অভিযোগ
নির্বাচনি জনসভায় 'অনুপ্রবেশকারী' বলায় মুসলিম বিদ্বেষের অভিযোগ মোদির বিরুদ্ধে
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল (ইউএনবি)-‘অনুপ্রবেশকারী’ বলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মুসলিম বিদ্বেষের অভিযোগ এনেছে ভারতের প্রধান বিরোধী দল। দেশটিতে সপ্তাহব্যাপী সাধারণ নির্বাচন শুরু হওয়ার কয়েকদিন পর একটি নির্বাচনি সমাবেশে মুসলিমদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন তিনি।
পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানে রবিবারের সমাবেশে মোদি বলেন, কংগ্রেস পার্টি যখন সরকারে ছিল, তখন তারা বলেছিল, দেশের সম্পদের ওপর মুসলমানদের অগ্রাধিকার রয়েছে। যদি তারা ক্ষমতায় ফিরে আসে তবে দলটি ‘আপনার সমস্ত সম্পদ একত্রিত করবে এবং যাদের আরও সন্তান রয়েছে তাদের মধ্যে বিতরণ করবে।’ মোদির এ কথার শোনার পর জনতা হাততালি উল্লাস প্রকাশ করে।
তিনি বলেন, ‘তারা অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে এটি বিতরণ করবে। আপনি কি মনে করেন আপনার কষ্টার্জিত অর্থ অনুপ্রবেশকারীদের দেওয়া উচিত?’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির ফোনালাপ: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতে ভারতের সমর্থন অব্যাহত থাকবে
কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে ‘অত্যন্ত অত্যন্ত আপত্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন। দলটি সোমবার ভারতের নির্বাচনকালীন দায়িত্বে থাকা কমিশনকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলে।
মোদির এই মন্তব্যে মুসলিমবিরোধী প্রচারণা চালানো এবং নির্বাচনি বিধি ভঙ্গের অভিযোগে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। যদিও প্রার্থীদের ধর্মীয় উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এমন কোনো কার্যকলাপ বা বক্তব্য প্রদান নিষিদ্ধ।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণবিধি অনুসারে ভোটারদের সুরক্ষিত রাখতে ‘জাতিগত বা সাম্প্রদায়িক অনুভূতিতে আঘাত করা’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মুসলিম আইনপ্রণেতা ও অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন পার্টির সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইদি রবিবার বলেন, 'মোদি আজ মুসলিমদের অনুপ্রবেশকারী বলার পাশাপাশি বলেছেন, মুসলিমদের অনেক সন্তান থাকে। ২০০২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত মোদীর একমাত্র অঙ্গীকার হলো মুসলিমদের হেনস্থা করা ও এভাবেই ভোট আদায় করা।
কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদির সমালোচকরা বলছেন, ২০১৪ সালে মোদির দল ক্ষমতায় আসার পর থেকে এবং ২০১৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের বৈচিত্র্য ও ধর্মনিরপেক্ষতার ঐতিহ্য হুমকির মুখে পড়েছে। তাদের অভিযোগ, মোদির বিজেপি ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা লালন করে এবং কখনো কখনো সহিংস হয়ে উঠছে। তবে মোদির দলটি এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তাদের নীতির কারণে সমস্ত ভারতীয়রা উপকৃত হয়।
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, মোদির আমলে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা আরও নির্লজ্জ হয়ে উঠেছে। হিন্দুদের কাছে পবিত্র বলে বিবেচিত গরুর মাংস খাওয়া বা গরু পাচারের অভিযোগে উগ্রহিন্দুরা অসংখ্য মুসলমানকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। মুসলমানদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বর্জন করা হয়েছে, তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং উপাসনালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। মুসলিমদের গণহত্যার জন্য কিছু প্রকাশ্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় মোদির শোক
২০০৬ সালে কংগ্রেসের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের একটি বিবৃতির ভিত্তিতে মোদি এই মন্তব্য করেছিলেন। সিং বলেন, ভারতের নিম্নবর্ণ, উপজাতি, নারী ও ‘বিশেষত মুসলিম সংখ্যালঘুদের’ সমানভাবে দেশের উন্নয়নে অংশ নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে।
সিং বলেন, ‘সম্পদের ওপর তাদের প্রথম দাবি থাকতে হবে।’ একদিন পরেই তার দপ্তর থেকে বিষয় স্পষ্ট করে জানানো হয়, মনমোহন সব পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর কথা বলছেন।
বেশিরভাগ জরিপে দেখা গেছে, মোদি ও তার হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) জয়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চূড়ান্ত ফলাফল বের হবে ৪ জুন।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে মোদীর মন্তব্যকে 'বিদ্বেষমূলক ভাষণ' বলে বর্ণনা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ খাড়গে লেখেন, ‘ভারতের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রী তার পদের মর্যাদার এতটা নীচে নামিয়ে আনেননি যতটা মোদী করেছেন।’
নির্বাচন কমিশনের কাছে করা আবেদনে দলটি বলেছে, মোদী ও বিজেপি নির্বাচনি প্রচারে বারবার ধর্ম, ধর্মীয় প্রতীক ও ধর্মানুভূতির ব্যবহার করেছে। নির্বাচনি আইন লঙ্ঘনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপিকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে আরও উৎসাহিত করেছে।
কমিশনের আচরণবিধি নিজে থেকে আইনত বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি নোটিশ জারি করতে পারে এবং লঙ্ঘনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রচারকারীদের স্থগিত করতে পারে।
কমিশনের এক মুখপাত্র সোমবার প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘আমরা কোনো মন্তব্য করতে অপরাগতা প্রকাশ করছি।’
মোদি তার ভাষণে একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী মিথের কথাও উল্লেখ করেন, মুসলমানরা বেশি সন্তান জন্ম দিয়ে হিন্দু জনগোষ্ঠীকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ভারতের ১৪০ কোটি জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ হিন্দু ও মুসলমানদের সংখ্যা ১৪ শতাংশ বা ২০ কোটি।
সরকারি তথ্য দেখা যায়, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে মুসলমানদের মধ্যে প্রজনন হার ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। ১৯৯২-৯৩ সালে ৪.৪ থেকে ২০১৯-২১ সালের মধ্যে ২.৩-এ দাঁড়িয়েছে। একই সময় হিন্দুদের ১.৯৪ এর চেয়ে সামান্য বেশি।
মোদির বিজেপি এর আগে মুসলমানদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং তাদের বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এসব বিষয়ে মোদির সুস্পষ্ট নীরবতা তার চরমপন্থী সমর্থকদের সাহস জুগিয়েছে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে আরও ঘৃণামূলক বক্তব্য দিতে উৎসাহিত করেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি
বগুড়ায় শিশুকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগে নানা আটক
বগুড়া সদর উপজেলায় বন্ধন সরকার (৫) নামে এক শিশুকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার নানা সুকুমার দাসের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার শশীবদনী হিন্দুপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুকুমার দাসকে আটক করেছে পুলিশ।
শিশু বন্ধন সদর উপজেলার নপীরগাছা গ্রামের রবি দাসের ছেলে। আটক সুকুমার শশীবদনী হিন্দুপাড়া এলাকার ঝুমুর দাসের ছেলে। তিনি বগুড়া আইন কলেজের এলএলবি শেষ বর্ষের ছাত্র।
বগুড়া সদর থানার ইনস্পেক্টর (তদন্ত) মো. শাহীনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বন্ধন সরকার হরিবাসর অনুষ্ঠান উপলক্ষে তার মায়ের মামার বাড়িতে বেড়াতে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুকুমার শিশুটিকে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে কাঁচি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। এরপর সুকুমার ঘরের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
প্রতিবেশী পরিমল চন্দ্র পালিত বলেন, কেউ বলছে সুকুমারের মোবাইল নেওয়ার কারণে, আবার কেউ বলছে কোনো এক দ্বন্দ্বের কারণে ওই ছেলেকে হত্যা করেছে। তবে অনেকেই তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বানাতে চেষ্টা করছে। কিন্তু সুকুমার কালও হরিবাসরে সারাদিন প্রসাদ বিতরণ করেছে। আবার সে এলএলবি পড়াশোনাও করছে।
নিহত বন্ধনের বন্ধুর মা বলেন, একসঙ্গেই আমরা হরিবাসরে আসছিলাম। আজ হরিবাসর শেষ করে বাড়িতে যেতে চাচ্ছিলাম। হরিবাসরে বসে থাকা অবস্থায় শুনি বন্ধনকে সুকুমার গলাকেটে হত্যা করেছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওয়ালিউল্লাহ বলেন, আমরা অভিযুক্ত সুকুমারকে গ্রেপ্তার করেছি।
নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।
তিনি আরও জানান, আটক সুকুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলেও জানান ওসি।
দিনাজপুরে জমি নিয়ে বিরোধে ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
দিনাজপুরে বসতভিটার জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাই ও ভাবির বিরুদ্ধে ছোট ভাই রাসেল রানা বাবুকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) হত্যার ওই ঘটনা ঘটেছে জেলা শহরের পশ্চিম বালুয়াডাঙ্গা মহল্লায়।
রাসেল রানা বাবু (২৪) জেলা শহরের পশ্চিম বালুয়াডাঙ্গা মহল্লার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলীর ছেলে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন বলেন, বসতভিটার জমি ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জেরে বুধবার সকাল ৮টার দিকে ছোটভাই রাসেল রানা বাবুকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করে বড় ভাই মাসুদ রানা (৪০) ও ভাবি রিমা বেগম এবং ভাতিজা ফারহান আলী রনক।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় প্রকাশ্যে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
আহত রাসেলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। বিকাল পৌনে ৫টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
তিনি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তে মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অভিভাবকরা। অন্যদিকে আত্মগোপন করেছেন অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন: নড়াইলের ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, ৪ দিন পর মৃত্যু
মহেশপুরে সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণ পাচার চেষ্টার অভিযোগে আটক ২
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তের ছয়ঘরিয়া এলাকা থেকে ৪০টি স্বর্ণের (প্রায় ৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা মূল্যের) বার ভারতে পাচার চেষ্টার অভিযোগে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার সীমান্তের ছয়ঘরিয়া এলাকা থেকে স্বর্ণসহ তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিমানবন্দরে প্রবাসী আটক, সোয়া কেজি স্বর্ণ জব্দ
আটকরা হলেন- মো. জসিম উদ্দিন ও আকতার আলীর ছেলে মো. হুমায়ন কবির।
মহেশপুর বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় পলিয়ানপুর বিওপির একটি বিশেষ টহল দল ছয়ঘরিয়া এলাকায় সন্দেহজনক দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেল আরোহীর দেহ তল্লাশি করে ৪ কেজি ৬৩৩ গ্রাম ওজনের ৪০টি স্বর্ণের বার জব্দ করে।
জব্দ করা স্বর্ণের বাজারমুল্য প্রায় ৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে মহেশপুর থানায় মামলা হয়েছে। উদ্ধারকৃত সোনার বার ঝিনাইদহ ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রামে ৪৫১ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ, প্রবাসী আটক
পরিবেশ দূষণ নিয়ে অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তির আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
পরিবেশ দূষণ নিয়ে জনগণ কোনো অভিযোগ দিলে দ্রুততম সময়ে তার নিষ্পত্তি করতে আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্মকাণ্ডে চ্যালেঞ্জের মাত্রা অনেক বেশি হলেও মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। জনগণ কোনো অভিযোগ দিলে দ্রুততম সময়ে তার নিষ্পত্তি করতে হবে।
সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদানকালে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সরকারি কর্মসূচিগুলো যাতে পরিবেশবান্ধব হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: অতীতের ভুলভ্রান্তি পিছনে ফেলে সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার রোধ এবং পরিবেশসম্মত উপাদানে ব্যানার ফেস্টুন তৈরি করতে হবে। পরিবেশবান্ধব পৌরসভা, শূন্য বর্জ্য গ্রাম বাস্তবায়ন করতে হবে।
এছাড়াও শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিবেশবিষয়ক সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর ২০২৫-এ পাঠ্যপুস্তকে পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জীববৈচিত্র্য ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশারফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) তপন কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজনে সাফল্য তুলে ধরতে ন্যাপ এক্সপো-২০২৪ বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
মাগুরায় বাড়ি ফেরার পথেই স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
মাগুরার শ্রীপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাবার কথা বলে পথেই স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক স্বামীর বিরুদ্ধে।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মোছা. মনিকা খাতুন উপজেলার চরচৌগাছি গ্রামের মাজেদ শেখের মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম টিপু বিশ্বাস।
পারিবার সূত্রে জানা যায়, ৩ বছর আগে টিপু বিশ্বাসের সঙ্গে মনিকা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর এক বছর পর তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু টিপুর পরিবার এ বিয়ে মেনে নেয়নি। যার কারণে মনিকা তার বাবার বাড়িতেই থাকতো।
২০২৩ সালে টিপুকে উপজেলার ঘাসিয়াড়া গ্রামের নাজমীম নামে আরেক মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেন তার পরিবার। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বসবাস করছিলেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) টিপু তার প্রথম স্ত্রী মনিকার বাবার বাড়িতে যান। পরদিন সকাল ১১টার দিকে টিপু মনিকাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দু’জনে মোটরসাইকেলে করে বের হন। পথে উপজেলার মালাইনগর গ্রামের মালাইনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে দুলাল কাজীর পুকুরের পাড়ে নিয়ে গিয়ে টিপু মনিকাকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ ঘটনার পর এলাকাবাসী বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনিকাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ তাসমীম আলম জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী টিপু পলাতক রয়েছেন। তাকে আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সরাইলে চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
চাঁদপুরে স্ত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে, শ্বাশুড়ি গ্রেপ্তার
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা নায়েরগাও উত্তর ইউনিয়নের বকচর গ্রামে স্ত্রী খাদিজা আক্তার নামে এক নারীর গায়ে আগুন দিয়ে পুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
রবিবার ( ১৪ এপ্রিল) জামাতা ইব্রাহিম ও মেয়ের শ্বাশুড়িকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন নিহত খাদিজার বাবা খোকন মিয়া।
ইব্রাহিম প্রধান একই (বকচর) গ্রামের আব্দুল মোতালেব প্রধানের ছেলে।
এ ঘটনায় শ্বাশুড়ি যায়েদা খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় দিনমজুর স্বামী ইব্রাহিম প্রধান পলাতক রয়েছেন।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন বালা ইউএনবিকে জানান, ঈদুল ফিতরের দিন(১১ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে ইব্রাহিম প্রধান শ্বশুরবাড়ি থেকে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী খাদিজা আক্তারের শরীরে শ্যালো মেশিনের ডিজেল ঢেলে হঠাৎ আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় খাদিজার চিৎকারে ছুটে এসে প্রতিবেশী মনির ও মহসিন পাটের বস্তা ভিজিয়ে আগুন নেভায়। এরই মধ্যে শরীরের অনেকাংশই পুড়ে যায়। পরে খাদিজাকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত দেড়টায় মারা যায় খাদিজা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে অটোরিকশার চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
খাদিজার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। বিষয়টি গোপন করে ১৩ এপ্রিল তড়িঘড়ি করে তার লাশ দাফন করা হয়।
ভিকটিম খাদিজা ইব্রাহিমের তৃতীয় স্ত্রী। এর আগে ইব্রাহিম আরও ২টি বিয়ে করেছেন। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের কারণে আগের দুই স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। খাদিজার দুটি ছেলে রয়েছে। ৪ বছর আগে খাদিজার সঙ্গে ইব্রাহিমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ইব্রাহিম ও তার মা যায়েদা যৌতুকের জন্য খাদিজাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে চুরির অভিযোগে মাকে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
খাদিজার বাবা খোকন মিয়া জানান, ‘বিয়ের পর থেকেই ইব্রাহিম খাদিজাকে যৌতুকের জন্য মারধর করত। এসব নিয়ে অনেকবার শালিস বৈঠকও হয়েছে। আমার যৌতুক দেওয়ার সামর্থ নেই দেখে মেয়েটা মুখ বুঝে সব কিছু সহ্য করে গেছে।’
প্রতিবেশীরা জানায়, ইব্রাহিমের নির্যাতনে আগের দুই স্ত্রী পালিয়ে গেছে।
এ বিয়য়ে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন বালা বলেন, খাদিজার শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বামী পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা
রূপগঞ্জে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ যুবক আটক
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে রূপগঞ্জের ইছাখালী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত নারীর নাম ফারজানা আক্তার (২২)। তার স্বামীর নাম তারিকুল ইসলাম (৩২)। দু’জনেই গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বাসিন্দা হলেও তারা ইছাখালীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, ইছাখালীতে পরকীয়ার জেরে স্বামী তারিকুল ছুরিকাঘাত করেন স্ত্রী ফারজানাকে। দুপুরে ১২টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
স্বামীকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে মাদকাশক্তি নিরাময় কেন্দ্রে যুবকের ছুরিকাঘাতে কর্মচারী নিহত
নওগাঁর মান্দায় ছুরিকাঘাতে একজন নিহত
নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৪ জনকে গণপিটুনি
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে চারজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
শুক্রবার (২২ মার্চ) ভোরে উপজেলার গোগনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে গণপিটুনি, যুবক নিহত
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. শাহাদাত বলেন, আমরা ভোরে জরুরি সেবা ৯৯৯ কল পেয়ে জানতে পারি, গোপনগর এলাকায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে চার ব্যক্তিকে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীরা। তাৎক্ষণিক আমরা আমাদের পুলিশ ফোর্স পাঠাই ঘটনাস্থলে। আমাদের পুলিশ অভিযুক্ত চার ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা আপাতত চিকিৎসাধীন আছে। আমরা চেষ্টা করছি তাদের পরিচয় জানার জন্য।
পুলিশের এই অফিসার আরও বলেন, হাসপাতালে পুলিশের আওতায় আছেন তারা। আমরা ঘটনার যাচাই করছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি, ৪ যুবক নিহত
হাটহাজারীতে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৯
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার রাতে জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর কেডিসি পাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২০০০ ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
গ্রেপ্তার ৯ জন হলেন- আব্দুল করিম, হাবিবুর রহমান, আব্দুল হান্নান, কামরুজ্জামান, সোহেল রানা, রাজু, দুলাল, রবিউল ও শাহিদ। তাদের সবার বাড়ি গোমস্তাপুর ও নাচোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
শুক্রবার সকালে র্যাব-৫ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব জানায়, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী কেডিসি পাড়ায় নিয়মিত বিভিন্ন মাদক বিক্রি করে আসছিল এবং এলাকাটি মাদক সেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল।
স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় মাদক বিক্রয় ও সেবনের অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় গোমস্তাপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জের প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
ঢাকায় কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযানে মূলহোতাসহ ৩৫ জন গ্রেপ্তার