অভিযোগ
বরিশালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
বরিশালের হিজলা উপজেলায় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সুফিয়ান সরদার (৩২) নিহত হন বলে জানিয়েছেন হিজলা থানার ওসি জুবাইর আহম্মেদ। এ সংঘর্ষে আরও চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
নিহত সুফিয়ান সরদার উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের চর দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা জামাল সরদারের ছেলে। তিনি মেমানিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভাতিজার বিরুদ্ধে চাচাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
সুফিয়ানের মামা ও মেমানিয়া ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নোমান সরদার বলেন, বুধবার রাত ১০টার দিকে সুফিয়ান তার দুই বন্ধুকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। একই ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মাইনুলের বাড়ির সামনে পৌঁছালে প্রতিপক্ষ হামলা করে। ওই সময় দুই বন্ধু পালিয়ে গেলে সুফিয়ানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। খবর পেয়ে তারা গিয়ে সুফিয়ানকে উদ্ধার করে প্রথমে হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখান থেকে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে মাঝ পথে মারা যান সুফিয়ান।
নোমান বলেন, মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় মাছঘাট দেয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্থানীয় কিছু লোকজনের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছিল। তারই জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইর আহমেদ বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হযেছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন ৫ জন। আহতদের মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত চারজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
ওসি বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বাবা এ ঘটনায় মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে যুবকেকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
রাজশাহীতে যুবকেকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
রাজশাহীর পবা উপজেলায় নুরুল ইসলাম (৩২) নামে এক যুবকেকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ভোরে দামকুড়া থানার মুরারীপুর এলাকায় ফজরের নামাজ পড়ে হাটাহাটি করার সময় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
নুরুল ইসলাম ওই এলাকার পাতান আলীর ছেলে।
দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল বাশার স্থানীয়দের জানান, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নুরুল ইসলাম ফজরের নামাজ পড়ে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। এসময় দুর্বৃত্তরা এসে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে যখম করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।
তিনি আরও জানান, নুরুল ইসলামের লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবারকে মামলা দায়ের করতে বলা হয়েছে। মামলা করলে আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভাতিজার বিরুদ্ধে চাচাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
কোটা সংস্কার: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
দুর্নীতির অভিযোগে বদলি-বরখাস্ত ও অবসরে পাঠানোর পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়: টিআইবি
সরকারি চাকরিতে দুর্নীতি রোধে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, বদলি, বরখাস্ত ও বাধ্যতামূলক অবসরের মতো পদক্ষেপগুলো অপর্যাপ্ত প্রতিবন্ধক এবং অজান্তেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি লালন করতে পারে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশাসনিক পদক্ষেপের পরিবর্তে দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও পুলিশের মতো সংস্থায় দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বদলি বা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বদলি বা অবসরের মতো প্রশাসনিক পদক্ষেপ আশাব্যঞ্জক মনে হলেও তাতে দুর্নীতির মূল কারণগুলো যথাযথভাবে তুলে ধরা হয় না।’
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে, এই ধরনের পদক্ষেপ এমন একটি চক্রকে স্থায়ী করতে পারে, যেখানে কঠোর আইনি পরিণতির অভাবে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে থাকে না।’
তিনি সরকারি চাকরি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার সংশোধনী তুলে ধরে বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সরকারি কর্মচারীদের জবাবদিহিতা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে তুলেছে।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি বেনজীরের ব্যাপক দুর্নীতির জবাবদিহিতা দাবি করেছে টিআইবি
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এ ধরনের আইনি ফাঁকফোকরগুলো আইনের দৃষ্টিতে সমতার সাংবিধানিক নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগে ন্যূনতম শাস্তির ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা একটি ক্ষতিকর বার্তা দেয়।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এটি ইঙ্গিত দেয় যে কিছু ব্যক্তি আইনের ঊর্ধ্বে, যা জনগণের আস্থা কমায় এবং নৈতিক শাসনের ভিত্তিকে নষ্ট করে।’
দুর্নীতি দমনে রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে ড. ইফতেখারুজ্জামান ক্ষমতার ঊর্ধ্বে উঠে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের আহ্বান জানান।
রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রাতিষ্ঠানিক আঁতাতসহ দুর্নীতির বিকাশ ঘটায় এমন পদ্ধতিগত বিষয়গুলোর দায়িত্ব নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
টিআইব প্রধান বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতারা জবাবদিহিতা এড়িয়ে গেলে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি কার্যকরভাবে রোধ করা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নৈতিক মান বজায় রাখতে, আমাদের এমন দৃঢ় পদক্ষেপ দরকার যা স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার প্রতি সত্যিকারের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।’
দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সত্যিকারের প্রতিরোধের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন, যা অপরাধের তীব্রতাকে প্রতিফলিত করে। যাতে এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে অসদাচরণ রোধ করা যায়।
আরও পড়ুন: কালো টাকা সাদা করার বাজেট প্রণয়ন অসাংবিধানিক ও দুর্নীতিবান্ধব: টিআইবি
নাটোরে রিকশাচালককে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
নাটোরের সিংড়ায় রিকশাচালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সেলিম রেজা নামে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত ১০টা ৫৪ মিনিটে মারধরের ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: যুবলীগ নেতাকে মারধরের মামলায় কারাগারে চট্টগ্রামের ওয়ার্ড কাউন্সিলর
সেলিম রেজা সিংড়া থানার একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)। রিকশাচালক হারুন আলীর বাড়ি সিংড়া পৌর এলাকার বাইশা মহল্লায়।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নাটোরের সিংড়ায় দেশ ফার্নিচারের সামনে একটি অটোরিকশাকে দাঁড় করান পুলিশ সদস্যরা। পরে দুজন পুলিশ সদস্য রিকশায় চেপে বসেন। কিন্তু ত্রুটির কারণে রিকশাচালক যেতে রাজি না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ পুলিশ সদস্য রিকশাচালককে দফায় দফায় মারধর করতে থাকেন। প্রায় ২ মিনিট ৫০ সেকেন্ড পর চালক অস্থায়ীভাবে ত্রুটি মেরামত করে রিকশাটি চালিয়ে নিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানায়, সেলিম রেজা সহকর্মীকে নিয়ে রিকশা থামিয়ে সিংড়া বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিতে বলেন। হারুন আলী নামে ওই রিকশাচালক ত্রুটির কথা বললে এএসআই তাকে মারধর শুরু করেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, অপরাধ করে কারো ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই। বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে মামলা
সিরাজগঞ্জে স্বামী ও স্ত্রীকে ঘরে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ, আহত ৩
নাটোরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী আসমত আলীর বিরুদ্ধে স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে (৩৫) গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বাগাতিপাড়া উপজেলার হাঁপানিয়া গ্রামে শুক্রবার এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যা: দুই আসামি ৬ দিনের রিমান্ডে
নিহত সুফিয়া বেগম উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের আসমত আলীর স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে আসমত তার স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করে। পরে মেয়ে আসমানিকে নিয়ে পালিয়ে যায় সে। আসমত আলীর ভাতিজা আনোয়ার বাড়িতে মেঝেতে লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন।
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নান্নু খান বলেন, লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আ. লীগ নেতাসহ ২ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৭ আসামিই গ্রেপ্তার: ডিবিপ্রধান
