কক্সবাজার
ফিরলেন ৪৫ বাংলাদেশি, গেলেন ১৩৪ সেনা ও বিজিপি সদস্য
নাগরিকত্ব যাচাই সম্পন্ন হওয়ার পর দেশে ফিরেছেন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কারাগারে বন্দি ৪৫ জন বাংলাদেশি।
একইসঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী (বিজিপি) ও অন্য বাহিনীর ১৩৪ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবশেষে ফিরলেন এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক, বন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা
শনিবার (৮ জুন) সকালে মিয়ানমারের জাহাজ ইউএমএস শিন ডুইন ৪৫ বাংলাদেশিকে নিয়ে শনিবার সিট্যুয়ে বন্দর থেকে রওনা হয়ে কক্সবাজার বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটে পৌঁছে এবং রবিবার (৯ জুন) মিয়ানমারের ১৩৪ সেনা ও অন্যান্যদের নিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করে।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই কার্যক্রম সম্পন্ন হলো।
মিয়ানমার অনুবিভাগের সমন্বয়ে ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস ও সিট্যুয়ের বাংলাদেশ কনসুলেটের কর্মকর্তারা সশরীরে সিট্যুয়েতে অবস্থান করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়, সাক্ষাৎকার ও যাচাইকরণ প্রক্রিয়া ও ট্রাভেল পারমিট দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ফিরলেন ২০ বাংলাদেশি
কক্সবাজারে বড় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক এলাকায় সমুদ্রের ঢেউ থেকে বড় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে সিফাত আলম (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১ জুন) দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরারটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ইয়েমেনের হুদেইদায় মার্কিন-ব্রিটিশ বিমান হামলায় নিহত ১৬
সিফাত কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুস আলমের ছেলে।
কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল আক্তার কামাল বলেন, দুপুরের দিকে নাজিরারটেক এলাকায় দুই ভাই বাটা জাল নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরার একপর্যায়ে বড় ভাই সমুদ্রের ঢেউয়ের কবলে পড়ে ভেসে যায়। বড় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে সাগরে তলিয়ে যায় সিফাত। পরে স্থানীয় জেলেরা দুই ভাইকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে ছোট ভাই সিফাতের মৃত্যু হয়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডাক্তার আশিকুর রহমান বলেন, সমুদ্রে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে নৌকাডুবিতে ২০ জন নিহত
সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ২ জন নিহত
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: কক্সবাজারে প্রস্তুত ৬৩৮ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় কক্সবাজারে ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। বাতিল করা হয়েছে জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি। এছাড়া খোলা হয়েছে জরুরি কন্ট্রোল রুম।
এছাড়া ৮ হাজার ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক এবং ২ হাজার ২০০ সিপিপি সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
শনিবার (২৫মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের কার্যালয়ে শহীদ জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় কক্সবাজার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। এ সময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমাল: খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪ আশ্রয়কেন্দ্র
এসময় মুহম্মদ শাহীন ইমরান দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রস্তুতির তথ্য শোনার পর বলেন, সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি হোটেল-মোটেল জোনও যেন প্রয়োজন মোতাবেক দুর্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়ায় সেই অনুরোধ করেন। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে, ফায়ার সার্ভিসকে জরুরি রেসকিউর জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড় ধস এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে তাদের সরিয়ে আনার জন্য স্থানীয় কাউন্সিলরদের বলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও খাবার ও খিচুড়ির ব্যবস্থা করতে পৌরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, হামুন, মোখাসহ অনেক ঘূর্ণিঝড় আমরা একসঙ্গে মোকাবিলা করেছি। এবারও আশা করছি সবাই একসঙ্গে কাজ করব। প্রান্তিক মানুষদের সচেতনতা ও আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসে নিরাপদে রাখার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়াও রাতে রিচার্জেবল লাইট ব্যবহারের নির্দেশ দেন।
