ইন্দো-প্যাসিফিক
ইন্দো-প্যাসিফিক: বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বাড়াতে চায় ফ্রান্স
সফররত ফরাসি কর্মকর্তা বলেছেন, ফ্রান্স বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চায় এবং জলবায়ু পরিবর্তন এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইন্দো-প্যাসিফিকের দেশগুলোর সঙ্গে ‘উল্লেখযোগ্যভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে অনেক ঘনিষ্ঠ’ সহযোগিতা থাকবে।
বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের ইউরোপ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়ান অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর (সাধারণ রাজনৈতিক অধিদপ্তর) বার্ট্রান্ড লরথোলারি সাংবাদিকদের বলেন, এটি আমাদের একসঙ্গে কাজ করা সাধারণ কাজগুলো বোর্ডে পর্যালোচনা করে নতুন প্রকল্প এবং উদ্যোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার একটি সুবর্ণ সুযোগ দেয়।’
আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে এবং সকলের জন্য বিনিময় করে নেয়া সমৃদ্ধিসহ ‘মুক্ত, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক’ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য ফ্রান্স এবং বাংলাদেশ একই দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে।
এক প্রশ্নের জবাবে লরথোলারি বলেন, দুই দেশ অনেক কিছু করতে পারে এবং সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা সেই প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতার অংশ।
তিনি বলেন, ‘যখন আমরা নিরাপত্তার কথা বলি, তখন আমরা সামুদ্রিক পরিবহনের নিরাপত্তা, সমুদ্রে পণ্য পরিবহন এবং একসঙ্গে অবৈধ মাছ ধরার বিষয়েও কথা বলি। আমরা শান্তিরক্ষা কার্যক্রম নিয়েও কথা বলছি যেখানে বাংলাদেশের একটি লক্ষ্যণীয় অবস্থান রয়েছে।’
এর আগে, ফরাসি কর্মকর্তা বাংলাদেশের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ এবং ইইউ) কাজী রাসেল পারভেজের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, জনগণের সঙ্গে জনগণের আদান-প্রদান, সংযোগ, বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা এবং জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যাসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: জাহাজের শুভেচ্ছা সফর ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক: প্রণয় ভার্মা
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপয়, ডেপুটি হেড অব মিশন গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল এবং ডেপুটি ডিরেক্টর, ফরাসি ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এফডিএ) সেসিলিয়া কর্টেস।
২০২১ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় সফরের কথা উল্লেখ করে ফরাসি কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা একটি সমৃদ্ধ সম্পর্ক উপভোগ করছি। আমাদের একটি খুব মজবুত ভিত্তি রয়েছে।’
হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফরের সময় দুই দেশ তাদের অংশীদারিত্বের প্রতিরক্ষা এবং সুরক্ষা উপাদানকে আরও সমৃদ্ধ করতে তাদের ইচ্ছার কথা জানায়।
সেই লক্ষ্যে উভয় দেশ সংলাপ জোরদার করতে এবং তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে, বিশেষ করে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে, যা সফরের সময় শুরু হয়েছিল।
দুই দেশ আগামী বছর প্যারিসে দ্বিতীয় আলোচনায় বসবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সৌরবিদ্যুত সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহযোগিতা করবে জার্মানি
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস: দূতাবাস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস। ২০২১ সালের হিসেব অনুযায়ী যা এক ট্রিলিয়নের কাছাকাছি।
এছাড়া বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় উৎসও যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে দেশটি ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
পঞ্চম ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরাম আগামী ১২ জানুয়ারি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। যা মানুষদের ইন্দো-প্যাসিফিক এবং মার্কিন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হতে উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতদের প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বুঝতে হবে: মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারিকে শাহরিয়ার আলম
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের সরকার পঞ্চম ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, শিল্প নির্বাহী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের স্বাগত জানাবে।
জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় ও ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরাম (আইপিবিএফ) এর সহযোগিতায় এবং জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে অংশীদারিত্বে মার্কিন বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার আয়োজন
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল জুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এর অংশীদারদের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে উন্নীত করতে দেশটির সরকারি-বেসরকারি অংশগ্রহণের মূল প্লাটফর্ম।
জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত এই আয়োজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অন্যান্য ইন্দো-প্যাসিফিক দেশ এবং সারা বিশ্বের অংশগ্রহণকারীদের জন্য শক্তিশালী ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কের 'সুবিধা ও অসুবিধা' মূল্যায়ন করছে বাংলাদেশ: মোমেন
সব কূটনীতিকদের সম্পূর্ণ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ইইউ ‘অংশীদারি সহযোগিতা’ চুক্তি সই করতে আগ্রহী
বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে একটি ‘অংশীদারি সহযোগিতা’ চুক্তি সই করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তবে এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কারণ এর জন্য ব্যাপক আলোচনা ও সমঝোতার প্রয়োজন রয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এনরিক মোরা এই ধরনের ব্যবস্থার বিষয়ে দুই পক্ষের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রথম ‘রাজনৈতিক সংলাপের’ মাঝামাঝি সময়ে তারা যৌথভাবে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান এবং বৈদেশিক ও নিরাপত্তা নীতির সহযোগিতা জোরদারে উভয় পক্ষ প্রথমবারের মতো উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় মিলিত হয়েছেন।
সংলাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এনরিক মোরা।
সংলাপে শান্তি বিনির্মাণ, সংঘাত প্রতিরোধ, ইন্দো-প্যাসিফিক, ইউক্রেন ইস্যু, সংযোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদের মতো উভয়ের স্বার্থের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর অনুষ্ঠিত হবে: শাহরিয়ার আলম
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের অক্টোবরে, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইএএস) এর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে দেখা করার সময় উভয় পক্ষ রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করতে সম্মত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, জাতি হিসেবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির গতি এবং নতুন আত্মবিশ্বাসকে স্বীকার করেছে ইইউ। ইন্দো-প্যাসিফিকের ওপর আলোকপাতসহ উভয়ের স্বার্থের ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও যুক্ত হওয়ার জন্য আগ্রহী।
আরও পড়ুন: ব্রুনাই থেকে বছরে ১.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি পাবে বাংলাদেশ
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ১২ দেশের সঙ্গে বাইডেনের ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য চুক্তি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার ১২টি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশের সঙ্গে একটি নতুন অর্থনৈতিক চুক্তি করেছেন।
বাইডেনের ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি। যা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মার্কিন উপস্থিতির জানান দেয়ার জন্য এবং মহামারি ও রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের কারণে সৃষ্ট বাণিজ্যিক অস্থিতিশীলতা মোকাবিলায় তার প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্পাদন করা হয়েছে।
সোমবার টোকিও সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে সব সময়েই স্পর্শকাতর। আমরা একসঙ্গে কাজ করে এই অঞ্চলে সমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসবো।'
ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগদানকারী দেশগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। বাইডেন সরকারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এ জোটের হাতে থাকছে বিশ্বের ৪০ শতাংশ জিডিপি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ভালো সম্পর্ক চায় পাকিস্তানের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাইডেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে আলোচনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে মার্কিন অর্থনীতির কিছু ‘সমস্যা’ রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।
কিশিদার সঙ্গে সাক্ষাত করে বাইডেন বলেন, নতুন এই চুক্তি এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে মার্কিন সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলবে।
দেশগুলো একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, করোনাভাইরাস মহামারি এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কারণে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতার পরে এই চুক্তিটি সম্মিলিতভাবে তাদের ‘অর্থনীতিকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে’ সাহায্য করবে।
যৌথ বিবৃতিতে জোট সদস্যরা আরও জানিয়েছেন, 'এই জোটের মূল উদ্দেশ্য অর্থনীতিতে স্থিতিস্থাপকতা, স্থায়িত্ব, অন্তর্ভুক্তিকরণ, ন্যায্যতা ও সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি করা। এই জোটের মাধ্যমে আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, উন্নতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাব।'
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছে,চুক্তিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এশিয়ান অর্থনীতিগুলোকে সরবরাহ শৃঙ্খল, ডিজিটাল বাণিজ্য, পরিচ্ছন্ন শক্তি, কর্মীদের সুরক্ষা এবং দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টাসহ আরও বিভিন্ন বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সহায়তা করবে।’
সদস্য দেশগুলোর মধ্যে এখনও বিশদ আলোচনা করা দরকার। কারণ শুধু মার্কিন প্রশাসনের পক্ষে বলা কঠিন যে এই চুক্তিটি কীভাবে মার্কিন কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়িকদের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে এবং বৈশ্বিক চাহিদা মেটাবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ একটি 'গণহত্যা': বাইডেন
বাইডেন-মোদি ভার্চুয়াল বৈঠক আজ
ইন্দো-প্যাসিফিকে নিরাপত্তা জোরদার করতে ঢাকা-ওয়াশিংটনের আলোচনা
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ওয়েন্ডি শেরম্যান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট শেরম্যান মানবাধিকার, আইনের শাসন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: মার্কিন আইনপ্রণেতাদের ভূমিকা রাখার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
গত ৪ এপ্রিল বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে।
বৈঠকের পর শেরম্যান এক টুইটবার্তায় লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক ইস্যুতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
৪ এপ্রিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেয়ার বিষয়টি দ্রুত ফয়সালা হওয়া উচিত: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের সহায়ক: জাপান
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘস্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা, তাদের ‘মুক্ত ও অবাধ ইন্দো-প্যাসিফিক’-এর জন্য সহায়ক হবে।
বুধবার ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস জানিয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ভাসান চরে তাদের কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য প্রথম দাতা হিসেবে জাপান ইউএনএইচসিআর এবং ডব্লিউএফপিকে ২০ লাখ মার্কিন ডলার অর্থায়ন করেছে।
তারা আরও জানিয়েছে, মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা চালিয়ে কক্সবাজার ও ভাসান চরের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উন্নত জীবনযাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আরও সহযোগিতা করবে জাপান।
সম্প্রতি রাষ্ট্রদূত নাওকি ভাসানচর পরিদর্শন করেন। যেখানে ২৫ হাজারেরও বেশি ‘রোহিঙ্গা’ শরণার্থী বসবাস করে।
জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়াও দুই দিনের এই মিশনে যোগ দেন।
এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল জাপানের অর্থায়নের অধীনে চলমান কার্যক্রমের পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতে জাইকার সম্ভাব্য দ্বিপক্ষীয় সহায়তা অন্বেষণ করা।
জাপান সফরের একই দিনে দ্বীপে স্থানান্তরিত দুই হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাসহ প্রতিনিধি দলটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এলসিইউতে ভাসানচরে চলে যায়।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস দমনে র্যাবের ভূমিকা স্বীকৃত, তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সময় লাগবে: ব্লিনকেন
ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাব: জয়শঙ্কর
২০২১ সালকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত উল্লেখ করে বাংলাদেশ ও ভারত চলতি বছর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার প্যারিসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সাথে বৈঠক করেন এবং দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করেন।
বিশেষ করে তারা জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) পরবর্তী বৈঠকের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেন।
বৈঠকের পর জয়শঙ্কর এক টুইটে বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ২০২১ সালটি ছিল দুর্দান্ত। ২০২২ সালে এটিকে আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
পড়ুন: চীন শুধু ‘অর্থের ঝুড়ি’ নয় ‘সাশ্রয়ী’ প্রস্তাবও দেয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জয়শঙ্কর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠককে ‘চমৎকার’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বৈঠকটি করতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন।
আজ (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সহযোগিতা নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে ড. মোমেন এখন প্যারিসে রয়েছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধি ছাড়াও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রায় ৩০টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
পড়ুন: জলবায়ু অর্থ চুক্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ভূরাজনীতি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক বাস্তবায়নে সহায়ক হবে: জাপান
ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর (ইউএনবি)-রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে জাপান কাজ অব্যাহত রাখবে উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক বাস্তবায়ন করতে সহায়ক হবে। বুধবার তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এ সংকটের একটি টেকসই সমাধান অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক বাস্তবায়নের জন্য সহায়ক হবে।’
জাপানি রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন জাপান, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওগুলোর সহযোগিতায় রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্বাগতিক বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের উন্নত জীবনযাত্রায় অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গারা নিরাপদে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই চায় না: জাতিসংঘ
ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল ঠিক করবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের কৌশল কি হবে তা নিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
বুধবার ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) সম্মেলন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক সম্পর্কে আমাদের কৌশল পরিষ্কার করব। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তারা এই অঞ্চলে কোনো একক দেশ বা গোষ্ঠীর আধিপত্যের পরিবর্তে একটি মুক্ত, শান্তিপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল দেখতে চান।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের যৌথ বিবৃতি উল্লেখ করে বলেন, যেখানে ইন্দো-প্যাসিফিকের একটি অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফ্রান্সে সরকারি সফরে যান।
আরও পড়ুন: সমুদ্র অর্থনীতির ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে এবং সকলের জন্য ভাগ করে নেয়া সমৃদ্ধিসহ একটি ‘মুক্ত, অবাধ, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক’ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশ এবং ফ্রান্স একই দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নিয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ মোমেন বলেন, কিছু দেশ ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল নিয়ে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে এবং এই দেশগুলো তাদের নীতি আলাদাভাবে শেয়ার করছে।
তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নিজেদের অবস্থান এবং ইইউতে থাকা কিছু দেশের নাম উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আইওআরএ- এর মতো একটি বৈঠকে ইন্দো প্যাসিফিক কৌশল (আইপিএস) বিষয়ে একমত হওয়া কঠিন হতে পারে।
তিনি বলেন, আইওআরএ-এর সদস্য দেশগুলো তাদের ধারণা শেয়ার করতে পারবে। আগামী জুলাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এবং ওই বৈঠকে আইওআরএর আইপিএস নির্ধারণ স্পষ্ট হবে।
আরও পড়ুন: যোগাযোগ প্রযুক্তি ও সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজে আগ্রহী মাদাগাস্কার
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে মিয়ানমারকে শক্তিশালী বার্তা পাঠাবে ইন্দোনেশিয়া
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে জলবায়ু ঝুঁকি তীব্রতর হচ্ছে: জাতিসংঘ
এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জলবায়ু সম্পর্কিত ঝুঁকিসমূহ তীব্রতর হচ্ছে এবং ঝুঁকিতে থাকা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত করছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক অবনতি থেকে রক্ষা করতে নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই জলবায়ু সহনশীলতা এবং অভিযোজন ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে সোমবার জাতিসংঘের কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীলতা তৈরি’ নামে এই প্রতিবেদনটি ইফাদের সহায়তায় অ্যাডাপটেশন ফর স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল প্রোগ্র্যাম (এসাপ)- এর মূল ফলাফল এবং অর্জিত অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষা পর্যালোচনা করে করা হয়েছে।
২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চলমান এসাপ কর্মসূচিটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অভিযোজন এবং প্রশমন করতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে ৩০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশ, ভুটান, কম্বোডিয়া, লাওস, নেপাল ও ভিয়েতনামে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে পাঁচ লাখ ১০ হাজারের বেশি ক্ষুদ্র কৃষি পরিবারকে সহায়তার মাধ্যমে কর্মসূচিটি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।
প্রতিবেদনটি গ্রামীণ জনগণের জীবন ও জীবিকার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব, অভিযোজন এবং প্রশমনে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সহায়তায় ইফাদের বহুমুখী, কার্যকরী এবং উদ্ভাবনী পদ্ধতিগুলো তুলে ধরে।
এই প্রতিবেদনটি এই অঞ্চলে গৃহীত সফল কর্মপ্রক্রিয়া ও পন্থাসমূহ ও স্কেল-আপের সুযোগ পর্যালোচনা করে যা কি না এসাপ কার্যক্রমের আরেকটি নতুন পর্যায়, ‘এনহ্যান্সড অ্যাডাপটেশন ফর স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল প্রোগ্র্যাম (এসাপ+)’ এর জন্য দৃঢ় একটি ভিত্তি স্থাপন করে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা ১০ মিলিয়ন মানুষের, বিশেষ করে নারী ও যুবকদের, জলবায়ু সহনশীলতাকে সহায়তা করার জন্য এসাপ+ জলবায়ু অর্থায়নে সম্ভাব্য অতিরিক্ত ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যোগ করছে।
ইফাদের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক জলবায়ু ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ কিসা এমফালিলা বলেন, ‘প্রায়ই ক্ষুদ্র উৎপাদকরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ক্ষেত্রে সহনশীলতা বৃদ্ধির জন্য কী করা দরকার তা জেনে থাকেন, আমরা তাদের যথাযথ অর্থের যোগান ও প্রযুক্তিতে অভিগম্যতা দিয়ে সহায়তা করতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কৃষকরা সময়ের সাথে সাথে অনেক সফল অভিযোজন কৌশল তৈরি করেছে বলে প্রতিবেদনটি নিশ্চিত করে এবং এই স্থানীয় জ্ঞান ব্যবহার করার জন্য আমাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।’
বুধবার বিকাল ৩টায় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন কপ-২৬ এ ইফাদ প্যাভিলিয়নে একটি লাইভ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে এক ভার্চুয়াল-ফিল্ড ট্রিপে বাংলাদেশের (রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত) ক্ষুদ্র কৃষকরা জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ-খাইয়ে নিতে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা পরিদর্শন করা হবে। তথ্যচিত্র নির্মাতা কাসা আলমের সাথে দর্শকরা বাংলাদেশে ভার্চুয়াল ভ্রমণের মাধ্যমে ইফাদ প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী কৃষকদের জলবায়ু সম্পর্কিত প্রতিবন্ধকতা এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অভিযযোজন কৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে কোনো দেশ সুরক্ষিত নয়: প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলো হলো: দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি এবং প্রভাবের দ্রুত মূল্যায়ন করতে প্রযুক্তির ব্যবহার, স্থানীয় জনগণের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান এবং সৃজনশীলতাকে কাজে লাগানো।
ক্ষুদ্র কৃষকরা অনেক সফল অভিযোজন কৌশল তৈরি করেছে, সেগুলো চিহ্নিত, পরিমার্জিত, পরিচিত করা এবং দ্রুত ও পর্যাপ্ত অর্থায়ন করা।
স্থানীয়দের তৈরি সমাধানগুলোকে আরও উন্নত এবং এদের গ্রহণযোগ্যতাকে দ্রুততর করতে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্ব ব্যবহার করা। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতির যোগান, পরামর্শ পরিষেবা, প্রযুক্তি সমাধান, পণ্য বাজারজাত লাভজনক করে বাজার অভিগম্যতা নিশ্চিত করতে সরকারি খাতের উদ্যোগগুলোকে বেসরকাতি খাতের সাথে সমন্বয় করা।
সফল অভিযোজন কৌশলগুলো গ্রামীণ সম্প্রদায়গুলোতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গৃহীত হবে তখনই যখন বাধা অপসারণ করা হবে এবং অর্থায়ন পাওয়া যাবে। সহায়ক নীতি কাঠামো থাকলে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি খাত পর্যাপ্ত অর্থ ও পরামর্শমূলক পরিষেবা প্রদান করলে ক্ষুদ্র কৃষকরা দ্রুত উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্ভাবন গ্রহণ করবে।
জলবায়ু সহনশীলতা বাড়ানোর উদ্যোগগুলোকে সহায়তা করার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে যা কি না মহামারিসহ অন্যান্য প্রতিকূল ঘটনা থেকেও রক্ষা করবে। উৎপাদক, সরবরাহকারী, ক্রেতা এবং অন্যান্য অংশীদারদের বিনিময় সহজতর করতে এবং কোভিড-১৯ মহামারির মতো বাহ্যিক অভিঘাতে কৃষক ও খাদ্য শৃঙ্খলের ঝুঁকি কমাতে প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলো সহায়তা করতে পারে।
পড়ুন: জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বৃহত্তর অর্থায়ন চান হাসিনা ও প্যাট্রিক
ঢাকা-প্যারিস সম্পর্ক উন্নয়নে ফ্রান্স সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী