ডিএমপি কমিশনার
‘পুলিশ হেফাজতে’ ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ১৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
আট বছর আগে ‘পুলিশ হেফাজতে’ খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনির মৃত্যুর অভিযোগে সাবেক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ১৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
জনির বাবা ইয়াকুব আলী সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ আবেদন করেন বলে রিটকারীর আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া জানান।
বিচারক মো. আসাদুজ্জামান অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করে বলেন, তিনি এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন।
আসামিদের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ
মামলায় যাদের আসামি করার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন- চট্টগ্রামের বর্তমান পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডিবির রমনা জোনের এসআই দীপক কুমার দাস, ডিবির রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাত, মো. জাহিদুল হক তালুকদার, ডিবির পুলিশ পরিদর্শক ফজলুর রহমান, ওহিদুজ্জামান, এসএম শাহরিয়ার হাসান, ডিবির এসআই শিহাব উদ্দিন, বাহাউদ্দিন ফারুকী, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ডিবির কনস্টেবল মো. সোলাইমান, আবু সায়েদ, মো. লুৎফর রহমান ও খিলগাঁও থানার এসআই মো. আলাউদ্দিন।
জনির মৃত্যুর ঘটনার সময় তারা সবাই ঢাকার মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়ার জোড়পুকুরমাঠ এলাকায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে কথিত 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হন নুরুজ্জামান জনি (৩০)।
খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জনি বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ৫ ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা নিহত
মেট্রোরেলের জন্য বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আলাদা বিশেষায়িত ইউনিট গঠনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনে নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা তল্লাশি নিশ্চিত করতে ‘ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট পুলিশ’ বা ‘এমআরটি পুলিশ’ নামে একটি বিশেষায়িত নতুন পুলিশ ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও ডিএমপি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে কাজটি করবে।
আরও পড়ুন: ঈদগাহে জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া কিছু আনবেন না: ডিএমপি কমিশনার
গোলাম ফারুক বলেন, মেট্রোরেল ঢাকার গণপরিবহন খাতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।
উত্তরার দিয়াবাড়ির মেইন ডিপোতে মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষে গৃহীত সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, জনস্বার্থে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা (দিয়াবাড়ি) থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রথম অংশের উদ্বোধন করবেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী এখানে একটি জনসভায়ও অংশ নেবেন এবং অনেক ভিভিআইপি বৈঠকে যোগ দেবেন।
এ কারণে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলাকায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
আরও পড়ুন: ফৌজদারি অপরাধ না হলে রাজনৈতিক সমাবেশে সহযোগিতা করবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
নতুন জঙ্গি সংগঠনকে মদদ দিচ্ছেন জামায়াতের আমীর: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রধান খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির (প্রধান) শফিকুর রহমানের নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়াকে সমর্থন ও অর্থায়নের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, জামায়াতের আমিরের ছেলে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং পরে সে স্বেচ্ছায় তাদের সমর্থন ও অর্থায়ন করে।
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনার শফিকুল অবসরে যাচ্ছেন ৩০ অক্টোবর
শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জঙ্গি গোষ্ঠীকে সহায়তা করার অভিযোগে জামায়াত প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। নতুন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জামায়াতের অন্য কোনো নেতার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে কি না- জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ‘গোপনীয়তার স্বার্থে আমি এখন সে তথ্য প্রকাশ করছি না। অপারেশন সফল হওয়ার পর বিস্তারিত জানাব।’
ঢাকার আদালত থেকে দুই জঙ্গির পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ফারুক বলেন, ‘আমরা তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেতে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য দায়িত্বে অবহেলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদনে বলা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নজরদারি শুধু ওই দুই জঙ্গিকে নয়, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও অনেককে শনাক্ত করেছে। আশা করি শিগগিরই আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব।’
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপি সমাবেশ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
ফৌজদারি অপরাধ না হলে রাজনৈতিক সমাবেশে সহযোগিতা করবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
১০ ডিসেম্বর সমাবেশস্থল: ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবে বিএনপির ২ সদস্যের প্রতিনিধি দল
ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে অচলাবস্থা নিরসনের চেষ্টা করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কার্যালয়ে যাচ্ছে বিএনপির দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল।
শনিবার সমাবেশের স্থান চূড়ান্ত করতে দুপুর ২টায় ডিএমপি কার্যালয়ে যাবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।
