নয়াপল্টন
ডিবি প্রধান ও আরও ৯জনের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ আদালতে খারিজ
বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে ‘ভাঙচুর’ করার অভিযোগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন অর রশীদ এবং আরও নয়জনের বিরুদ্ধে বিএনপির দায়ের করা অভিযোগ রবিবার খারিজ করে দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
এর আগে এদিন সকালে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর (সিএমএম) আদালতে এ অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: ‘নয়াপল্টন কার্যালয় ভাঙচুর’: ডিবি প্রধান ও আরও ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের বিএনপির
তবে আদালত অভিযোগ খারিজ করে দেন বলে ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরমান হোসেন ইউএনবিকে জানান।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হন।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ৪৭০ বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে পল্টন ও মতিঝিল থানায় দুটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ
নয়াপল্টনের ঘটনায় ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি বিএনপির
‘নয়াপল্টন কার্যালয় ভাঙচুর’: ডিবি প্রধান ও আরও ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের বিএনপির
গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি) প্রধান হারুন অর রশীদ ও আরও নয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকার একটি আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
রবিবার বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর (সিএমএম) আদালতে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দিও রেকর্ড করেছেন বলে জানিয়েছেন নাজিমের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ
তবে মামলা গ্রহণের বিষয়ে আদালত এখনো কোনো আদেশ দেননি বলে ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরমান হোসেন জানান।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হন।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ৪৭০ বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে পল্টন ও মতিঝিল থানায় দুটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
নয়াপল্টনের ঘটনায় ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি বিএনপির
আগামী ২৫ জানুয়ারি দেশব্যাপী সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ তাদের ১০ দফা দাবি জানাতে ২৫ জানুয়ারি দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সকল মহানগর ও জেলা সদরে এ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাকশাল শাসন চালু হয় এবং গণতন্ত্র ধ্বংস হয়। সেজন্য সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতাদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি জানাতে আগামী ২৫ জানুয়ারি বিএনপি সব শহর ও জেলায় দেশব্যাপী সমাবেশ করবে।’
এর আগে বিএনপিসহ অন্যান্য সমমনা বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীরা তাদের ১০ দফা দাবি জানাতে এবং সরকারের বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনার প্রতিবাদে নয়াপল্টন এলাকায় সমাবেশ ও মিছিল করেন।
সকল মহানগর, জেলা শহর, উপজেলা ও পৌরসভা সদরে একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
গত ১১ জানুয়ারি বিএনপি দেশব্যাপী সোমবার (১৬ জানুয়ারি) কর্মসূচি ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: 'আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সরকারকে পতনে বাধ্য করবে': ফখরুল
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১১ জানুয়ারি নয়াপল্টনে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, বিজয় নগর পানির ট্যাঙ্কের কাছে ১২ দলীয় জোট, পুরানা পল্টনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এফডিসি ক্রসিংয়ে এলডিপি, জাতীয় প্রেসক্লাবের পূর্ব পাশে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এবং আরামবাগে গণফোরাম (মন্টু) পৃথকভাবে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করে এবং ১৬ জানুয়ারি সারাদেশে সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে।
যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপিসহ অন্যান্য সমমনা বিরোধী দল, জোট ও সংগঠন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীসহ দেশের ৯টি বিভাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের ‘জনবিরোধী’ সিদ্ধান্ত: ফখরুল
ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে আরও জেগে ওঠুন: জনগণের প্রতি ফখরুল
নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: ফখরুল-আব্বাসকে হাইকোর্টে ৬ মাসের জামিন
গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে মঙ্গলবার ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন মঞ্জুর করেন।
একই সঙ্গে বিএনপির দুই নেতাকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: ফখরুল-আব্বাসকে আগেই ডিভিশন দেয়া উচিত ছিল: হাইকোর্ট
বিএনপি নেতাদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির।
এর আগে, সোমবার বিএনপি নেতাদের জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
তাদের পক্ষে জামিন চেয়ে পৃথক আবেদন করেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন।
গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসাদুজ্জামান চতুর্থবারের মতো বিএনপি নেতাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।
গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
পরে রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ঢাকার একটি আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালত ফখরুল ও আব্বাসসহ বিএনপির ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর আবারও দুই বিএনপি নেতার জামিন আবেদন খারিজ হয়।
ঢাকার একটি আদালত ৯ ডিসেম্বর তাদের ডিভিশন সুবিধা দেয়ার নির্দেশ দেন এবং এরপর ১৩ ডিসেম্বর থেকে ডিভিশন সুবিধা দেয়া হয়।
তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার প্ররোচনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত এবং প্রায় ৫০ জন আহত হন।
বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় রমনা, শাহজাহানপুর, মতিঝিল ও পল্টন থানায় ৭২০ বিএনপি নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতপরিচয় দুই হাজার ৪০০ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে পুলিশ।
নয়াপল্টন থানায় করা মামলায় বিএনপির ৪৫০ জন, মতিঝিল থানার মামলায় ২০ জন এবং শাহজাহানপুর থানার মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: ফখরুল-আব্বাসের জামিন চতুর্থ দফায় নামঞ্জুর
ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর
নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: ফখরুল-আব্বাসের জামিন চতুর্থ দফায় নামঞ্জুর
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন চতুর্থবারের মতো না মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মামলায় তাদের জামিন দেননি বিচারক।
বুধবার তাদের আইনজীবীরা জামিন চাইলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসাদুজ্জামান আবেদন নাকচ করে দেন।
বিএনপি নেতাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ বলেন, এই মামলায় চতুর্থবারের মতো বিএনপির শীর্ষ নেতাদের জামিন নামঞ্জুর করা হলো।
আরও পড়ুন: ফখরুল-আব্বাসকে আগেই ডিভিশন দেয়া উচিত ছিল: হাইকোর্ট
গত ৯ ডিসেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল অভিযান রাজধানীর তাদের বাসায় চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে তুলে নিয়ে যায়।
পরে রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ঢাকার একটি আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালত ফখরুল ও আব্বাসসহ বিএনপির ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
এরপর ১৫ ডিসেম্বর এ মামলায় বিএনপির দুই নেতার জামিন আবেদন আবারও খারিজ করে দেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকার একটি আদালত ৯ ডিসেম্বর তাদের ডিভিশন সুবিধা দেয়ার নির্দেশ দেন এবং এরপর ১৩ ডিসেম্বর থেকে ডিভিশন সুবিধা দেয়া হয়।
তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার প্ররোচনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে ৭ ডিসেম্বর দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে একজন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত এবং প্রায় ৫০ জন আহত হন।
বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় রমনা, শাহজাহানপুর, মতিঝিল ও পল্টন থানায় ৭২০ বিএনপি নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতপরিচয় দুই হাজার ৪০০ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করে পুলিশ।
নয়াপল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির ৪৫০ জন, মতিঝিল থানার মামলায় ২০ জন এবং শাহজাহানপুর থানার মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর
ফখরুল ও আব্বাসকে কারাগারে প্রথম শ্রেণীর বন্দীর মর্যাদা দেয়া হয়েছে: রাষ্ট্রপক্ষ
নয়াপল্টনে নিজেদের কার্যালয় ভাঙচুরের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির
বিএনপি গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের হামলায় ৫০ দশমিক ৫ লাখ টাকার মূল্যবান জিনিসপত্রের ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে এবং এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে।
রবিবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ার চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয় থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক, নথিপত্র, ব্যাংকের কাগজপত্র ও নগদ টাকা লুট করা আসলে ডাকাতির ঘটনা।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: বিএনপির ৫ নেতাকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
মোশাররফ বলেন, ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি অভিযানের পর ৭ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতাসীন দলের দুর্বৃত্তরা সম্পত্তি ভাঙচুর ও লুটপাটে অংশ নেয়।’
তিনি বলেন, পুলিশ যেভাবে কোনো অফিস বা বাসভবনে তল্লাশির সময় মালিক ও নিরপেক্ষ পক্ষকে সাক্ষী রাখার সাধারণ আইন লঙ্ঘন করেছে, তা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর তৎপরতার কথা মনে করিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং এর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি এবং বিচার চাই।
এ ছাড়া খন্দকার মোশাররফ অবিলম্বে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ গ্রেপ্তার হওয়া দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিএনপি আদালতে যাবে কি না জানতে চাইলে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছি, দেখব কী হয়। এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
৭ ডিসেম্বর, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: নাজমুল হুদাকে ‘তৃণমূল বিএনপি’র নিবন্ধন দেয়ার রায় আপিলে বহাল
বিএনপির ৫ সংসদ সদস্যের শূন্য আসনে উপনির্বাচন ১ ফ্রেব্রুয়ারি
তদন্তের স্বার্থে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ: তথ্যমন্ত্রী
তদন্তের স্বার্থে বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘যে অফিসে তাজা বোমা পাওয়া গেছে, সে অফিসে তন্নতন্ন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশি করবে এটা খুবই স্বাভাবিক। বোমার সঙ্গে সেখানে অন্যান্য কোন মরণাস্ত্র আছে কিনা তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেখতেই হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ সফল করতে সরকার সহায়তা করছে: তথ্যমন্ত্রী
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে 'বঙ্গবন্ধুর তিন প্রজন্মের রাজনীতি'-শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ‘ভাঙচুর’ করার অভিযোগের বিষয়ে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তদন্তের স্বার্থে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে।’
তল্লাশি অভিযানের সময় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়াবাড়ি করায় বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ১০ ডিসেম্বর তারা প্রচন্ডভাবে ‘ফ্লপ’ করেছে। সে কারণে তারা মুখরক্ষার জন্য নানা ধরনের অভিযোগ-অনুযোগ উপস্থাপনের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের জানা প্রয়োজন: ঢাকায় বলীখেলায় তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিক্ষোভ করবে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের তৎপরতার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ করবে বিএনপি। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এছাড়া তাদের দলের সকল মহানগর ও জেলা শাখা গোলাপবাগের সমাবেশ থেকে ঘোষিত পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী একই মাঠে একই দিনে গণমিছিল করবে।
আরও পড়ুন: ২৪ ডিসেম্বর থেকে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন শুরু করবে বিএনপি
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের পর এটিই হবে বিএনপির নয়াপল্টনে প্রথম কর্মসূচি।
পুলিশি অভিযানের চারদিন পর রবিবার দুপুরে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলে দেয়া হয়।
এর আগে, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে ৭ ডিসেম্বর দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
গত ৮ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালত ৭ ডিসেম্বর সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দু’টি মামলায় এ্যানি ও সালামসহ ৪৪৫ বিএনপি নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠায়।
এছাড়া গত ৯ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
ওই মামলায় মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান ঢাকার একটি আদালত।
পরে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশি অভিযানের ৪ দিন পর খুলল বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়
স্পিকারের কাছে বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র জমা
পুলিশি অভিযানের ৪ দিন পর খুলল বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়
রাজধানীর নয়াপল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি)কেন্দ্রীয় কার্যালযয়ে পুলিশি অভিযানের পর চার দিন বন্ধ থাকার পর রবিবার দুপুরে আবার খুলে দেয়া হয়।
দুপুর ১টার দিকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের নেতৃত্বে কয়েকজন বিএনপি নেতা বিএনপি কার্যালয়ে যান এবং দুপুর সোয়া ১টার দিকে কয়েকজন আইনজীবী ও সাংবাদিক নিয়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
পরে তারা পুরো কার্যালয় পরিদর্শন করেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমরান সালেহ বলেন, পুলিশ অফিসের আসবাবপত্র ও মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে। তারা অফিসের কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি জব্দ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ অফিসে যে ক্ষতি করেছে, আমরা তার একটি তালিকা তৈরি করব।’
ভাঙচুরের কারণে কার্যালয়ের সর্বত্র কাঁচের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় আইনজীবী, সাংবাদিক ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাবধানে অফিসে প্রবেশ করতে বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্পিকারের কাছে বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র জমা
বিএনপির সংবাদ সম্মেলন বিকাল ৩টায়
বিএনপির দুই শীর্ষ নেতাকে আটক ও নয়াপল্টনে সমাবেশ করা নিয়ে অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার বিকাল ৩টায় সংবাদ সম্মেলন করবে বিএনপি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিকাল ৩টায় গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে দলের দুই শীর্ষ নেতার আটকের বিষয়ে তাদের পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা অনলাইনে বৈঠক করছেন, যা সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে শুরু হয়।
শুক্রবার ভোরে বিএনপি জানায়, সাদা পোশাকে পুলিশ মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির কার্যালয়ে বোমাগুলো পুলিশ রেখেছিল: ফখরুল
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ: বিএনপি
১০ ডিসেম্বর সমাবেশস্থল: ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবে বিএনপির ২ সদস্যের প্রতিনিধি দল