পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. আব্দুল মোমনেকে ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এনরিক এ. মানালো বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ড. মোমেনের কাছে প্রেরিত এক শুভেচ্ছা বার্তায় ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানালো বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা তুলে ধরে এনরিক মানালো বলেন, ‘উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে এবং আমাদের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে সবধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদারে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবো।’
আরও পড়ুন: আব্দুল মোমেনকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জো বাইডেন ও অ্যান্টনি ব্লিনকেনের শুভেচ্ছা
আব্দুল মোমেনকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল্লাতিফ বিন রশিদ আল জায়ানি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাঠানো অভিনন্দন বার্তায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সরকার ও বাংলাদেশের জনগণকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
অভিনন্দন বার্তায় ড. আবদুল্লাতিফ বিন রশিদ আল জায়ানি উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গভীর ও শক্তিশালী করতে এবং পারস্পরিক কল্যাণে সহযোগিতার অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোকে আরও প্রসারিত করতে বাহরাইনের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বার্তায় বলেন, ‘আমাদের বিদ্যমান সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে উভয় দেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যেতে চাই।’
অভিনন্দন বার্তায় বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণের সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: আব্দুল মোমেনকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জো বাইডেন ও অ্যান্টনি ব্লিনকেনের শুভেচ্ছা
পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জো বাইডেন ও অ্যান্টনি ব্লিনকেনের শুভেচ্ছা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউস থেকে পাঠানো শুভেচ্ছা কার্ডে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন এবং তার সহধর্মিণী মিসেস সেলিনা মোমেনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন আরেকটি শুভেচ্ছা কার্ডে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ও তার সহধর্মিণী সেলিনা মোমেনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ পানি সম্মেলনের প্লেনারি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
আব্দুল মোমেনকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সবার জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে জোরালো পদক্ষেপের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ৭৮ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পানি পরিষেবা এবং ৫১ শতাংশে স্বাস্থ্যবিধি পরিষেবা বিদ্যমান ছিল। একই বছরে ৭৮০ মিলিয়ন লোকের কোনও স্যানিটেশন পরিষেবা ছিল না।
তিনি আরও বলেন, এ প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসমূহে সকলের জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের আগের চেয়ে আরও বেশি জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে হাঙ্গেরি ও ফিলিপাইন কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন ইন হেলথকেয়ার ফ্যাসিলিটিস: লেসন লার্ন্ড অ্যান্ড দ্য ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বক্তব্য প্রদানকালে এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনকে ‘গ্লোবাল পাবলিক গুডস’ ঘোষণার ব্যাপারে জোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তার বক্তব্যে তিনি দেশের সব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলো তুলে ধরেন।
জাতীয় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কৌশলপত্র-২০২১ এর কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আমাদের প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানির সুবিধা পায়, ৮০ শতাংশের বেশি মানুষকে উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা এবং প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষকে হাইজিন সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ স্যানিটেশন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতি অনেক উন্নয়নশীল দেশে অনুসরণ করা হচ্ছে।
সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশের সফল অভিজ্ঞতার আলোকে ড. মোমেন বিশ্বব্যাপী পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিষেবার অগ্রগতির অভাব দূরীকরণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজার্তো, ফিলিপাইন প্রজাতন্ত্রের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের সচিব মারিয়া অ্যান্তোনিয়া ইউলো-লয়জাগা এবং জর্জিয়ার আঞ্চলিক উন্নয়ন ও অবকাঠামো মন্ত্রী ইরাকলি কারসেলাদজেও বক্তব্য রাখেন।
এ অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কূটনীতিক, জাতিসংঘ ও এর বিভিন্ন সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, পানি খাতে কর্মরত আন্তর্জাতিক এনজিও এবং বেসরকারি অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সোশ্যাল সায়েন্টিস্ট ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক, এওএসইডি, বিডব্লিউওটি, জাগো নারী, গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন এবং এসডিএ-কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘রিভাইটালাইজিং সোশ্যাল প্রোটেকশন পলিসিস ফর ক্রিয়েটিং মোর অ্যাকসেসিবিলিটি টু ড্রিংকিং ওয়াটার’ শীর্ষক একটি উচ্চ-পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বিকালে তিনি মালয়েশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী নিক নাজমি নিক আহমেদের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং সেখানে দুই দেশের মধ্যকার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ পানি সম্মেলনের প্লেনারি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
টেকসই পানি ব্যবস্থাপনায় অধিকতর আন্তর্জাতিক অর্থায়নের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