আছাদুজ্জামান মিয়ার দুর্নীতির অভিযোগ অনুমাননির্ভর: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘আমি যতটুকু জানি, অনুমানভিত্তিক কথাবার্তা চলছে।’
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
সাবেক আইজিপি এবং সাবেক ডিএমপি কমিশনারের বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের দায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এড়াতে পারেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনি যেগুলো বলেছেন, এখন পর্যন্ত কোনো মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কোনো খবর আমাদের কাছে আসেনি। আমি যতটুকু জানি, অনুমানভিত্তিক কথাবার্তা চলছে। এখনো তার বিরুদ্ধে সঠিকভাবে কোনো অভিযোগ উত্থাপন হয়নি। যেগুলো শুনেছি, তার অবৈধ সম্পত্তির কথা, তাকে তো ডাকা হয়নি, তাকে ডাকা হলে বুঝতে পারব, নিশ্চয়ই তার কোনো ব্যাখ্যা আছে।’
আরও পড়ুন: আনোয়ারুলের লাশ শনাক্ত হলে অনেক কিছুই জানা যাবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিশ্চয়ই তার আয়ের উৎস আছে। সেটি দেখতে হবে।
অনেক আগে জমির দাম বেড়েছে। বেনজীর আহমেদ অনেকদিন মিশনে ছিলেন। তার ব্যাখ্যা থাকতে পারে। যদি ব্যাখ্যা দিতে না পারে তখন দুর্নীতির প্রশ্ন আসবে।’
এমপি আনার হত্যা বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, তদন্ত শেষ হলে সব বলতে পারব। ডিবি সুষ্ঠু ও স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: এমপি আনোয়ারুল চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা কখনোই বলিনি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ
ঈদের আগে দাবি করা টাকা না দেওয়ায় সুমনা হাসপাতালের পরিচালক ইমাদুল উদ্দিন আহমেদকে হত্যার হুমকিসহ চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৫ জুন) সুমনা মেডিকেলের পরিচালক ইমাদুল উদ্দিন আহমেদ মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আখতার হোসেন হাসপাতাল থেকে চাঁদার টাকা আদায়ের জন্য সহসভাপতি মেহেদী বাবুকে সুমনা হাসপাতালে পাঠান। এছাড়া রবিউল ইসলাম রবিকে পাঠান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম ফরাজী।
হাসপাতালের পরিচালক ইমাদুল উদ্দিন বলেন, 'তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করা চাঁদা পরিশোধ করেনি। ফলে সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন ফোনে তাদের হুমকি দেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে অবহিত করেছে।’
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় মামলা
সুমনা হাসপাতালের পরিচালক ইমাদুল উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'এটা (চাঁদাবাজি) আগে হয়নি। জবি ছাত্রলীগ নিয়ে কমিটিতে আসার পর থেকেই তারা বিরক্ত করছে। মেহেদী বাবু কালো চেহারার একটা ছেলেকে নিয়ে আসেন। ফোনে গালিগালাজও করেন আখতার। ঘটনাটি সম্পর্কে তাকে (আখতার) হয়তো ভিন্নভাবে (বাবু) বলা হয়েছে। উত্তেজনার মুহূর্তে এটি করা হয়ে থাকতে পারে। আমরা ইতোমধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবায় ছাড় দিয়েছি।’
কত টাকা দাবি করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'টাকার পরিমাণ তিনি বলেননি। শুধু টাকা চেয়েছিলেন। চাঁদা না দেওয়ার জন্য আক্তার আমাকে ফোন করে গালিগালাজ করে। পরে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী আমাকে ফোন করে আমার সঙ্গে কথা বলেন, তারা কিছুটা নরম হয়েছেন। সমঝোতার কথা বলেছেন। এটা প্রায় সবসময়ই হয়ে থাকে।’
এ ঘটনায় কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইমাদুল উদ্দিন আহমেদ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, 'এটা করলে কী হবে, আমার ব্যবসা এখানেই। পরে দেখা যাবে, অন্যরা ঝামেলা করবে।’
এ বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইন বলেন, 'মেহেদী বাবু ঢাকায় নেই। তিনি বাড়িতেই আছেন। আমার কাছে ইমাদ সাহেবের নম্বর নেই। আমি তাকে ফোন করিনি। প্রায় দেড় বছর থেকে সুমনা হাসপাতালে যাই না।’
জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে চাঁদাবাজের কোনো স্থান নেই। আমরা তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছি না। কেউ হয়তো আমাদের নামের অপব্যবহার করছে।’
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ নেতা জয় গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার
যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ স্থানীয় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে
ফরিদপুরে বিয়ে বহির্ভূত প্রেমে বাধা দেওয়ায় এক যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
পরে গুরুতর আহত ওই যুবককে পুলিশ উদ্ধার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ১২ জুন রাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বড় মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার খাঁনের ছেলে দেলোয়ার খাঁনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান আবেদ, শাহীনসহ তার সহযোগীরা।
দেলোয়ারকে নিয়ে যাওয়া হয় মাজেদ মল্লিকের বাড়িতে। সেখানে নিয়ে গাছের সঙ্গে দেলোয়ারকে বেঁধে নির্মমভাবে মারধর করা হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ৩ শিশুকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে মামলা
পরে দেলোয়ারের পরিবারের সদস্যরা ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করে।
দেলোয়ার খাঁন বলেন, সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে শাহিন নামের এক যুবকের পরোকীয়ার সম্পর্কের কথা জেনে প্রতিবাদ করি। এরই জের ধরে আমার বাড়িতে এসে হাজির হয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান আবেদ, শাহিনসহ তাদের সহযোগীরা।
তিনি আরও বলেন, বাইরে থেকে আমাকে ডাকতে থাকে ও দরজা খুলতে বলে। আমি বলি সকালে শুনব। একপর্যায়ে আমি দরজা খুললে মেম্বারসহ সবাই আমাকে জোর করে ধরে নিয়ে যায় মাজেদ মল্লিকের বাড়িতে।
তিনি বলেন, এরপর ওই বাড়ির একটি গাছের সঙ্গে আমাকে বেঁধে বেদম মারধর করে। আমার দুই পা ও বাম হাত ভেঙে ফেলা হয়, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানেও আঘাত করা হয়েছে।
পরে পরিবারের সদস্যরা ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে বলে জানান দেলোয়ার খাঁন।
দেলোয়ার খাঁন আরও বরেন, এ ঘটনায় শুক্রবার ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান আবেদকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১২ জনের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এখন পর্যন্ত জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
দেলোয়ার খাঁনের স্ত্রী মিরা আক্তার বলেন, মেম্বার আবেদ রাতে যখন আমার স্বামীকে ডাকতে আসে তখন আমরা বাধা দিলে আমার ও বাড়িতে থাকা নারদের উপর হামলা চালায়। এসময় আমাদের বসতবাড়িতেও হামলা চালায় তারা। পরে আমার স্বামীকে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, পরে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করে। আমরা হাসপাতালে থাকায় রাতে বাড়ির মোটর খুলে নিয়ে গেছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
আরও পড়ুন: বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নারীকে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৪
এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান আবেদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম বাশারুল আলম বাদশা বলেন, দেলোয়ারের চুরি করার অভ্যাস আছে। দীর্ঘদিন সে স্থানীয়দের মালামাল চুরি করে।
তিনি আরও বলেন, সে একজন চোর। ঘটনার রাতেও সে চুরি করতে গিয়ে ধরা পরে এলাকাবাসীর হাতে, এরপর তাকে মারধর করে স্থানীয়রা।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. হুমায়ূন কবীরের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ছুটিতে আছেন জানিয়ে উপপরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
উপপরিচালক ডা. দীপক কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শৈলেন চাকমা বলেন, এঘটনায় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান আবেদকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১২ জনের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন দেলোয়ার খাঁন।
তিনি আরও বলেন, মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: প্রেমিক যুগলকে নির্যাতন: ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত
পাবনায় কবরস্থান থেকে আরও ৫ কঙ্কাল চুরির অভিযোগ
পাবনায় আবারও কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি হয়েছে।
এবার জেলার সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের চিনাখড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে একরাতে পাঁচটি কঙ্কাল চুরি হয়।
শুক্রবার (৭ জুন) দিবাগত রাতে সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের চিনাখড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে পাঁচটি কঙ্কাল চুরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: চার মাস আগে চুরি হওয়া ২ লাশের কঙ্কাল উদ্ধার
এদিকে শনিবার সকালে কবরস্থান খোঁড়া দেখে এলাকার মানুষ সেখানে ভিড় জমায়। তারা জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা ও চিনাখড়া উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম জানান, শনিবার সকালে কয়েকজন শ্রমিক ওই কবরস্থানে লতাপাতা পরিষ্কার করতে গেলে কয়েকটি কবর খোঁড়া দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনদের খবর দেন।
লোকজন এসে পাঁচটি কবর খুঁড়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পান। যেখানে কোনো লাশ ও কঙ্কালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
দুলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চিনাখড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থান কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার সকালে তিনি কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির খবর পান। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচটি কবর খুঁড়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পান তিনি। পরে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। যেসব কবর থেকে কঙ্কাল উধাও হয়েছে, সেগুলোর সবগুলোই কয়েক বছরের পুরোনো।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পাবনায় কবরস্থান থেকে ১৫টি কঙ্কাল উধাও
শিবালয়ে কবর থেকে কঙ্কাল চুরি, স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ
শ্রীপুর ইউনিয়নের ৩ ইউপি সদস্যকে পেটানোর অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
শ্রীপুর ইউনিয়নের তিনজন নির্বাচিত ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মাগুরার শ্রীপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৫ জুন) দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: নলছিটিতে চাঁদার দাবিতে শিক্ষক পেটানো ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
শ্রীপুর খানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাসমিস আলম বলেন, আহত ইউপি সদস্যরা হলেন- মদনপুর ওয়ার্ডের আব্দুল আলিম, খড়িবাড়িয়া ওয়ার্ডের আব্দুল মজিদ ও তখলপুর ওয়ার্ডের মকবুল হোসেন।
ওসি আরও বলেন, এদের মধ্যে আব্দুল আলিম ও আব্দুল মজিদ গুরুতর আহত অবস্থায় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন।
আহত ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম বলেন, নির্বাচনের পর থেকে গত আড়াই বছর তাদের ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকতে দেওয়া হয় না। সরকারের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম তাদের বাদ দিয়ে চেয়ারম্যানের পছন্দের লোক দিয়ে করান। কিছু দিন ধরে তারা ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়া আসা করলেও তাদের দিয়ে কোনো কাজ করানো হয় না। তাই বুধবার দুপুরে তারা তিনজন ইউনিয়ন পরিষদে যান। গিয়ে তারা মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার বিষয়ে তাদের বাদ দিয়ে তাদের প্রতিপক্ষদের দিয়ে তালিকা করা ও ভাতা প্রদান করার বিষয়টি বাদ দিতে বলেন। তারা মদনপুর ওয়ার্ডে ছাত্রদলের সাবেক উপজেলা সভাপতি বাবলু মিয়া, খড়িবাড়িয়া ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী আব্দুল মতিন ও তখলপুর ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী কাজী আব্দুর রউফকে দিয়ে কাজ করাতে নিষেধ করেন।
তিনি আরও বলেন, এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে আব্দুল আলীমকে কিলঘুষি মারতে শুরু করেন। এ সময় চেয়ারম্যানের কক্ষে থাকা তার অনুসারী বুলেট ও আশরাফুল তাদের কিলঘুষি মারতে শুরু করেন। পরে চেয়ারম্যানের কক্ষে থাকা হকিস্টিক ও লোহার রড দিয়ে তাদের তিনজনকে মারতে শুরু করেন।
তিনি বলেন, এ সময় ইউপি সদস্য মকবুল হোসেন ও আব্দুল মজিদ প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দিলে তাকে গেট থেকে চেয়ারম্যানের লোকজন তাদের আটকে রেখে মারধর করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এদিকে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে মদনপুর ও শ্রীপুর গ্রামের চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষের লোকজন চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের বাড়িঘরে ইট-পাটকেল ছোড়ে। এ সময় চেয়ারম্যান সমর্থিতরাও পালটা হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে পড়ে তৈয়ব খান ও আব্দুল হান্নান নামে দুই যুবলীগ নেতা আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, আমি একটি মার্ডার কেসের আসামি। ওই তিন মেম্বার সেই মামলায় আমার বিরোধিতা করেছিল। যে কারণে তাদের সঙ্গে আমার একটু দূরত্ব আছে। এ ছাড়া তারা গত আড়াই বছরে পরিষদে আসে না। কোনো খোঁজখবরও নেয় না। উল্টো বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ার জন্যে তারা আমাকে চার্জ করেছিল। যা নিয়ে তাদের সঙ্গে ঝামেলা তৈরি হয়েছে। কিন্তু মারধর করা হয়নি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা হয়েছে। তবে ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শিক্ষককে পেটানো আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
রাজশাহীতে কলেজ অধ্যক্ষকে পেটানোর ঘটনা সত্য নয়: এমপি ওমর ফারুক