পররাষ্ট্র সচিব
নেপাল, ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে ভারত: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ভারতের মাধ্যমে নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ভারত।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ট্রান্সমিশন লাইনের ক্ষেত্রে ‘ব্যবহারিক সমস্যা’ নিয়েও আলোচনা করেছেন। কারণ ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং এর সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার সঙ্গে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) করে বলেছেন যে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং নির্বিঘ্নে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের মধ্যে তার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কোনও নির্দিষ্ট প্রকল্প নেয়া হলে ভারত বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সঞ্চালন লাইন সম্প্রসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রকল্প নেয়া হলে ভারতীয় ক্রেডিট লাইন (এলওসি) ব্যবহার করা যাবে কিনা তাও বাংলাদেশ অনুসন্ধান করবে।
আরও পড়ুন: ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফর
এদিকে, নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচমন্ত্রী রাজেন্দ্র লিংডেন মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে জ্বালানি ও পানি সম্পদ খাতে সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
এফওসি চলাকালীন কোয়াত্রা ও মাসুদ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের সমস্ত দিক নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছেন।
উভয় পক্ষই তাদের চলমান সহযোগিতাকে আরও জোরদার, ভারতের অর্থায়নকৃত রেয়াতি এলওসি’র বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সংযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্কসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্মত হয়েছে।
কোয়াত্রা বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে তার সরকারি সফর শেষ করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে: ডেরেক শোলে
সফরের সময়, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি দেশের অব্যাহত প্রতিশ্রুতিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দেন। বাংলাদেশকে ভারতের ‘প্রতিবেশী অগ্রাধিকার নীতি’ এবং ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ হিসাবে উল্লেখ করে।’
পররাষ্ট্র সচিব পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শুভেচ্ছা জানান।
দুই পক্ষই আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে, ভারত জি-২০-এর ভারতের সভাপতিত্বের সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ‘অতিথি দেশ’ হিসাবে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য উন্মুখ।
উভয় পক্ষই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদের জন্য একে অপরের আসন্ন প্রার্থিতাকে পারস্পরিক সমর্থন প্রসারিত করতে সম্মত হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বিশেষ করে গত দশকে, বাংলাদেশ ও ভারত নেতৃত্বের পর্যায়সহ উচ্চ পর্যায়ের সম্পৃক্ততা বজায় রেখেছে।
ভারতীয় পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফর দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে সাহায্য করেছে। তাদের সময়-পরীক্ষিত সম্পর্ককে শক্তিশালী করেছে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতি ব্যাপকভাবে পর্যালোচনা করার সুযোগ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে চায় জাপান: রাষ্ট্রদূত
ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফর
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রী বিনয় কোয়াত্রা বুধবার বাংলাদেশে তাঁর সরকারি সফর শেষ করেছেন।
সফরকালে, পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, মহামান্য শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি ভারতের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি, বাংলাদেশকে ভারতের ‘নেবারহুড ফার্স্ট পলিসি’-র একটি অপরিহার্য অঙ্গ ও ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’-র মূল অংশীদার হিসেবে তুলে ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দেন।
আরও পড়ুন: বিনয় কোয়াত্রার সফর ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে আরও জোরদার ও গতিশীল করবে: ভারত
পররাষ্ট্র সচিব পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে শুভেচ্ছা জানান।
ফরেন অফিস কনসাল্টেশন চলাকালে পররাষ্ট্র সচিব কোয়াত্রা ও পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এই সম্পর্কের সকল দিক নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন।
উভয় পক্ষই ভারত সরকারের অর্থায়নে রেয়াতি লাইন অব ক্রেডিট, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সংযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা এবং মানুষে-মানুষে বন্ধনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চলমান দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতাকে আরও জোরদার করতে সম্মত হয়েছে।
তাঁরা যৌথ স্বার্থের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সহযোগিতা ও পরামর্শ বাড়াতে সম্মত হয়েছেন।
এই প্রেক্ষাপটে, ভারতের জি-২০’র প্রেসিডেন্সি চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের ব্যাপারে ভারত ভীষণভাবে উন্মুখ।
উভয় পক্ষই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদের জন্য আসন্ন প্রার্থিতার ব্যাপারে পারস্পরিক সমর্থন প্রদান করতে সম্মত হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বিশেষ করে গত দশকে, ভারত ও বাংলাদেশ নেতৃস্থানীয় পর্যায়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চ সম্পৃক্ততা বজায় রেখেছে।
পররাষ্ট্র সচিবের সফর দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে সাহায্য করেছে, সময়ের সঙ্গে পরীক্ষিত তাদের এই সম্পর্ককে পুনরায় বলবৎ করেছে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতি ব্যাপকভাবে পর্যালোচনা করার সুযোগ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃহত্তর বাণিজ্য, সংযোগ ব্যবস্থা ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে ধারণ করে: দোরাইস্বামী
বিনয় কোয়াত্রার সফর ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে আরও জোরদার ও গতিশীল করবে: ভারত
পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার সফর ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে ও গতি দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ভারত।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ নীতি অনুযায়ী দেয়া ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ অনুযায়ী পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বাংলাদেশ সফরে আসবেন।
ভারত বলেছে, বাংলাদেশ ভারতের সর্বোচ্চ উন্নয়ন সহযোগী এবং এই অঞ্চলে তার বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।
মন্ত্রণালয়ের মতে, ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে চলমান সহযোগিতার গতি বাড়াবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের আমন্ত্রণে আগামী ১৫-১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সরকারি সফরে আসবেন পররাষ্ট্র সচিব কোয়াত্রা।
সফরকালে উভয় পররাষ্ট্র সচিব রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা, পানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রতিরক্ষা, সংযোগ এবং উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সম্পূর্ণ পরিসর পর্যালোচনা করবেন।
নেপালে (১৩-১৪ ফেব্রুয়ারি) দুদিনের সরকারি সফর শেষ করে ঢাকায় আসবেন কোয়াত্রা।
আরও পড়ুন: বৃহত্তর বাণিজ্য, সংযোগ ব্যবস্থা ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে ধারণ করে: দোরাইস্বামী
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং তার ভারতীয় সমকক্ষ ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
কোয়াত্রা গত বছরের ১ মে পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং এরপর এটিই হবে তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।
সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৯ জানুয়ারি ভারতের নয়াদিল্লিতে এফওসি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ১৮তম গ্রুপ অব টুয়েন্টি (জি২০) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনাকে সম্মেলনে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আগামী ১-২ মার্চ নয়াদিল্লিতে জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেবেন।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন সফর সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
কাত্রার সফরে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারত ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জি২০ এর সভাপতির দায়িত্বে থাকবে। দেশটি তার সব বৈঠকে বাংলাদেশকে ‘অতিথি দেশ’ হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ এই বছর সভাপতিত্বে জি২০ বৈঠকে ভারতের আমন্ত্রণকে ‘বড় সম্মান’ হিসেবে মনে করছে।
মোমেন সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সেখানে আমাদের বিষয়গুলো তুলে ধরব। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সম্মানের। আমাদের বিচক্ষণ হওয়া উচিত, আয়োজক দেশের আমন্ত্রণ পাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ বাংলাদেশ।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারত বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (ইউএই) তার সভা এবং শীর্ষ সম্মেলনে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
জি২০ সদস্যরা বিশ্বব্যাপী জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ, বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশের বেশি এবং বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক ‘সবচেয়ে ভালো অবস্থানে’, টানাপোড়েনের জল্পনা নাকচ
বাড়ছে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক, ২০১৯ সালে রেকর্ড ১৫ লাখ ভিসা ইস্যু
পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময়
জাপান ও বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় ইস্যু ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে এক মতবিনিময় করেছে।
সোমবার বিকালে মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু এটি আমাদের প্রথম বৈঠক, তাই আমরা মতবিনিময় করেছি।’
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ডিক্যাব সদস্যদের সংবর্ধনা
২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বঙ্গভবনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তার প্রমাণপত্র পেশ করেন।
তিনি তার প্রমাণপত্র জমা দেয়ার পরে বলেছিলেন, ‘আমি ২০২২ সালে রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমার দায়িত্ব শুরু করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। কেননা এ বছর জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।’
বাংলাদেশে আসার আগে তিনি জেনেছেন যে, অনেক জাপানি বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে ৫০ বছর ধরে এদেশের উন্নয়নে জড়িত এবং কঠোর পরিশ্রম করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট উদ্যোগের (বিআইজি-বি) অধীনে অর্থনৈতিক অবকাঠামোর উন্নতিতে অবদান রাখার জন্য অনেক মেগা প্রকল্প চলছে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের একটি প্রধান ও বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে জাপানের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তাই বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দেশটি ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে উন্নীত হবে।
কিমিনোরি বলেন, ‘এই দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে আমি অনুভব করছি যে জাপানি ব্যবসায়িক মহলের পক্ষ থেকে এই দেশে ব্যবসা করতে আগ্রহীদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রত্যাশা রয়েছে। রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমি জাপানি কোম্পানিগুলোর কথা শুনে ও সমর্থন করার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আরও অবদান রাখতে চাই।’
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানালেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি
রাষ্ট্রদূতদের প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বুঝতে হবে: মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারিকে শাহরিয়ার আলম
সীমান্তে উত্তেজনা এড়াতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের মধ্যে দুই সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান ব্যবস্থা ব্যবহার করে ‘সংলাপ ও আলোচনার’ মাধ্যমে সীমান্তে উত্তেজনা এড়াতে চায় বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মিয়ানমারের সীমান্ত বাহিনী বিদ্যমান ব্যবস্থার মাধ্যমে আলোচনা করবেন যাতে কোনো উস্কানি হলে দ্রুত সমস্যা সমাধান করা যায়।
রবিবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘মূলত, এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে একটি পদক্ষেপ। হয়তো অনিচ্ছাকৃতভাবে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তারা বিষয়টি স্বীকার করেছে।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটলেও বিজিবি সতর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভেতরে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে । এ কারণে স্থানীয়রা আতঙ্কিত উঠতে পারে। আমাদের নজরদারি রয়েছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
তিনি বলেন, সীমান্তে যাতে কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি না হয় সেজন্য চেষ্টা চলছে। আমরা অত্যন্ত সতর্ক রয়েছি। বিজিবি বাংলাদেশের ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেবে না।’
এর আগে, বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে মর্টার শেল ছোড়া, সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমার থেকে নির্বিচারে বিমান গুলি চালানো এবং আকাশপথ লঙ্ঘনের বিষয়ে বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে।
পড়ুন: মিয়ানমার থেকে আর কোন শরণার্থী নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ সেপ্টেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ধুমধুম ইউনিয়নের রেজু আমতলি বিজিবি বিওপি ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের কাছে মিয়ানমারের দুটি হেলিকপ্টার ও দুটি বিমানকে দেখা যায়।
এ ঘটনায় বাংলাদেশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মোকে মিয়ানমার উইংয়ের মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শান্তিকামী জনগণের নিরাপত্তা জন্য মারাত্মক হুমকি, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন এবং প্রতিবেশী সুসম্পর্কের পরিপন্থী।
রাখাইন থেকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের বাসিন্দাদের কোনো অনুপ্রবেশ যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশ থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে তাদের উৎপত্তিস্থলে একটি নিরাপদ, নিরাপদ এবং অনুকূল পরিবেশ অপরিহার্য বলেও বৈঠকে জোর দেয়া হয়।
গেল আগস্ট মাসে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দুটি মর্টারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় মিয়ানমারকে দুইবার কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছিল।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে উত্থাপন করেছে।
পড়ুন: মিয়ানমার থেকে ২ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ
মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে সরকার: মর্টার শেল ছোড়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা-নয়াদিল্লির মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রক্রিয়া রাতেই চূড়ান্ত হবে: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, পরিকল্পিত সাতটি সমঝোতা স্মারকের প্রাক-স্বাক্ষর প্রক্রিয়া সোমবার রাতের মধ্যে শেষ হবে এবং মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সময় তা হস্তান্তর করা হবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এগুলো আজ রাতেই চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন:মিয়ানমারের মর্টার শেল ছোড়ার প্রতিবাদ জানাবে ঢাকা: পররাষ্ট্র সচিব
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কুশিয়ারা নদীর অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টন এর মধ্যে অন্যতম। এর আগেই বাংলাদেশ ও ভারত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চূড়ান্ত করেছে।’
এর আগে রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলওয়ে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি দ্বিপক্ষীয় নথিতে স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বাসভবনে (আইটিসি মৌর্য) সাক্ষাতের পর জয়শঙ্কর জানান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত হওয়াতে তিনি আনন্দিত।
আরও পড়ুন: ভারতের নতুন পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন
এক টুইটে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতৃত্ব স্তরের যোগাযোগের আন্তরিকতা ও ধারাবাহিকতা আমাদের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশি সম্পর্কের একটি অন্যতম নিদর্শন।’
এই সফর দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে পৌঁছানোর পরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ১০ মিনিট) দেশটির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান।
আরও পড়ুন: হাসিনা-মোদির রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন এখনো চূড়ান্ত নয়: পররাষ্ট্র সচিব
বিমানবন্দরে একটি সাংস্কৃতিক দল স্বাগত নাচ এবং বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে পরিবেশন করে।
বিমানবন্দর থেকে শেখ হাসিনা একটি আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রায় আইটিসি মৌর্যের উদ্দেশে যাত্রা করেন, যেখানে তিনি সফরকালে অবস্থান করবেন। রাস্তাগুলোর দুই পাশ বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হয়েছে। পথে বসানো হয়েছে শেখ হাসিনা ও মোদির প্রতিকৃতিও।
ইউক্রেন সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ দুই দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশি এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে চায়
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনার চুক্তি করছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব
মিয়ানমারের মর্টার শেল ছোড়ার প্রতিবাদ জানাবে ঢাকা: পররাষ্ট্র সচিব
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের মর্টার শেল ছোড়ার কঠোর প্রতিবাদ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
রবিবার বিকালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমার দুটি মর্টার ছুঁড়ে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক ‘এডজাস্ট’ করা কঠিন: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা এরকম ঘটনার স্বাভাবিক প্রতিবাদ করি। কিছুদিন আগে আমরা একই রকম ঘটনার খবর পেয়েছিলাম। আমরা আবারও মিয়ানমারের প্রতি কঠোর প্রতিবাদ জানাবো।’
তিনি বলেন, প্রথমত এটি তদন্ত করা হবে যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এটি নিক্ষেপ দুর্ঘটনাবশত ছিল, না ইচ্ছাকৃত ছিল।
রবিবার বিকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এলাকায় মিয়ানমারের দুটি মর্টার শেল পতিত হওয়ার পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)।
অবিস্ফোরিত মর্টার শেল দেখে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: হাসিনা-মোদির রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন এখনো চূড়ান্ত নয়: পররাষ্ট্র সচিব
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনার চুক্তি করছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব
হাসিনা-মোদির রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন এখনো চূড়ান্ত নয়: পররাষ্ট্র সচিব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নয়াদিল্লি সফরে যাবেন। এ জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। তবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন সেখানে ‘উইশ লিস্ট’ এ রয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভায় আমরা বোঝার চেষ্টা করব আমরা কী করতে পারি। তবে এটি (রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র) উইশ লিস্টে রয়েছে।’
রবিবার ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধন করতে পারেন। এই প্রতিবেদনের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রবিবার দ্য হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যৌথভাবে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এটি ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন (এনটিপিসি) ও বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের একটি যৌথ অংশীদারিত্ব। যৌথ উদ্যোগের কোম্পানিটি নাম হলো- বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (বিআইএফপিসি)।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মৈত্রী বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন হাসিনা-মোদি
খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বরের যে কোনো সময় ভারত সফর করবেন এবং দুই থেকে তিনদিন থাকবেন। মোদি সরকার এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে কেননা ঢাকা ভারতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্রদের একটি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তীর স্মরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০২২ সালে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান।
গত ১৯ জুন নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) সপ্তম রাউন্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে বাংলাদেশ ও ভারত অভিন্ন নদী ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়।
আইটি ও সাইবার নিরাপত্তা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতেও একমত হয় দুই দেশ।
গত বছর উচ্চ পর্যায়ের সফরসহ একাধিক সম্পৃক্তার মাধ্যমে সম্পর্কের গতি প্রত্যক্ষ করেছে দুই দেশ।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে ভারতের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দ গত বছরের ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে যোগদানের জন্য বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফর করেন।
গত বছরের ২৬ ও ২৭ মার্চ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীও বাংলাদেশ সফর করেন।
ভারতের নতুন পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন
প্রবীণ কূটনীতিক বিনয় মোহন কোয়াত্রা রবিবার ভারতের নতুন পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
কর্মজীবনের ৩২ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতার কূটনীতিক কোয়াত্রা বর্তমান পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার স্থলাভিষিক্ত হবেন, যিনি চলতি মাসের শেষে অবসরে যাচ্ছেন। এর আগে তিনি নেপালে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ছিলেন।
“শ্রী বিনয় কোয়াত্রা আজ সকালে পররাষ্ট্র সচিব হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। #টিমএমইএ পররাষ্ট্র সচিব কোয়াত্রার সামনে একটি ফলপ্রসূ এবং সফল মেয়াদ কামনা করে,” ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি টুইট করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে
কোয়াত্রা ১৯৮৮ সালে ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসের (আইএফসি) যোগদান করেন। তিনি ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফ্রান্সে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছিলেন৷
তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনে ভারতের কূটনীতিক মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের যুগ্মসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শ্রিংলা ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব নিযুক্ত হন। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনার চুক্তি করছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো অস্ত্র কিনতে যাচ্ছে না, বরং তার দেশ জনগণের কল্যাণে অর্থনৈতিক উন্নয়নে মনোযোগ দেবে।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কোনো সংগ্রহের (অস্ত্র) বিষয় নেই। আমাদের মূল লক্ষ্য হল অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রস্তাবিত জিসোমিয়া (জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষর করার আগে এখনও পাঁচ-পর্যায়ের প্রক্রিয়ার তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা: যুক্তরাষ্ট্রে আইনজীবী নিয়োগ দেবে সরকার
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ বড় ধরনের অস্ত্র ক্রয় করতে যাচ্ছে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যেকোন সম্ভাব্য উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র কেনার জন্য জিসোমিয়া একটি পূর্ব শর্ত। তবে বাংলাদেশ জাতীয় স্বার্থ বিশ্লেষণ করার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এটি এমন কিছু নয় যা আমাদের এই মুহূর্তে সরঞ্জাম (প্রতিরক্ষা) সংগ্রহ করতে হবে।
এই সপ্তাহে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের ঢাকা সফরের সময় জিসোমিয়া খসড়ার সর্বশেষ সংস্করণ বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক ‘এডজাস্ট’ করা কঠিন: পররাষ্ট্র সচিব