ওবায়দুল কাদের
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার ঢাকা ত্যাগের জন্য সময় নির্ধারণ করা ছিল।
আগামী ৩ মার্চ তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ।
আরও পড়ুন: দেশে অরাজকতা সৃষ্টির দিকে এগোচ্ছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
আ.লীগ নেতারা কখনো দেশ ছেড়ে পালাবেন না: ওবায়দুল কাদের
আ.লীগ নেতারা কখনো দেশ ছেড়ে পালাবেন না: ওবায়দুল কাদের
সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতারা কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই দেশ ছেড়ে পালাবেন না।
তিনি বলেন, বিএনপি এখন সরকারকে পালিয়ে যেতে বলছে। তারা (বিএনপি নেতারা) বলেছেন, সরকার পালানোর কোনো পথ খুঁজে পাবে না, এটা হাস্যকর।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের
ঐতিহাসিক রাজশাহী মাদরাসা মাঠে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় রবিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
দর্শকদের হাসি ও উল্লাসের মধ্যে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি পালাবো না, প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় যাব। তুমি কি আমাদের আশ্রয় দেবে না?
যদি না হয়, ঠাকুরগাঁওয়ে তার একটি বাড়ি আছে এবং আমরা সেই বাড়িতে যাব,
কাদের বলেন, জনরোষ থেকে নিজেদের চামড়া বাঁচাতে বিএনপি নেতাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে। এছাড়া লন্ডনে পালানোর আগে তারেক রহমান একটি বন্ডে সই করেছিলেন যে তিনি আর রাজনীতি করবেন না।
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, দণ্ডিত পলাতক এখন বিরোধী দলের নেতা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি এ দেশে জন্মেছেন এবং এ দেশেই মৃত্যুবরণ করবেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তারা নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের কাছে একটি বার্তা পাঠাতে চান।
তা হল অবিলম্বে পদত্যাগ করে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা এবং একটি নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করার অনুমতি দেয়া।
আরও পড়ুন: বড় ধরনের হামলা ও নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি ক্ষমতায় এলে একাত্তরের চেতনা বিলুপ্ত হয়ে যাবে: ওবায়দুল কাদের
জামায়াতের সঙ্গে কোনো সমঝোতা না: ওবায়দুল কাদের
জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সমঝোতা হয় নি বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘কোনো সমঝোতা না। যেহেতু জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। সেহেতু ভিন্ন কোনো উদ্যোগ নেয়া যুক্তিসংগত নয় বলে আমরা মনে করি।’
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা(বিএনপি) কর্মসূচি দিতে পারে, তাদের দফা আছে, দশ দফা আবার বলে এক দফা। তারপর দেখলাম, ২৩ দল, আবার ৫৪ দল। এখন শুনলাম আবার ৫২ দল একসঙ্গে ১৬ জানুয়ারি কর্মসূচি পালন করবে। এখন তাদের এই জগাখিচুড়ি ঐক্যের শেষ কোথায়, পরিণতি আমরা গত নির্বাচনে দেখেছি। অতিবাম, অতি ডান মিলিমিশে একাকার।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে ২ পুলিশ আহত
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গতকাল বিএনপির সমাবেশ দেখলাম, অবশ্যই বড় হয়েছে, অস্বীকার করে লাভ নেই। আমাদের দুটো মিটিং অনেক বড় হয়েছে। শহীদ মিনারের সমাবেশ বড় হয়েছে। মিরপুরে তো বিরাট সমাবেশ হয়েছে। আলোচনাসভা সমাবেশে রূপ নিয়েছে, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে। তাদের এই যে এত জোট, প্রেসক্লাবের সামনে, বিজয়নগরে, দেখলাম ফুটপাতে বসে আছে সমমনা ১২ দল। প্রেসক্লাবের সামনে দেখলাম, কয়েকটি চেয়ার, সেখানে আবার তাদের কর্মীদের চেয়ে সাংবাদিক বেশি। আর মঞ্চে আছে কিছু নেতা।’
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তাদের তো কোনো নেতা নেই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনের নেতৃত্ব দেবেন। রাজনৈতিকভাবে তিনি আমাদের সভাপতি। তিনি আমাদের পরবর্তী নির্বাচনের নেতা। তাদের কে? তারা কখনও বলে বেগম জিয়া, কখনো বলে তারেক রহমান তাদের নেতা। কিন্তু তাদের নির্বাচন করার যোগ্যতা নেই। তারা অভিযুক্ত আসামি। কাকে তারা নেতা বানাবেন? গতবার কামাল হোসেন ছিল। পরে তাদের মানসম্মানও বিঘ্নিত হয়ে গেছে। সবাই জানেন, শেষ পর্যন্ত তিনিও(কামাল) হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এবার কী হবে, সময় বলে দেবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা রাজপথে আছি। আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে, আমাদের বিক্ষোভ করার কিছু নেই। তবে শান্তি সমাবেশ করব। শান্তির শোভাযাত্রা করব। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমাদের দায়িত্ব। আমরা সতর্ক অবস্থানে থাকব। আমাদের বিক্ষোভের কোনো কারণ নেই।
ফরিদপুরে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকাল কোথাও সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ফরিদপুরে যেটা হয়েছে, সেটা হচ্ছে তাদের মিটিং থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে সেটা বেশি দূর গড়ায়নি। সমাধান হয়ে গেছে। আর ময়মনসিংহে স্পটে কিছু হয়নি। তবে তাদের গাড়ি নাকি আক্রান্ত হয়েছে। ঢিল ছুড়েছে, এ রকম কিছু হয়েছে। ঢাকায় উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিএনপির সঙ্গে পাল্টা কোনো কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ১০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয়ভাবে আমরা কর্মসূচি পালন করেছি। পরের দিন ১১ জানুয়ারি আমাদের কর্মসূচি ছিল।
মহানগরী উত্তর-দক্ষিণ আমাদের যুবলীগ-ছাত্রলীগ, অন্য সহযোগী সংগঠন, মফস্বলের উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করেছি। এটি সবসময় হয়ে আসছে। এখানে পাল্টাপাল্টির কোনো বিষয় না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মিছিল থেকে জামায়াত শিবিরের ৮ নেতাকর্মী আটক
‘তবে বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। সেটা হচ্ছে সতর্ক পাহারায় থাকা। যাতে করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে না পারে এবং অশান্তি, বিশৃঙ্খলা সহিংসতার কোনো উপদান যুক্ত হতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকছি,’ বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে জামায়াতের সঙ্গে সরকারের কোনো সমঝোতা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ ধরনের প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যাপারে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
জামায়াতকে নিয়েই বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, তা সবাই জানেন। জামায়াত ছাড়া বিএনপির টিকে থাকাই দুষ্কর। নেতিবাচক রাজনীতি করতে করতে বিএনপি যেখানে গিয়ে পৌঁছেছে, তাদের বড় সমাবেশ, বড় মিছিল করতে হলে জামায়াতকে দরকার। জামায়াতের আবার একটি সমর্থক-কর্মীর ব্যাংক আছে। কাজেই সমাবেশ বড় করতে হলে, মিছিলে লোক বেশি আনতে হবে জামায়াত ছাড়া তাদের (বিএনপি) চলবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বারবার একই কথা বলেছি, সাম্প্রদায়িক শক্তির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর বিশ্বস্ত ঠিকানা বিএনপি। বিএনপি-জামায়াত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তাদের একটিকে ছাড়া আরেকটি চলবে না।’
আরও পড়ুন: বিশ্বের কোথায়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি ক্ষমতায় এলে একাত্তরের চেতনা বিলুপ্ত হয়ে যাবে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকবে না।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তি ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপিকে আমরা ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারি না।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বুধবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় যোগ দিতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: গোলাপবাগে সমাবেশ করে বিএনপি ‘অর্ধেক পরাজিত’: ওবায়দুল কাদের
এছাড়া পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় ফিরে আসেন।
কাদের বলেন, বাংলাদেশের আরেক নাম শেখ মুজিবুর রহমান। যতদিন এই ভূমি থাকবে বঙ্গবন্ধু থাকবেন।
বুধবার বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বিরোধী দলের কড়া সমালোচনা করে বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৫৪টি দল হাত মিলিয়েছে। কিন্তু ৫৪ দল কী করবে? তারা কিছু করতে পারে না।
কাদের বলেন, বিএনপির দুর্নীতি, লুটপাট ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে যা ধ্বংস করেছিল হাসিনা তা মেরামত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা একদিনে শত শত সেতু ও শত শত রাস্তার উদ্বোধন করেছেন। শেখ হাসিনাই পারেন, একমাত্র শেখ হাসিনাই পারেন। আসুন আমরা তার হাতকে শক্তিশালী করি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের সমালোচনা করে কাদের বলেন, বিএনপির শাসনামলে ৫০ দিনও তিনি ঘরে থাকতে পারেননি। এখন বিএনপির দুই নেতা ২৬ দিন ধরে কারাগারে ছিলেন।
এছাড়া কিছু মিডিয়া এমনভাবে লিখছে যেন তারা ২৬ হাজার বছর ধরে জেলে ছিল।
এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
আরও পড়ুন: নেতার দরকার নেই, চৌকস কর্মী চাই: ছাত্রলীগকে ওবায়দুল কাদের
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের
ভারতের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক বজায় রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ সফররত ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মতো ভারতের বিশ্বস্ত বন্ধু নেই। এটা আপনাদের মনে রাখতে হবে। ভারতের সরকারের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব। নরেন্দ্র মোদির সরকারের সঙ্গেও আমাদের বন্ধুত্ব আছে। বন্ধুত্বের বিকাশও হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত আ.লীগ: কাদের
আওয়ামী লীগের জন্য আগামী নির্বাচন কতোটা কঠিন হবে? ভারতীয় সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছি। তৃতীয় মেয়াদ অতিক্রম করে আমরা চতুর্থ মেয়াদের নির্বাচনে যাব। গতবারের চেয়ে একটু কঠিন হবে। একটি জিনিস হল যে আমরা যদি জীবনযাত্রার ব্যয় পরিচালনা করতে ব্যর্থ হই তবে এটি কঠিন হয়ে যাবে।’
মতবিনিময় সভায় ১১ জন সফররত ভারতীয় সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। ৬ জানুয়ারি থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে কলকাতা থেকে ২৫ জন এবং গুয়াহাটির ৯ জন সাংবাদিক বাংলাদেশ সফর করেন।
আরও পড়ুন: ফাইনাল খেলা হবে আগামী জানুয়ারিতে: কাদের
নেতার দরকার নেই, চৌকস কর্মী চাই: ছাত্রলীগকে ওবায়দুল কাদের
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত আ.লীগ: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র, আন্দোলনের নামে সংগঠিত সহিংসতা, সাম্প্রদায়িকতার উত্থানের সমুচিত জবাব দিতে দল প্রস্তুত।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আগের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ, অনেক শক্তিশালী।
এর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফাইনাল খেলা হবে আগামী জানুয়ারিতে: কাদের
নেতার দরকার নেই, চৌকস কর্মী চাই: ছাত্রলীগকে ওবায়দুল কাদের
ফাইনাল খেলা হবে আগামী জানুয়ারিতে: কাদের
আগামী বছরের জানুয়ারিতে চূড়ান্ত খেলা অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের নেতাকর্মীদের আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী বছরের জানুয়ারিতে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির (জাপা) ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘খেলা হবেই’ স্লোগানকে একধরনের রাজনৈতিক হাস্যরস উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি, মাদক, ষড়যন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে খেলা হবে।
আরও পড়ুন: আমরা রাজনীতিকে ভালো মানুষের জন্য উপযুক্ত করতে পারিনি: সেতুমন্ত্রী
দলের নেতাকর্মীদের আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভালো মানুষ আজকাল রাজনীতিতে নেই। আমরা রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করতে ব্যর্থ হয়েছি।’
ছাত্র রাজনীতির সুনাম নষ্ট হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভালো, সৎ ও উজ্জ্বল ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ ছাড়া রাজনীতি চরিত্রহীন হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশকে বাঁচাতে গণতন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে আ’লীগ নেতা আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: নেতার দরকার নেই, চৌকস কর্মী চাই: ছাত্রলীগকে ওবায়দুল কাদের
ভোটের পরাজয় থেকে আ.লীগের প্রতিকারমূলক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি কাদেরের
নেতার দরকার নেই, চৌকস কর্মী চাই: ছাত্রলীগকে ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে নেতার দরকার নেই, স্মার্ট কর্মী দরকার।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ: ভেন্যু সমস্যার সমাধানে আশাবাদী ওবায়দুল কাদের
টেলিভিশন ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অপরাজেয় বাংলা স্মারকের সামনের উপচে পড়া মঞ্চটিতে ওবায়দুল কাদের বক্তব্য বক্তব্য দেয়ার সময় ভেঙে পড়ে।
বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় কাদের অক্ষত ছিলেন। আহতদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ঘটনার আগে তিনি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিজেদের প্রস্তুত করতে বলেন।
তিনি ছাত্রলীগকে দ্রুত কমিটি গঠন করতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ছাত্রলীগের কমিটিতে শীর্ষ দুই নেতার নাম ঘোষণা করেছি কিন্তু এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। জাতীয় নির্বাচনের আগে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে দ্রুত কমিটিগুলো গঠন করতে হবে।’
কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মহানগরীর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা, ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা যোগ দেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাদের। পরিচালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী বলেন, ‘আমরা ২০২৪ সালের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অগ্রগামী হবো এবং আমরা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেব না। এটি আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং এই ৭৫ বছরপূর্তি উদযাপনে আমরা বছরে ৭৫টি বিজয় সমাবেশের আয়োজন করব।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি প্রধান সংগঠন। এর একটি গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। আমাদের আবার আমাদের ট্র্যাকে ফিরে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, আগামী দিনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও তাদের সহযোগী বিএনপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
অনুষ্ঠানটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয় এবং অপরাজেয় বাংলা স্মৃতিস্তম্ভ থেকে শুরু হয়ে ধানমন্ডি-৩২ পর্যন্ত একটি র্যালির মাধ্যমে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের
গোলাপবাগে সমাবেশ করে বিএনপি ‘অর্ধেক পরাজিত’: ওবায়দুল কাদের
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি।
এর আগে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে বলা হয়।
আরও পড়ুন: আ. লীগের পক্ষ থেকে খ্রিস্টীয় নতুন বছরের শুভেচ্ছা ওবায়দুল কাদেরের
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় , সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৫৮৪ ফ্লাইট যোগে রওনা হবেন।
৪ জানুয়ারি তিনি ঢাকায় ফিরবেন।
দীর্ঘদিন ধরে হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন এই আ.লীগ নেতা। ২০১৯ সালে তার করোনারি ধমনীতে তিনটি ব্লক পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের কোথায়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই: ওবায়দুল কাদের
ভোটের পরাজয় থেকে আ.লীগের প্রতিকারমূলক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি কাদেরের
মেট্রোরেলের ভাড়া বেশি না: কাদের
মেট্রোরেলের ভাড়া জনগণের নাগালের মধ্যে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, ‘মানুষ রিকশায় চড়লে কমপক্ষে ২০ টাকা দিতে হয়। সে অর্থে মেট্রোরেলের ভাড়া বেশি না, ভাড়া ঠিক আছে। ঢাকা ও কলকাতার মেট্রোরেলের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আমাদের মেট্রোরেল থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার চেয়ে ভালো। ঢাকার মেট্রোরেল ভালো লাগছে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, এমআরটি-৬ এর বাকি কাজ আগামী বছরের মধ্যে শেষ হবে।
আরও পড়ুন: গোলাপবাগে সমাবেশ করে বিএনপি ‘অর্ধেক পরাজিত’: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এমআরটি-১ ও এমআরটি-৫-এর কাজও আমরা শুরু করব। এই দুটি এমআরটি লাইন ৩১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকবে, যার মধ্যে ২১ কিলোমিটার হবে ভূগর্ভস্থ এবং ১০ কিলোমিটার হবে এক্সপ্রেসওয়ে।’
চট্টগ্রামে মেট্রোরেল সার্ভিস চালু করা যায় কিনা তা জানতে চট্টগ্রামে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হচ্ছে বলেও জানান কাদের।
এক প্রশ্নের জবাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাদের বলেন, ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পূর্বনির্ধারিত গণমিছিলের দিন তার দলের নেতাকর্মীরা রাজপথে পাহারা দেবেন।
কাদের বলেন, ‘বিএনপি কর্মীরা সহিংসতা করলে আমরা কি ললিপপ খাব? আমরা ১০ ডিসেম্বরের মতো আগামীকালও রাজপথে থাকব।’
কাদের আরও বলেন, ইভিএম ব্যবহার হোক বা না হোক আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হোক। তবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব। এ বিষয়ে কমিশন (ইসি) ড. যা-ই ঘটুক না কেন, আমরা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।’
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ: ভেন্যু সমস্যার সমাধানে আশাবাদী ওবায়দুল কাদের
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে মানুষ ভয় পায়: ওবায়দুল কাদের