পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সবার সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে গত ১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া 'নবম আওয়ার ওশান কনফারেন্সে' এ কথা বলেন তিনি।
এ সম্মেলনের সমাপনী দিন বুধবারে (১৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকালে সমুদ্রের টেকসই ব্যবস্থাপনা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ড. হাছান মাহমুদ।
ড. হাছান বলেন, সমুদ্র উপকূলে বসবাসকারী মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে এমন সমুদ্রের টেকসই ব্যবস্থাপনা নেওয়া প্রয়োজন। মানুষের একমাত্র আবাস পৃথিবী গ্রহকে টিকিয়ে রাখা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সমুদ্র ও সামুদ্রিক সম্পদের দায়িত্বশীল ও সযত্নে ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিরসনসহ গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনা এবং সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে গৃহীত নানা উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. হাছান বলেন, পরিবেশের ক্ষতি কমাতে জাতীয় সীমার বাইরের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বাস্তুতন্ত্রের সার্বিক উন্নয়ন এবং গ্রিন শিপিং বা পরিবেশবান্ধব নৌপরিবহনের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিভিন্ন দেশ প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
সব রাষ্ট্রে জাতীয় সীমাবহির্ভূত জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ চুক্তি (বিবিএনজে) অনুমোদিত করা এবং মহাসাগরের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারে তহবিল বরাদ্দের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান।
প্যানেল আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে স্বাগতিক দেশ গ্রিস, কোস্টারিকা, কেপ ভার্দে, সাও টোমে এবং প্রিন্সেপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি বেশি ভয়ংকর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিরসনসহ গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসন এবং গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তির পক্ষে এবং আমরা চাই, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিরসনে যে সব রাষ্ট্রের ভূমিকা রাখার কথা, তারা কার্যকর ভূমিকা নিক এবং গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হোক।’
রবিবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিয়মকালে এ কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার বদলা হিসেবে শনিবার রাতে তেল আবিব, পশ্চিম জেরুজালেমসহ ইসরায়েল জুড়ে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মত জানতে চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আশা করি পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় ড. হাছান বলেন, ‘ইসরায়েল সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে হামলা করায় ইরান এ আক্রমণের সুযোগ পেয়েছে, অন্যথায় এটি হতো না, ইরান 'রিটালিয়েট' করেছে -ইরানের বক্তব্য তাই।’
তিনি আরও বলেন, যেসব রাষ্ট্রের ভূমিকা রাখার কথা, তারা ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিরসনে এবং গাজায় যে নির্বিচারে মানুষ হত্যা হচ্ছে, অবিলম্বে সেই হত্যাযজ্ঞ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে বলে প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ। ড. হাছান বলেন, ‘আমরা কখনোই যুদ্ধ-বিগ্রহের পক্ষে নই, আমরা শান্তির পক্ষে।’
আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যা মানব সভ্যতার কলঙ্কজনক অধ্যায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অপহৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ উদ্ধার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার ও সংশ্লিষ্টদের সর্বাত্মক তৎপরতায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে জিম্মি নাবিক ও জাহাজ নিরাপদে উদ্ধার হয়েছে। জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিকে ১০০ নটিক্যাল মাইল এগিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর সহযাত্রী হয়েছে।
সক্রিয় ভূমিকার জন্য জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরঅএম গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দক্ষিণ সীমান্তে মিয়ানমারের আরও ৯ বিজিপি সদস্যের দেশে প্রবেশ নিয়ে মন্ত্রী হাছান বলেন, পূর্বের ১৮০ জনসহ সবাইকে ফেরত পাঠানো নিয়ে কাজ চলছে।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি বেশি ভয়ংকর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি বেশি ভয়ংকর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি অনেক বেশি ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘সোমালিয়ার জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের উপর কোনো নির্যাতন চালায়নি। তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেনি। কিন্তু বিএনপি তো মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীদের নেতৃত্বে বিএনপি অনেক সময় সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে।’
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের লালদিঘী চত্বরে “চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যাদের জন্মই অগণতান্ত্রিক তারাই গণতন্ত্রের কথা বলে: বিএনপির উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়ে বাংলাদেশের দস্যুরা বেশি ভয়ংকর’- বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি বলেছেন, 'দেশের মানুষ খুব দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে আছে, সাধারণ মানুষ ভালোভাবে ঈদ পালন করতে পারেনি।’
এ বিষয়ে ড. হাছান বলেন, ‘হয়তো মির্জা ফখরুল সাহেবদের মনে শান্তি নেই, উনাদের মনে অশান্তি বিধায় বাংলাদেশের মানুষের মনে শান্তি নেই বলছেন। কিন্তু মানুষের মনে সম্প্রীতি ও উৎসব আছে।’
তিনি বলেন, ‘এবার ঈদ অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন হয়েছে এবং হচ্ছে। মানুষ এখনো ঈদ উৎসবের মধ্যে আছে। আপনারা দেখেছেন ঈদযাত্রাও এবার অনেক নির্ঝঞ্ঝাট ছিল। ঈদের সময় অনেক ঘটনা ঘটে। সে ধরনের দুর্ঘটনা এবার অপেক্ষাকৃত অনেক কম ঘটেছে। মানুষ অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়েই ঈদ উদযাপন করছে।’
আরও পড়ুন: নাবিকদের উদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাইজ্যাক করা জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আছে। খুব শিগগিরই আপনারা সুখবর শুনতে পাবেন। আমি শুধু এটুকুই বলি, নাবিকরা খুব শিগগিরই মুক্তি লাভ করবে ইনশাআল্লাহ। আমরা জাহাজটাও মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব। গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এরই মধ্যেই হয়েছে।'
এর আগে “চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান বলেন, 'আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন এবং আমরাও বলি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আজকে ঈদ উৎসবকে উপলক্ষ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই শামিল হয়েছে। অর্থাৎ ধর্ম যার যার উৎসব যে সবার সেটি আসলে বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে এই উৎসবের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, এই দেশে কোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তির স্থান হবে না। কেউ সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে চাইলে তাদের প্রতিহত করা হবে, সবসময় করেছি, ভবিষ্যতেও করব। এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
“চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” আয়োজক কমিটির সভাপতি জহরলাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্তা, মো. শাহাবুদ্দিনসহ আযোজক কমিটির নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশ থেকে অপরাজনীতি চিরতরে দূর হওয়ার প্রার্থনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
যাদের জন্মই অগণতান্ত্রিক তারাই গণতন্ত্রের কথা বলে: বিএনপির উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যাদের জন্মই অগণতান্ত্রিক আর প্রতিনিয়ত গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য অপচেষ্টা চালায়, সেই বিএনপি এখন গণতন্ত্রের কথা বলে, এটিই হচ্ছে দুঃখজনক। এটি যেন, চোরের মায়ের বড় গলা।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাংবাদিকরা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও অপর নেতা ড. আবদুল মঈন খানের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেছিল, ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়েছিল, ড. মঈন খান আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তাদের শীর্ষস্থানীয় নেতারা সেই ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করার জন্য সন্নিবেশিত হয়ে বিএনপি গঠন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দৈত্যের দল বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, ‘শুধু বিএনপির জন্মই অগণতান্ত্রিক নয়, তারা দেশে সবসময় গণতন্ত্র হরণ করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে তাদের হাত ছিল। নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই সেটি ঘটানো হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং জঘন্য মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা তারা চালিয়েছিল।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৫০০ নির্বাচনি কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং নির্বাচনি কর্মকর্তা ও বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছিল। সেটির উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও একই প্রচেষ্টা ছিল। সর্বশেষ ২০২৪ সালের বিগত নির্বাচন বর্জন করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালানো হয়।’
এ সময় সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে আটক জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিক এবং জাহাজ দুটোই উদ্ধার করার ক্ষেত্রে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে, আশা করছি শিগগিরই তাদের মুক্ত করতে পারব। তবে উদ্ধারের দিনক্ষণ বলাটা কঠিন।
আরও পড়ুন: নাবিকদের উদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. হাছান আরও বলেন, ‘আমরা নাবিকদের পরিবারদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে। নাবিকরা ভালো আছে, নিয়মিতভাবে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, এমনকি ভিডিও কলেও কথা বলছে। আমরা আশা করছি তাদের শিগগির মুক্ত করতে পারব।’
চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা এবং তাদের হামলায় এদিন এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত মন্ত্রিসভার মিটিংয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এটি নতুন সমস্যা, এটিকে দূরীভূত করতে সরকার কাজ করছে এবং কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে ও নেপথ্যে যেই থাকুক, সে যেই দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ও হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা
দেশবাসীকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা
দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। কয়েক কোটি মানুষ যার যার গন্তব্যে যাচ্ছেন। এই সুযোগে পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ বাড়তি ভাড়া আদায় করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সরকার বিষয়টিতে নজর রাখছে।
এ ধরনের বাড়তি বাড়া আদায় অযৌক্তিক ও কোনোভাবেই সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেন ড. হাছান।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা
তিনি বলেন, ‘বাড়িতে যাওয়ার সময় জনগণেরও সচেতন থাকতে হবে, অযথা হুড়োহুড়ি করে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে। মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি, বৃহস্পতিবার যেন সারা দেশে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উদযাপিত হয়।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অসাধু চক্র, মজুতদার, বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক- এ ধরনের নানা অপচেষ্টা সত্ত্বেও সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার প্রেক্ষিতে এবার রমজানের সময় বাজার স্থিতিশীল ছিল এবং অনেক পণ্যের দাম কমেছে।
আরও পড়ুন: ঈদের দিন গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষার পরিবেশ দুটিই থাকা উচিত: ড. হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) যেমন অবশ্যই ছাত্র রাজনীতি থাকা উচিত তেমনই শিক্ষার পরিবেশ যেন বজায় থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
মঙ্গলবার(৯ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি বুয়েট শিক্ষক সমিতির
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
ড. হাছান বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা যুদ্ধে, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রেখে ছাত্রলীগ। এছাড়া এরশাদ এবং জিয়া যখন আমাদের গণতন্ত্রকে শিকল পরিয়েছিল, গণতন্ত্রকে বন্দী করেছিল সেই গণতন্ত্রকে মুক্ত করার লক্ষ্যেও ছাত্রলীগ ভূমিকা রেখেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতিই অবদান রেখেছে। সেই ছাত্র রাজনীতি থেকে অনেক দেশ বরেণ্য রাজনীতিবিদের জন্ম হয়েছে যারা দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে, দিচ্ছে। কিন্তু আমি অবাক হয়েছি সেখানে একটি দুঃখজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হয় এবং ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার জন্য আবার সেখানে আন্দোলনও হয়। এটা কোনভাবেই গণতান্ত্রিক নয় এবং হঠকারী সিদ্ধান্ত বলেই আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই আদেশ বাতিল করেছে এবং সেখানে ছাত্র রাজনীতি দুয়ার খুলেছে।
আরও পড়ুন: বিরাজনীতিকরণের নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ছাত্রলীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছাত্রলীগকে বলবো সেখানে যেন নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি হয়, হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি যেন না ঢোকে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি থাকা প্রয়োজন, এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের নেতা তৈরি হয়।
এ সময় নিজের জীবনের উদাহরণ দিয়ে হাছান বলেন, আমি ১৫ বছর বয়সে ক্লাস টেনে পড়ার সময় থেকে ছাত্রলীগের কর্মী, ১৬ বছর বয়সে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক হয়েছি।
মন্ত্রী হাছান বলেন, রাজনীতি যে দেশ ও মানুষের সেবা এবং সমাজ পরিবর্তনের একটি ব্রত, সেটি অনেক রাজনীতিবিদরা ভুলে গেছে, প্রকৃতপক্ষে রাজনীতি কারো পেশা হওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বস্তুগত উন্নয়নের সঙ্গে একটি মানবিক ও সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুকন্যা বহু কল্যাণ ভাতা চালু করেছেন। সেই ব্রত ধারণ করেই আজকে ছাত্রলীগ দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট
সিএনজি বিস্ফোরণ: চালকের পরিবারকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সিএনজি উপহার
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে সিএনজি বিস্ফোরণে নিহত চালক আবদুস সবুরের পরিবারকে একটি নতুন সিএনজি উপহার দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর সহধর্মিণী নুরান ফাতিমা ও ছোট ভাই খালেদ মাহমুদ নিহতের স্ত্রী রুমি আকতারের হাতে সিএনজির চাবি তুলে দেন।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে হাতবোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ২
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই সিএনজি চালক সবুরের জীবন্ত দগ্ধের খবর দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
তিনি চিন্তা করেন নিহতের পরিবারের সদস্যদের বেঁচে থাকার জন্য একটা অবলম্বন প্রয়োজন, আর সেজন্য একটি নতুন সিএনজি কিনে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব।
এনএনকে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ বলেন, আমাদের পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশন থেকে আমাদের এলাকা রাঙ্গুনিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মানবিক সহায়তা দিয়ে থাকি।
তিনি আরও বলেন, সাতকানিয়ার পশ্চিম ঢেমশার সবুরের দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা সারা দেশকে নাড়া দিয়েছে। পরিবারটি আজ নিঃস্ব হয়ে গেছে। সেজন্য তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্ঠা করেছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এমরুল করিম রাশেদ, সাতকানিয়া উপজেলার ৯ নম্বর পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিদুয়ানুল ইসলাম সুমন, ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন ও নিহতের মা ও দুই শিশু সন্তান।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের মাজার পয়েন্ট সেতু এলাকায় সিএনজি সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ভেতরেই দগ্ধ হয়ে আবদুস সবুর নিহত হন। তিনি সাতকানিয়া উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের ইছামতি গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: গরু চুরি করে নিতে না পারায় গরুকে কুপিয়ে জখম, হাতবোমা বিস্ফোরণ
গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
জুলাইয়ে ব্রাজিল সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্রাজিল সফরের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েইরার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান এ সম্ভাবনার কথা জানান।
এর আগে দুই দেশের পক্ষে সামগ্রিক সহযোগিতা বিষয়ে 'টেকনিক্যাল কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট' সই করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. নজরুল ইসলাম, ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন্নেসা, বাংলাদেশে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্ডো দিয়াস ফারসে এবং উভয় দেশের পদস্থ কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশের আগ্রহকে স্বাগত জানালেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘এই প্রথম ব্রাজিলের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন। আমাদের মধ্যে খুব সফল আলোচনা হয়েছে। ব্রাজিল থেকে আমদানি করা তুলা দিয়ে তৈরি পোশাক ব্রাজিলে রপ্তানির ক্ষেত্রে কর মওকুফ ও অন্য পোশাক রপ্তানিতে কর হ্রাসের অনুরোধ জানিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার গেটওয়ে বাংলাদেশে স্পেশাল অর্থনৈতিক অঞ্চলে চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনসহ নানামুখী বিনিয়োগে এবং আইটি পার্কগুলোতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ব্রাজিলিয়ানদের বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন এবং গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর এমনকি পশ্চিমা এইড-ওয়ার্কারদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর হামলা এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে ইসরাইলের তোয়াক্কা না করার সংকট নিয়েও কথা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে আগামী জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্রাজিল সফরের সম্ভাবনা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একযোগে কাজ করা, এন্টার্কটিকা কাউন্সিলে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের কাজ ও গবেষণার সুযোগ দান এবং ব্রিকসে অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশকে ব্রাজিলের সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েইরা তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। আগামীতে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রাজিলের সম্পর্ক আরও বিস্তৃত হবে।
এর আগে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্রাজিল থেকে পশু আনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। এছাড়া তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে শুল্কজনিত সুবিধা দিতে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আহ্বান জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
যৌথ সংবাদ সম্মেলন শেষে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরসঙ্গীসহ তার সম্মানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রদত্ত ইফতার ও নৈশভোজে যোগ দেন।
এ দিন সকালে ঢাকায় অবতরণের পর দুপুরে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পর মন্ত্রী ভিয়েরা গাজীপুরে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শন ও বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জি২০ এর বর্তমান সভাপতি হিসেবে ব্রাজিলের অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলোর ওপর বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
সোমবার রাতে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সম্মানে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংস্থা এফবিসিসিআই আয়োজিত ইফতার ও নৈশভোজে যোগদান শেষে রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিয়েরার ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আজ
রাজনৈতিক দৈত্যের দল বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপিকে একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ' হরর বা ভয়ের সিনেমায় দেখা যায় যে, দৈত্য মানুষ পোড়ায়। বিএনপি যেভাবে মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, তাতে করে এসব বিএনপির বেলায়ও প্রযোজ্য। হরর মুভির মতোই বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল।'
শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে 'একটি দৈত্য সবকিছু খেয়ে ফেলছে' বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক এমন মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আশা করি পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারেক জিয়াই যথেষ্ট, আর কাউকে লাগবে না। যতদিন তারেক জিয়া তাদের নেতা থাকবেন, ততদিন বিএনপির কোনো সম্ভাবনা নেই।'
মন্ত্রী হাছান বলেন, 'প্রকৃতপক্ষে বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু তাদের এই ডাকে দেশের কেউ সাড়া দেয়নি, এমন কী বিএনপির নেতা-কর্মীরাও সাড়া দেয়নি। বাজার আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। অনেক পণ্যের দামও কমেছে।'
তিনি বলেন, ঈদ সামনে রেখেও অসাধু সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় হওয়া কঠোর হস্তে দমনে সরকার বদ্ধপরিকর এবং এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কোনো পণ্যের দাম বাড়লে যেমন প্রচার হয়, দাম কমলে সেটিও গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া দরকার।
সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য চাইলে ড. হাছান বলেন, তাদের সঙ্গে আশেপাশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে। পার্শ্ববর্তী দেশে যারা ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিল তাদের অস্ত্রশস্ত্র এদের কাছে এসেছে বলে জানা গেছে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে, ইতোমধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থাপককে মুক্ত করা হয়েছে। তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি নেতারাই দিশেহারা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অগ্নিসংযোগকারী ও 'রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের' রাজনীতিতে ঢুকতে দেওয়া উচিত নয়: হাছান মাহমুদ
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা আগুন সন্ত্রাসে জড়িত ও ‘রাজনীতির নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে’ তাদের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার অধিকার থাকতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা রাজনীতিবিদ নয়। এরা রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
‘আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করছে’ এমন রাজনীতিবিদদের যারা আর্থিকভাবে সমর্থন করছে তাদের সমালোচনা করেন হাছান।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে বিভিন্ন সময় অগ্নিসন্ত্রাস হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি নেতারাই দিশেহারা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. হাছান আরও বলেন, ‘তারা এখনও সুযোগ খুঁজছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আধুনিক বার্ন ইউনিটের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে, যা ভুটানকে মুগ্ধ করেছে।
তিনি বলেন, কলকাতায় ব্যর্থ চেষ্টার পর দগ্ধ ভুটানের এক নাগরিককে বাংলাদেশে সফলভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হাছান মাহমুদ জানান, বাংলাদেশ থিম্পুতে একটি বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট নির্মাণে সহায়তা করবে। এরই মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে এ বিষয়ে।
আরও পড়ুন: দেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনে কোনো কৃতিত্ব নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী