নয়াপল্টন
৭ সপ্তাহ পর বিজয় দিবসে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
৪৯ দিন পর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে তাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালযয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করেছে বিএনপি।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সমাবেশে অংশ নিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শত শত বিএনপি নেতা-কর্মী জড়ো হন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান তার বক্তব্যে বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের নামে প্রহসন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।
বর্ণাঢ্য জনসভার আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের এমন তামাশা করার জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি’
দুপুর আড়াইটার দিকে বিরোধী দলের অনুসারীরা নয়াপল্টন থেকে র্যালি বের করে এবং বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে কাকরাইল হয়ে মালিবাগ পর্যন্ত বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নয়াপল্টনে এসে এটি শেষ হয়।
২৮ অক্টোবর দলটির সমাবেশ পণ্ড হওয়ার পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের ভয়ে দলের অধিকাংশ নেতা আত্মগোপনে চলে যান।
আরও পড়ুন: শনিবার নয়াপল্টনে বিজয় দিবসের সমাবেশ করবে বিএনপি
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২০ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখনও বন্ধ থাকায় বেলা ১১টা থেকে ছোট ছোট মিছিলে দলের নেতা-কর্মীরা এর সামনে জড়ো হতে থাকেন।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে সমাবেশে রাজধানীসহ আশপাশের জেলা ও উপজেলা থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
সমাবেশের আগে দেওয়া বক্তৃতায় নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের জনগণ এ ধরনের একতরফা নির্বাচন দেখতে চায় না এবং তারা ৭ জানুয়ারি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভোটকেন্দ্রে যাবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ না থাকায় ক্ষমতাসীন দলকে নিজ দলের 'ডামি প্রার্থী' দিতে হচ্ছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘যেভাবে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে, সবাই জানে কে এমপি হবেন।’
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন
নজরুল বলেন, বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়াই নির্বাচনের নামে খেলা খেলতে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে।
এর আগে দলটি ৫২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
সকাল ১০টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. মঈন বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ, গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের লাখ লাখ মানুষ রক্ত ঝরিয়েছিল এবং জীবন উৎসর্গ করেছিল।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আওয়ামী লীগ দেশের কোটি মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে অকালে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তারা চরম দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে।’
মঈন বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পর আওয়ামী লীগের কাছে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রশ্ন করা উচিৎ, কেন তারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দাবি করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধ্বংস করে বাংলাদেশে একদলীয় স্বৈরাচারী সরকার বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেছে।
পরে তারা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দেন।
আরও পড়ুন: সোমবার বিএনপির হরতাল
এসময় বিএনপি নেতারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতও করেন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল, মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, তাইফুল ইসলাম টিপু, রফিক শিকদার, নিপুণ রায় উপস্থিত ছিলেন।
সারাদেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করছে বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট ও অঙ্গ সংগঠন।
এর আগে সকালে তারা বিজয় দিবস উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতি বিজয় দিবস উদযাপন করছে।
২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে ও রাজারবাগে নাশকতার সঙ্গে জড়িত ছাত্রদলনেতা গ্রেপ্তার: ডিএমপি
রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার (২২ নভেম্বর) ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও কার্যালয়) মহিদ উদ্দিন ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নাশকতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিএমপির
তিনি জানান, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি সেই দিনের সহিংসতার মাস্টারমাইন্ড এবং শামীমের নেতৃত্বে বিএনপি কর্মীরা বিএনপি কার্যালয় ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের কাছে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালায়।
ব্রিফিংয়ে মাহিদ আরও বলেন, শামীম গত ২৬ অক্টোবর পরিকল্পনা তৈরি করে ২৮ অক্টোবর তা বাস্তবায়ন করেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ওই দিন ভিডিও ফুটেজে সহিংসতার সঙ্গে শামীমের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতার নির্দেশে শামীম নয়াপল্টনে বিশাল সমাবেশের আগের দিন দনিয়া ফুটওভার ব্রিজ থেকে মারুফ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি ব্যাগ সংগ্রহ করেন। ২৮ অক্টোবর বোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে তারা তাদের পরিকল্পনা সফল করেছে।
এছাড়া গত ৫ অক্টোবর সবুজবাগের গ্রিন মডেল টাউনে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় শামীমের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
বুধবার ভোরে রাজধানীর পল্লবী-১১ নম্বর এলাকায় বাসমতি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার সময় মারুফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মাহিদ বলেন, বিএনপির কাউন্সিলর সাজ্জাদ ও জসিমের নির্দেশে মারুফ তিন হাজার টাকা খরচ করে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: ইসি ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে: ডিএমপি
বিএনপি নিজেই নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
বিএনপি নিজেই নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
বিএনপি নিজেই নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, বিএনপি নিজেই নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে এবং তারা চাইলেই কার্যালয়ে নিজেদের কার্যক্রম চালাতে পারে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সম্প্রতি বিভিন্ন নাশকতার ঘটনায় আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সারা বছর পুলিশ পাহারা দেয়। নিয়মিত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে সেখানে পাহারা দিচ্ছে পুলিশ। গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে তারা চাইলে অফিসে বসে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগকারীদের ধরতে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা ডিএমপি কমিশনারের
এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, পার্ক করা গাড়িগুলো পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এ সকল হামলা বন্ধে পুলিশ কাজ করছে। মাঠ পর্যায়ে আমরা বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি। ফলে, আমরা জনসাধারণের সহায়তায় অনেক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।
এসব সহিংস কর্মকাণ্ড বন্ধে জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন ডিএমপি কমিশনার।
এ সময় কমিশনার ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, এই নৃশংসতার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সব প্রক্রিয়া চলছে।
নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সবাই যেখানেই থাকুক না কেন ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: ফখরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
নয়াপল্টনে সহিংসতায় যুবদল নেতা নিহত, বিএনপির এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মী আহত: ফখরুল
বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টনে 'পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের হামলায়' যুবদলের এক নেতা নিহত ও এক হাজারের বেশি বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দলটি।
মুগদা থানা যুবদল নেতা শামীম মোল্লা ‘পুলিশের গুলিতে’ নিহত হয়েছেন বলে শনিবার এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির মহাসমাবেশে পরিকল্পিতভাবে হামলা ও গুলি করে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল নেতা শামীম নিহত হয়েছেন।’
যুবদল নেতা হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে হরতালের ডাক দিল বিএনপি
এছাড়া বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
ফখরুল আরও বলেন, সহিংসতায় অনেক গণমাধ্যমকর্মীও আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, আহত বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিএনপির এই নেতা আরও দাবি করেন, শনিবার থেকে তাদের দলের তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দুই হাজারের বেশি বিএনপি নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা: ডিবি
এদিকে যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন জানান, নয়াপল্টনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে শামীম আহত হন এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
তবে পুলিশ জানায়, পেশায় গাড়িচালক শামীম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও হাসপাতালের পরিচালক রেজাউল হায়দার বলেন, শামীম সম্ভবত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলছে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিএনপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নয়াপল্টন
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে রাজধানীর নয়াপল্টন।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির নির্ধারিত জনসভাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
সংঘর্ষের পর কর্মসূচির মাঝপথে বিএনপির মহাসমাবেশ স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাক্টরের ধাক্কায় সাইকেল আরোহী নিহত
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চ ও নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় ত্যাগ করেন।
এদিকে মঞ্চ ছাড়ার আগে ফখরুল রবিবার (২৮ অক্টোবর) সারাদেশে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতালের ডাক দেন।
বিএনপি নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করায় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে বলে জানা গেছে।
এদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ধাওয়ায় নয়াপল্টনের বিভিন্ন গলি-গলিতে অবস্থান নিয়ে পুলিশ ও অন্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল, পাথর ও অন্যান্য বস্তু নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: সালথায় রণক্ষেত্র: নিহত এক, আটক ৩
রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা: ডিবি
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলছে
নির্দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক দফা দাবিতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন এবং বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ আগামী নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
আরও পড়ুন: কাকরাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মী আটক
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নির্দেশ অমান্য করে শুক্রবার বিকালে কয়েক হাজার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হয়ে রাতভর অবস্থান করেন।
ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড এবং দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি নিয়ে সারা দেশ থেকে বিরোধী দলের অনুসারীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত সড়ক ও গলিগুলোতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপচে পড়া ভিড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সমাবেশের বিস্তৃত জনতা আশেপাশের সড়ক, রাস্তা, গলি এবং নানা স্থানে ছড়িয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: শনিবারের সমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপি নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছে
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের জন্য হাজারো মানুষের ঢল
বিএনপির এক দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল উপস্থিতিতে আজ (শনিবার) সকাল থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করে দলটির নেতা-কর্মীরা।
জ্যেষ্ঠ নেতাদের নির্দেশ অমান্য করে শুক্রবার বিকালে কয়েক হাজার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হয়ে রাতভর অবস্থান করেন।
আজ সকাল ৯টার দিকে সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী আসছেন।
আরও পড়ুন: কাকরাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মী আটক
রঙিন টুপি পরে, ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি হাতে নিয়ে তারা সমাবেশস্থলে এসে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন।
কাকরাইল থেকে আরামবাগ পর্যন্ত সড়ক ও গলি বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপচে পড়ায় ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দলের অনেক নেতা-কর্মী অভিযোগ করেন, ঢাকার প্রবেশপথ ও বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তল্লাশি ও ব্যারিকেডের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে ‘এক দফা’ আদায়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করেছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: শনিবারের সমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপি নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছে
নয়াপল্টনেই বিএনপির সমাবেশ করতে হবে: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আগামী ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাদের বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ করতে হবে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'পেশিশক্তি' হিসেবে কাজ করায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে মন্ত্রীদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘ডিএমপি কর্মকর্তারা বলেছেন, যেখানেই অনুমতি দেওয়া হবে সেখানেই বিএনপিকে সমাবেশ করতে হবে। এই বক্তব্য প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের জনগণ এখন পরাধীন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সকল কর্মকাণ্ড ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা এখন পুলিশের ছাড়পত্রের ওপর নির্ভর করবে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছেন ৩ চিকিৎসক
তিনি বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। সর্বস্তরের মানুষের অভূতপূর্ব অংশগ্রহণে নয়াপল্টনে অবশ্যই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এটি (নয়াপল্টন) সঠিক জায়গা যেখানে আমরা বেশ কয়েকবার শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছি।
বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে সারা দেশের মানুষ অব্যাহত গণগ্রেপ্তার ও সকল দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে ঢাকার দিকে ছুটে আসতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, 'পুলিশ কর্মকর্তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, দেশের মালিক নয়। কোন রাজনৈতিক দলের সভা কোথায় হবে তা তারা কীভাবে ঠিক করবে? বিএনপি একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল, যার বেশ কয়েকবার দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিএনপি কি জানে না কোথায় সমাবেশ করতে হবে?
বিএনপির সমাবেশের অনুমতি নিয়ে ডিএমপি কর্মকর্তাদের বক্তব্য রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিতে সরাসরি বাধা ও হস্তক্ষেপের শামিল বলে দাবি করেনে বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: কোনো কিছুই ২৮ অক্টোবরের বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে পারবে না: ফখরুল
তিনি বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে 'অবৈধ' প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশের ক্ষোভ তাদের বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে সমানভাবে ফুটে উঠছে।
রিজভী বলেন, 'তারা (প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশ) মনে করে আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের লোকজন দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আক্ষরিক অর্থেই শেখ হাসিনার পেশী হিসেবে কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা এবং পুলিশ কর্মকর্তারা বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তাদের বক্তব্য ও হুমকি দিয়ে ঢাকাকে আতঙ্কের শহরে পরিণত করতে চায়।
তিনি বলেন, র্যাবের সদস্যরা চেকপয়েন্ট বসিয়ে রাজধানীর প্রবেশপথে তল্লাশির নামে মানুষকে হয়রানি করছে এবং পুলিশের সদস্যরা বিএনপি নেতা-কর্মী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার ও পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে লাঞ্ছিত করছে।
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার-তল্লাশির ক্ষমতা আনসারদের দেওয়ার সরকারের উদ্যোগ প্রত্যাখান বিএনপির
নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ চলছে
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দল ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে সমাবেশ শুরু হয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে বুধবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়।
সরকারের পদত্যাগ এবং বিদেশে চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ দলের এক দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টিকরতেই এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকার পতনের আন্দোলন নভেম্বরেই চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে চায় বিএনপি
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সমাবেশ থেকে আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে ফখরুলের। তুমুল আন্দোলন এড়াতে তাদের এক দফা দাবি মেনে নিতে সরকারকে শেষ সতর্কবার্তাও দিতে পারেন তিনি।
সমাবেশে যোগ দিতে বুধবার সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও প্রতিকৃতি নিয়ে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করে দলটির নেতা-কর্মীরা।
ফকিরাপুল থেকে বিজয়নগর পর্যন্ত সড়ক ও গলিগুলোতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপচে পড়া ভিড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সমাবেশের বিপুল জনতা আশেপাশের রাস্তা এবং স্থানগুলোতে ছড়িয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হোন, পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই: ফখরুল
বিএনপি ছাড়াও সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোও এক দফা দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক সমাবেশের আয়োজন করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নয়াপল্টন এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, সমাবেশকে সামনে রেখে মঙ্গলবার রাতে বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে সরকার নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।
আরও পড়ুন: সঠিক পথে আন্দোলন, এবার ভোটার ছাড়া নির্বাচন হবে না: ফখরুল
ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে বিএনপির ৫ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শনিবার
এক দফা দাবি আদায়ে চাপ সৃষ্টি করতে শনিবার রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সব প্রবেশপথে পাঁচ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের মহাসমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক দফা দাবিতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মহাসমাবেশ শুরু হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে দুপুর সোয়া ২টার দিকে এ সমাবেশ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম
সমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী জড়ো হতে থাকেন। এমনকি দুপুর দেড়টার দিকে বৃষ্টির মধ্যেও তারা সমাবেশস্থলে অবস্থান করেন।
ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি নিয়ে সারাদেশের বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নেন।
ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত সড়ক ও গলিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ভিড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাড়তে থাকা ভিড় আশেপাশের রাস্তা-ঘাট এবং শান্তিনগর পর্যন্ত শূন্যস্থানে ছড়িয়ে পড়ে।
দলের অনেক নেতা-কর্মীঅভিযোগ করেন, রাজধানীর প্রবেশপথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তল্লাশির সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের।
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ এক দফা দাবিতে বিএনপি ছাড়াও এর সমমনা ৩৭টি রাজনৈতিক দল ও জোট বিভিন্ন শহরে পৃথক সমাবেশের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ফেনী বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী ঢাকায় গ্রেপ্তারের অভিযোগ
ভয়, জল্পনা-কল্পনার মধ্যে শুক্রবারের সরকারবিরোধী মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি