রক্ষা
সিলেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস পুকুরে, অল্পের জন্য রক্ষা পেল ২৫ যাত্রী
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ২৫ হন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে গিয়েছে। এঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পায় যাত্রীরা।
সোমবার (৮ জুলাই) ভোর সোয়া ৫টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের লালাবাজার এলাকার ৭ এপিবিএন অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে সড়কদ্বীপের ওপর বাস উঠে নিহত ১, আহত ১৪
৭ এপিবিএনের মিডিয়া কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ পাবেল বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ইমাম পরিবহনের একটি বাস ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের লালাবাজার এলাকার ৭ এপিবিএন অফিসের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়।
বনজ সম্পদ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান
ঢাকা সেনানিবাসের শহিদ মঈনুল রোড এলাকায় একটি বকুল গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০২৪ এর উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
রবিবার (৯ জুন) ঢাকাসহ দেশের সব সেনানিবাস ও ডিওএইচএস এলাকা এবং জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প এলাকায় ভিডিও টেলি কনফারেন্সের (ভিটিসি) মাধ্যমে একযোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত ভিসা নীতির আওতায় নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যে গত ৫ জুন জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেককে পরিবেশ রক্ষায় বসতবাড়ির চারপাশ ও অফিসের ফাঁকা স্থানে অন্তত তিনটি করে গাছ লাগাতে আহ্বান জানান।
সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব সেনানিবাস, প্রশিক্ষণ এলাকা, ফায়ারিং রেঞ্জ এলাকা, ডিওএইচএস এলাকা এবং জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প এলাকায় ফলদ, বনজ ও ঔষধি প্রজাতির বৃক্ষসহ সৌন্দর্যবর্ধক গাছের চারা রোপণ করা হবে।
এই কর্মসূচি চলবে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
দেশের বনজ সম্পদ বাড়াতে ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্যে সবাইকে স্বপ্রণোদিত হয়ে বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করতে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সেনাসদর ও ঢাকা অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা, জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সেনাসদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
আরও পড়ুন: শাংরি-লা সংলাপে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে গেলেন সেনাপ্রধান
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ ও তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য
নদী রক্ষার যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হব: প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদী রক্ষায় বড় ধরনের যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এ যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হব। এছাড়া নদী রক্ষায় দখল, দূষণরোধ, অবৈধ বালু উত্তোলন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, আপনারা যারা নদী রক্ষায় কাজ করেন তারা সচেতনতা তৈরি করুন। দায়িত্ব চিহ্নিত করুন। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন, সরকার সহায়তা করবে।
রবিবার (২৬ মে) ঢাকায় ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘জাতীয় নদী কনফারেন্স-২০২৪’ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম বন্দর অন্য দেশেও এর কার্যক্রম চালাবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের সম্মেলন প্রমাণ করে, নদীকে নিয়ে আমরা কত ভাবি। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমাদের নদীগুলোর নাব্যতা হারিয়ে যাচ্ছে। নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। সে সময় বঙ্গবন্ধু বিআইডব্লিউটিএর জন্য সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদী-নালা, খাল বিল আমাদের সম্পদ। নদী নালা খাল বিল না থাকলে আমরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করতে পারতাম না। সে সময়ে নদী-নালা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যেভাবে সুন্দরবন আমাদের ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা করছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন একটি নতুন প্রতিষ্ঠান। তারা বিভিন্ন সমীক্ষা করেছে, দখলদারদের তালিকা করেছে। এসব জায়গায় ভুল থাকতে পারে, তবে যাত্রা শুরু হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীকে ঘিরে সভ্যতা গড়ে উঠেছে- এটা সত্য। নদীর পাড়ে ইন্ডাস্ট্রি হবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে, শহর হবে সবই ঠিক আছে। সেগুলো হবে নদীকে রক্ষা করে, নদীকে ধ্বংস করে নয়। ২০১৯ সালে ঢাকা শহরের চারপাশে নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় অনেক ধরনের শক্তিশালী লোক ছিল, আমি সংসদে বলেছি সরকার বা রাষ্ট্রের চেয়ে কেউ শক্তিশালী নেই। নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য সরকার ও রাষ্ট্রের আন্তরিকতা আছে।
ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সারোয়ার মাহমুদ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ মো. শরীফ উদ্দিন, নিজেরা করি এর সমন্বয়কারী খুশী কবির, বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: দেশে এমন একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি হবে, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বিমানের হাইড্রোলিক বিকল, অল্পের জন্য রক্ষা পেল ১৭৫ যাত্রী
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে আসা এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটের এয়ার ক্রাফটের ব্রেকে হাইড্রোলিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরি অবতরণ করে।
এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেল উড়জাহাজে থাকা ১৭৫ যাত্রী ও ক্রু।
আরও পড়ুন: সাদুল্যাপুরে যাত্রীবাহী বাসচাপায় নারী নিহত
শুক্রবার (১০ মে) সকালে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে এই ঘটনা ঘটে।
বিমান বন্দরের সংশ্লিষ্টরা জানান, ফ্লাইটটি অবতরণের সময় হাইড্রোলিক প্রেসার সম্পর্কিত কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে। এরপরও বিমানটি স্বাভাবিকভাবে অবতরণ করে। তবে রানওয়ের মাঝপথে ১২ মিনিট আটকে থাকে। পরে রানওয়ে থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ জায়গায়। এখন এটির হাইড্রোলিক সমস্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়।
শাহ আমানতের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তানভির আহমেদ বলেন, সকালে আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে আসা এয়ার ক্রাফটির ব্রেকে হাইড্রোলিক সমস্যা দেখা দেয়। ফলে স্বাভাবিক অবতরণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। পরে বিকল্প ব্যবস্থায় ১২ মিনিটের মধ্যে ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণে সক্ষম হয়। এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ১৬৮ যাত্রী আর ৭ জন ক্রু। পরে টো-ট্রাক্টর দিয়ে এয়ার ক্রাফটটিকে রানওয়ে থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে সিএনজিতে যাত্রী ওঠানো নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩
আবারও বাড়ল হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময়
পরিবেশ রক্ষায় সারা দেশে গাছ কাটা বন্ধে রিট
পরিবেশ রক্ষায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (৫ মে) মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ জনস্বার্থে এ রিট পিটিশন দায়ের করে।
আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, আইনজীবী মো. এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও আইনজীবী রিপন বাড়ৈই হাইকোর্টে এই রিটটি করেছেন।
আরও পড়ুন: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার র্যাংকিং নির্ধারণ পদ্ধতির ভুল তুলে ধরা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
রিটের পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সোমবার (৬ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি শুনানি হতে পারে।
সম্প্রতি তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এর মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন রিট পিটিশনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তা দিন দিন কমছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। যে কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে সারা দেশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। যা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে এবং মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ সব জালের ব্যবহার বন্ধ করা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
রিটে যেসব নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে-
১. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশ বিজ্ঞানী, প্রফেসর, পরিবেশ বিজ্ঞান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর পরিবেশ বিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে একটি সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন, যারা প্রয়োজনে ঢাকা শহরে গাছ কাটার অনুমতি প্রদান করবে।
২. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।
৩. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাত দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডি এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারে সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।
৪. কমিটি গঠন হওয়ার আগ পর্যন্ত সব বিবাদী নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ চাওয়া হয় এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দাখিল নির্দেশনা চাওয়া হয়।
৫. গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ দেওয়ার বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে কেবিনেট সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালণয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, দুই সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বন সংরক্ষক, সড়ক মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপিকে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মৌলিক শিক্ষা অধিকার: প্রাথমিক থেকে নিম্ন-মাধ্যমিক স্তরে উত্তরণে কাজ করবে দুই মন্ত্রণালয়
ফসলি জমি রক্ষা এবং মজুতদারি রোধে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চান কৃষিমন্ত্রী
অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনা, ফসলি জমি রক্ষা ও মজুতদারি রোধে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ।
সোমবার (৪ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চলমান জেলা প্রশাসক সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সেশনে মন্ত্রী এ সহযোগিতা চান।
তিনি বলেন, আবাদি জমির পরিমাণ দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। তাই অকৃষি কাজে কৃষি জমির ব্যবহার ন্যূনতম পরিমাণ নিশ্চিত করা এবং উর্বর কৃষি জমি যাতে অধিগ্রহণ না করা হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এছাড়া কৃষি কাজের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে তিন ফসলি জমি। কৃষি জমি সংরক্ষণের বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
আরও পড়ুন: টেকসই খাদ্য নিরাপত্তায় মূল চ্যালেঞ্জ জলবায়ু পরিবর্তন: কৃষিমন্ত্রী
মজুদদারি রোধে মনিটরিং জোরদারের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্য অবৈধভাবে মজুত করে অসাধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রমজানসহ সারা বছর যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে তৎপর থাকতে হবে।
এ বিষয় জেলা প্রশাসকরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন।
কৃষি উৎপাদনের সাফল্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ও বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে চাল উৎপাদন হয়েছে ৩৯১ দশমিক ০২ লাখ মেট্রিক টন।
এছাড়া অন্যান্য প্রধান প্রধান ফসলের মধ্যে ১১ দশমিক ৭০ লাখ মেট্রিক টন গম, ৬৪ দশমিক ৩১ লাখ মেট্রিক টন ভুট্টা ১১০ দশমিক ৮৫ লাখ মেট্রিক টন আলু ও ২২৫ দশমিক ৪১ লাখ মেট্রিক টন শাক-সবজি উৎপাদন হয়েছে।
এছাড়া সরিষা উৎপাদন হয়েছে ১১ দশমিক ৬৩ লাখ মেট্রিক টন ও পেঁয়াজ ৩৪ দশমিক ৫৬ লাখ মেট্রিক টন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, কৃষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ করতে হবে। বীজ থেকে চারা না গজালে বা অঙ্কুরোদগম না হলে, দায়ী ব্যক্তিদের চরম শাস্তি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: এফএওর আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে কলম্বো গেলেন কৃষিমন্ত্রী
নির্বাচনের আগে অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রস্তুতি নিন: বিজিবি প্রধান
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তার বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটের শ্রীমঙ্গল ও কুড়িগ্রামের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনকালে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: অবরোধের দ্বিতীয় দিনে ২৩০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বিজিবি সদস্যদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে সবসময় দেশের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন।
এসময় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সদস্যদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি।
নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিজিবি প্রধান ময়মনসিংহ সেক্টর, সেখানে বিজিবির অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরাইল রিজিয়ন কমান্ডার, শ্রীমঙ্গল সেক্টর কমান্ডার, ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নের কমান্ডারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ২.৬০ লাখ ইয়াবা ও ১.০৫ কেজি ক্রিস্টাল মেথ জব্দ: বিজিবি
হরতাল: ১৬১ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪৪২টি টহল দল মোতায়েন
বেনাপোল বাঁশ-কাঠের গুঁড়ি দিয়ে রাজস্ব ভবন রক্ষার চেষ্টা
বেনাপোল স্থলবন্দরের রাজস্ব ভবনটিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। বিগত পাঁচ বছর ধরে বাঁশ, কাঠের গুঁড়ি দিয়ে ভবনটির ছাদ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘদিন ধরে ভবনটির জীর্ণ দশা হলেও পরিত্যক্ত ঘোষণা বা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভবনটিতে অফিস করছেন বন্দর, কাস্টমস, নিরাপত্তা সংস্থা পিমা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বেনাপোল থেকে ২১টি ককটেল উদ্ধার
ভবনটির দ্বিতীয় তলায় একটি ইউনিটে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দ্বিতীয় তলার ওই অংশ থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে স্থানান্তর করেছেন।
বন্দরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির কর্মকর্তারা ওই ভবনে এখনও কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ভাবনের ছাদ যাতে ধ্বসে না পড়ে সেজন্য তিন তলা ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ছাদের নিচের অংশে বাঁশ, কাঠের গুঁড়ি ও লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ফাটল ধরা ছাদ থেকে বালি ঝরে পড়ছে অনবরত। ঝুঁকি নিয়ে ভবনে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তরা কাজ করছেন। যেকোনো সময় ভবন ধসে প্রাণহানি ঘটার আশঙ্কা করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আ. লতিফ জানান, বর্তমানে ভবনটিতে বন্দর, কাস্টমস, নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তরা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন সেখানে শত শত মানুষ বাণিজ্যিক কার্যক্রম করছে। এছাড়া ভাবনের ছাদ যাতে ধ্বসে না পড়ে বাঁশ, কাঠের গুঁড়ি ও লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তিনি জানান, দুর্ঘটনা ঘটলে অনেক মানুষের প্রাণহানি হতে পারে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন জানান, বেনাপোল বন্দর থেকে সরকার বছরে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। অথচ রাজস্ব আদায়ের প্রধান বাণিজ্যিক ভবনটি আজ জরাজীর্ণ। আতঙ্কের মধ্যে ভবনে প্রবেশ করে কাজ করতে হয় বন্দর ব্যবহারকারীদের।
ইন্দো-বাংলা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবনটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। শুরু থেকে বন্দরের দুর্বল অবকাঠামো নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে রয়েছে চাপা ক্ষোভ।
বেনাপোল বন্দরের ডাইরেক্টর (ট্রাফিক) রেজাউল ইসলাম বলেন, ভবনটির দ্বিতীয় তলার একটি ইউনিট ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনা এড়াতে সেখানে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য তালা মেরে রাখা হয়েছে। ভবনটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ‘আতা ফলের’ ঘোষণায় এলো ‘পার্সিমন’!
বেনাপোলে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
৯৯৯ নম্বরে সাকিবের কল, দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
পাবনায় রেললাইনের কিছু অংশ ভেঙে গিয়ে ফাঁকা হয়ে আছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। তবে তার আগেই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি জানান এক যুবক।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) বিকালে ভাঙুরার দিলপাশা রেল স্টেশনের কাছাকাছি স্থানে রেললাইনে এই সমস্যা দেখা যায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে স্বামীকে কুপিয়ে খুন করে ৯৯৯-এ স্ত্রীর ফোন
পরে বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন সাকিব নামে একজন।
কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল সোহরাব আরাফাত এবং বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক রেললাইন মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেলওয়ে নিয়ন্ত্রণকক্ষ এবং রেল পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষে ঘটনাটি দ্রুত জানাই।
সংবাদ সংবাদ পেয়ে রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মেরামতকারী দল রেললাইনের ফাঁকা অংশটুকু মেরামত করে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ ফোন: নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ ২ ডাকাত গ্রেপ্তার
এলপিজির দাম আবার কমল, ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৯৯৯ টাকা
জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বেইজিং ঢাকাকে সমর্থন করে: চীনা রাষ্ট্রদূত
চীন জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং বাহ্যিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বাংলাদেশকে সমর্থন করে, যাতে দেশটি অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে এবং উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন অর্জন করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে এক-চীন নীতি অনুসরণ করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার উন্নয়নে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করে। উভয় পক্ষ কৌশলগত সহযোগিতা আরও গভীর করতে এবং এর মাধ্যমে নতুন যুগে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও উচ্চ স্তরে উন্নীত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও চীন যৌথ উন্নয়নের ঘনিষ্ঠ অংশীদার।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকারমূলক ঋণ, জিডিআই ও সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার করবে বাংলাদেশ: প্রত্যাশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
সোমবার গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ এর দশম বার্ষিকী।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিআরআই-এর আওতায় চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার ফল পাওয়ার সময়ে পৌঁছেছে।’
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিআরআইতে যোগ দেয়।
এছাড়া গত সাত বছরে বিআরআই সোনালী বঙ্গোপসাগরে শিকড় গেড়েছে এবং প্রস্ফুটিত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু ও এর রেল সংযোগ, দাশেরকান্দি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ আরও অনেক মেগা প্রকল্প একের পর এক সম্পন্ন হয়েছে, যা বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিআরআই'র ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘সামনের দিকে তাকিয়ে, উভয় দেশের উচিৎ উন্নয়নের নতুন ঐতিহাসিক সুযোগগুলো গ্রহণ করা, উন্নয়ন কৌশলগুলো আরও সংহত করা, উচ্চ মানের উন্নয়নের লক্ষ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা পরিচালনা করা এবং একে অপরের পরিপূরক হিসেবে আমাদের নিজ নিজ অর্থনৈতিক সুবিধাগুলো কাজে লাগানো।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে বাংলাদেশিদের: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, আমরা অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি, নতুন জ্বালানি, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করতে পারি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা অবশ্যই চীনা জাতির মহান পুনরুজ্জীবনের চীনা স্বপ্ন এবং বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে পারব।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক ঘন ঘন যোগাযোগের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত হয়। চীন ও বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের মধ্যে জনগণ থেকে জনগণে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান আরও জোরদার করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য।
তিনি বলেন, ‘চীন আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং কর্মী বিনিময়ের বিশাল চাহিদা মেটাতে বেশ কয়েকটি সুবিধাজনক ব্যবস্থা চালু করেছে।’
তিনি বলেন, আপাতত দুই দেশের মধ্যে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ৫০টি সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে, যার ধারণক্ষমতা ১০ হাজার।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। দূতাবাস দু'দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করতে সর্বস্তরের বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বাংলাদেশে চীনা উদ্যোক্তাদের সক্রিয়ভাবে সামাজিক দায়িত্ব পালন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদের স্থানীয় সমাজের সঙ্গে আরও একীভূত হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রসারে আরও বেশি অবদান রাখা যায়।
১৯তম এশিয়ান গেমস চীনের হাংঝুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, বাংলাদেশ ক্রীড়াবিদদের একটি ‘উদীয়মান’ প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই তারা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করুক এবং বাংলাদেশের নাম সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরুক।’
আরও পড়ুন: যারা মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের ‘উপযোগী নয়’ বলে দাবি করছে, তারা কখনোই রাখাইন যায়নি: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও