অভিযোগ
চলচ্চিত্র প্রযোজকের বিরুদ্ধে 'হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির' অভিযোগ এনে শাকিব খানের মামলা
চলচ্চিত্র প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলা করেছেন ঢালিউড তারকা শাকিব খান।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আরাফাতুল রাকিবের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
তানভীর বলেন, বাদীর জবানবন্দি রেকর্ডের পর আদালত রহমত উল্লাহকে আগামী ২৬ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তলব করেছেন।
এর আগে রবিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কার্যালয়ে গিয়ে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন শাকিব।
গত ১৫ মার্চ রহমত উল্লাহ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে 'অপারেশন অগ্নিপথ' ছবির সহ-প্রযোজক অস্ট্রেলিয়ার এক নারীকে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: শাকিব খান ডিবিতে, ধর্ষণের অভিযোগের বিরুদ্ধে দিলেন লিখিত অভিযোগ
শাকিব খানের ‘জান্নাত’-এ দুর্বৃত্তদের হানা
চট্টগ্রামে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীকে বৈদ্যুতিক শকে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে স্বামীকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াহেদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মো. এমদাদুল হক (৪৮) উপজেলার দক্ষিণ ওয়াহেদপুর গ্রামের ফরাজি বাড়ির মৃত মনছুর আহম্মদের পুত্র এবং তার স্ত্রী হচ্ছেন নারগিস মোস্তারি।
বুধবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারগিসকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এমদাদের ছোট ভাই কামাল হোসেন জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আমার ভাবি ফোন করে জানায় আমার ভাই বিদ্যুৎস্পর্শে মারা গেছেন। তিনি পুরাতন বাড়ির অদূরে নতুন বাড়ি করে সেখানে বসবাস করেন। আমি ও আমার অন্য দুই ভাই মিলে ঘরে গিয়ে দেখি ফ্লোরে আমার ভাইয়ের নিথর দেহ পড়ে আছে। হাতে ও বুকে দাগ রয়েছে। নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, আমার ভাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ভাবির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। এর আগেও আমার ভাইকে খুন করতে লোক পাঠিয়েছিল। আমার ভাইকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
এমদাদের আরেক ভাই হুমায়ুন কবির বলেন, ভাইয়া এক বছর আগে প্রবাস থেকে বাড়িতে চলে আসেন। ভাবি সবসময় বাবার বাড়িতে থাকতে চাইতো এবং ওনার বাবার এলাকায় বাড়ি করার জন্য ভাইয়াকে বলতো। ভাইয়া রাজি না থাকায় প্রায় সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। কিন্তু এভাবে মেরে ফেলবে কখনও চিন্তাও করতে পারিনি।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, বুধবার সকালে খবর পেয়ে ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াহেদপুর এলাকার থেকে এমদাদুল হক নামে একজনের লাশ উদ্ধার করেছি।
তিনি আরও বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্টে দেখা যায়, হাতের মধ্যে আঘাতের চিহ্ন, বুকেও আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী নারগিসকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এটি হত্যা কি না এ বিষয়ে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
ভোলায় হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির চেষ্টার অভিযোগে নারী গ্রেপ্তার
ভোলায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক বছর বয়সী এক শিশুকে চুরির চেষ্টার অভিযোগে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২০ মার্চ) বিকালে শিশুটির বাবার করা মামলায় তাকে আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মোসা. হালিমার (৩৫) বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের চাচড়া গ্রামে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হাসপাতাল থেকে শিশু চুরিকালে নারী আটক
এর আগে রবিবার মধ্যরাতে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর উদ্ধার হওয়া শিশু রিহানকে তার বাবা- মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভোলা শহরের কালিনাথ রায়ের বাজারের বাসিন্দা মো. হাছনাইন ও তামান্না দম্পতির এক বছর বয়সী শিশু রিহান ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে রবিবার বিকালে তাকে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভর্তির পর থেকে গ্রেপ্তার হালিমা শিশু রিহানের রুমের পাশে ঘোরাঘুরি করে এবং তার মায়ের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করে। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে শিশুর মাকে মৃত রোগীর লাশ দেখার কথা বলে কেবিনের বাইরে পাঠিয়ে রিহানকে নিয়ে পালিয়ে যায় সে। রিহানের মা ফিরে এসে ছেলেকে না পেয়ে চিৎকার করলে হাসপাতালকর্মীদের সহায়তায় পুরাতন ভবনের নিচতলা থেকে শিশু রিহানসহ হালিমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে দেয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকালেই তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চুরি হওয়া শিশুর বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হালিমাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এবং আদালতে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতাল থেকে ৩ দিন বয়সী শিশু চুরি, নারী আটক
ঘুমন্ত বাবা-মায়ের পাশ থেকে ১৭ দিনের শিশু চুরি
কক্সবাজারে পর্যটককে ছুরিকাঘাত, আটক ৫
কক্সবাজার শহরে দুই পর্যটককে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত টিপ ছুরি, মোটরসাইকেল এবং লুট করা মোবাইল সেট জব্দ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা হলেন- চাঁদপুরের মনোহরকান্দি বিষ্ণুপুর এলাকার স্বাগতম চন্দ্র দের ছেলে শুভ দে এবং তার বন্ধু আতিক হাসান।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ১৪৮ মণ সরকারি চাল জব্দ, আটক ১
আতিক হাসান এখনও কক্সবাজার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আটকরা হলেন-কক্সবাজার শহরের ১০নং ওয়ার্ড উত্তর বাহারছড়া এলাকার বেলাল উদ্দিনের ছেলে আশরাফ উদ্দিন আরিফ (১৯), টেকপাড়া সিকদার মহল এলাকার মো. ফরিদের ছেলে ইরফান ফারদিন (২০), মধ্যম বাহারছড়া এলাকার এম.এ বাদশার ছেলে তাসনিমুল হাসান নাবিল (২১), একই এলাকার মো. গিয়াসের ছেলে মো. সাঈদ (২০) এবং মো. নাছির উদ্দিনের ছেলে আবরার উদ্দিন (১৯)।
রবিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ নাছির উদ্দিন।
তিনি জানান, এই ঘটনায় রবিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে এজাহার দায়ের করেন শুভ দের বাবা স্বাগতম চন্দ্র দে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়-ঢাকা ধামরাই উপজেলার সূয়াপুর ইউনিয়ন ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ফোরামের পক্ষ থেকে গত ১৬ মার্চ প্রায় ৯০ জনের একটি দল কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। এরমধ্যে শুভ দে ও মো. আতিক হাসান গত ১৮ মার্চ রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের রাস্তা দিয়ে ঘুরতে যান। ওই সময় দুটি মোটরসাইকেলে করে পাঁচ জন ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা তাদের মারধর ও ছুরিকাঘাত করে দুটি মোবাইল সেট ও কিছু নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে অবগত করলে শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে ডিবি পুলিশ।
কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ নাছির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত পাঁচ ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি ছুরি, দুটি মোটর সাইকেল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় 'ভুল চিকিৎসায়' কলেজছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগে আটক ৩
রামগতিতে ৪ হাজার কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, আটক ৯
মাগুরায় কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
মাগুরার মহম্মদপুরে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের চর কালিশংকরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরিফুল ইসলাম মোল্যা (৩০) একই গ্রামের হাসান মোল্যার ছেলে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিত কুমার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
নিহতের স্ত্রী রাশেদা বেগম জানান, জমিজমা নিয়ে ওসমান মাতুব্বরের সঙ্গে তার স্বামীর বিরোধ চলছিল। এর মধ্যে তিনদিন আগে প্রতিবেশি ওসমান মাতুব্বরের গোয়াল থেকে একটি গরু চুরি হয়। এই ঘটনায় আরিফুলের বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ আনা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় সালিশ হয়। তখন দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আরিফুল মাছ ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ওসমান মাতুব্বরসহ চার থেকে পাঁচজন ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে আরিফের তিন ভাইসহ কয়েকজন এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়।
নিহত আরিফুলের স্ত্রীর দাবি করেন, তিনি গরু চুরির সঙ্গে জড়িত নন, জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
ওসি জানান, হত্যার কারণ অনুসন্ধান ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে। এখনও কেউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা: যুবক গ্রেপ্তার
প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বুধবার ঘটে যাওয়া সব ঘটনা প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর কাছে তুলে ধরেছেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবী নেতারা।
এ সময় আপিল বিভাগের অপর সাত বিচারপতিও উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধান বিচারপতি সমিতির বিএনপি সমর্থক সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে বেলা ১১টায় তার খাসকামরায় যাওয়ার জন্য বলেন।
প্রয়োজনে এ সময় রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকেও ডেকে নেয়া যেতে পারে বলে মতামত ব্যক্ত করেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি: সুপ্রিমকোর্টের এফিডেভিড শাখার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একযোগে বদলি
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এখন আদালতের কাজ করতে দেন। আপনারা দু’জন বেলা ১১টায় খাসকামরায় এসে সব বলেন। আমরা শুনবো। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও ডেকে নেব।’
এর আগে সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে প্রথমেই সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল বিএনপি ফোরামের নেতা এ জে মোহাম্মদ আলী আদালতে বক্তব্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে বুধবার নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এটা এখনও চলামান রয়েছে। আজও রুমের তালা লাগানো আছে, অনেকের রুমের চারপাশে পুলিশ দেয়া হয়েছে। আজও কেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘বাইরে থেকে এ ঘটনার পেছনে কেউ আছে কি না দেখতে হবে। এই অঙ্গনে এটা কি অনুমোদিত? এ ছাড়া তারা সমিতির জ্যেষ্ঠ সদস্যদেরও নির্যাতন করেছে। আমরা সুরক্ষা চাই।’
এরপর সমিতির সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, সমিতির একজন সদস্য হিসেবে আমি মনে করি আমাদের যে কোনো দু:খ, কষ্ট, ব্যাথা অভিভাবক হিসেবে আপনাদেরকে জানানো উচিত। সমিতির নির্বাচন হয় সব সময় উৎসবমুখর পরিবেশে। কিন্তু এবার কি হলো! আজও আমি রুমে ঢুকতে পারিনি।
তিনি বলেন, রুমের বাইরে থেকে তালা লাগানো। বুধবার আমার ওপর আক্রমন করে গাউন ছিড়ে ফেলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার একটা পুরাতন গাউন ধার করে গায়ে দিয়ে এসেছি। হাজার হাজার পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। আমার আইনজীবীরা আহত হয়েছে। পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া আমি প্রার্থী, আমি কেন ভোট কেন্দ্রে থাকতে পারবো না?
ব্যারিস্টার কাজল আদালতে বলেন, বিচারপতি মনসুরুল হক চৌধুরীকে প্রধান করে সর্বসম্মতিক্রমে একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করা হয়। ১৩ মার্চ বিকালেও সে দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেছে। হঠাৎ তার কি হলো?
আরও পড়ুন: পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ও গ্যাস লাইন পর্যবেক্ষণে প্রতি ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
পরে তিনি আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন, বর্তমান সভাপতি ও সম্পাদক তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে। তারা আলাদা ব্যালট পেপার তৈরি করে এনে বলেছে যেভাবে বলবে, সেভাবে কাজ করতে হবে। সেজন্য সে পদত্যাগ করেছে।
তিনি আরও বলেন, এখন সে পদত্যাগ করলেও সর্বসম্মতিক্রমে নতুন পরিচালনা কমিটি গঠন করতে হবে। কিন্তু না করেই তারা ভোটগ্রহণ শুরু করেছে। এরপর রাতে মনিরুজ্জামান সাহেব বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আমাকে ও সভাপতি প্রার্থীসহ অনেককে আসামি করা হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় একটি মামলা করা হয়েছে সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে দিয়ে। সেখানে সমিতির বর্তমান ছয়জন নেতাকেও আসামি করা হয়েছে।
এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, মি. রুহুল কুদ্দুস কাজল আমি আপনাদের সবাইকে সম্মান করি। আপনারা দুইজন ১১টার সময় আসেন। কোনো করণীয় থাকলে করবো। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও ডেকে নেব বলে জানান প্রধান বিচারপতি।
এরপর সমিতির সভাপতি পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন তার বক্তব্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, নজিরবিহীন ঘটনা। ভোটকেন্দ্রে ৩০০-৪০০ পুলিশ ঢুকে ধাক্কা দিতে থাকে। সবাই পড়ে যাচ্ছিল আর পুলিশ বুট দিয়ে পাড়িয়েছে। আমার পায়ে ব্যাথা আমি ঠিকমতো দাড়াতে পারছি না। অনেক আইনজীবী আহত। সাংবাদিকদেরকেও আহত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসময় ব্যারিস্টার রুমের তালা খুলে দেয়ার ও পুলিশ সরানোর আবেদন জানান।
তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা এখন বললে আদেশ হয়ে যাবে। আপনারা আসেন, তখন দেখবো।
আরও পড়ুন: এত টাকা লাগলে সাধারণ মানুষ কীভাবে হজে যাবে: প্রশ্ন হাইকোর্টের
ববির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দোকানদারকে মারধরের অভিযোগ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ না দেয়ায় এক দোকান মালিককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১১ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে জিনিয়াস বিজনেস সেন্টারের এক দোকানে এই ঘটনা ঘটে।
দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মঞ্জু ও শিহাব৷
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ২ ওসিকে মারধরের ঘটনায় ৩ আনসার ও এক ওসি প্রত্যাহার
হামলার শিকার দোকানদার শাহ আলম জানান, ‘সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ দুইজন ছেলে আমার কাছে এসে তাদের মালামাল হারিয়ে গিয়েছে বলে দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চায়। এ সময় আইনের লোক ছাড়া সিসি টিভি ফুটেজ দেখানো যাবে না জানালে তারা দুইজন আমার ওপরে হামলা করে। এদের আমি চিনিও না। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন হামলা বুঝতে পারছি না।’
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মঞ্জু বলেন, ‘আমার একটা সাউন্ড বক্স হারিয়ে গিয়েছে। সেই জিনিসটা এই দোকানের আশেপাশে রেখেছি মনে পড়ায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চাই। তখন আমাদের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। কিন্তু মারামারির তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরে আমি দোকানদারের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম জানান, ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না৷ ক্যাম্পাসের বাইরের ঘটনা, সব থেকে ভালো হয় ভুক্তভোগী আইনি ব্যবস্থা নিলে৷ তারপরও আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি৷ অভিযোগ পেলে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো৷
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ‘মারধরে’ মায়ের মৃত্যু, ছেলে গ্রেপ্তার
শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ জাবি ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে
নাটোরে বাবার কাছে পাওনা টাকা আদায়ে কিশোর ছেলেকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন!
নাটোরের গুরুদাসপুরে বাবার কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করতে কিশোর ছেলেকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক জমির মালিকের বিরুদ্ধে।
নির্যাতিত শাওন (১৩) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সে গঙ্গারামপুর গ্রামের কাবিল হোসেনের ছেলে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতির জানান, উপজেলার চলনালি গ্রামের মুন্নাফ হোসেনের জমি লিজ নিয়ে পেয়ারা বাগান গড়ে তোলেন পার্শবর্তী গঙ্গারামপুর গ্রামের কাবিল হোসেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের ১ নেতা ও ৪ কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করল ইবি
তিনি আরও বলেন, ফলন বিপর্যয়ের কারণে ঠিকমতো টাকা পরিশোধ করতে পারেননি কাবিল। এ অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে শাওনকে বাগান থেকে পেয়ারা সংগ্রহ করতে গেলে মুন্নাফ তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে শিকলে বেঁধে দফায় দফায় নির্যাতন চালায়।
খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন পুলিশের সহায়তায় দুপুর ২টায় শাওনকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের ১ নেত্রী ও ৪ কর্মী বহিষ্কার
পুলিশকে পিটুনির অভিযোগে যুব গেমসের কোচসহ ১১ খেলোয়াড় গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসের এবারের আসরে অংশ নিয়ে ফেরার সময় এক কোচসহ ১১ জন খেলোয়াড়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ কনস্টেবল ও তার স্ত্রীকে মারধরের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে রাজশাহীর আদালতে পাঠানো হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- রাজশাহী মহানগরীর পাচানি মাঠ এলাকার আলী আজম (১৯), হাজরাপুকুর ডাবতলা এলাকার আকাশ আলী মোহন (২০), একই এলাকার আব্দুল আল জাহিদ (১৬), জিন্নানগর এলাকায় আহসান কবীর (৪৫), নিউ কলোনি এলাকার ফারহানা খন্দকার (১৭), কয়েরদাড়া এলাকার রিমি খানম (১৭), জেলার মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট এলাকার খাদিজা খাতুন (১৮), রাজশাহী মহানগরীর বখতিয়ারবাদ মালদা কলোনি এলাকার পাপিয়া সারোয়ার পূর্ণিমা (১৯), ছোচবনগ্রাম উত্তরপাড়ার দিপালী (১৯), বড় বনগ্রাম রায়পাড়া এলাকার সাবরিনা আক্তার (১৯), একই এলাকার জেমি আক্তার (১৪), মহানগরীর শাহ মখদুম থানার মোড় এলাকার বৃষ্টি মণি (১৬) এবং হাজরাপুকুর ডাবতলা এলাকার রমজান (১৯)। এদের মধ্যে রমজান ছাড়া বাকি সকলেই আটক হয়েছেন।
এই খেলোয়াড়েরা জুডো, কুস্তি, কারাতেসহ বিভিন্ন খেলা খেলেন। তাদের বিরুদ্ধে একজন পুলিশ সদস্যকে পেটানো এবং তার স্ত্রীর স্বর্ণের চেইন চুরির মামলা দেয়া হয়েছে।
মামলার বাদির নাম গোলাম কিবরিয়া (৩০) রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী খেতুর গ্রামের বাসিন্দা। এবং তিনি পুলিশের কনস্টেবল ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কর্মরত আছেন।
রবিবার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা জয়াকে নিয়ে তিনি ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন কিবরিয়া। দুপুরে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে গোলাম কিবরিয়াকে মারধর করা হয়। এরপর রাজশাহী রেলওয়ে থানা পুলিশ সবাইকেই থানায় নিয়ে যায়। বিকালে গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১২ জনকে আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ১৭ বছর বয়সী এক মেয়ে খোলোয়াড়ের চাচা বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমার ভাতিজিসহ এইসব খেলোয়াড়রা ঢাকায় যুব গেমস খেলতে গিয়েছিল। খেলে পুরস্কারও পেয়েছে। খেলা শেষে তারা রবিবার ধুমকেতু ট্রেনে আসছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘খেলোয়ারদের সবার ২৬ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ছিল একটি লাগেজে। ট্রেনে সেটি খুঁজে পাচ্ছিল না। তখন তারা ট্রেনে লাগেজটি খুঁজছিল। ওই সময় সিভিলে থাকা পুলিশ সদস্য গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে এক মেয়ে খেলোয়াড়ের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওই পুলিশ সদস্য মেয়েটিকে থাপ্পড় মেরে দেয়। এছাড়া আরেক ছেলে খেলোয়াড়কেও মারে। দুপুরে স্টেশনে নামার পর তাদের আবারও হাতাহাতি হয়। এরপরই পুলিশ দুইপক্ষকে মীমাংসার নামে থানায় নিয়ে যায়। পরে মামলা করা হয়।’
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা: যুবক গ্রেপ্তার
রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোপাল কুমার বলেন, মারামারিতে পুলিশ সদস্য গোলাম কিবরিয়ার নাক ফেটে গেছে। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মামলায় তার স্ত্রী দাবি করেছেন, স্বামীকে মারধরের সময় তার গলার চেইন চুরি করে নেয়া হয়েছে। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে কিবরিয়ার ভাই গোলাম সারওয়ার এবং সারওয়ারের বন্ধু সাব্বির ইসলামকে। গোলাম সারওয়ার দাবি করেন, ট্রেনের ভেতরে কোনো ঘটনা ঘটেনি। ট্রেন থেকে আগে নামাকে কেন্দ্র করে স্টেশনে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মেরে তার ভাইয়ের নাক ফাটানো হয়েছে।
ওসি গোপাল কুমার আরও বলেন, ‘এতগুলো খেলোয়াড়কে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানোর সাহস আমার নেই। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলা নিয়েছি। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোচ এবং খেলোয়াড়দের আদালতে পাঠিয়েছি।’
এদিকে, রাত ৮টার দিকে সাতজনকে রাজশাহীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। আদালতের তাদের কারাগারে পাঠান। আর অপ্রাপ্তবয়স্ক পাঁচজন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এ তোলা হয়। আদালত তাদের সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত জামিন দেয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মাইনুল ইসলাম জানান, এই শিশুদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এ তোলা হয়েছিল। শিশুদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। এজাহারে যা আছে তা-ও জামিনযোগ্য। রাত হয়ে যাওয়াই পূর্ণাঙ্গ শুনানি হয়নি। তাই আদালতের বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান তাদের সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত অন্তর্বতীকালীন জামিন দিয়েছেন। সোমবার আদালতে জামিন আবেদনের পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে। তারপর আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন।
অন্যদিকে জেলা জজ আদালতের পরিদর্শক পরিমল চক্রবর্তী জানান, প্রাপ্তবয়স্ক ছয়জন খেলোয়াড় ও কোচকে রাতে রাজশাহীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়েছিল। ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. লিটন হোসেন আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পরে রাতেই তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ৩ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪
সৌদি আরবে অবৈধ ভিসা ব্যবসার অভিযোগে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আটক
অবৈধ ভিসা বাণিজ্য এবং কিংডমের বাইরে অর্থ পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা দূতাবাসের দুই প্রাক্তন কর্মকর্তা এবং বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি আরবের তদারকি ও দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ।
শনিবার কর্তৃপক্ষ এটির বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়েরের ঘোষণা দিয়েছে।
আরব নিউজ খবর অনুযায়ী দেশটির নাজাহা নামে পরিচিত কর্তৃপক্ষ বলেছে যে একজন বাসিন্দাকে বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে ৬০ হাজার সৌদি রিয়াল প্রাপ্তির বিনিময়ে ২৩ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল(ছয় দশমিক এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার) আর্থিক প্রতিশ্রুতিতে সই করতে বাধ্য করার অভিযোগে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
নাজাহা এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের নাম হলো কোর্ট সিকিউরিটির সার্জেন্ট (রিয়াদ অঞ্চলের পুলিশ) মেতাব সাদ আল-ঘনউম, রিয়াদে স্পেশাল মিশন ফোর্সের কর্পোরাল হাতেম মাস্তুর সাদ বিন তাইয়েব এবং ফিলিস্তিনি বিনিয়োগকারী সালেহ মোহাম্মদ সালেহ আল-শালাউত।
আরও পড়ুন: ‘আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার’: যুবদল নেতাসহ ১৯জন আটক
এতে আরও বলা হয়, ‘আরও তদন্তের পরে বাংলাদেশি বাসিন্দা আশরাফ উদ্দিন আকন্দ, আলমগীর হোসেন খান, শফিক আল ইসলাম শাহ জাহানসহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।’
‘সৌদির বাইরে ব্যবসা, অর্থ পাচার এবং অবৈধ ভিসায় জড়িত থাকার জন্য’ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশি মোহাম্মদ নাসের উদ্দিন নূরের বাংলাদেশে একটি রিক্রুটিং অফিসের মালিক। এছাড়া জায়েদ উওসিদ মাফি, আবুলকলাম মোহাম্মদ রফিক আলিসলাম, আজিজ আলহাক মুসলিম উদ্দিন এবং পর্যটক আলামিন খান শহীদ আল্লাহ খান রয়েছে।
নাজাহা জানায় যে তারা বাংলাদেশে সৌদি দূতাবাসের কর্মচারীদের সঙ্গে অবৈধ ভিসা বাণিজ্যে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং ‘তাদের বাড়িতে তল্লাশি করার পর নগদ দুই কোটি এক লাখ ৮০ হাজার রিয়াল পাওয়া গেছে। সেইসঙ্গে সোনার বার এবং বিলাসবহুল যানবাহন পাওয়া গেছে যা কিংডমে বেআইনিভাবে ভিসা বিক্রি কাজের অর্থ হতে পারে।’
দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা বলেছে যে তদন্ত শুরু হওয়ায় আরও দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশে সৌদি দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগের প্রধান এবং সাবেক উপ-রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ ফালাহ মুদি আল-শামারি এবং দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগের উপ-প্রধান খালেদ নাসের আয়েদ আল-কাহতানি।
তাদের বাংলাদেশি নাগরিকদের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য এবং কাজের ভিসা ইস্যু চূড়ান্ত করার বিনিময়ে দূতাবাসে কাজ করার সময় কিস্তিতে পাঁচ কোটি ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল প্রাপ্তির জন্য গ্রেপ্তার করা হয়।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘তারা সৌদি আরবের অভ্যন্তরে গ্রেপ্তারকৃত বাসিন্দাদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের কথা স্বীকার করেছে এবং বাকিটা কিংডমের বাইরে বিনিয়োগ করেছে।’
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১২ কেজি গাঁজা জব্দ, আটক ২: র্যাব