জাতিসংঘ পানি সম্মেলনের প্লেনারি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘ পানি সম্মেলনের প্লেনারি অধিবেশনের তৃতীয় সভায় সভাপতিত্ব করেন। ২২ মার্চ বাংলাদেশ জাতিসংঘ পানি সম্মেলনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার ধারাবাহিকতায় এই সভায় সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এছাড়া, তিনি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন এবং নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক সংগঠন ডেল্টারেসের যৌথ উদ্যোগে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘ওয়াটার ফর পিস: ফ্রম সোর্স টু সি’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে মধ্যস্থতাকারী হতে পারে ভারত: ভারতীয় গণমাধ্যমকে মোমেন
‘ফ্রম সোর্স টু সি অ্যাপ্রোচ’ এর ওপর ভিত্তি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য টেকসই পানি ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরত্বারোপ করেন।
এই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
প্যানেল আলোচনা পর্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নেপালের পানি মন্ত্রী আব্দুল খান; নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক পানি বিষয়ক বিশেষ দূত হেঙ্ক ওভিঙ্ক; পর্তুগালের পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি-জেনারেল আলেকজান্দ্রা ফেরেইরা ডি কারভালহো, ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক কমিশন ফর ইউরোপ এর ট্রান্সবাউন্ডারি কো-অপারেশন সেকশন প্রধান ফ্রান্সেসকা বার্নার্ডিনি; গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন এর সিইও প্যাট্রিক ভারকুইজেন; স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার ইনস্টিটিউটের অ্যাকশন প্ল্যাটফর্ম ফর সোর্স-টু-সি ম্যানেজমেন্ট-এর সিনিয়র ম্যানেজার এবং কোঅর্ডিনেটর রুথ ম্যাথিউস এবং ডেল্টারেস ইন্টারন্যাশনাল এর ডিরেক্টর টুন সেগেরেন।
অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশি কূটনীতিক, জাতিসংঘ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আব্দুল মোমেনকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
স্মার্ট নাগরিক তৈরির জন্য কার্যকর সৃজনশীল উদ্ভাবনের উপর জোর দেন মোমেন
আব্দুল মোমেনকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ভুটান সরকারের পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়কমন্ত্রী ড. তান্ডি দর্জি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং বাংলাদেশের জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ড. তান্ডি দর্জি সম্প্রতি ড. মোমেনকে প্রেরিত একটি অভিনন্দন বার্তায় বলেন, ‘আমাদের উভয় দেশের মধ্যে অব্যাহত পারস্পরিক সহযোগিতা ও যোগাযোগ থাকায় একটি চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অটুট রয়েছে।’
তিনি অভিনন্দন বার্তায় উল্লেখ করেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বন্ধুত্বের এই বন্ধন আগামী বছরগুলোতে আরও দৃঢ় হবে।’
ড. তান্ডি দর্জি বাংলাদেশের জন্য শুভকামনা জানিয়ে বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবস বাংলাদেশের মানুষের জন্য সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক।’
আরও পড়ুন: ভুটান-বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তি সই: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের সড়ক ও বন্দর ব্যবহারে ভুটানকে অনুমোদন
টেকসই পানি ব্যবস্থাপনায় অধিকতর আন্তর্জাতিক অর্থায়নের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আওতাধীন পানি বিষয়ক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বৃদ্ধিতে উন্নয়ন সহযোগী ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জোরালো আহ্বান জানাই।
বুধবার জাতিসংঘের সদর দপ্তরে চলমান আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের সাধারণ বিতর্কে বক্তব্য প্রদানকালে এ আহ্বান জানান তিনি।
জাতিসংঘ কর্তৃক আয়োজিত এটি প্রথম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র, এর আওতাধীন বিভিন্ন অঙ্গ-সংস্থাসমূহ এবং অন্যান্য সকল অংশীজনদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বৈশ্বিক পানি বিষয়ক কর্মসূচির বাস্তবায়নে কাঙ্খিত অগ্রগতি পর্যালোচনাকে সামনে রেখে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট জাতীয় নীতির কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের দীর্ঘ-মেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পানি সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে একটি কার্যকর ও সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা তৈরির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমাদের সরকার 'বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০' নামে একটি ১০০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা এবং 'বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩' প্রণয়ণ করেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আওয়াজ তোলার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বিশেষ করে পানি সংক্রান্ত জলবায়ু অভিযোজনের জন্য সীমিত আন্তর্জাতিক অর্থায়নের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি টেকসই পানি ব্যবস্থাপনার জন্য অভিযোজন অর্থায়নসহ আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরত্বারোপ করেন এবং এ প্রসঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জোরালো আহ্বান জানান।
সাধারণ বিতর্কে অংশগ্রহণ ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিকালে ‘ওয়াটার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট: ভ্যালিউইং ওয়াটার, ওয়াটার-এনার্জি-ফুড নেক্সাস অ্যান্ড সাসটেইনেবল ইকোনমিক অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক ইন্টারেক্টিভ সংলাপে মূল বক্তব্য প্রদান করেন এবং ‘ওয়াটার সল্যুশনস ফর ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন: লেসনস টু স্কেল আপ ইমপ্যাক্টফুল ডেলিভারি’ শিরোনামের আরেকটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন।
এই সম্মেলনে একটি উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান, সাধারণ বিতর্ক সম্পর্কিত ছয়টি প্লেনারি সভা এবং বহু অংশীজনদের অংশগ্রহণে পাঁচটি ইন্টারেক্টিভ সংলাপ রয়েছে এবং এতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও মন্ত্রীসহ কয়েক শতাধিক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ সম্মেলনে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকসহ ১৩-সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল অংশ গ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জ্বালানি ও বন্দর খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সৌদি আরব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আওয়াজ তোলার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বৃটিশ-বাংলাদেশি প্রবাসীসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য তাদের আওয়াজ তুলতে আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকালে যুক্তরাজ্যের ক্যামডেনের মেয়র নাসিম আলী ওবিই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময় তিনি এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি সম্পর্কে মেয়রকে অবহিত করেন।
যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রশংসা করে উভয়েই ব্রিটিশ সমাজ ও অর্থনীতিতে এবং গত পাঁচ দশকে এই দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের সেতু হওয়ার জন্য তাদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
ক্যামডেনের মেয়র ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রবাসীদের, বিশেষ করে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের স্বীকৃতি দেয়ার জন্য একটি অনুষ্ঠানের পরামর্শ দেন।
তারা জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক: পার্শ্ব বৈঠক করবেন মোমেন
দূতাবাস চালু ও সম্পর্ক গভীর করতে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়
ঢাকায় মোমেনের সঙ্গে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক সোমবার
বাংলাদেশের জ্বালানি ও বন্দর খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সৌদি আরব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের জ্বালানি ও বন্দর খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩-এর সাইডলাইনে সফররত সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ও ফরেন ট্রেড জেনারেল অথরিটির চেয়ারম্যান ড. মজিদ বিন আব্দুল্লাহ আল-কাসাবির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে তারা শুধু কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। তারা বাংলাদেশের কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে এবং ইতোমধ্যে শুরুও করেছেন। যার মধ্যে পতেঙ্গায় সরকারি জমিতে তারা একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনকে ‘গ্লোবাল পাবলিক গুডস’ ঘোষণার ব্যাপারে জোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
মোমেন আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামে আরেকটি বড় প্রকল্পের জন্য আমরা তাদের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছি। তারা বলেছে যে খুব শিগগিরই এটির কাজ শুরু করবে।’
এর আগে বিজনেস সামিটে যোগ দিতে এবং বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়, বাণিজ্যিক ও বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মজিদ বিন আব্দুল্লাহ আল-কাসাবি শুক্রবার ঢাকায় এসেছেন।
মন্ত্রী ২০ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ৩৫ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলও তার সঙ্গে রয়েছেন।
এই সফর বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও গতিশীল করবে বলে আশা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছে মোমেন
ঢাকায় মোমেনের সঙ্গে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক সোমবার
ড. ইউনূসের জন্য ৪০ জন বিশ্বনেতার আবেদনের সমালোচনা মোমেনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন কিছু লোকের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, যারা বাংলাদেশ এবং এর নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলছে, তাদের কাছে ‘আঙ্গুর ফল টক’।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে ৪০ জন বিশ্বনেতার আবেদনের বিষয়ে একজন সাংবাদিক তার মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠিতে বিশ্ব নেতারা নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের ‘সুস্থতার জন্য গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন।
চিঠিটি ২০২৩ সালের ৭ মার্চ (মঙ্গলবার) ওয়াশিংটন পোস্টে একটি পূর্ণ-পৃষ্ঠার বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রকাশ হয়েছিল।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল এবং বিশ্ব তা স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক: পার্শ্ব বৈঠক করবেন মোমেন
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও সাহসী নারী এবং এইসব লোকেরা তাকে মাইনাস করার মিশনে রয়েছে, যাতে এখানে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়।
জি-২০ পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকের সময় নয়াদিল্লিতে তার ব্যস্ততার কথা তুলে ধরে মোমেন বলেন, ‘আমরা খুবই সন্তুষ্ট। ভারত খুব ভালো এবং অনন্য কাজ করেছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জি-২০ দেশগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে যে ‘আমরা একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা শান্তি চাই। এই যুদ্ধ বন্ধ করুন। দরিদ্র মানুষ ও দরিদ্র দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
মোমেন বলেন, তিনি তার ভারতীয় সমকক্ষ এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলোও উত্থাপন করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা সীমান্ত ইস্যুতে তাদের অঙ্গীকার রাখতে বলেছি।
মোমেন বলেন, ভারত বাংলাদেশে ডিজেল পাঠাবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদি ১৮ মার্চ এর উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: সাউথ সাউথ কো-অপারেশন বিষয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের নতুন ফোরাম গঠনের জোরালো আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা রেজুলেশন বাস্তবায়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর