রক্ষা
ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় চাই শক্তিশালী বিচার বিভাগ: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার জন্য বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বলেন, আসুন ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার জন্য জুডিশিয়ারিকে (বিচার বিভাগকে) শক্তিশালী করি। জুডিশিয়ারি যাতে মসৃণভাবে চলতে পারে, স্বাধীনভাবে বিচার কাজ পরিচালনা করতে পারে, আপনারা বিচার বিভাগকে সহায়তা করবেন। তাহলে বিচার বিভাগ এগিয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে বাগেরহাটের পিসি কলেজের সাবেক ছাত্রদের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতিকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বর্তমানে বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রিতা বেড়েছে: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে সবার আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। জুডিশিয়ারিকে গতিশীল করতে হবে। আমি বার বার বলি যদি জুডিশিয়ারি ফেল করে গণতন্ত্র ফেল করবে। আর গণতন্ত্র ফেল করলে রাষ্ট্র অকার্যকর হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি এই বিচার বিভাগের চাকাটা কীভাবে একটু সচল করা যায়।
তিনি বলেন, আমাদের পরাজয় মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। কারণ পরাজয়ই একজনকে জয়ী করার পথ সুগম করে দেয়।
বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের সেই গ্রাম থেকে উঠে আসা। তারা যখন আদালতের বারান্দায় ঘোরে, আমাদের উচিত তাদের যত কম খরচে পারা যায় বিচার দেয়া। সকলের সহযোগিতা ছাড়া একা জুডিশিয়ারিকে এগিয়ে নেয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে উঠে এসেছেন। তারা যখন আদালতের বারান্দায় ঘোরেন, আমাদের উচিত তাদের যত কম খরচে বিচার দেয়া। তাদেরকে যদি একদিন আগেও আদালতের বারান্দা থেকে বাড়ি ফেরাতে পারি তাহলে তারা একদিন ঘোরা থেকে বাঁচলেন।
প্রধান বিচারপতি বলে, ১৯৭১ সালে যে উদ্দেশ্য নিয়ে ৩০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়েছেন, আমরা তার সুবিধাভোগী। যারা বুকের রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করে দিয়েছেন তাদেরকে বুকে ধারণ করতে হবে। এখন যদি আমরা কাজে গাফিলতি করি, কোনো প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করি, তাহলে তাদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা হবে। আসুন সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করি।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ আলী আহমেদ খোকন। পি সি কলেজিয়ানস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন-প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি শেখ আব্দুল আউয়াল, জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল, আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক মাজাফফর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে মো. নূরুজ্জামান
প্রতি বছর ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ প্রদানের সিদ্ধান্ত, নীতিমালা প্রণয়ন
পরিবেশ রক্ষায় দুর্বার তারুণ্যের 'আমরা মালি'
বাংলাদেশের জনপ্রিয় সামজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্বার তারুণ্য ‘আমরা মালি’ শীর্ষক দেশব্যাপী বৃক্ষরোপনের ব্যতিক্রমী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
‘আমার যত্নে, আমার গাছ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে মালি তৈরির কার্যক্রম সেপ্টেম্বর মাস থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: পরিবেশ রক্ষা করে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের তাগিদ এলজিআরডিমন্ত্রীর
তারই ধারাবাহিকতায় ৭ অক্টোবর, শুক্রবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম ডিসি হিলে শতাধিক বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে প্রজেক্টটির চলমান তৃতীয় পর্ব সম্পন্ন করা হয়।
দুর্বার তারুণ্যের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু আবিদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্বার তারুণ্য এর প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশে করোনা প্রতিরোধক বুথের উদ্ভাবক-উদ্যোক্তা, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।
তিনি বলেন, আজ আমাদের সামনে পরিবেশের গভীর সংকট। এই মহা সংকট থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে কেবল সবুজ বন্ধুরা অর্থাৎ গাছপালা। এটা আমাদের অজানা নয়। কিন্তু তার পরেও বৃক্ষরোপণের তুলনায় বৃক্ষনিধনই আমরা চারপাশে বেশি দেখছি।
হেলাল আকবর বলেন, পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বারবার বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব তুলে ধরছেন। তারা বেশি বেশি গাছ লাগানোর কথা বলছেন। তা সত্ত্বেও আজকের পৃথিবীতে বৃক্ষরোপণ, পরিচর্যা ও বন সংরক্ষণের কাজগুলো ঠিকঠাক হচ্ছে কি..?
আরও পড়ুন: পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, এবার সময় এসেছে বৃক্ষরোপনের পাশাপাশি পরিচর্যার গুরুত্বও মানুষের সামনে তুলে ধরার। গণমানুষকে সচেতন করার মাধ্যম হল 'আমরা মালি'। এর এক একটি পর্ব সম্পন্ন করার মাধ্যমে আমরা ‘মালি’ তৈরি করছি। যেন বৃক্ষের সঠিক পরিচর্যা সম্ভব হয়।
দূর্বার তারুণ্য এর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু আবিদ প্রজেক্ট সম্পর্কে বলেন, আজ পর্যন্ত বৃক্ষরোপণের বদলে বৃক্ষনিধনের প্রতিই যেনো আমাদের ঝোঁক বেশি। কোথাও বাড়ি তৈরি করতে হবে, গাছ কাটো। কোথাও রাস্তা চওড়া করতে হবে বা রেল লাইন পাততে হবে, গাছ কাটো। কোথাও কারখানা-খনি-বাঁধ-বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করতে হবে, গাছ কাটো।
আবার হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলার পরে ক্ষতিপূরক বৃক্ষরোপণেও আমরা অনেক সময়ই গুরুত্ব দিই না।
'আমরা মালি' শীর্ষক কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চাই। বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সবাই কম বেশি জানে, কিন্তু এই বহুল প্রয়োজনীয় জিনিসটিকে ঠিকঠাক গড়ে তোলার জন্য দরকার পরিচর্যা।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা শিবু প্রসাদ চৌধুরী, দুর্বার তারুণ্যের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু আদিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জিহাদুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. আবুল হাসান ও কামরুল ইসলামসহ চট্টগ্রাম জেলা এবং কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগান: প্রধানমন্ত্রী
অধিগ্রহণ করা অঞ্চলগুলোকে রক্ষায় সব উপায় ব্যবহার করবে রাশিয়া: পুতিন
আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে অধিগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার ক্রেমলিনের সেন্ট জর্জ হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলকে অধিগ্রহণ করা হয়। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে ইউক্রেনসহ গোটা পশ্চি দুনিয়া রাশিয়ার এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছে।
ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে অধিগ্রহণ করার চুক্তি-সাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে দেয়া এক বক্তব্যে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, এ অঞ্চলগুলোকে অধিগ্রহণ করতে এক আইনে সাক্ষর করবেন এবং নতুন অধিগ্রহণ করা এই অঞ্চলগুলোক রক্ষায় ‘সমস্ত সম্ভাব্য উপায়’ ব্যবহার করবেন তিনি।
বক্তব্যে পুতিন সতর্ক করে বলেন, তার দেশ কখনই অধিগ্রহণ করা এলাকা ছেড়ে দেবে না এবং তাদের সার্বভৌম ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে এগুলোকে তারা রক্ষা করবে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় স্কুলে গুলিতে শিক্ষার্থীসহ নিহত ১৩, আহত ২১
এসময় তিনি ইউক্রেনকে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি অধিগ্রহণ করা অঞ্চল সম্পর্কে নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে কঠোর সতর্কতা জানান।
রাশিয়াকে ‘উপনিবেশ’ ও ‘দাসত্বে’ পরিণত করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শত্রুতা বৃদ্ধিতে ইন্ধন দেয়ার জন্য পশ্চিমাদেরকে তিনি অভিযুক্ত করেন।
রাশিয়ায় যোগদানের বিষয়ে ক্রেমলিনের করা ‘গণভোট’ শেষ হওয়ার তিন দিন পরেই এ অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয়া হয়।
যদিও কিয়েভ ও পশ্চিমারা এটিকে বন্দুকের মুখে অনুষ্ঠিত এবং মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত নির্লজ্জভাবে জমি দখল হিসেবে আখ্যায়িত করে পুতিনের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করেছে।
সাত মাস ধরে তীব্র যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে যোগদানের জন্য পুতিন ওইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের প্রধানদের চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠান হলো।
ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে অধিগ্রহণ করার কয়েক সপ্তাহ পর ২০১৪ সালে স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকেই পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলগুলো মস্কোর সমর্থন পেয়ে আসছে। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর পরই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের খেরসন ও জাপোরিঝিয়া দখল করে রাশিয়া।
ক্রেমলিন-নিয়ন্ত্রিত রাশিয়ান পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ আগামী সপ্তাহে রাশিয়ায় যোগদানের জন্য অঞ্চলগুলোর চুক্তিগুলোকে চূড়ান্ত করার জন্য বৈঠক করবে এবং তাদের সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য পুতিনের কাছে পাঠাবে।
রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের কথা উল্লেখ করে পুতিন এবং তার লেফটেন্যান্টরা এ অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধারে কোনো রকম আক্রমণ করার ব্যাপারে ইউক্রেনকে স্পষ্টভাবে সতর্ক করেছেন।
তারা বলেছেন যে রাশিয়া এটিকে তার সার্বভৌম ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে দেখবে এবং প্রতিশোধের জন্য ‘সমস্ত সম্ভাব্য উপায়’ ব্যবহার করতে দ্বিধা করবে না।
লুহানস্ক ও খেরসন অঞ্চলের বেশিরভাগ, ডোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রায় ৬০ ভাগ এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের একটি বড় অংশ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। জাপোরিঝিয়ায় ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী।
রাশিয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন যে মস্কোর লক্ষ্য সম্পূর্ণ ডোনেৎস্ক অঞ্চলকে ‘মুক্ত করা’।
ইউক্রেনের এই অঞ্চলগুলো অধিগ্রহণ করার ঘোষণার মধ্য দিয়ে জন্য গত সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধের একটি বিপজ্জনক নতুন পর্বের সূচনা হলো বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
রাশিয়া শুক্রবারও ইউক্রেনের শহরগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র,রকেট ও আত্মঘাতী ড্রোন দিয়ে হামলা করেছে। এমনকি একটি হামলায় ২৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ক্রেমলিন শুক্রবার তার নির্ধারিত অধিগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে ইউক্রেনকে আরেকটি সতর্কবাণী দিয়েছে।
যাতে বলা হয়েছে, ওই চারটি অঞ্চল ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ইউক্রেনের লড়াই করা উচিত নয়।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, মস্কো দখলকৃত ভূখণ্ডে ইউক্রেনের হামলাকে দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে দেখবে রাশিয়া।
আরও পড়ুন: ইতালিতে ভোট: ঐতিহাসিক জয়ের পথে কট্টর ডানপন্থী মোলোনি
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী করোনা আক্রান্ত
সরকার ওজনস্তর রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে: জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষায় সরকার ওজনস্তর রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
সোমবার 'পঁয়ত্রিশে মন্ট্রিল প্রটোকল-জীবন রক্ষায় অঙ্গীকার অবিচল' প্রতিপাদ্যে বিশ্ব ওজন দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি জানান, ওজনস্তর সুরক্ষায় গৃহীত মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় গৃহীত সকল কর্মসূচি ও প্রকল্প সরকার বিশেষ গুরুত্ব সহকারে যথাসময়ে অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করে চলছে। এছাড়া বাংলাদেশে এইচসিএফসি-এর ব্যবহার রোধের দিক নির্দেশনা সংবলিত ন্যাশনাল কুলিং প্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ অতি শিগগিরই কিগালি সংশোধনী বাস্তবায়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করবে।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: বনমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী জানান, বর্তমানে মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় এয়ারকন্ডিশনার, অগ্নি নির্বাপন ও থার্মাল ফোম সেক্টরে ব্যবহৃত হাইড্রোক্লোরোফ্লোরোকার্বন (এইচসিএফসি) ফেজ আউট করার কাজ চলছে। এলক্ষ্যে আমরা এইচসিএফসি ফেজ আউট ম্যানেজমেন্ট প্লান দুই বাস্তবায়ন করছি।
এর বিকল্প প্রযুক্তি একই সঙ্গে ওজনস্তর এবং জলবায়ুবান্ধব হবে। এটা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যে ৬৭ দশমিক ৫০ শতাংশ এইচসিএফসি-এর ব্যবহার কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে। এর ফলে বাংলাদেশ এয়ারকুলার উৎপাদনের ক্ষেত্রে নতুন যুগে প্রবেশ করবে। উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত হবে।
মন্ত্রী আরও জানান, বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার রেফ্রিজারেশন ও এয়ারকন্ডিশনিং পণ্য উৎপাদকদের জন্য ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ প্রদান করছে। রূপান্তরিত এসি গুলো যাতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয় তার প্রতি বিশেষ নজর দিবেন।
এতে দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানির সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামান, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, ওডিএস প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়াউল হক প্রমূখ।
এছাড়াও, অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট; বিশেষজ্ঞবর্গ; সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবর্গ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা এশিয়া প্যাসেফিক রিজিওনাল ওজোনটুক্লাইমেট আর্ট কনটেস্ট বিজয়ীগণের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: ২০৩০ সাল পর্যন্ত গাছ না কাটার আহ্বান বনমন্ত্রীর
শত্রুর আক্রমণ থেকে দেশ রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি যে কোনো হুমকি নস্যাৎ করতে সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। যদি বাইরে থেকে শত্রু আমাদের আক্রমণ করে, তবে আমাদের অবশ্যই তা যথাযথভাবে প্রতিহত করতে হবে।’
মঙ্গলবার শরীয়তপুরের জাজিরায় শেখ রাসেল সেনানিবাসের উদ্বোধনকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বিদ্বেষ নয়' পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশ বিশ্বাস করে। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। আমরা যুদ্ধে জড়াব না,তবে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার সশস্ত্র বাহিনীর মানোন্নয়ন, প্রশিক্ষিত ও সমৃদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
এসময় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে তিনি ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিল তার তালিকা দেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ‘জঘন্য পদক্ষেপ’: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকার সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণ পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং ১৯৯৮ সালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এবং মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করে,১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পিস সাপোর্ট অপারেশনস ট্রেনিং এবং আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করে।
এছাড়া তিনি বলেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রথমবার ২০০০ সালে সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীতে নারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সাল থেকে একটানা নির্বাচনে জয়লাভের পর সরকার একটি প্রশিক্ষিত ও যুগোপযোগী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
এ জন্য বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রণীত জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি-১৯৭৪-এর ভিত্তিতে ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে এবং ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি,২০১৮’ প্রণয়ন করে।
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও বাংলাদেশ পরিবেশ ও জীববৈচিত্রে্যর সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী মো.শাহাব উদ্দিন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ সকল ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সকল উন্নয়ন সহযোগিদের সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ।
মন্ত্রী বলেন, ২০২০ সাল পরবর্তী বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্য ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়নের জন্য কমপক্ষে আটশ’ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করা প্রয়োজন। মোট বরাদ্দের ৫০ শতাংশ উন্নয়নশীল দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বরাদ্দ করা প্রয়োজন।পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে। বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত কনভেনশন অন বায়োলজিকাল ডাইভার্সিটি, জীববৈচিত্র্য প্রটোকল এবং নাগোয়া প্রটোকলে স্বাক্ষর করেছে। এ লক্ষ্যে সরকার ২০১৭ সালে জীববৈচিত্র্য আইন এবং জাতীয় জীববৈচিত্র্য কর্মকৌশল ও কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২১ চালু করে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ৪৮টি সংরক্ষিত এলাকা এবং ১৩টি প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা সহযোগে দেশের পাঁচ দশমিক ৭৭ শতাংশ এলাকা প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, চারটি সমুদ্র এলাকা সহযোগে মোট সমুদ্র এলাকার ছয় দশমিক ২০ শতাংশ এলাকাকে মেরিন প্রটেক্টেড এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের অর্থায়ন দ্বিগুণ করবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রযুক্তি হস্তান্তর, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ক্লিন এনার্জি, জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমনমূলক কর্মকাণ্ড প্রভৃতি ক্ষেত্রে ইইউ’র সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান গতিতে অব্যাহত থাকবে।বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মো. মনিরুজ্জামান এবং অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিরাপদ বিশ্ব গড়তে এখনই উদ্যোগী হতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বিশ্ব জলবায়ু কূটনীতিতে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা রাখছে: পরিবেশমন্ত্রী
র্যাব মানবাধিকার লুণ্ঠন করে না, রক্ষা করে: মুখপাত্র
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মইন।
শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে তাদের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘র্যাব মানবাধিকার লুণ্ঠন করে না, মানবাধিকার রক্ষা করে।’
কমান্ডার মঈন বলেন, র্যাবের ৯ হাজার সদস্যের মধ্যে অন্তত ২৮ জন বিভিন্ন অপারেশনে নিহত এবং দুই হাজার সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত এক হাজার সদস্য চিরস্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, র্যাবের ধারাবাহিক তৎপরতার কারণে বাংলাদেশ জঙ্গি ও সুন্দরবনের জলদস্যুদের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে।
আরও পড়ুন: আইজিপিসহ র্যাবের ৭ কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
তিনি আরও বলেন, র্যাব বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ও বনদস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ও তাদের পুনর্বাসনে সহায়তা করে মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।
কমান্ডার মঈন বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে আমরা এখনও কোনো চিঠি পাইনি। এ বিষয়ে অফিসিয়াল চিঠি পাওয়ার পর আমরা পদক্ষেপ নেব।’
তিনি বলেন, কারও পক্ষেই আইনের ঊর্ধ্বে ওঠার সুযোগ নেই। র্যাব যেহেতু অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী তুলনায় অনেক বেশি কঠোর, তাই র্যাবের কোনো কর্মকর্তা আইন লঙ্ঘন করলে তার আরও কঠোর সাজা হয়।
উল্লেখ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ ও ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি নিষেধাজ্ঞা কর্মসূচির অধীনে দেশটির ট্রেজারি বিভাগ র্যাব, বেনজির আহমেদ ও অন্য ছয় কর্মকর্তাকে এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে।
আরও পড়ুন: সম্পর্কে প্রভাব পড়বে কিনা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ ছাড়াও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা অন্যরা হলেন-র্যাব ইউনিট-৭ এর সাবেক কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ, র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মোহাম্মদ আনোয়ার লতিফ খান।
২০১৮ সালের কক্সবাজারের টেকনাফে পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ এর ঘটনাটি উল্লেখ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
এ কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নির্বাহী আদেশ (ইও) ১৩৮১৮ জারি করা হয়েছে। এর মানে হলো দেশটিতে এ কর্মকর্তাদের কোনো সম্পত্তি থাকলে তা জব্দ করা হবে। এ প্রথম বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইজিপিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রত্যাখান ঢাকার