অভিযোগ
অনিয়মের অভিযোগে এক প্রতিষ্ঠানের সদস্য পদ স্থগিত করলো বাজুস
সোনা বেচাকেনায় অনিয়মের অভিযোগে গোল্ড কিনেন টেকনোলজিসের সদস্য পদ স্থগিত করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, সদস্যপদ গ্রহণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সকল শর্ত পূরণ করায় ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটিকে বাজুসের প্রাথমিক সদস্যপদ প্রদান করা হয়। কিন্তু স্বর্ণ বেচাকেনায় অনিয়ম করার বাজুস এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অনিয়ম প্রসঙ্গে বাজুস জানায়, প্রতিষ্ঠানটি নিয়ম বহির্ভূতভাবে সোনার অলঙ্কারের পরিবর্তে সোনার বার ও কয়েন বিক্রি করায় সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির এ ধরনের কার্যক্রম বাজুসের গঠনতন্ত্রের ৪(ক) ধারা যথাযথভাবে অনুসরণ না করে না সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
৩ দিন আগে
সুনামগঞ্জে এইচএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ
আগামী এপ্রিলে সারাদেশে শুরু হবে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা। এজন্য ছাতকের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ফরম পূরণ শুরু হয়েছে।
তবে ছাতক চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ফরম পূরণের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার ৮০০ টাকা করে আদায় করা হলেও তা দেখার কেউ নেই।
এছাড়া গেল ২৯ ডিসেম্বর ছাতক চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম-নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু সফটওয়্যারজনিত ত্রুটি দেখিয়ে তিন দিনের ব্যবধানে গত ১ জানুযারি দ্বিতীয় বার নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ রবিউল ইসলাম।
বার্ষিক পরীক্ষার নবম শ্রেণির দুটি ফল প্রকাশের ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
অভিযোগ আছে, জাতীয় শিক্ষা বোর্ডের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ফরম পূরণের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছে ছাতকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বহু শিক্ষার্থীর।
অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অভিভাবকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি ফিস ১৬৫০ টাকা, সেন্টার ফিস ৪৮০ টাকাসহ দুই হাজার ১৩৯ টাকা নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে পণ্য রপ্তানিতে ১১ শর্ত
এছাড়া বিজ্ঞান বিভাগের জন্য পাঁচ হাজার ৮০০ টাকা এবং বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের জন্য পাঁচ হাজার ৬০০ টাকা ধরা হয়েছে। তবে সুবিধাভোগীরা ম্যানেজিং কমিটির নাম ভাঙিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন।
চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, তাদের কাছ তিন থেকে চার হাজার টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে।
নবম শ্রেণিতে দুবাব পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সত্যতা স্বীকার করে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘সফটওয়্যারজনিত যান্ত্রিক ত্রুটি দেখিয়ে এসব করা হয়।’
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখরবিউল ইসলামকে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলে কেউ রিসিভ করেননি।
উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা পুলিন চন্দ্র রায় বলেন, ‘শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা আদায় করা অন্যায়। এছাড়া নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার দুটি ফলাফল প্রকাশ করতে পারেন না। এসব ঘটনার খোঁজ-খবর নিয়ে আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এসএসসির নিধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।’
বার্ষিক পরীক্ষায় দুটি ফলাফল প্রকাশের ঘটনায় ইউএনও বলেন, ‘এসব ঘটনায় অভিযোগ পেলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৪ দিন আগে
শেখ হাসিনাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মাইকেল চাকমার অভিযোগ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমা।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে তিনি এ অভিযোগ দায়ের করেন। প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান অভিযোগটি গ্রহণ করেন।
এ সময় মাইকেল চাকমার সঙ্গে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক, অধিকারকর্মী রেহনুমা আহমেদ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, শেখ হাসিনাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মাইকেল চাকমা অভিযোগ দাখিল করেছেন। এছাড়া বাকি আটজনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে এসে প্রসিকিউশনে মৌখিক অভিযোগ করেন মাইকেল চাকমা। অভিযোগ দায়ের করার পর সেদিন মাইকেল চাকমা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি মনে করি যে প্রতিহিংসার আমি শিকার হয়েছি, প্রধান আসামি হিসেবে আমার গুমের জন্য শেখ হাসিনাকেই দায়ী করছি। তার সঙ্গে আরও যারা জড়িত ছিল, তাকে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দিয়েছি।’
পরে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মাইকেল চাকমার অভিযোগ আমলে নিয়েছি। এখন থেকেই তার অভিযোগের তদন্ত শুরু করব।’
২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে সাংগঠনিক কাজ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে মাইকেল চাকমা গুমের শিকার হন।
আরও পড়ুন: থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করবে দুদক
মাইকেলকে উদ্ধারের দাবিতে ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠন, প্রগতিশীল ও মানবাধিকার সংগঠন, শিক্ষক-নাগরিক সমাজসহ পরিবারের লোকজন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরাও মাইকেলের সন্ধান দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিল।
পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের ও মাইকেলের সন্ধান চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করা হলেও তাকে উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিগত সরকার।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দীর্ঘ ৫ বছর ৩ মাস পর গত ৭ আগস্ট অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্তি পান মাইকেল চাকমা।
ওইদিন ভোরের দিকে চট্টগ্রামের একটি স্থানে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
১ সপ্তাহ আগে
থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করবে দুদক
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আখতার হোসেন বলেন, প্রকল্প পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলামসহ অন্যদের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড ও ব্যাপক দুর্নীতির মতো বিষয়।
এর মধ্যে সবচেয়ে উদ্বেগজনক অভিযোগ হচ্ছে প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৭ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২ হাজার কোটি টাকা করা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাটি পরীক্ষার সময় নকশা পরিবর্তনের মাধ্যমে ৯০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আরও অভিযোগের মধ্যে রয়েছে কমিশন ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে প্রকল্পের তিনটি মূল অংশ অন্য ঠিকাদারদের কাছে বিক্রি করা, দরপত্রে উল্লিখিত ইউরোপীয় গ্রেডের উপকরণের পরিবর্তে চীন ও কোরিয়া থেকে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম ব্যবহার করা এবং সমাপনী কাজে ব্যাপক অনিয়ম।
দুদক আরও জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুশি করতে সিন্ডিকেশনের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং ১২ কোটি টাকা অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ে অপচয় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: থার্ড টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমানের সক্ষমতা যাচাই-বাছাই
২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর নির্মাণাধীন টার্মিনালটি উদ্বোধন করেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২৪ সালের অক্টোবরের মধ্যে এটি চালু করার পরিকল্পনা ছিল।
আখতার হোসেন আশ্বস্ত করে বলেন, এসব অভিযোগের পেছনের সত্য উদঘাটন এবং যেকোনো অন্যায়ের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে দুদক বদ্ধপরিকর।
২ সপ্তাহ আগে
মেহেরপুরে বোনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ভাইয়ের বিরুদ্ধে
মেহেরপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন ভাইয়ে বিরুদ্ধে বোন তসলিমা খাতুনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের চাঁদবীল গ্রামের গোরস্থানের পাশের একটি ডোবা থেকে তসলিমা খাতুনের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ।
নিহত তসলিমা খাতুন (৫০) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ড বাগানপাড়া এলাকার আব্দুল হান্নানের স্ত্রী। তিনি তার বাবার বাড়ি চাঁদবীলে বসবাস করতেন।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে রং মিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা
তসলিমার স্বামী আব্দুল হান্নান অভিযোগ করে বলেন, পিতা-মাতার সম্পত্তির ১২ বিঘা জমির মধ্যে সাড়ে ১০ কাঠা জমি মুখে মুখে দিলেও রেজিস্ট্রি করে দেইনি। বাকি জমির ভাগ চাওয়ায় তসলিমার ভাই আব্দুল বারেক, মন্টু আলী, লাল্টু হোসেন, আব্দুল হক, কান্টু হোসেন মিলে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
প্রতিবেশী আলেয়া খাতুন জানান, তসলিমা খাতুনের স্বামীর বাড়ি চুয়াডাঙ্গায় হলেও ৩ থেকে ৪ বছর আগে তারা বাবা মৃত বরকত আলীর জমিতে চাঁদবীলে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। এখানেই বসবাস করছিলেন তিনি।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাইদের হাতে তিনি খুন হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। ধারণা করা হচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মেচিত হবে। তসলিমা খাতুনের লাশ উদ্ধারের পরপরই তার ভাইদের পরিবারের সবাই পালিয়েছেন বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
২ সপ্তাহ আগে
বিএসএফের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি কিশোরকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ
পঞ্চগড়ের সীমান্ত এলাকা থেকে ওয়াসিম নামে এক কিশোরকে ধরে নিয়ে যাওয়া অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের সেনপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার (৭৪৬) এলাকা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
তাকে দেশে ফেরাতে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটক ওয়াসিমের বাড়ি সেনপাড়া এলাকায়। সে ওই এলাকার রেজাউল করীমের ছেলে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, সেনপাড়া সীমান্ত দিয়ে ৪-৫ জন কিশোর অবৈধ উপায়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় বিএসএফের ৪৬ ব্যাটালিয়নের গোড়ালবাড়ী ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করেন। সবাই পালিয়ে এলেও বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে ওয়াসিম। পরে তাকে গোড়ালবাড়ি ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের টোকা পাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওই কিশোরকে দেশে ফেরাতে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি রাতেই তাকে দেশে ফেরানো হবে।’
ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা বলেন, ‘ভারতে অনুপ্রবেশ রোধে আমরা সীমান্তবর্তী মানুষের মাঝে জনসচেতনামুলক সভা করছি। কেউ যাতে অবৈধ উপায়ে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা না করে সেজন্য তাদের বোঝানো হচ্ছে।’
ইউএনবি/এএস
পঞ্চগড়ে সীমান্ত এলাকা থেকে বাংলাদেশী কিশোরকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় সীমান্ত এলাকা থেকে ওয়াসিম (১৫) নামে এক কিশোরকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বুধবার বিকেলে উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের সেনপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৪৬ এলাকা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ৪৬ ব্যাটালিয়নের গোড়ালবাড়ী ক্যাম্পের সদস্যরা। এদিকে, ধরে নিয়ে যাওয়া যুবককে দেশে ফেরাতে কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি।
আটক কিশোর ওয়াসিমের বাড়ি সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের সেনপাড়া এলাকায়। সে ওই এলাকার রেজাউল করীমের ছেলে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের সেনপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে ৪-৫ জন কিশোর ভারতে অবৈধ উপায়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ৪৬ ব্যাটালিয়নের গোড়ালবাড়ী ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। সবাই পালিয়ে এলেও বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে ওয়াসিম। পরে তাকে গোড়ালবাড়ি ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের টোকা পাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার শফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার বিকেলে সেনপাড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল ৪-৫ কিশোর। পরে তাদের একজনকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফের সদস্যরা। আটক কিশোরকে দেশে ফেরাতে কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি রাতেই তাকে দেশে ফেরানো সম্ভব হবে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা বলেন, ওয়াসিম নামে ওই যুবক সহ কয়েকজন ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। পরে ওয়াসিম তাকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। আমরা কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করেছি। রাতেই ওয়াসিমকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। আমরা সীমান্তবর্তী মানুষজনের মাঝে জনসচেতনামুলক সভা করছি। কেউ যাতে অবৈধ উপায়ে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা না করে সেজন্য তাদের বোঝানো হচ্ছে। সীমান্তে সবর্দা বিজিবি টহল অব্যাহত থাকে।
৩ সপ্তাহ আগে
ভিক্টোরিয়া কলেজ ক্যাম্পাসে ‘ককটেল বিস্ফোরণ’
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষকরা ব্যাডমিন্টন খেলার সময় ‘ককটেল বিস্ফোরণের’ অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ বলছে, সেগুলো ককটেল নয়, পটকা ফাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে কলেজের কান্দিরপাড় উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের কান্দিরপাড়ের উচ্চ মাধ্যমিক শাখার নতুন ১০তলা ভবন ও আখতার হামিদ খান ভবনের সামনে রাতের অন্ধকারে বহিরাগতরা প্রবেশ করে। তারা সারারাত মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘদিন ধরে এসব চলছিল। নতুন অধ্যক্ষ আসার পর থেকে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ করেন। গত চার দিন ধরে শিক্ষকরা সেখানে ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু করেন। এতে মাদকসেবীরা সেখানে প্রবেশ করতে পারছিলেন না।
কলেজের শিক্ষকরা জানান, সোমবার রাতে শিক্ষকরা ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। রাত ৯টার দিকে কয়েকটি ককটেল বিকট শব্দে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে এসে খেলার মাঠে পড়ে। এ সময় ধোঁয়ায় ছেঁয়ে যায় চারপাশ। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় কেউ আহত না হলেও শিক্ষকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক গাজী মোহাম্মদ গোলাম সোহরাব হাসান বলেন, ‘কয়েকদিন আগে কলেজ প্রশাসন বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ করে। সম্প্রতি শিক্ষকরা রাতে সেখানে ব্যাডমিন্টন খেলার আয়োজন করেন। রাতে সেখানে বিকট শব্দ শুনতে পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি শিক্ষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ধারণা করছি যারা কলেজে মাদক সেবন করতে পারছিল না তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’
কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘কলেজে বহিরাগত ছেলেরা ঢুকতে পারছিল না, তাই তারা পটকা ফাটিয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়েছে। ভিক্টোরিয়া কলেজ ও আশপাশে পুলিশের নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।
১ মাস আগে
গণহত্যা মামলায় আমু-কামরুল কারাগারে
গণহত্যার অভিযোগে করা একটি মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু এবং কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আওয়ামী লীগ ও মিত্র দলগুলোর গ্রেপ্তার হওয়া শীর্ষ কয়েকজন নেতার সঙ্গে আমু ও কামরুলের বিচার করতে মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন ও পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৭ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৫ দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল কারাগারে
আদালতের আদেশের বিষয়ে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ১৭ অক্টোবর একটি মামলায় দুজন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। সেখানে মোট আসামি ছিলেন ৪৫ জন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আরেকজন হলেন কামরুল ইসলাম।’
মামলায় তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রসিকিউটর বলেন, ‘কামরুল ইসলাম ও আমির হোসেন আমু ১৪ দলের সমন্বয়ক থাকা অবস্থায় গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চলাকালে গণভবন একটি মিটিং হয়। সেই মিটিং তারা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন এবং সেই বৈঠক থেকে কারফিউ জারি ও দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই ২০ জুলাই থেকে বহু মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর দায় তারা এড়াতে পারেন না। সেই মিটিংয়ে যারা উপস্থিত ছিলেন, তারা কেউই দায় এড়াতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘কামরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের প্রসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। প্রেসিডিয়াম সদস্য থাকা অবস্থায় তার দল ছাত্র-জনতাকে দলীয় সিদ্ধান্তে হত্যার নির্দেশ দেয়। তার নির্বাচনি এলাকা ঢাকা-২ আসনে বহু ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।’
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে করা একটি মামলায় আমির হোসেন আমু ও কামরুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও মিত্র দলগুলোর গ্রেপ্তার শীর্ষ কয়েকজন নেতার বিচারিক প্রক্রিয়া চলছে।
শীর্ষ এসব নেতাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, আমির হোসেন আমু ও কামরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জামিন নামঞ্জুর, সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন কারাগারে
১ মাস আগে
নওগাঁর পিপির বিরুদ্ধে বিচারকদের হুমকি-আদালত অবমাননার অভিযোগ
নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক আবু জাইদ মো. রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে বিচারকদের উদ্দেশ্য অশোভন বক্তব্য, হুমকি ও আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে।
নওগাঁ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম ওই সরকারি আইন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনে নওগাঁ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আরও সাত বিচারক প্রতিস্বাক্ষর করেছেন।
এছাড়া বিচারকদের হুমকি ও আদালত অবমাননাকর বক্তব্য প্রদানের অভিযোগে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এজেডএম রফিকুল আলমকে ১০ দিনের মধ্যে অপসারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন।
গত রবিবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কাউন্সিলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের সই করা এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে গতকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) পাঠানো ওই লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদে গত ২৭ নভেম্বর নওগাঁ আদালত চত্বরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সমাবেশে পিপি এজেডএম রফিকুল আলম বলেন, বিচারকদের উদ্দেশে বলব, ‘জুডিসিয়ারি কিলিং, ন্যায়বিচারের পরিপন্থী আপনারা অনেক বিচার করেছেন। আমি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিসিয়াল সকল বিচারকদের উদ্দেশে বলব, আপনারা আওয়ামী লীগের সময় নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। আমি এনএসআই, ডিজিএফআই, এসবি, দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদেরকে বলব, আপনারা আমার কথা লিপিবদ্ধ করবেন, সরকারকে জানাবেন।
আরও পড়ুন: সিলেট আদালতে দুই পিপি’র রুমে আইনজীবীদের তালা
তিনি বলেন, নওগাঁতে কিছু বিচারক আছেন, সে সকল বিচারক আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীর ভাগিনা, ভাতিজা। বিচারকরা ভাল ব্যাখ্যা দেন। বদমায়েশী করার জায়গা পান নাই? ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে খুনি হাসিনা হিন্দুস্তানে পালিয়েছে। আপনাদের পালানোর জায়গা হবে না।
তিনি আরও বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে বলব, যদি আপনাদেরকে ঘেরাও করে তার দায়-দায়িত্ব আপনাদেরকে নিতে হবে। বাংলাদেশে চাকরি করবেন, আর আওয়ামী লীগের দালালি করবেন, চাকরি করতে দেবো না, ঘেরাও করা হবে। আগামীতে যদি কোনো সন্ত্রাসী লীগের কোনো কর্মী, কোনো নেতা যে আদালতে সারেন্ডার দিবে, সেই আদালত ঘেরাও করা হবে। বিচারককে আমি নাম ধরে বলতে চাচ্ছি না, এখনি সাবধান হয়ে যান এবং আগামীতে এই রকম কর্মকাণ্ড যদি আপনারা অব্যাহত রাখেন, আপনাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা ও আইনজীবীরা আপনাদেরকে ঘেরাও করবে।’
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পিপি এজেডএম রফিকুল আলম অপ্রাসঙ্গিকভাবে বিচারকদের উদ্দেশ্যে অশোভন বক্তব্য, হুমকি ও আদালত অবমাননাকর বক্তব্য প্রদান করেছেন। তার এ ধরণের বক্তব্যে বিচার বিভাগ ও বিচারকদের ওপর চাপ সৃষ্টির একটি প্রবণতা বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আদালত চত্বরে বিচারকদের নিয়ে একজন পিপির এ ধরনের বক্তব্য জনসাধরণের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেসি তথা বিচার বিভাগ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, যা আদালত অবমাননার শামিল। ম্যাজিস্ট্রেটদের আদালত ঘেরাওয়ের হুমকিসহ আদালত অবমাননার বক্তব্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয় লিখিত বক্তব্যে।
অভিযোগের বিষয়ে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এজেডএম রফিকুল আলম বলেন, ‘সেদিন সমাবেশে ওই বক্তব্য একজন আইনজীবী কিংবা পিপি হিসেবে দেই নাই। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সেদিন কথাগুলো বলেছি। ৮ আগস্টের পর ফ্যাসিজমের দোসর হত্যা, মানুষের ওপর অন্যায় জুলুমের অভিযোগে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, কিছু কিছু ম্যাজিস্ট্রেট আইন লঙ্ঘন করে ঢালাওভাবে তাদেরকে জামিন দিচ্ছেন। এতে করে মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে সেদিন বক্তব্যগুলো দিয়েছি। কোনো ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা আদালতকে অবমাননা করে আমি বক্তব্য দেইনি। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর অভিযোগ হয়েছে। সেখান থেকে তলব করা হলে, অবশ্যই আমি আমার বক্তব্য তুলে ধরব।’
আরও পড়ুন: আইসিটিতে হাজির করা হলো সাবেক মন্ত্রী আমু-কামরুলকে
১ মাস আগে
বলিউড অভিনেতা শরদ কাপুরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
সম্প্রতি টলিউডে এক পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠে। এরপর ডিরেক্টরস গিল্ড থেকে তাকে নিষিধ্ধ করা হয়। এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার রেশ না কাটতেই এবার বলিউডে বলিউডে আলোচনায় এসেছে যৌন হয়রানি।
বলিউড অভিনেতা শরদ কাপুরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন এক তরুণী।
সামাজিক মাধ্যম থেকে শরদের সঙ্গে তার পরিচয়। এরপর অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডাকেন অভিনেতা।
৩২ বছর বয়সি ওই তরুণী জানান, তার সঙ্গে শরদের আলাপ হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বেশ কিছু দিন কথাবার্তার পর শরদ নতুন ছবি নিয়ে কথা বলার জন্য নিজের কার্যালয়ে ডেকে পাঠান তরুণীকে।
তিনি জানান, গত ২৬ নভেম্বর শরদের দেওয়া ঠিকানায় পৌঁছে যান। কিন্তু গিয়ে বুঝতে পারেন, সেটি আসলে শরদের অফিস নয়, বাড়ি! তরুণীর দাবি, দরজা খুলতেই শরদের গলা ভেসে আসে। তিনি পরিচারককে নির্দেশ দেন, তরুণীকে শোয়ার ঘরে পৌঁছে দিতে।
সেখানে যাওয়ার পর আপত্তিকর স্পর্শ করেন শরদ। সেখান থেকে কোনোরকমে বেরিয়ে আসেন ওই তরুণী। তবে সন্ধ্যায় শরদ আবার তাকে অশ্লীল বার্তা পাঠান।
এরপর ২৭ নভেম্বর মুম্বাইয়ের খার থানায় তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণী।
পুলিশ ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানায়, শরদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ৭৪, ৭৫ ও ৭৯ অনুযায়ী এফআইআর দায়ের হয়েছে।
তরুণী বলেন, বলিউডে পরিচিত নাম শরদ কাপুর। ‘জোশ’, ‘এলওসি কারগিল’, ‘লক্ষ্য’, ‘দস্তক’ এর মতো ছবিতে তাকে দেখেছেন তিনি। এছাড়া একাধিক জনপ্রিয় হিন্দি ধারাবাহিকেও দেখা গিয়েছে তাকে। এ কারণেই শরদকে উপেক্ষা করতে পারেননি তিনি।
সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম
১ মাস আগে