়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ঢাকা-দিল্লির বহুমাত্রিক সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রত্যাশা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরে দু’দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং বোঝাপড়াসহ বহুমুখী সম্পর্ক স্থাপিত হবে বলে আশা করছে ভারত।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে আগামী ৫-৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২০১৯ সালে ভারত সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফর বিষয়ে খুব শিগগির গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
পড়ুন: শ্রীলঙ্কার মতো সংকট বাংলাদেশে হবে না: প্রধানমন্ত্রী
ভারত সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় মিলিত হবেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও শেখ হাসিনা আজমীর শরীফ পরিদর্শনেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে উভয় পক্ষই উচ্চ পর্যায়ের এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্পৃক্ততা বজায় রেখেছে।
পড়ুন: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশের অর্থ পরিশোধে টান পড়তে পারে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সফরে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে চূড়ান্ত সমঝোতা চুক্তি সাক্ষর করা হবে।
কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ সহযোগিতায় অক্টোবরের শুরুতে ‘মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্টের’ প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন:চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উদ্ভূত পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়ার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর