রাষ্ট্রদূত
রোহিঙ্গা বিষয়ে ওআইসি দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিং
ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
নিউ ইয়র্কে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ওআইসি সম্মেলনকক্ষে তাদের ব্রিফ করেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিরসনে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অগ্রভাগে থাকার জন্য তিনি অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা ও ক্ষুদ্র দ্বীপদেশগুলোর উন্নয়নে জোর আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাত বৃদ্ধির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ও মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গার পূর্ণ নাগরিক অধিকারসহ তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টায় ওআইসি রাষ্ট্রদূতদের সংহতি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
ওআইসিভুক্ত দেশ সৌদি আরব, গাম্বিয়া, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, তুর্কি, ইরান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আলজেরিয়া, মিশর, ইন্দোনেশিয়ার জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধিরা সময়োপযোগী এ ব্রিফিংয়ের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তারা উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতার প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
৩০ মে থেকে দুই দিনের সরকারি সফরে নিউইয়র্কে অবস্থানরত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তা ও সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আরও বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর বৈদেশিক নীতি অনুযায়ী শান্তির প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের অগ্রভাগে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জ্যামাইকা ও ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছে ব্রাজিল
গাজা যুদ্ধ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কয়েক মাস ধরে চলা উত্তেজনার পর ইসরায়েল থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে ব্রাজিল।
বুধবার (২৯ মে) ব্রাজিলের অফিসিয়াল গেজেটে এই পদক্ষেপের কথা জানানো হয়।
অন্যদিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এ বিষয়ে ব্রাজিল সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বার্তা পাওয়া যায়নি। তবে গণমাধ্যমের খবরের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাজিলের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের জন্য তলব করা হয়।
গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের শুরু থেকেই বারবার সমালোচনা করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। একে ‘হলোকাস্ট’ অর্থাৎ ‘ইহুদী গণহত্যা’র সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এ কারণে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ফ্রেডেরিকো মেয়ারকে জেরুজালেমের জাতীয় হলোকাস্ট যাদুঘরে জনসমক্ষে তিরস্কারের জন্য তলব করেছিলেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
আরও পড়ুন: রাফায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত
এ সময় মেয়ারকে দেশে ডেকে পাঠান লুলা। তবে, রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়াবে এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতিও হতে পারে। যদিও ইসরায়েলে ব্রাজিলের দূতাবাস এখনো বহাল রয়েছে তবে এই পদে কোনো রাষ্ট্রদূত নেই।
ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলের শীর্ষ কূটনীতিকের কাছে মেয়ারের হেনস্তার প্রতিক্রিয়ায় বুধবারের এই প্রত্যাহার।
ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলে ব্রাজিলের নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগের বিষয়টি যথাসময়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হবে। আপাতত তেল আবিবে ব্রাজিলের দূতাবাস চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের নেতৃত্বে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
মেয়ারকে জেনেভায় স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তিনি সেখানে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় ব্রাজিলের স্থায়ী মিশনে যোগ দেবেন।
এদিকে দেশটির ইসরায়েলপন্থী গোষ্ঠী ইসরায়েলি কনফেডারেশন অব ব্রাজিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছে, তারা এই পদক্ষেপের জন্য 'দুঃখ' প্রকাশ করছে।
আরও পড়ুন: আমাদের কিছুই নেই: হামলায় খাদ্যের সন্ধানে থাকা ফিলিস্তিনিরা
তারা জানিয়েছে, ‘ব্রাজিল সরকারের একতরফা পদক্ষেপ ব্রাজিলের যে ভারসাম্য ও সংলাপের কূটনৈতিক ঐতিহ্য তা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে এবং ব্রাজিলকে মধ্যপ্রাচ্যে মধ্যস্থতাকারী ও সমর্থনকারী হিসেবে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালনে বাধা দিচ্ছে।’
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে প্রায় ১২০০ বেসামরিক লোক হত্যা ও ২৫০ জনকে জিম্মি করার পর এর প্রতিক্রিয়ায় গাজা যুদ্ধের সূচনা করে ইসরায়েল।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৬ হাজার ৯৬ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আর ইসরায়েলের দাবি, তারা ১৫ হাজার হামাস সেনাকে হত্যা করেছে।
দক্ষিণ ব্রাজিলের ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অব সান্তা ক্যাটারিনার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ড্যানিয়েল আইরেস বলেন, বুধবারের পদক্ষেপ ছিল 'প্রতীকী' এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন না করে লুলা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি সম্পর্ক বজায় রাখতে চান এবং ৭ অক্টোবরের হামলার 'ইসরায়েল যেভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে তার তীব্র সমালোচনা' করতে ব্রাজিল সরকারের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে চান।
পৃথকভাবে, এই সপ্তাহে আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন কর্তৃক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিকে স্বাগত জানিয়েছে ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্রাজিল ২০১০ সালে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। মঙ্গলবারের তিনটি পশ্চিম ইউরোপীয় দেশের সমন্বিত প্রচেষ্টা ইসরায়েলের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়িয়ে তুলেছে।
হলোকাস্টের সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলের হামলার তুলনা প্রত্যাখান করে ইসরায়েল বলেছে, হামাসের অতর্কিত হামলার প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে গাজায় অভিযান চালানো হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে কলম্বিয়া। এর আগে ইসরায়েলের কাছ থেকে অস্ত্র কেনা স্থগিত করেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে নাৎসি জার্মানির কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি। গাজায় অভিযানকে কেন্দ্র করেবলিভিয়া ও বেলিজও ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে নরওয়ে-আয়ারল্যান্ড ও স্পেন
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমার আরও সচেষ্ট হবে বলে আশ্বাস বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশের অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমার আরও সচেষ্ট হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশে দেশটির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত অং কিও মো।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিক অধিকারসহ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই চলমান পরিস্থিতির একমাত্র সমাধান উল্লেখ করে মন্ত্রী ড. হাছান রাষ্ট্রদূতকে বলেন, চলতি বছর উগান্ডায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু করতে চান বলেই মতপ্রকাশ করেছেন। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটি অন্ততপক্ষে শুরু করার মধ্য দিয়ে মিয়ানমার তাদের সদিচ্ছার প্রদর্শন করতে পারে।
এ সময় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তাদের সেনাবাহিনী ও বিবদমান গোষ্ঠিগুলোর চলমান সশস্ত্র সংঘাতকে এ ক্ষেত্রে অন্তরায় হিসেবে বর্ণনা করেন রাষ্ট্রদূত অং কিও মো । মিয়ানমার এ বিষয়ে আরও সচেষ্ট হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
বৈঠকে রোহিঙ্গা বিষয় ছাড়াও বাণিজ্য বাড়ানোসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
এছাড়াও রবিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে 'সিনিয়র অফিশিয়ালস মিটিং'য়ে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন পরিচালিত এ সভায় কূটনৈতিক ও দাপ্তরিক বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
সভায় আরও ছিলেন অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. নজরুল ইসলাম ও সকল উইংয়ের মহাপরিচালকরা।
সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সুসমন্বয়, দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকি, প্রবাসী সেবার মানবৃদ্ধি, মিশনগুলোর ট্রেড টার্গেট বাস্তবায়ন ও কার্যক্রম ইনস্পেকটর জেনারেল অভ মিশনসের মাধ্যমে পরিদর্শনসহ মন্ত্রণালয় ও এর মিশনগুলোর নানা কার্যক্রমের ওপর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন মন্ত্রী ড. হাছান।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, বিশেষকরে বস্ত্র ও পোশাক খাতে কোরিয়ান কোম্পানিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তাই বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে এবং বাংলাদেশে কোরিয়ান বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানাই।
রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ রাখার আশা মন্ত্রীর
মন্ত্রী বস্ত্র ও পোশাক খাতে বাংলাদেশিদের প্রশিক্ষণের সুযোগ প্রদান এবং উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কোরিয়ার আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রদানের অনুরোধ করেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, সামনের দিনগুলোতে আমরা বাজারের বৈচিত্র্য বাড়ানো, পণ্য উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ইত্যাদিতে জোর দিচ্ছি।
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে নানক বলেন, মন্ত্রী, এমপির স্বজনরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বিষয়ে কিছুটা ভুল ধারণা কাজ করছে। পরে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো নেতার সন্তান বা কোনো স্বজন, তার যদি রাজনীতির মধ্য দিয়ে উত্থান হয় এবং তার যোগ্যতা ও অবস্থান সৃষ্টি করতে পারে তাহলে সে অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু রাজনৈতিক অঙ্গনে কোনো অবদান নেই বা অবস্থান ছিল না, উপস্থিতি ছিল না, হঠাৎ করে উড়ে এসে জুড়ে বসানো এই সম্পর্কে সতর্কবার্তা ছিল। এভাবে যেনো উড়ে এসে জুড়ে বসানো না হয়।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান।
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও বৃদ্ধির জন্য আমরা কোরিয়ান কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করছি।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত তিনটি বিষয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং এ ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করেন।
এগুলো হলো-
প্রথমত- কাঁচামাল আমদানি করতে প্রচুর ট্যারিফ দিতে হয়। তার মধ্যে ৫টি পণ্য বস্ত্র ও পোশাক খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত। এগুলোর ট্যারিফ কমাতে মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
দ্বিতীয়ত- ভিসাজনিত সমস্যা। বাংলাদেশে যারা কাজ করছে তাদের খুব স্বল্প সময়ের জন্য ভিসা দেওয়া হয়। তিন মাস পরপর মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করতে হয়। এ সমস্যা উত্তরণে মন্ত্রীর সহযোগিতা দরকার।
তৃতীয়ত- কাস্টমস ক্লিয়ারিং এ দীর্ঘসূত্রিতা এড়াতে রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এসব সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব তসলিমা কানিজ নাহিদা, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নুরুজ্জামান জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়ান দূতাবাসের কনসাল জেয়ং কি কিম উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎকারে উভয়পক্ষ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুত সেবা না দিলে অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ প্রতিমন্ত্রীর
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে ইতালির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
রাষ্ট্রপতির কাছে পর্তুগাল ও বাহরাইনের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
বাংলাদেশে নিযুক্ত পর্তুগালের রাষ্ট্রদূত জোয়াও রিবেইরো ডি আলমেইদা এবং বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত আব্দুর রহমান মোহাম্মদ আলগাউদ রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার(৪ এপ্রিল) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের কাছে স্ব স্ব পরিচয়পত্র পেশ করেন রাষ্টদূতরা।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব ইউএনবিকে জানান, রাষ্ট্রদূতরা বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার দিয়ে স্বাগত জানায়।
নতুন রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো খুবই জরুরি।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে ভুটানের রাজা-রানীকে সংবর্ধনা
রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে পারস্পরিক ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই।
গার্মেন্টস, ওষুধ, সিরামিক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের বিদ্যমান সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে পারস্পরিক সম্ভাবনা কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিতে রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
সাক্ষাৎকালে পর্তুগাল ও বাহরাইনের রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূতরা তাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় ও দক্ষ কর্মীদের অবদান তুলে ধরেন।
নতুন রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস পালিত
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ রামাদান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের আগ্রাসন ও হত্যাযজ্ঞের আইনি পরিণতি সম্পর্কে গত ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তুর্জাতিক বিচার আদালতে বাংলাদেশের দেওয়া জোরালো বিবৃতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সব পক্ষের সংকল্পের কোনো বিকল্প নেই।
রাষ্ট্রদূত ইউসেফ রামাদান ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত দৃঢ় সমর্থন, আন্তরিক সহযোগিতা ও গাজাবাসীদের সাহায্য করতে পণ্যসামগ্রী পাঠানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
চলতি সংকট মুহূর্তে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরও সহযোগিতা কামনা করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সে বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় জাপান
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জাপান আরও জোরদার করতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে এক সাক্ষাতে এ কথা জানান রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সাল থেকে দেশে দৃশ্যমান প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার একটি গ্রাম, একটি পণ্য কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য বাড়াতে কাজ করছে। এ কর্মসূচি সফল করতে জাপানের অভিজ্ঞতা দিয়ে সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
জাপানের রাষ্ট্রদূত এ কর্মসূচিকে সাধুবাদ ও সহযোগিতার আশা দিয়ে বলেন, জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায়। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় জাপান অংশীদার হয়ে কাজ করতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, আগামী বছর জাপানে অনুষ্ঠেয় ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৪’ আয়োজনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের আশা করছি।
এসময় দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে সব সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন: রমজানে সরবরাহ-দাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার প্রস্তুতি চলছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডাসহ তিন দেশের প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ
সাক্ষাৎকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় সুইডেনের আর্থিক সহায়তায় জাতীয় সহনশীলতা প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পে বরাদ্দ প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন প্রতিমন্ত্রী।
সেফ প্লাস দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে জ্বালানির জন্য এলপিজি সরবরাহ করা হচ্ছে। সবুজায়নের জন্য ক্যাম্প এলাকায় বৃক্ষরোপণ ও শাকসবজি চাষ করা হচ্ছে। সেফ প্লাসের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পটি ভাসানচরে সম্প্রসারণের জন্য প্রতিমন্ত্রী সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করলে রাষ্ট্রদূত প্রয়োজনীয় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
এছাড়া সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কক্সবাজার ও ভাসানচরে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম, কক্সবাজারের ক্যাম্পসমূহে শরণার্থীদের আহার, সুপেয় পানি, চিকিৎসা, শিক্ষা, পয়ঃনিস্কাশন এবং রাখাইন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আব্দুল ওয়াদুদ এবং এ বি এম শফিকুল হায়দার।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তুরস্ক ও ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তুরস্ক ও ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন এবং ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও এলেসান্দ্রো।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত এবং ইতালির রাষ্ট্রদূত এ সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তারিখ বলতে চান না পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত আগামী ১-৩ মার্চ আনতালিয়া ডিপ্লোম্যাসি ফোরামের আসন্ন তৃতীয় সম্মেলনের উপর আলোকপাত করেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যকর অংশগ্রহণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
এছাড়া চলতি বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় যুদ্ধ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি তুরস্কে বাংলাদেশিদের বৈধ অভিবাসন বৃদ্ধি, অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ, দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়েও আলোচনা করেছেন বৈঠকে।
ইতালির রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে বিশেষ অভিহিত করে বলেন, প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশি অভিবাসী সেখানে রয়েছেন। যারা দুই দেশের অর্থনীতিতেই ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছেন।
আরও পড়ুন: নেতৃত্বের পরিবর্তন ছাড়া বিএনপির রাজনীতি আর কখনো সচল হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বৈধ উপায়ে আরও বাংলাদেশি সেখানে নেওয়ার বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলব
বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মিয়ানমার উইং) মিয়া মো. মাইনুল কবির রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক বৈঠকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে এই প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করেন।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলীতে একটি বাড়িতে সোমবার মর্টার শেল এসে পড়ায় এক নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৩ জনে: বিজিবি
নিহতদের একজনের নাম বাদশা মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা (৫০) এবং অপরজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে নিজেদের বাঁচাতে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশকারী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মিয়ানমার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তারা তাদের বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে চায়। মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, কারণ তারা (বিজিপি সদস্যরা) ফিরে যেতে চায়। উভয় দিক থেকে যোগাযোগ চলছে।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে যা বলল মার্কিন দূতাবাস
মিয়ানমার সীমান্তে সতর্ক রয়েছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী