কক্সবাজার
টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে শিশুর মৃত্যু
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শতাধিক বাড়িঘর পুড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে টেকনাফের নয়াপাড়া মৌচনি ক্যাম্পের জি-ব্লকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ আবদুল হান্নান বলেন, ‘ক্যাম্পে আগুন লাগলে মুহুর্তেই আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চারপাশ। এ সময় আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় ৫ বছর বয়সী এক শিশুর।’
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে আগুনে পুড়ে গেছে ৩ রিসোর্ট
এছাড়া মৃত শিশুর পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলেও জানান তিনি।
১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ কাউসার সিকদার বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও রোহিঙ্গাদের এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুড়ে গেছে শতাধিক বাড়িঘর। এছাড়াও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় এপিবিএন পুলিশ।’
৩ সপ্তাহ আগে
সেন্টমার্টিনে আগুনে পুড়ে গেছে ৩ রিসোর্ট
আগুনে পুড়ে গেছে সেন্টমার্টিনের তিনটি ইকো রিসোর্ট। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) গভীর রাতে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের গলাচিপা এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানা যায়নি। তিনটি রিসোর্টে ২৬টি কক্ষ ছিল, সবগুলো ভস্মীভূত হয়ে গেছে। তবে এ সময় কোনো পর্যটক হতাহত হননি বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ১০মিনিটে সেন্টমার্টিনের গলাচিপা এলাকার বিচ ভ্যালি, কিংশুক ও সাইরি ইকো রিসোর্টে আগুন লাগে। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ঘরে আগুন, বের হতে না পেরে প্রাণ গেল সাবেক পুলিশ সদস্যের
প্রত্যক্ষদর্শী ও ইকো রিসোর্টে মালিকদের বরাত দিয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, ‘মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনের পশ্চিম সৈকতের গলাচিপায় অবস্থিত সাইরি ইকো রিসোর্টের অভ্যর্থনাকক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।’
ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। এতে সাইরির অভ্যর্থনাকক্ষ, পাশে থাকা বিচ ভ্যালির ১৮টি কক্ষ, কিংশুক ইকো রিসোর্টে ৭টি কক্ষ পুড়ে যায়। বাতাস থাকার কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানান।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা, পর্যটক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চেষ্টায় ভোর ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পর্যটকের মালামাল পুড়ে গেছে। তারা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। কটেজগুলোয় আগুন নিয়ন্ত্রণের বিকল্প কোনো ধরনের ব্যবস্থা না থাকায় সব কটি কক্ষ পুড়ে গেছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজ করছেন স্থানীয় লোকজন ও পর্যটকেরা।
সেন্টমার্টিনের দায়িত্বে থাকা টেকনাফ ২ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আগুন লাগার খবর শুনে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নেভানো চেষ্টা চালানো হয়। ক্ষয়ক্ষতি এখনও নিরুপন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ের ট্রাকস্ট্যান্ডের গ্যারেজের আগুন নিয়ন্ত্রণে
৩ সপ্তাহ আগে
কক্সবাজারে খুলনার সাবেক কাউন্সিলরকে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের ঝাউবাগানে খুলনা সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানি টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে ঝাউবাগানের ভেতরে কাঠের সেতুর পাশে হাঁটার সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গোলাম রব্বানি টিপু খুলনার দৌলতপুরের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গোলাম রব্বানি সিগাল হোটেলের সামনে ঝাউবাগানের ভেতরে কাঠের তৈরি সেতুর পাশে হাঁটছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে দুই ব্যক্তি ঘটনাস্থলে এসে তার মাথায় গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইজিবাইক (টমটম) চালক আবদুস সালাম জানান, তিনি সিগাল হোটেলের দিকে ছিলেন। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে বালুতে পড়ে আছেন। দ্রুত তিনি তাকে নিজের টমটমে তুলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জ সীমান্তে গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াছ খান বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গোলাম রব্বানি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নেমেছে পুলিশ। সৈকতের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
৪ সপ্তাহ আগে
কক্সবাজারে প্যারাবনে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ৩
কক্সবাজারের চকরিয়ার প্যারাবনে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে চকরিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন— চকরিয়া বদরখালী ইউনিয়নের টুটিয়াখালী পাড়ার মো. বশির, মো. শাহজাহান ও কলেজপাড়া এলাকার মো. কাজল।
ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন জানান, রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে সে বাঁশখালী থেকে ফিরছিল। এরপর বদরখালী বাজারে বাস থেকে নামার পর মহেশখালীগামী সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় ওঠে। পথে বদরখালী সেতুতে অটোরিকশাটি নষ্ট হলে চালক তাকে নামিয়ে দেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে অস্ত্রের মুখে প্যারাবনে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়রা কিশোরীকে উদ্ধার করে বদরখালীর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৬ জেলে
কিশোরীর স্বজনরা জানান, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও এখনও সে আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ‘এই ঘটনায় কিশোরীর পরিবার বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
১ মাস আগে
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন, শিশুসহ নিহত ২
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুতুপালং এলাকাস্থ লম্বাশিয়া ১-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট।
স্থানীয় বাসিন্দা শামিশুল ইসলাম ফয়সাল বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী আহত হন। তাকে সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে তেলের দোকানে আগুন, ৮ দোকান পুড়ে ছাই
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানূর রহমান জানান, অগ্নিকাণ্ডে ৫৪৯টি শেল্টার সম্পুর্ণ পুড়ে গেছে। আগুন যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য ৬টি শেল্টার ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৬৩টি শেল্টার।
তার দেওয়া তথ্যমতে, বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার ১৯৭টি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর নিহতদের মধ্যে একজন শিশু ও একজন বৃদ্ধ রয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৬ জন। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মোট পরিবারের সংখ্যা ৮৮৫।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফ হোসাইন বলেন, একটি বসতঘরে আকস্মিক আগুন লেগে যায়। সেই আগুন ক্যাম্পের আশপাশের বসতঘরসহ অন্যান্য স্থাপনায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প প্রশাসন ও স্থানীয়রাসহ উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে ৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। পরে সেখানে কক্সবাজার ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের আরও ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেন।
ওসি বলেন, আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট অথবা রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের বোতাম কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ১
১ মাস আগে
কক্সবাজারে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে পেকুয়া এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়কের ধনিয়াকাটা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লা রাজশান এলাকার সারমিন আক্তার (২৯), হাটাহাজারী এলাকার ফিরোজ আহমদ (৪৫) তারা দুজনে স্বামী-স্ত্রী। এছাড়াও টইটং ইউনিয়নের ধন্যাকাটা আবদুল্লাহপাড়া নতুনপাড়ার মৃত ছৈয়দ আহমদের ছেলে সিএনজি অটোরিকশাচালক মনিরুল মান্নান (২২)। অপরজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল মোস্তফা জানান, লাশ উদ্ধার এবং গাড়িগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
১ মাস আগে
কক্সবাজার ইনানী সমুদ্রসৈকত ভ্রমণ: ঘুরে আসুন প্রবাল পাথুরে সৈকতে
বিশ্ব পর্যটনের বিস্তৃত পরিমণ্ডলে এক টুকরো বাংলাদেশ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সমুদ্রসৈকত হিসেবে কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এটি শুধু বাংলাদেশ নয় বরং পৃথিবীর অসংখ্য সমুদ্র প্রেমীদের প্রিয় গন্তব্যস্থল। শুধু বঙ্গোপসাগরের প্যানোরামাকে চোখে ধারণ করেই কাটিয়ে দেওয়া যায় পুরো একটি বিকেল। এমন প্রশান্ত দৃশ্যকল্পের সবটুকুই দৃষ্টিগোচর হয় ইনানী সৈকতে। কক্সবাজারের দীর্ঘ সৈকতেরই এই অংশ দর্শনার্থীদের দেয় প্রকৃতির সঙ্গে একান্তে কিছু সময় কাটানোর অভাবনীয় সুযোগ। চলুন, বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান কক্সবাজার ইনানী বীচে ভ্রমণ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক।
ইনানী সমুদ্রসৈকতের অবস্থান
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের জেলা কক্সবাজারের অন্তর্গত উখিয়া উপজেলায় অবস্থিত সৈকত ইনানী। কক্সবাজার সদর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণের এই প্রবাল সৈকতটিতে পৌঁছাতে হিমছড়ি ছাড়িয়ে আরও ১৫ কিলোমিটার যেতে হবে।
১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকতের আরও একটি নাম পাথুরে সৈকত। বিংশ শতকের একদম শেষ দিকে ধীরে ধীরে এটি পর্যটকদের নজরে আসতে শুরু করে।
আরো পড়ুন: কক্সবাজার থেকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক ভ্রমণ গাইড
ঢাকা থেকে কক্সবাজার ইনানী সমুদ্রসৈকত যাওয়ার উপায়
বাসযাত্রার ক্ষেত্রে সরাসরি কক্সবাজারের বাস পাওয়া যাবে ঢাকার গাবতলী, কল্যাণপুর,যাত্রাবাড়ী,ফকিরাপুল অথবা কলাবাগান থেকে। বাস কোম্পানি এবং ধরণ (এসি/নন-এসি) ভেদে প্রতি জনের জন্য ভাড়া পড়তে পারে ৯০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। এভাবে কক্সবাজার যেতে সময় লাগতে পারে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা।
যারা ট্রেনে যেতে ইচ্ছুক তাদের বিমানবন্দর বা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কক্সবাজারের ট্রেন ধরতে হবে। বিভিন্ন ধরনের সিটে যাত্রীপ্রতি ভাড়া পড়বে ন্যূনতম ৬৯৫ থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩৮০ টাকা। রেলপথে কক্সবাজার পর্যন্ত যেতে প্রায় ৯ ঘণ্টা সময় লাগবে।
এছাড়া কক্সবাজারের সরাসরি বিমানও রয়েছে, যেগুলো গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় নেয় মাত্র ১ ঘণ্টা।
কক্সবাজার থেকে ইনানী যেতে হয় মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে। এর জন্য চাঁদের গাড়ি, ছাদ খোলা জিপ, ট্যুরিস্ট জিপ ও মাইক্রোবাসের মতো বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় পরিবহন রয়েছে। এগুলো সবই সুগন্ধা পয়েন্টে ভিড় করে থাকে। ১০ থেকে ১২ জনের বড় গ্রুপ হলে ইনানী যাওয়ার জন্য পুরো একটি চান্দের গাড়ি রিজার্ভ নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে খরচ হতে পারে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। একটানা ভ্রমণে ইনানী বিচ পর্যন্ত যেয়ে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘুরে আসা সম্ভব।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের কোহ সামুই দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
এছাড়া রয়েছে অ্যাকোয়াহলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভান নামে ছাদ খোলা ডাবল ডেকার বাস। শুধু মেরিন ড্রাইভে যাতায়াতের উদ্দেশ্যে বানানো এই পরিবহনে করে বেশ আরামদায়কভাবে ইনানী পর্যন্ত যাওয়া যায়।
ইনানী সৈকতের প্রধান পর্যটন আকর্ষণ
৮০ কিলোমিটারের মেরিন ড্রাইভ সড়কে সর্বাধিক সুন্দর দর্শনীয় স্থান হচ্ছে ইনানী বিচ। এখানকার বিশেষত্ব হচ্ছে ভাটার সময় সৈকত জুড়ে প্রবাল পাথর এবং শান্ত সাগর। জোয়ারের সময় এই পাথরগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। পাথরগুলোর সর্বাঙ্গ জুড়ে থাকে ধারালো ঝিনুক আর শামুক।
এখানকার শান্ত পরিবেশে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখার অভিজ্ঞতা আর কোনো সৈকতে পাওয়া যায় না। এছাড়াও দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য এখানে নানান ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।
আরো পড়ুন: বান্দরবানের মিরিঞ্জা ভ্যালি ভ্রমণ: ঘুরে আসুন দ্বিতীয় সাজেক
সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে বালুকাময় তীর ধরে ঘোড়ায় চড়া সঙ্গে দক্ষ গাইড থাকায় নতুন বা অভিজ্ঞ যেকোনো রাইডারের জন্যই এই অভিজ্ঞতা বেশ উপভোগ্য হয়ে ওঠে।
এর থেকে আনন্দটা আরও একধাপ বেড়ে যায় জেট স্কিইং-এর সময়। কেননা এখানে যুক্ত হয় বঙ্গোপসাগরে ছুটে বেড়ানোর দুঃসাহস আর রোমাঞ্চের উত্তেজনা। সাধারণত স্কিইং করার সময় জেটে রাইডারের সঙ্গে একজন দক্ষ প্রশিক্ষক থাকেন। তবে দর্শনার্থীদের যারা অভিজ্ঞ তারা একা একাও স্কিইং করতে পারেন।
ইনানী পর্যন্ত যাওয়ার সময়টাও বেশ চিত্তাকর্ষক। কেননা যাত্রাপথে একে একে পেরিয়ে যায় হিমছড়ি পাহাড়,পথের ধারে সাম্পান নৌকা আর নারিকেল বা ঝাউ গাছের ফাঁক দিয়ে দীর্ঘতম উপকূলরেখার দৃশ্য।
ইনানী সৈকত ভ্রমণের সেরা সময়
নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত আকাশ পরিষ্কার এবং রৌদ্রোজ্জ্বল থাকায় এই মৌসুম ইনানী ঘুরতে যাওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট সময়। ভারি বৃষ্টিপাত বা ঝড়ের আশঙ্কা না থাকায় রৌদ্র ও সমুদ্রস্নান এবং জেট স্কিইংয়ের জন্য এই আবহাওয়াটি সবচেয়ে উপযুক্ত।
আরো পড়ুন: ভিয়েতনামের হা লং বে দ্বীপপুঞ্জ ভ্রমণ: ঘুরে আসুন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
এই অনুকূল আবহাওয়ার জন্য বিশেষত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। অবকাশ যাপনের বিভিন্ন সেবা বিশেষ করে হোটেল ভাড়া থাকে সবচেয়ে বেশি।
তাই বাজেট ভ্রমণপিপাসুরা আরামদায়ক উষ্ণতার পাশাপাশি কম খরচে ভ্রমণ করতে বেছে নিতে পারেন নভেম্বরের শেষ বা মার্চের প্রথম দিকটা।
এখানে খেয়াল রাখতে হবে যে, বিকেলের দিকে জোয়ারের কারণে পিক টাইমেও মানুষের ভিড় হাল্কা থাকে।
অপরদিকে, প্রবাল দেখার জন্য ভাটা পর্যন্ত অপেক্ষার বিষয় আছে। তাই ইনানী ভ্রমণের জন্য নিদেনপক্ষে একটি দিন থাকার পরিকল্পনা নিয়ে আসা উচিত। এতে ভোরে সূর্যোদয় আর সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত দেখারও সুযোগ থাকে।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের পাতায়া ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
২ মাস আগে
কক্সবাজার থেকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক ভ্রমণ গাইড
বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পের সঙ্গে প্রতিধ্বনির মতোই ধ্বনিত হয় কক্সবাজারে অবস্থিত পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের কথা। বঙ্গোপসাগরের ফেনীল জলরাশিকে দৃষ্টি সীমায় রেখে এই সৈকত ধরে টেকনাফ পর্যন্ত রচনা করা যায় এক অতুলনীয় ভ্রমণের উপাখ্যান। বালুকাবেলার শুভ্রতার সঙ্গে সারি বেঁধে দাঁড়ানো ঝাউ গাছের গাড় সবুজ; এরই মাঝে হঠাৎ একঝাঁক দুধ রঙা পাখি যেন প্রকৃতির এক অদ্ভূত খেয়াল। এমন প্রাকৃতিক নৈসর্গকে প্রাণভরে উপভোগের জন্য এখন পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সদ্য নির্মিত মেরিন ড্রাইভ। অপার সম্ভাবনাময় সড়কটি উপকূল ভ্রমণকে এক অপূর্ব মাত্রা দিয়েছে। চলুন, কক্সবাজার থেকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কপথটি দিয়ে সৈকত ভ্রমণের বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মেরিন ড্রাইভ সড়কের অবস্থান
বিখ্যাত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশ দিয়ে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটিই মেরিন ড্রাইভ। এর শুরু হয়েছে কক্সবাজারের কলাতলী মোড়ে আর শেষ হয়েছে টেকনাফের শাপলা চত্বরের জিরো পয়েন্টে।
মেরিন ড্রাইভের নির্মাণ ও তাৎপর্য
বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে এই দৃষ্টি নন্দন সড়কটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ২০১৭ সালের ৬ মে সড়কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। ২০১৮-এর ২৬ জুন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সড়কটিকে সংরক্ষিত পর্যটন অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে। শুধু পর্যটনই নয়, এই সড়ক নির্মাণের মধ্য দিয়ে দেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি,পরিবহন খাতে উন্নতি এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি মঞ্চ স্থাপিত হয়েছে।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের কোহ সামুই দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ঢাকা থেকে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ যাওয়ার উপায়
এই সড়ক পরিদর্শনের জন্য প্রথমে সরাসরি কক্সবাজার চলে আসতে হবে। ঢাকার ফকিরাপুল, কলাবাগান, কল্যাণপুর, গাবতলী ও যাত্রাবাড়ী থেকে কক্সবাজারের নিয়মতি বাস রয়েছে। শ্রেণি ভেদে এগুলোর টিকিট মূল্য জনপ্রতি ৯০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। বাস যোগে কক্সবাজার আসতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগে।
ট্রেনে আসার ক্ষেত্রে কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সরাসরি কক্সবাজারের ট্রেন রয়েছে। সিটের ধরনভেদে যাত্রীপ্রতি ভাড়া পড়ে ৬৯৫ থেকে ২ হাজার ৩৮০ টাকা। আর কক্সবাজার পৌঁছতে সময় নেয় প্রায় ৯ ঘণ্টা।
আরও দ্রুততম সময়ে যাওয়ার জন্য রয়েছে সরাসরি কক্সবাজার ফ্লাইট ব্যবস্থা। প্লেন যাত্রার মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টার মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছা যায়।
কক্সবাজার পৌঁছার পর মেরিন ড্রাইভে যাওয়ার চাঁদের গাড়ি, ট্যুরিস্ট জিপ, ছাদ খোলা জিপও মাইক্রোবাস পাওয়া যাবে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে। পর্যটন মৌসুমের ওপর ভিত্তি করে এই পরিবহনগুলোর ভাড়া কম-বেশি হয়ে থাকে। বিশেষত অফ সিজনে চান্দের গাড়ি ভাড়া ৬ হাজার টাকা, সেখানে পিক টাইমগুলোতে পড়বে প্রায় ৭ হাজার টাকা। খোলা জিপ বা চান্দের গাড়িগুলোতে ১০ থেকে ১২ জন পর্যন্ত এক সঙ্গে যাওয়া যায়।
আরো পড়ুন: বান্দরবানের মিরিঞ্জা ভ্যালি ভ্রমণ: ঘুরে আসুন দ্বিতীয় সাজেক
পুরো মেরিন ড্রাইভ ঘুরে আসতে সময় লাগে প্রায় ৫ ঘণ্টা। সময় সংকুলান না হলে পুরোটা না ঘুরে হিমছড়ি বা ইনানী বিচ পর্যন্ত যেয়ে ফিরে আসা যেতে পারে।
২ মাস আগে
কক্সবাজারে মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ
কক্সবাজারে মাদকের টাকা দিতে না পারায় মাকে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন ছেলে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটায় কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়ুয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
হত্যার পর নিজেই সদর থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন অভিযুক্ত ছেলে আবিদ।
নিহত আনোয়ারা বেগম মেরী (৫৫) ওই এলাকার নিয়াজ আহমেদের স্ত্রী ও অভিযুক্ত ছেলে হোসাইন মোহাস্মদ আবিদ (২৮)।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান জানান, এক যুবক মাকে হত্যা করেছে বলে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। আত্মসমর্পণকারী যুবক থানায় এসে হত্যার দায় স্বীকার করে বলেন, ‘মাদকের টাকা না দেওয়ায় সে নিজেকে সামলাতে না পেরে নিজে মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। পরে মায়ের মৃত্যু হওয়ায় তার নিজেকে অপরাধী মনে হতে থাকে। তাই তিনি নিজেই শাস্তি পেতে থানায় হাজির হন।’
ওসি জানান, লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৌরভ জানান, লাশের সুরতাহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। আবিদ প্রায়ই মাদকের টাকার জন্য মাকে অত্যাচার করতেন। শুক্রবার রাতে মাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে তিনি। হত্যাকাণ্ডের সময় আবিদ ও তার মা ঘরেই ছিলেন। তার অসুস্থ বাবা নিয়াজ আহমেদ চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে মেয়ের বাসায় রয়েছেন।
২ মাস আগে
কক্সবাজারে এএসআই'র বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগ
কক্সবাজার টেকনাফে ঘুষের টাকা না পেয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী। বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল মুবিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগটি দায়ের করা হয়।
ভুক্তভোগী নারী টেকনাফ শামলাপুল শীলখালী এলাকার প্রবাসী রহমত উল্লাহর স্ত্রী শারমিন।
অভিযোগ বলা হয়, ১৬ অক্টোবর ওই প্রবাসীর বাড়িতে স্বত্ব দখলের জমির ঘেরা-বেড়া ও ঘর-বাড়ি ভাংচুর করে একদল দুর্বৃত্ত। আতঙ্কিত প্রবাসীর পরিবার পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে সহায়তা চান। তখন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় তদন্তের নামে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আব্দুল মুবিন ভুক্তভোগী নারীর কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা নেন। পরে ১৮ অক্টোবর সহকারী এএসআই’র ব্যক্তিগত নাম্বার থেকে ফোন করে সুষ্ঠু বিচার দেওয়ার নামে কক্সবাজারের আবাসিক হোটেলে যাওয়ার জন্য কু-প্রস্তাব দেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘বিচার পাইয়ে দেওয়ার নামে আমার কাছ থেকে দুই দফা টাকা নেন মুবিন স্যার। এরপর আমাকে অনেকদিন ঘুরান। পরে তিনি আমাকে আবাসিক হোটেলে যাওয়ার কথা বলেন। যা আমার কাছে ডকুমেন্টস আছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী এএসআই আব্দুল মুবিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে তার কথাই হয়নি। সম্পূর্ণ ভুয়া।’
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘ওই নারীর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শাকিল আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এ সময় তিনি সঠিক বিচারের আশ্বাস দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।’
৩ মাস আগে