শেখ মুজিবুর রহমান
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অমূল্য জাতীয় সম্পদ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অমূল্য সম্পদ।
বঙ্গবন্ধু ও তার ভাষণ নিয়ে দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে তিনি বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) প্রতিটি ভাষণে বাংলাদেশকে কীভাবে পরিচালনা করতে হবে তার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তাই, এই ভাষণগুলো আমাদের জন্য অমূল্য সম্পদ।’
বাংলাদেশ সংসদের ৫০ বছর (সুবর্ণ জয়ন্তী) উপলক্ষে বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া বিশেষ অধিবেশনের ঠিক আগে সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির সভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
দুটি বইয়ের একটি হল বঙ্গবন্ধুর সংসদে দেওয়া ভাষণের সংকলন এবং দ্বিতীয়টি ২০২০ সালে পালিত মুজিব বর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংসদের বিশেষ অধিবেশনে আইন প্রণেতাদের দেওয়া বক্তৃতার সংকলন।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বই সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, সংসদ সদস্য, জনগণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশ ও এর জনগণকে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রজন্ম বা পরবর্তী প্রজন্ম বাংলাদেশকে বোঝার, বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান এবং তাদের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি জানার সুযোগ পাবে (বইটিতে)।’
সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের দেওয়া বক্তৃতার সংকলনেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রচেষ্টা জোরদার করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
তিনি এ ব্যাপারে স্পিকার, সংসদ সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সংবিধান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধান বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধান কারণ এতে সকল স্তরের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের নিয়ে গণপরিষদ (গণপরিষদ) গঠন করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ইতিহাসে এটি একটি বিরল দৃষ্টান্ত যে বঙ্গবন্ধু মাত্র নয় মাসের মধ্যে একটি সংবিধান প্রণয়ন করে বাঙালি জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সম্ভবত এটিকে সমগ্র বিশ্বের অন্যতম সেরা সংবিধান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, এর কারণ হলো সংবিধানে প্রতিটি দৃষ্টিকোণ থেকে দরিদ্র, বঞ্চিত, শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, সংবিধানে সুবিধাবঞ্চিতসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষের অধিকারও নিশ্চিত করা হয়েছে।
সেই সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সে নির্বাচনে সাতটি আসন ছাড়া সবকটিতেই আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
কার্য উপদেষ্টা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা বিজ্ঞানে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর
টেকসই গণতন্ত্রের কারণে বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে অ্যাডভান্সড রিসার্চ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকীতে দেশের গবেষণা ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করল অ্যাডভান্সড রিসার্চ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (এআরএফবি)।
গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই গবেষণা সংস্থার উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
রাজধানীর আর্মি গলফ ক্লাবে এই অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট গবেষক, চিকিৎসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও এআরএফবির আত্মপ্রকাশ উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়।
সেদিন জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে নানা বয়সী শিশুরাও অংশ নেয়। পরে আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে এই মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে এআরএফবির ১৯ সদস্যের নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার
এআরএফবির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) মো. ফসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাধীনতা পদকে ভূষিত চিকিৎসক এআরএফবির সহ-সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. নুরুন নাহার ফাতেমা বেগম, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. জহিরুল হক, এআরএফবির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক-গবেষক ড. জহির বিশ্বাস, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ওয়াই এম বেলালুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক ড. লতিফুল বারী, দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ নাদিম, কারিতাস বাংলাদেশের প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিভাগের প্রধান ড. থিওফিল নকরেক, এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লি. এর সাবেক ডিজিএম সেলিনা বানু, চিত্রশিল্পী দেলোয়ার হোসেন, মেটাডোর গ্রুপের কোম্পানি সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন ও সংগীত গবেষক ড. এবিএম রেজাউল রিপন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পদক পাওয়ায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নুরুন নাহার ফাতেমা বেগম, পদোন্নতিতে অতিরিক্ত আইজিপি ওয়াই এম বেলালুর রহমান এবং আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষায় সুযোগ পাওয়ায় আনিকা সুবাহ্ আহমেদকে সন্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব শাব্বির আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানোর সময় মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার এ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, মিশনসমূহের মহাপরিদর্শক আসাদ আলম সিয়াম এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সারাদেশে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ মঙ্গলবার
সারাদেশে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় মঙ্গলবার দেশজুড়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হচ্ছে।
২০১৭ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেসকো) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রের সামনে যে যুগান্তকারী ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন।
লক্ষাধিক স্বাধীনতাকামী জনতার সামনে বঙ্গবন্ধু তার ১৯ মিনিটের অসামান্য ভাষণে শোষক পাকিস্তান সরকারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বিশাল জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা’।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ মঙ্গলবার
তার এই ভাষণকে প্রায়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ঐতিহাসিক গেটিসবার্গের ভাষণের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, যেহেতু আমরা রক্ত দিতে শিখেছি, আমরা আরও রক্ত দেব। ইনশাআল্লাহ, এদেশের মানুষকে মুক্ত করেই ছাড়ব…ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলব। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে (শত্রু) মোকাবিলা কর।
সেদিন বঙ্গবন্ধুর দেয়া সেই ভাষণ জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করেছিল, যা সমগ্র জাতিকে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার স্বৈরাচারী ও দমনমূলক শাসন থেকে স্বাধীনতার সংগ্রামে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও স্টেশন ও জাতীয় দৈনিকগুলোতে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মরণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা ২০২০ সালের ৭ই অক্টোবর ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’-এর পরিবর্তে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু আমাদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। একটি ভাষণ কীভাবে সমগ্র জাতিকে জাগিয়ে তুলতে পারে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে পারে, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্ব স্বীকৃতি আজ বাঙালি জাতির জন্য সম্মান ও গৌরবের স্মারক। আমি বিশ্বাস করি 'জয় বাংলা' স্লোগান এবং জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে অনুপ্রাণিত করবে।
আরও পড়ুন: সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা ৭ মার্চের ভাষণে শতাধিক ভুল: তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে
ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টার নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর
ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি প্রশ্ন করেন, এই ভাষা আন্দোলনের জন্য বঙ্গবন্ধু জেলে ছিলেন। তার কোনো অবদান না থাকলে তিনি কেন জেলে ছিলেন?
সোমবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘একুশে পদক-২০২৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘আইডিএফ গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর ফর ডায়াবেটিস’ পদক পেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও দুটি প্রতিষ্ঠানের মাঝে পদক বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানটি মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে অনুপ্রাণিত করেছিল। অথচ ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আসলে তার (বঙ্গবন্ধুর) নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ভাষা আন্দোলনেও তার অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, এমনকি অনেক বিজ্ঞজনও বলেছিলেন যে তিনি (বঙ্গবন্ধু) সেসময় জেলে থাকায় তার কোনো অবদান নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের কয়েক মাসের মধ্যে তিনবার বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকাকালীন ছাত্রনেতারা তার সঙ্গে দেখা করতেন এবং ভাষা আন্দোলনের বিষয়ে তার নির্দেশনা নিতেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন বঙ্গবন্ধু’- বইগুলো পড়লে এসব তথ্য জানা যাবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে সহায়তা করুন: জাতিসংঘের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন বঙ্গবন্ধু’- বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ডের ১১৩-১৩০ পৃষ্ঠা থেকে সুনির্দিষ্ট তারিখ, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়া ছাত্র নেতাদের নাম এবং ভাষা আন্দোলনের সময় তার ভূমিকা সম্পর্কে জানা যায়।
প্রধানমন্ত্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
‘অমর একুশে’ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে খালেদা মঞ্জুর-ই খুদা, মুক্তিযোদ্ধা একেএম শামসুল হক (মরণোত্তর) এবং হাজী মোহাম্মদ মজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনে তাদের ভূমিকার জন্য পুরস্কার পেয়েছেন।
মাসুদ আলী খান এবং শিমুল ইউসুফ শিল্পকলা বিভাগে অবদানের জন্য মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার পেয়েছেন।
সংগীত বিভাগে মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আবদুল হাকিম এবং ফজল-এ-খোদা (মরণোত্তর); আবৃত্তি বিভাগে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়; শিল্পকলায় নওয়াজিশ আলী খান এবং চিত্রকলা বিভাগে কনক চাঁপা চাকমা পুরস্কার পেয়েছেন।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে মমতাজ উদ্দিন (মরণোত্তর); সাংবাদিকতায় মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর); গবেষণায় ড. মো. আব্দুল মজিদ; শিক্ষায় অধ্যাপক ড. মযহারুল ইসলাম (মরণোত্তর); সমাজসেবায় মো. সাইদুল হক ও অ্যাডভোকেট ড. মঞ্জুরুল ইসলাম (মরণোত্তর); রাজনীতিতে ও আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) এবং ভাষা ও সাহিত্যে ড. মনিরুজ্জামান পুরস্কার পেয়েছেন।
শিক্ষা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং সমাজসেবায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন পুরস্কার পেয়েছে।
প্রত্যেক পুরস্কারপ্রাপ্তকে একটি করে স্বর্ণপদক, সম্মাননা সনদ এবং চার লাখ টাকার চেক দেয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এটি সঞ্চালনা করেন ও পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রশংসাপত্র পাঠ করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে একুশে পদক প্রবর্তিত হয়।
আরও পড়ুন: বিরোধীরা আমার ব্যর্থতা খুঁজে পেলে সংশোধন করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত’
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ঢাকা জেলা আ. লীগের নবগঠিত কমিটির শ্রদ্ধা নিবেদন
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সব নেতা, ভ্রাতৃপ্রতিম ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক তোয়াব খানকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন
শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সভাপতি পদে বেনজীর আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক পদে পনিরুজ্জামান তরুনের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নতুন কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমদ আগের কমিটিতেও সভাপতি ছিলেন। ২০০৪ সালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে এ দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। তিনি ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনের সংসদ সদস্য।
পনিরুজ্জামান তরুন এর আগে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পদে ছিলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন ভুইয়া, ঢাকা জেলার সাবেক সহসভাপতি সওকত শাহীন, সাবেক মহিলা সম্পাদক হালিমা আক্তার লাবন্য, ধামরাই এর মেয়র গোলাম কবীর, সাভারের মেয়র আব্দুল গনি, সাবেক সদস্য সিরাজুল ইসলাম, নবাবগন্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ সিকদার।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের
জাতীয় শোক দিবস: বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোমবার বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর সেখানে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতির স্মরণে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল সশস্ত্র সালাম জানায়। তখন বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এ সময় মোনাজাত করা হয়।
ধানমন্ডি থেকে প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে যান। এখানে শায়িত আছেন তার মা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার অন্য শহীদরা।
প্রধানমন্ত্রী তাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ফুলের পাপড়ি ছিড়িয়ে দেন। সেই সাথে তিনি শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও দোয়া করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেসময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা-বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
পড়ুন: শোক দিবসে নিশ্ছিদ্র ও নির্ভুল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ আইজিপির
১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও আমার সরকার উৎখাতে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু সৌভাগ্যবান যে তিনি বঙ্গমাতাকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পেয়েছিলেন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সৌভাগ্যবান, যে তিনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে তার জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন। যিনি তাকে দেশের স্বাধীনতা ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য অপরিসীম শক্তি জুগিয়েছিলেন।
সোমবার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এটা আমার বাবার জন্য সৌভাগ্যের বিষয় যে, তিনি আমার মাকে তার পাশে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন।’
এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ বিজেতার হাতে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতু ন নেছা মুজিব পদক-২০২২ বিতরণ করেন।
শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ও বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ সন্তান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি রোডের ৩২ নম্বর বাসভবনে তার বাবা-মাকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করা হয়েছিল।
তাদের ছেলেকে (বঙ্গবন্ধু) ছোট বেলা থেকেই দেশের জন্য কাজ করার স্বাধীনতা দেয়ার জন্য তার দাদা এবং দাদীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, তার দাদা-দাদি কখনোই তাদের ছেলের কাছে কিছু দাবি করেননি।
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতার আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিন: শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ‘আমার বাবার পক্ষে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের সংগ্রামে পুরোপুরি নিবেদিত হওয়া সহজ ছিল, কারণ তিনি তাঁর পাশে এমন অসাধারণ জীবনসঙ্গী ও পিতামাতা পেয়েছিলেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, মায়ের মতো জীবনসঙ্গী না পেলে বঙ্গবন্ধুর জন্য দেশের জন্য কাজ করা এবং রাজনীতিতে পূর্ণ মনোযোগ দেয়া খুবই কঠিন হতো।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘...যদি তিনি (বঙ্গমাতা) তার স্বামীকে বিভিন্ন দাবির জন্য সব সময় চাপ দিতেন, তাহলে আমার বাবার জন্য এটা (রাজনীতিতে মনোযোগ দেয়া) কঠিন কাজ হতো।’
তিনি বলেন, তার মা কখনোই তার স্বামীর কাছ থেকে কিছু পাওয়ার জন্য জোরাজুরি করেননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার মায়ের যে কোনও সমস্যাকে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করার এবং কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার অস্বাভাবিক মানসিক শক্তি ছিল।
তিনি আরও বলেন, তার মা তাদেরকেও সেভাবেই বড় করেছেন এবং তার সন্তানদের সাহসের সঙ্গে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে শিখিয়েছেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তার মা যে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে ও পরে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার মা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, যে দেশ স্বাধীন হবে এবং আমার মায়ের এই প্রত্যয় আমার বাবার জন্য খুব সহায়ক ছিল।’
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক পেলেন ৫ বিশিষ্ট নারী
তিনি বলেন, তার মা শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত দেশের জন্য সর্বস্ব দিয়ে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৫ আগস্ট, তিনি তার জন্য জীবন ভিক্ষা করেননি। বরং তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
শেখ হাসিনা দেশের নারীদেরকে বঙ্গমাতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হতে বলেন। যা আমাদের শিক্ষা দেয়, আকাঙ্ক্ষা ও ভোগ-বিলাসই কারও জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, আমি দেশের নারীদের ত্যাগের চেতনা ধারণ করে জনগণের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানাব।
বঙ্গমাতার জীবন ও আত্মত্যাগের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট লেখক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে সৈয়দা জেবুন্নেসা হক বলেন, এই সম্মান পেয়ে তিনি গভীরভাবে আলোড়িত।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়ব এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।
অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে সারাদেশের ২৫০০ অস্বচ্ছল নারীর মাঝে ২০০০ টাকা করে বিতরণ করেন।
এর মধ্যে ১৩ লাখ টাকা বন্যা কবলিত সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে দুস্থ মহিলাদের মধ্যে প্রায় চার হাজার ৫০০টি সুইং মেশিন বিতরণ করেন।
তিনি ‘শেখ ফজিলাতুন নেছা: আমার মা’- শিরোনামের একটি বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করেন।
শেখ হাসিনা রাজধানীতে বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে একটি মহিলা হোস্টেলও খোলেন।
আরও পড়ুন: দলমত নির্বিশেষে আমি প্রতিটি নাগরিকের প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর কলকাতার জীবন নিয়ে নির্মাণ হচ্ছে তথ্যচিত্র ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কলকাতা জীবনকে উপজীব্য করে ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামের একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করা হচ্ছে। তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করছেন ভারতের চিত্রপরিচালক গৌতম ঘোষ।
মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে কলকাতা বাংলাদেশ মিশন এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
শুক্রবার বিকাল ৪টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ (ভারত চ্যাপ্টার)-এর যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কলকাতা জীবনকে উপজীব্য করে ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গত ১৯ মার্চ এই তথ্যচিত্র নির্মাণ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে স্বাক্ষরিত হয়।
প্রায় ৩০ মিনিটের এই তথ্যচিত্রটি কলকাতা এবং বাংলাদেশে শুটিং শেষে আগামী জুন ২০২২ এর মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছে।
গত ৪ এপ্রিল বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত কলকাতার মওলানা আজাদ কলেজ (যেটি পূর্বে ইসলামিয়া কলেজ নামে পরিচিত ছিল) সেখানে এই তথ্যচিত্র নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৪৫-৪৬ শিক্ষাবর্ষে ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়ন করেছেন এবং সে সময় তিনি কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি সেসময় সরকারি বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর রুমের আবাসিক ছাত্র ছিলেন; যেটি এখন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কক্ষ হিসেবে সংরক্ষিত আছে।
আরও পড়ুন: দ্য হেগে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তথ্যচিত্র ‘ব্লকেড’ প্রদর্শিত
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে যুবলীগের উদ্যোগে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে যুবলীগের উদ্যোগে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল।
আরও পড়ুন: শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
এ সময় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আইনজীবী অ্যাড. মামুনুর রশীদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হতো না। বঙ্গবন্ধু ছিলেন সারা বিশ্বের শোষিত মানুষের নেতা। বঙ্গবন্ধু তার পুরোটা জীবন এ দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে লড়াই করেছেন।
সুব্রত পাল বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালি জাতির নেতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন বিশ্বনেতা। তিনি তার শৈশবকাল থেকেই শোষিতের পক্ষে সারাজীবন লড়াই চালিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্য বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে গর্বিত জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত
যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, সুভাষ হাওলাদার, মো. নবী নেওয়াজ, তাজউদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মিল্টন এবং ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহ-সম্পাদক এ কিউ এম মুক্তাদিউর রহমান শিমুল, কার্যনির্বাহী সদস্য শাম্মি খান, ইঞ্জিনিয়ার মোক্তার চৌধুরী কামাল প্রমুখ।