বিএনপি সূত্র জানায়, তাদের দল এখন ধলপুর মাঠে সমাবেশ করার কথা ভাবছে, অথচ সরকার মিরপুর বাংলা কলেজে সমাবেশ করার অনুমতি দিতে রাজি রয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ মহানগরীর ধলপুর মাঠ বা অন্য কোনো মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে প্রতিনিধি দলটি ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে কথা বলবেন।
গোয়েন্দাদের হাতে দলের দুই শীর্ষ নেতাকে আটকের বিষয়ে তাদের পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করতে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে অনলাইনে বৈঠকে বসেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপি সমাবেশ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
এদিকে বিকাল ৩টায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
শুক্রবার ভোরে বিএনপি দাবি করেছে, রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে সাদা পোশাকের পুলিশ মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ছয় ঘণ্টা বৈঠক করে যেখানে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে কথা হয়।
পরে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে নিয়ে আব্বাস দুটি অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেন।
ওই বৈঠকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় খুলে দেওয়ার আশ্বাস দেয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
বুধবার, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে দলের প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে।
১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশের মাত্র ২৪ ঘন্টা বাকি থাকায়, সমাবেশস্থল এখনও চূড়ান্ত না হওয়ায় এবং দলের দুই শীর্ষ নেতাকে আটক করায় নির্ধারিত সময়ে সমাবেশ করা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ফৌজদারি অপরাধ না হলে রাজনৈতিক সমাবেশে সহযোগিতা করবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল অবসরে যাচ্ছেন ৩০ অক্টোবর
ফৌজদারি অপরাধ না হলে রাজনৈতিক সমাবেশে সহযোগিতা করবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে চিন্তিত নয় পুলিশ। তবে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের নামে ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন,‘রাজনৈতিক কর্মসূচি পুলিশের মাথাব্যথা নয়। আমাদের কাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। মিটিং বা মিছিল করা দলগুলোর রাজনৈতিক অধিকার।’
সোমবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে কমিশনার’স মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এ মন্তব্য করেন। গত ২৯ অক্টোবর কমিশনার দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই ছিল প্রথম অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন: ঈদগাহে জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া কিছু আনবেন না: ডিএমপি কমিশনার
তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কেউ গাড়ি ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগ করলে বা সড়ক অবরোধ করলে তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
ডিএমপি প্রধান আরও বলেন, যতদিন রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোনও ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত না হবে,ততদিন পুলিশ সহযোগিতা করবে।
ঢাকা মহানগরীর যানজট প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার বলেন,পরিকল্পিতভাবে ঢাকার উন্নয়ন হয়নি এবং রাজধানীতে বেশ কিছু মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে, যা যানজটের কারণ।
তিনি বলেন,আমরা যানজট কমাতে কাজ করছি।
এছাড়া সড়কে অবৈধ পার্কিং রোধে কাজ করা হবে বলেও জানান তিনি।
মাদকের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, শুধু সরবরাহ কমিয়ে এটা বন্ধ করা যাবে না,চাহিদাও কমতে হবে।
নতুন পুলিশ কমিশনার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনার শফিকুল অবসরে যাচ্ছেন ৩০ অক্টোবর
দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল অবসরে যাচ্ছেন ৩০ অক্টোবর
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম ৩০ অক্টোবর অবসরে যাচ্ছেন। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
তিনি চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর থেকে আগামী বছরের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত অবসর পরবর্তী ছুটিতে (পিআরএল) থাকবেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, তিনি সরকারি নিয়মানুযায়ী অবসর ও অবসর পরবর্তী ছুটির সুবিধা পাবেন।
২০২১ সালে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলামের মেয়াদ আরও এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়। ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ডিএমপি’র ৩৪ তম কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ঈদকে সামনে রেখে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
তিনি ১৯৮৯ সালে অষ্টম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ক্যাডারে (পুলিশ) সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
তিনি বাংলাদেশ পুলিশের ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোতে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
পুলিশকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
ঈদগাহে জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া কিছু আনবেন না: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে যোগদানের সময় মুসল্লিদের শুধুমাত্র জায়নামাজ ও ছাতা নিয়ে আসতে বলেছেন।
রবিবার ডিএমপি কমিশনার বলেন, জাতীয় ঈদগাহে জামাতের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি প্রধান বলেন, ঈদের প্রধান জামাতে জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই।
আরও পড়ুন: ঈদের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে
তিনি আরও বলেন, এ বছর ঢাকা জুড়ে ছোট-বড় মসজিদ, ঈদগাহে এক হাজার ৪৬৮টি ঈদ জামাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ডিএমপি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত শুরুর আগে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট পুরো এলাকা ঝাড়ু দেবে এবং সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে রাখা হবে।
চেকিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে সময় লাগবে বলে ডিএমপি কমিশনার নির্ধারিত সময়ের আগে মুসল্লিদের ঈদগাহে জামাতে আসার অনুরোধ জানান।
প্রতিকূল আবহাওয়ায় ও বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাতে একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঈদে বায়তুল মোকাররমে ৫ জামাত
ঈদকে সামনে রেখে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
পবিত্র রমজান মাস ও আসন্ন ঈদুল ফিতরে অপরাধ রোধে সকলকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
সোমবার ডিএমপি সদর দপ্তরে ২০২২ সালের মার্চ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার এ নির্দেশনা দেন।
ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, রোজার ১৫ দিন শেষ হওয়ায় এখন ধীরে ধীরে মার্কেটগুলোতে ভিড় বাড়বে। এ সময় মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টি বা ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বাড়বে। তাই থানার টহল দলগুলোকে আরও সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তির শঙ্কা
শুধু পাহারা দিয়ে অপরাধ দমন করা যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, অপরাধ রোধে অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনতে হবে।
ট্রাফিক বিভাগের উদ্দেশে কমিশনার বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে যানজট বেড়েছে। এ জন্য প্রয়োজনে আশপাশের জেলার পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাকার প্রবেশপথে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদের সময় অনেক নগরবাসী তাদের প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামের বাড়িতে যাবেন। এ সময় তাদের ঘরবাড়ি খালি থাকে। এ সময় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি নগরবাসীকে ঢাকা ছাড়ার সময় গুরত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নিরাপদে রাখার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান দুপুর ২টার মধ্যে শেষ করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
এ বছর পহেলা বৈশাখ উদযাপনের কর্মসূচি দুপুর ২টার মধ্যে শেষ করতে হবে এবং রমজানের কারণে রমনা মেলা প্রাঙ্গণে খাবারের স্টল স্থাপনের অনুমতি দেয়া হবে না।
মঙ্গলবার বাংলা নববর্ষকে সামনে রেখে রাজধানীর রমনা বটমূলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর স্থগিত থাকার পর, নববর্ষকে স্বাগত জানানো ঐতিহ্যবাহী এ উৎসব এই বছর সীমিত পরিসরে উদযাপন করা হবে। রমজানের কারণে এবারের নববর্ষ উদযাপন ভিন্ন হবে। কারণ ‘পান্তা ভাত’সহ কোনো খাবারের স্টলের অনুমতি দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন: বড়দিন, নতুন বছর উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নেয়া হবে: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বেলা ১১টার মধ্যে ছায়ানটের আয়োজন শেষ করতে বলা হয়েছে। আর দুপুর ২টার মধ্যে রমনা এলাকায় মেলা শেষ করতে বলা হয়েছে যাতে মানুষ এখান থেকে বের হয়ে সহজেই তাদের ইফতার করতে পারে। দুপুর ১টার পরে রমনা এলাকার প্রবেশের সব গেট বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রায় যোগদানের জন্য লোকজনকে চেকিং করতে হবে। মাঝ রাস্তায় চাইলেই কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। আর কেউ চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হবে।
রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট থাকবে। তিনি বলেন, এলাকায় কর্মসূচি চলাকালীন কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার ও বুধবার পর্যন্ত পুরো এলাকা সার্চ করা হবে। পাশাপাশি পুরো চত্বর সিসিটিভি ক্যামেরার আওতা ও বিভিন্ন স্থানে ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। এছাড়া বোম ডিস্পোজাল ইউনিট ও সোয়াত মোতায়েন করা হবে।
২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা এ ধরনের হামলার কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা নিয়েছি। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে লোকজনকে উদ্ধারে একটি পৃথক দল প্রস্তুত থাকবে।
আরও পড়ুন: জঙ্গিদের বড় ঘটনা ঘটানোর সক্ষমতা নেই: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইভটিজিং প্রতিরোধে সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা মাঠে থাকবেন।
এলাকায় কোনো খাবারের দোকান থাকবে না বলে মেলা প্রাঙ্গণে ছোট বাচ্চাদের না আনতে তিনি লোকজনকে অনুরোধ করেন।
মুখোশ পরা এবং উচ্চ শব্দ করে এমন বাদ্যযন্ত্র বহন করার অনুমতি দেয়া হবে না, বলেছেন তিনি।
পুলিশকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
অপরাধ দমনে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদস্যদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশ দেন তিনি।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার গত মাসের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের কর্ম উদ্দীপনা বাড়াতে তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এছাড়া তিনি অপরাধ বিশ্লেষণ, পরবর্তী কার্যক্রম ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণের কৌশল সম্পর্কে তাদের দিক নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমাদের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। অপরাধ দমনে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেয়া লাগবে।’
এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অপারেশন) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:একুশে বইমেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে: ডিএমপি
‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’এ উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান নয়: ডিএমপি