জেলা সিপিপির উপপরিচালক বলেন, সচেতন রয়েছে ৭টি উপজেলায় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা। ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক পুরো কক্সবাজার জেলা-উপজেলায় কাজ করছে। ১৩০০ ভলান্টিয়ার কক্সবাজারে রয়েছে। ৪ নম্বর সিগন্যাল পাওয়ার পরপরই প্রচারণায় বেরিয়ে পড়বে স্বেচ্ছাসেবক দল। এছাড়া রেড ক্রিসেন্টের ৮৮০ ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রয়েছে। প্রতি উপজেলায় ৫০ জন করে কর্মী রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া ৮ হাজার ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক এবং ২২শ' সিপিপি সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে জরুরি কাজে অংশগ্রহণের জন্য।
দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কাছে ৪৮৬ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার নগদ টাকা, ঢেউটিন ২৩ বান্ডিল, টিনের সঙ্গে গৃহ নির্মাণ সামগ্রীর ৬৯ হাজার টাকা মজুত রয়েছে। তবে শুকনা খাবার মজুত নেই।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’: আতঙ্কে বাগেরহাটের উপকূলবাসী
কক্সবাজারে পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু
কক্সবাজারের রামুতে পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে আব্দুর শুক্কুর (১২) ও সালাহ উদ্দিন খোকা (১০) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) সকাল ১০টার দিকে রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চেইন্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে পুকুরের পানিতে ডুবে সহোদরের মৃত্যু
নিহতরা হলেন- দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকার ফজল আহমদের ছেলে আব্দুর শুক্কুর এবং একই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সালাহ উদ্দিন খোকা।
দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চেইন্দা ইউপি সদস্য জাফর আলম বলেন, রাতে রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যাওয়া পাহাড়ি ছড়ার বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট গর্তে বৃষ্টির পানি জমেছিল। সকালে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকার একটি পাহাড়ি ছড়ায় জমে থাকা পানিতে স্থানীয় ছয়-সাতজন শিশু মিলে গোসলে করতে নামে। এক পর্যায়ে চার শিশু ছড়ার পানিতে ডুবে যায়। পরে ঘটনাস্থলে থাকা অন্য শিশুদের চিৎকারে স্থানীয়রা চারজনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বলেন, দক্ষিণ মিঠাছড়িতে পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিয়াবাড়ি লেকে পানিতে ডুবে ২ স্কুলছাত্রের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
সোনাদিয়া দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বাংলাদেশের উপকূল থেকে বিশাল জলরাশির উপর বঙ্গোপসাগরের বিস্তৃত বুককে আশ্রয় করে আছে বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলো। চর নামের প্লাবনভূমিগুলো অঙ্গে ধারণ করে আছে গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের পলি মাটিকে। এই দ্বীপপুঞ্জের প্রত্যেকটিতে আছে আদিম জীবনের ঘ্রাণ। আছে অপরিচিত সম্প্রদায়ের মাঝে সাবলীল প্রবেশাধিকার। জেলে গ্রামগুলোর সংগ্রামী দিন যাপন, আতিথেয়তা, আর সংস্কৃতি নিমেষেই আপন করে নেয় স্তম্ভিত পর্যটককে। এমনি শত শত দ্বীপের মাঝে অন্যতম একটি দ্বীপ সোনাদিয়া। সমুদ্র-বিলাসীদের এই চিরন্তন গন্তব্যে পাড়ি জমাতে চলুন, এই দ্বীপাঞ্চলে ভ্রমণ নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সোনাদিয়ার ভৌগলিক অবস্থান
বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন স্থান কক্সবাজার থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত মহেশখালী। এই উপজেলার অন্তর্গত কুতুবজোম ইউনিয়নের ছোট্ট একটি দ্বীপ সোনাদিয়া। প্রায় ৯ বর্গকিলোমিটারের এই দ্বীপটি একটি খাল দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়েছে মহেশখালী দ্বীপ থেকে।
ভূতত্ত্ববিদ ও ভূগোলবিদদের মতে, বাঁকখালী নদীর স্রোতধারা ও মহেশখালী প্রণালীর সঙ্গে সাগরের ঢেউয়ের সংঘর্ষে এই দুই এলাকার ঠিক মাঝে বালি জমে জমে জন্ম নিয়েছে সোনাদিয়া দ্বীপ।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের বাকলাই জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলাদেশের অন্যতম সুউচ্চ ঝর্ণায় যাবার উপায় ও খরচ
সোনাদিয়া দ্বীপের নামকরণের ইতিহাস
১০০ থেকে ১২৫ বছর আগে সাগরের মাঝে জেগে ওঠা এই চরে মানুষের বসতি গড়ে উঠে। এরই মাঝে এ দ্বীপের সঙ্গে জড়িয়ে যায় রোমাঞ্চকর সব কিংবদন্তি।
একদা এক বিদেশী জাহাজ মহেশখালীর উপকূলের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় পর্তুগিজ জলদস্যুদের কবলে পড়ে। মালবাহী এই বাণিজ্যিক জাহাজে ছিল প্রচুর পরিমাণ স্বর্ণ। নাবিকদের সঙ্গে জলদস্যুদের সংঘর্ষে পুরো জাহাজটি সাগরের নিচে তলিয়ে যায়। পরবর্তীতে এই দূর্ঘটনাস্থলে বালি ও পলি জমে আস্ত এক দ্বীপের সৃষ্টি হয়। স্বর্ণবাহী জাহাজডুবির ঘটনার কারণে স্থানীয় জেলেদের মাঝে দ্বীপটি স্বর্ণ দ্বীপ বা সোনাদিয়া দ্বীপ নামে পরিচিতি পায়।
এই জায়গাটি নিয়ে লোকমুখে আরও মজার মজার গল্প শোনা যায়। প্রায় পৌনে তিনশ’ বছর আগের কথা। একবার লুতু বহদ্দার নামের এক জেলের জালে এক অদ্ভূত ও রহস্যময় পাথর ধরা পড়ে। পাথরটি সে সঙ্গে করে বাড়ি নিয়ে আসে এবং তা ঘরে ঢোকার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড় ভ্রমণ: বাংলার দার্জিলিং যাওয়ার উপায় ও খরচের বৃত্তান্ত
একদিন এক নাপিত এই সিঁড়িতে বসে কাঁচিতে ধার দেওয়ার সময় অসাবধানে পাথরটি ভেঙ্গে ফেলে। আর সঙ্গে সঙ্গেই তার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে একটি স্বর্ণমুদ্রা। অতঃপর বহদ্দার ও নাপিত সেই স্বর্ণমুদ্রা বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। লুতু বহদ্দার যে স্থানে জাল ফেলেছিল সেটি ছিল মূলত একটি চরের সৈকত। আর সেই চরটিই আজকের সোনাদিয়া দ্বীপ।
কেউ কেউ মনে করেন, এক সময় এখানে মুক্তার চাষ হতো। সেই মুক্তা কেনা-বেচা হতো স্বর্ণের দামে। আর এই কারণেই দ্বীপের নামকরণ করা হয় সোনাদিয়া।
রোহিঙ্গা ভোটার সংখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
কক্সবাজার জেলায় কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের ভোটার করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হাইদার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এদিকে বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ৬ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
এর আগে মঙ্গলবার রোহিঙ্গাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ না দিয়েই কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন ওই ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা মোহাম্মদ হামিদ।
রিটে কক্সবাজারের সব ইউনিয়ন পরিষদের ভোটার তালিকা যাচাই করে রোহিঙ্গাদেরকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, তাদের নাগরিকত্ব প্রদান সংক্রান্ত সব নথি বাতিল করা এবং রোহিঙ্গাদেরকে নাগরিকত্ব প্রদানের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারসহ (এসপি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৩৮ জন রোহিঙ্গা। তাদের তালিকা যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়।
এছাড়াও একই ইউনিয়নে কয়েকশ (সাড়ে তিনশ) রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তাদের নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা হাল নাগাদ না করা পর্যন্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয়েছে রিটে।
এই রিটের উপর বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল ও আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রমজানে স্কুল বন্ধ: মঙ্গলবার আপিল বিভাগে শুনানি
সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের সম্পত্তি স্থিতাবস্থায় রাখার নির্দেশ আপিল বিভাগের
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন লাইনচ্যুত
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা স্টেশনে কক্সবাজারগামী ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল যোগাযোগ।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৩০, আহত ৬০
কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী বলেন, বুধবার সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি ডুলাহাজারা স্টেশনে প্রবেশের সময় ইঞ্জিন ও দুইটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
তিনি আরও বলেন, তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত ৯টি বগির ৪টি উদ্ধার
ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে সারাদেশের সঙ্গে খুলনার ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ
কক্সবাজারে নিজ ঘর থেকে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
কক্সবাজার শহরে নিজ ঘর থেকে রিনা আক্তার নামে এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্কুল শিক্ষিকা, গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার নিয়ে রহস্য!
রিনা আক্তার কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়া এলাকার আবু নাছের ওসমানির স্ত্রী।
যে বাড়িতে খুন হয়েছে সেটি তাদের নিজস্ব ভবন। তিনতলা বিশিষ্ট এই ভবনের দুইতলায় থাকেন তারা।
নিহতের স্বামী বলেন, তিনি তারাবি নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে ছিলেন। পরে বাড়িতে এসে দেখেন স্ত্রীর গলাকাটা লাশ খাটের উপর পড়ে রয়েছে।
কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওসমান সরওয়ার টিপু বলেন, তারা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন বাড়ি লুট করার পর ওই নারীকে জবাই করে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
তিনি পুলিশকে প্রকৃত ঘটনা বের করার দাবী জানান।
এদিকে এই ঘটনায় নিহতের স্বামী আবু নাছের ওসমানিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
এছাড়াও বাড়ির কেয়ারটেকার এবং দুই তলার আরেকটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকা এক রোহিঙ্গা নারীকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, যে দা দিয়ে জবাই করা হয়েছে সেটি জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার করল পিবিআই
তুরস্কে আরও ৪ জনের লাশ উদ্ধার করল বাংলাদেশ সম্মিলিত দল
কক্সবাজারে ট্রাকচাপায় সেনা সদস্য নিহত
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামুর চাকমারকুল অংশে ট্রাকচাপায় আতিকুর রহমান নামে এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
নিহত আতিক রংপুর জেলার মিঠাপুকুর খামার হরিপুর গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে। তিনি কুমিল্লা সেনানিবাসের ২৩ বীরে কর্মরত ছিলেন।
রামু তুলাবাগান হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী বলেন, কক্সবাজার থেকে মোটারসাইকেলে ফিরছিলেন। চাকমারকুল এলাকায় পৌঁছে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে সেনা সদস্য আতিকুর নিহত হন।
নিহতের লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরগঞ্জে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩
চট্টগ্রামে ট্রাক-কার্ভাডভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ২
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে সুইডেনের রাজকুমারী
কক্সবাজার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছেন সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে নোয়াখালী ভাসানচর থেকে সরাসরি সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে উখিয়ায় পৌঁছান তিনি।
এ সময় রাজকুমারীকে অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহিন ইমরান, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানসহ ঢাকাস্থ সুইডেনের দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব
জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিনি বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বিকালে কক্সবাজারের খুরুস্কুলের জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য নির্মিত বিশ্বের বৃহত্তম আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। এরপর আকাশ পথে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়ার।
গত ১৮ মার্চ ৫ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন তিনি। ঢাকায় সুইডেন দূতাবাস ও ইউএনডিপির তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার এটি প্রথম বাংলাদেশ সফর।
এর আগে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত