ইউক্রেন
রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমর্থন দিতে ইউক্রেনে ৮০০টিরও বেশি ড্রোন পাঠাবে কানাডা
কানাডার সরকার সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বলেছে, তারা এই বসন্তের শুরু থেকেই ইউক্রেনে ৮০০টিরও বেশি ড্রোন পাঠাবে।
ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল ডিফেন্স এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের জন্য ড্রোন গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতা হয়ে উঠেছে। ড্রোনগুলো নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং যুদ্ধাস্ত্রসহ সরবরাহ স্থানান্তরের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
এগুলোর জন্য ৯৫ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের (৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বেশি খরচ হবে এবং এগুলো ইউক্রেনের জন্য পূর্বে ঘোষিত ৫০০ মিলিয়ন কানাডিয়ান (৩৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) সামরিক সহায়তার অংশ।
আরও পড়ুন: ক্রেমলিনের শত্রু অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যু পশ্চিমা ক্ষোভকে উস্কে দিয়েছে, তবে পুতিনকে থামানো যায়নি
স্কাইরেঞ্জার আর৭০ মাল্টি-মিশন মানবহীন এরিয়াল সিস্টেমগুলো অন্টারিও প্রদেশের ওয়াটারলুতে অবস্থিত টেলিডাইন-এর তৈরি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের দুই বছর পূর্তির কয়েকদিন আগে এই ঘোষণা এলো।
কানাডা এর আগে ইউক্রেনকে ১০০টি উচ্চ-রেজুলেশনের ড্রোন ক্যামেরা দিয়েছিল এবং গত দুই বছরে সামরিক সহায়তায় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার (১ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের বাজারে গোলাবর্ষণে নিহত ১৩
ইউক্রেনে ক্যাফেতে রুশ হামলায় ৫১ জন নিহত
রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের বাজারে গোলাবর্ষণে নিহত ১৩
রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের দোনেৎস্ক শহরের উপকণ্ঠে একটি বাজারে গোলাবর্ষণে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) এ হামলা চালানো হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।
এদিকে তেকস্তিলশিকের শহরতলিতে হামলায় আরও ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দোনেৎস্কের রুশ নিয়ন্ত্রিত কর্তৃপক্ষের প্রধান ডেনিস পুশিলিন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এই গোলা নিক্ষেপ করেছে।
আরও পড়ুন: ইতালির ভেনিসের কাছে বাস দুর্ঘটনায় ইউক্রেনীয় পর্যটকসহ নিহত ২১
কিয়েভ এই ঘটনা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি। রুশ কর্তৃপক্ষের দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
জরুরি বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পুশিলিন।
আঞ্চলিক কর্মকর্তারা জানান, রবিবার রাশিয়ার উস্ত-লুগা বন্দরের একটি রাসায়নিক পরিবহন টার্মিনালে দুটি বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বন্দরটিতে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের ড্রোন, এ ঘটনায় একটি গ্যাস ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়েছে।
সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নোভাটেক পরিচালিত একটি স্থানে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
আরও পড়ুন: রাতে রুশ হামলায় হতাহত হয়েছেন বেশ কিছু বেসামরিক নাগরিক: ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা
রাশিয়ার কিংগিসেপ অঞ্চলের বন্দরের প্রধান ইউরি জাপালাতস্কি এক বিবৃতিতে জানান, এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি, তবে জেলায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম ফন্টানকা জানিয়েছে, রবিবার সকালে দুটি ড্রোন সেন্ট পিটার্সবার্গের দিকে উড়তে দেখা গেছে, কিন্তু সেগুলো কিংগিসেপ অঞ্চলের দিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস স্বাধীনভাবে এই প্রতিবেদনগুলো যাচাই করতে পারেনি।
তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিদিনের ব্রিফিংয়ে কিংগিসেপ এলাকায় কোনো ড্রোন তৎপরতার কথা বলা হয়নি। ব্রিফিংয়ে বলা হয়, রাশিয়ার স্মোলেনস্ক অঞ্চলে চারটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে এবং ওরিওল ও তুলা অঞ্চলে আরও দুটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
এর আগে রুশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছিলেন যে, বৃহস্পতিবার সেন্ট পিটার্সবার্গের উপকণ্ঠে একটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ক্যাফেতে রুশ হামলায় ৫১ জন নিহত
রাতে রুশ হামলায় হতাহত হয়েছেন বেশ কিছু বেসামরিক নাগরিক: ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা
ইউক্রেনের সম্মুখভাগে ও দেশের অন্যান্য অংশে রুশ বাহিনীর অব্যাহত গোলাবর্ষণে দেশটির দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২১ অক্টোবর) ইউক্রেনের স্থানীয় কর্মকর্তারা এই তথ্য জানান।
মেয়র ওলেক্সান্ডার ভিলকুলের টেলিগ্রাম পোস্টে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির শহর ক্রিভি রিহে শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি শিল্প কারখানায় আঘাত হানে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। এতে ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার ভোরে ভিলকুলের দেওয়া তথ্যানুসারে, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন রাতে একই স্থানে আবারও আঘাত হানলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে স্থানটি ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত কি না সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি ভিলকুল। দ্বিতীয়বারের হামলায় কেউ হতাহত হননি বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের কাখোভকা বাঁধ ধ্বংস, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
ইউক্রেনের গভর্নর ওলেক্সান্ডার প্রোকুদিন শনিবার জানিয়েছেন, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন অঞ্চলে রুশ বাহিনীর 'ব্যাপক গোলাবর্ষণে' এক বেসামরিক নাগরিক নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
টেলিগ্রাম পোস্টে প্রোকুদিন বলেন, রুশ সেনারা মর্টার, কামান, ট্যাংক, ড্রোন ও একাধিক রকেট লঞ্চার ব্যবহার করে প্রদেশটির কিছু আবাসিক এলাকাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চলের আভদিভকা শহরে গত কয়েকদিনের গোলাবর্ষণে এক বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন বলে শনিবার স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত গভর্নর ইহর মোরোজ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাপ্তির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কিয়েভের বাহিনী রুশ হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করায় রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনী আভদিভকাকে তীব্র লড়াই করছে। রুশ সেনাদের ছোড়া ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, মর্টার ও আর্টিলারি শেল প্রদেশের অন্যান্য অংশেও আঘাত হেনেছে বলে জানান মোরোজ।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক শহরের কাছে দুটি গ্রামের বাড়িতে রুশ গোলাবর্ষণে আহত ৩৯ বছর বয়সী এক বেসামরিক ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর ওলেহ সিনিহুবভ। রুশ বাহিনী কয়েক সপ্তাহ ধরে কুপিয়াঙ্ক ও লাইমান শহরের নিকটবর্তী এলাকা পুনরুদ্ধারের জন্য আক্রমণ চালিয়ে আসছে।
শুক্রবার রাতে উত্তর সুমি ও দক্ষিণ জাপোরিঝিয়া প্রদেশে রুশ হামলার কথা জানিয়েছে স্থানীয় ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষও। তবে হতাহতের কোনো উল্লেখ করেননি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ক্যাফেতে রুশ হামলায় ৫১ জন নিহত
ইউক্রেনে ক্যাফেতে রুশ হামলায় ৫১ জন নিহত
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের গ্রাম হ্রোজার একটি ক্যাফেতে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রুশ রকেট হামলায় কমপক্ষে ৫১ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং কিয়েভের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের মতে, কয়েক মাসের মধ্যে যুদ্ধের সবচেয়ে মারাত্মক হামলার মধ্যে বৃহস্পতিবারেরটি অন্যতম।
উদ্ধারকারীরা হ্রোজা গ্রামের একমাত্র ক্যাফের ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি যখন আঘাত হানে তখন শিশুসহ কমপক্ষে ৬০ জন ক্যাফেটিতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, জেলেনস্কি ইউক্রেনের মিত্রদের সমর্থন জোগাড় করতে স্পেনে প্রায় ৫০ জন ইউরোপীয় নেতার উপস্থিতিতে ‘গ্রানাডা সম্মেলন’-এ যোগ দিয়েছেন।
সেখানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি রাশিয়ার এই ধরনের হামলাকে ‘নৃশংস রুশ অপরাধ’ এবং ‘সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড’ বলে নিন্দা করেছেন।
কিয়েভ থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, গ্রামটিতে একটি ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ২০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়ের এই হামলাকে ‘ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, এটি প্রমাণ করে, কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘ইউক্রেনের সাহসী জনগণকে তাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে, তাদের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে সহায়তা করার জন্য সবকিছু করতে পারে।’
খারকিভের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম হ্রোজায় যুদ্ধের আগে প্রায় ৫০০ জন বাসিন্দা ছিল। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রাশিয়া এই অঞ্চল দখল করে, এরপর ইউক্রেন তার এই অঞ্চলটি পুনরুদ্ধার করে।
এটি রাশিয়ান সামরিক হামলার মূল লক্ষ্য কুপিয়ানস্ক থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) পশ্চিমে অবস্থিত।
জেলেনস্কি মঙ্গলবার সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করতে এবং পশ্চিমের সরবরাহ করা সরঞ্জাম পরিদর্শন করতে এই এলাকা পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা দিমিত্রো নেচভোলট দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, তিনি তার ৬০ বছর বয়সী বাবাকে খুঁজছেন।
নেচভোলট জানান, তার বাবার লাল গাড়িটি তখনও ক্যাফের কাছাকাছি পার্ক করা ছিল। তার বাবা জীবিত নাকি মৃত তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তিনি অপেক্ষায় আছেন।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার জেলেনস্কি স্পেনের গ্রানাডায় ইউরোপের রাজনৈতিক নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে পশ্চিমা সমর্থন বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়ান সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের কাখোভকা বাঁধ ধ্বংস, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
জেলেনস্কি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রাশিয়া শুধু একটি কারণে এইরকম সন্ত্রাসী হামলা করছে, তা হলো তার গণহত্যামূলক আগ্রাসনকে পুরো বিশ্বের জন্য নতুন আদর্শে পরিণত করা।’
তিনি আবও বলেন, ‘এখন আমরা ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলছি। বিশেষ করে আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করা, আমাদের সৈন্যদের শক্তিশালী করা, আমাদের দেশকে সন্ত্রাস থেকে রক্ষা করা। আমরা সন্ত্রাসীদের জবাব দেবো।’
সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেন, জার্মানি ইউক্রেনকে আরেকটি প্যাট্রিয়ট মিসাইল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সরবরাহ করবে।
তিনি আশঙ্কা করেন, রাশিয়া আবার শীতের মাসগুলোতে ইউক্রেন জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও শহরগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাবে।
গত শীতকালে রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি ব্যবস্থা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে নিরবচ্ছিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। যার ফলে ইউক্রেনজুড়ে বারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হয়।
ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উচ্চ মাত্রার স্থিতিস্থাপকতা ও নমনীয়তা দেখিয়েছে। তবে শীতকাল ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়া আবারও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উপর হামলা চালাবে বলে উদ্বেগ বাড়ছে।
জেলেনস্কি উল্লেখ করেছেন, গ্রানাডা শীর্ষ সম্মেলনে কৃষ্ণ সাগরে ‘বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা এবং নৌ চলাচলের স্বাধীনতার সুরক্ষার জন্য যৌথ দায়িত্ব’ এর উপরও আলোকপাত করা হবে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর গোয়েন্দা তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, রাশিয়া ইউক্রেনের বন্দরগুলোতে বেসামরিক শিপিং লক্ষ্যবস্তুতে সামুদ্রিক মাইন স্থাপন করতে পারে এবং তারা ইউক্রেনের উপর দোষারোপ করতে পারে।
আরও পড়ুন: হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৪ জন নিহত
এর আগে বৃহস্পতিবার ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় রাশিয়া।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলেছে, দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ইরানের তৈরি ২৯টি ড্রোনের মধ্যে ২৪টি জব্দ করেছে। রাশিয়া যেগুলো ওডেসা, মাইকোলাইভ ও কিরোভোহরাদ অঞ্চলে চালাচ্ছে।
কিরোভোহরাদ আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান আন্দ্রি রায়কোভিচ বলেছেন, এই অঞ্চলে একটি অবকাঠামোতে আঘাত করা হয়েছিল। আগুন নেভানোর জন্য জরুরি পরিষেবাগুলো মোতায়েন করা হয়েছিল, তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, গত দিন অন্যান্য রাশিয়ান হামলায় দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসনে দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয় এবং পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের ক্রাসনহোরিভকা শহরে হামলায় একজন মারা যায়। এসময় কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছেন।
আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান ওলেক্সান্ডার প্রোকুদিনের মতে, খেরসন অঞ্চলের বেরিসলাভ শহরের একটি হাসপাতাল রুশ হামলায় ধ্বংস হয়েছে এবং দুই চিকিৎসাকর্মী আহত হয়েছে।
ইউক্রেনও সীমান্তজুড়ে নিয়মিত ড্রোন হামলা করে রাশিয়াকে বিপর্যস্ত করেছে।
ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে গভর্নর রোমান স্টারোভয়েট বলেছেন, ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার ফলে বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী সীমান্ত শহর রিলস্কে কামান ছুঁড়েছে, এতে একজন বাসিন্দা আহত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইতালির ভেনিসের কাছে বাস দুর্ঘটনায় ইউক্রেনীয় পর্যটকসহ নিহত ২১
পুরাতন ভেনিস থেকে ভেনিসীয় লেগুনের ঠিক ওপারে ইতালির মেস্ট্রেতে বাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২১ জন নিহত এবং ১৮ জন আহত হয়েছেন।
ভেনিসের এক কর্মকর্তা বলেন, বাসটি ইউক্রেনীয়সহ বিদেশি পর্যটকদের বহন করার সময় মঙ্গলবার মার্ঘেরা সম্প্রদায়ের কাছে একটি ক্যাম্পিং সাইটে যাওয়ার পথে একটি উঁচু রাস্তা থেকে পড়ে যায়।
ভেনিস ফায়ার ফাইটার টিমের কমান্ডার মাউরো লুঙ্গো বলেন, ‘বাসের যাত্রীদের আগুন ঘিরে ফেলে। আমরা যে দৃশ্য পেয়েছি তা ছিল ভয়াবহ। কিছু লাশ বের করতেই প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় লেগে যায়।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে আফ্রিকাকে ৩ বিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে ইতালি: জি-২০ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী
ভেনিসের মেয়র লুইগি ব্রুগনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেন, ‘দুর্ঘটনার দৃশ্যটি সর্বনাশা ছিল এবং শহরটিতে শোকের ছায়ায় ঘিরে ফেলে।’
ভেনিস শহরের কর্মকর্তা রেনাতো বোরাসো বলেন, পুরাতন শহর ভেনিস থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার (৩ দশমিক ৭ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে মূল ভূখণ্ডে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার পর আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। ভেনিসের প্রিফেক্ট (ঊর্ধতন কর্মকর্তা) মিশেল ডি বারি বলেন, নিহতদের মধ্যে দু’জন শিশু রয়েছে।
আহতদের ওই অঞ্চলের পাঁচটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বাসটি কয়েক মিটার আগে মেস্ট্রের রেললাইনের কাছে পড়ে এবং এতে আগুন ধরে যায়।
ভেনেটো অঞ্চলের গভর্নর লুকা জাইয়া আরএআই রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, দুর্ঘটনার কারণ এখনও অস্পষ্ট।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ইতালির বিনিয়োগকারীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
ইউক্রেনে ২০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনকে ২০০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহায়তা সরবরাহ করবে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগন। যাতে পাল্টা আক্রমণে দেশটির রাজধানী কিয়েভ টিকে থাকতে পারে। দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সামনের সারির সৈন্যরা প্রশিক্ষিত রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বড় ধরনের বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই গোলাবারুদের প্যাকেজে থাকছে হাই-মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (এইচআইএমএআরএস) এবং প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ছোট কামান ও ট্যাংকের জন্য গোলাবারুদ, জ্যাভলিন রকেট, মাইন-ক্লিয়ারিং সরঞ্জাম, ১২ মিলিয়ন রাউন্ড ছোট অস্ত্রের গোলাবারুদ এবং ধ্বংসাত্মক গোলাবারুদ।
নাম প্রকাশের ওই দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই সহায়তার বিষয় এখনও জনসমক্ষে ঘোষণা করা হয়নি।
ইউক্রেনের জন্য নির্ধারিত মার্কিন তহবিলের প্রায় পুরোটাই ব্যয় হয়ে গেছে এবং বাইডেন প্রশাসন এই সমর্থন অব্যাহত রাখতে কংগ্রেসের কাছ থেকে পরিপূরক সহায়তার একটি নতুন প্যাকেজের জন্য অনুরোধ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনা করায় শিক্ষার্থীর ৮ বছরের কারাদণ্ড
গত বছর রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে ইউক্রেন ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৪৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তা পেয়েছে। এসব তহবিলের মাধ্যমে রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ছোট কামান ও লাখ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদসহ নানা অস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহ করা হয়েছে। রক্তক্ষয়ী তীব্র এই যুদ্ধে সহায়তার বেশিরভাগ গোলাবারুদ ও অস্ত্র ইতোমধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।
ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার বুধবার তার অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেন, দেশটির পূর্বাঞ্চলে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ে সামনের সারিতে অবস্থান ও নিয়ন্ত্রণে একদিনের মধ্যে ‘একাধিক পরিবর্তন’ঘটে।
বাইডেন প্রশাসন দুটি কর্মসূচির মাধ্যমে যুদ্ধে ইউক্রেনকে অর্থায়ন করছে। যার একটি হলো প্রেসিডেন্সিয়াল ড্রডাউন অথরিটি বা পিডিএ, যা বিদ্যমান মার্কিন মজুদ থেকে অস্ত্র সরবরাহ করে। অন্যটি হচ্ছে ইউক্রেন সিকিউরিটি অ্যাসিসট্যান্স ইনিশিয়েটিভ বা ইউএসএআই, যা ট্যাংকের মতো বড় আকারের অস্ত্র ব্যবস্থার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে অর্থায়ন করে। উভয় তহবিল চলতি অর্থবছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে যুদ্ধ ও দুর্যোগে ২০২২ সালে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ৭১ মিলিয়ন: প্রতিবেদন
পেন্টাগন ইতোমধ্যেই এই তহবিল নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। কারণ, কংগ্রেস অতিরিক্ত তহবিল অনুমোদন না করা পর্যন্ত সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার জন্য পিডিএ অর্থে প্রায় ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার অবশিষ্ট রয়েছে। এই অবশিষ্ট থেকেই ২০০ মিলিয়ন ডলারের সর্বশেষ সহায়তার প্যাকেজটি দেওয়া হচ্ছে।
পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা ইউক্রেনকে যুদ্ধক্ষেত্রে যা প্রয়োজন তা সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারব। আমি কংগ্রেসের কাছে কোনো সম্পূরক বা অতিরিক্ত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো কিছুতেই এগিয়ে যাচ্ছি না।’
এ ছাড়াও চলতি অর্থবছরে ইউএসএআই তহবিলে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার অবশিষ্ট রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের কাখোভকা বাঁধ ধ্বংস, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশে সারের দাম ১০৫ শতাংশ বেড়েছে: সমীক্ষা
আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা একশনএইড এর পরিচালিত একটি নতুন সমীক্ষা অনুসারে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ফলে বিশ্বের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্য, জ্বালানি এবং সারের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর ফলে খাদ্য ও জ্বালানি সংকট দেয়া দিয়েছে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেকগুলো প্যারামিটারে বেড়েছে, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে সারের দাম বেড়েছে ১০৫ শতাংশ, চিনির দাম ৬০ শতাংশ, পেট্রোলের দাম ৪৭ শতাংশ এবং স্যানিটারি প্যাডের দাম ২৩ শতাংশ।
ফলস্বরূপ, দেশের জনগণ একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে নারী, মেয়ে ও শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে তাদের শিক্ষা, পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে আপোস করতে হচ্ছে।
এশিয়া, আফ্রিকা এবং ক্যারিবিয়ান জুড়ে মোট ১৪ টি দেশে এক হাজারের বেশি মানুষের ওপর পরিচালিত এই সমীক্ষায় দেখা গেছে যে নিরীক্ষণের সময় সারের দাম ১১৫ শতাংশ এর বেশি বেড়েছে, পেট্রোল ও স্যানিটারি প্যাডের দাম ৮০ শতাংশ বা তার বেশি বেড়েছে।
একই সঙ্গে বাল্যবিবাহের হার বৃদ্ধি, নারী স্বাস্থ্যের অবনতি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে।
একশনএইড-এর গ্লোবাল পলিসি অ্যানালিস্ট আলবার্টা গুয়েরা বলেন, ‘এই সমীক্ষা থেকে দেখায় যে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে, বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে প্রান্তিক মানুষরা আকাশ ছোঁয়া খাদ্য, জ্বালানি ও সারের দামের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও কন্যাশিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা এই সময়ে নানান সংকট দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে যা তাদের খাদ্যগ্রহণ, শিক্ষা, বাল্যবিবাহ থেকে মুক্ত থাকার অধিকার এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতাকে প্রভাবিত করেছে।’
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে ১.৮০ লাখ টন সার আমদানির চুক্তি সই
বাংলাদেশসহ ১৪ টি দেশের মধ্যে ১০ টি দেশে মেয়ে ও ছেলে উভয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক চাপও বাল্যবিবাহের হার বাড়িয়ে দিয়েছে।
এবিষয়ে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার একজন বলেন, ‘বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের নিরাপত্তার চেয়ে শিক্ষা অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ। ছেলেদেরকে বাংলাদেশে পাথর কোয়ারিতে বা যাদুকাটা নদীতে প্রতিদিন ৩০০ টাকায় বালু উত্তোলনের কাজ করতে হয়। এ কারণে তারা স্কুলে যেতে পারে না।’
সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয় যে বাংলাদেশ জলবায়ু বিপর্যয়, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, কোভিড-১৯, ঋণের চাপ এবং মুদ্রার অবমূল্যায়ন থেকে শুরু করে একাধিক সংকটে রয়েছে। এই কারণগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল জলবায়ু বিপর্যয়, কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
একশনএইড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, ‘জ্বালানির দামের অস্থিরতা সব ক্ষেত্রেই সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে খাদ্যের ওপর, যা নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বেশি মাত্রায় প্রভাবিত করে। আমাদের জাতীয় প্রতিবেদন (বাংলাদেশ ব্যাংক) নির্দেশ করে যে আমাদের মূল্যস্ফীতি ৯.৫ শতাংশ। যদি আমরা বাস্তব দৃষ্টিতে দেখি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এখন চাল ও ডিমের মতো প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর জন্য আগের দামের প্রায় দ্বিগুণ মূল্য দিতে হচ্ছে।
যার ফলে খাদ্যগ্রহণে মারাত্মক হ্রাস ঘটেছে, যা মানুষের পুষ্টির ভারসাম্যকে প্রভাবিত করেছে। অন্যদিকে, আমাদের এনার্জি খাত অত্যন্ত জ্বালানি-নির্ভর এবং তাই জ্বালানির অতিরিক্ত দাম আমাদের বৈদেশিক রিজার্ভ এবং জাতীয় ব্যয়ের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে’।
আরও পড়ুন: সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়ল
তিনি বলেন, ‘একশনএইড একটি সমন্বিত ব্যবস্থা এবং পর্যাপ্ত তহবিলের পক্ষে জোর দাবি জানাচ্ছে যা জলবায়ু পরিবর্তন, ঋণের চাপ এবং ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনের গভীর প্রতিক্রিয়াসহ মূল্য সংকটকে বাড়িয়ে তোলা সমস্ত আন্তঃসংযুক্ত সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম’।
ফারাহ্ কবির আরও বলেন, ‘পরিবর্তিত বাস্তবতা এবং মানুষের বর্তমান চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য করার জন্য সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলোকে জরুরিভাবে সামঞ্জস্য করা দরকার। শিশুসহ পরিবারগুলোকে তাদের শিক্ষা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করতে হবে। চাষাবাদে অধিক বিনিয়োগের মাধ্যমে খাদ্য আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠতে হবে। নবায়নযোগ্য শক্তি এবং জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এগ্রোইকোলোজিক্যাল চাষ পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনয়ন এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজন’।
১৪ টি দেশের মোট ১০১০ জন মানুষের মধ্যে ১লা মার্চ থেকে ২৩শে এপ্রিলের মধ্যে এই সমীক্ষা পরিচালিত হয়। উত্তরদাতাদের ৬৩ শতাংশ ছিলেন নারী। অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে সমীক্ষার দিনে গমের পণ্য, রান্নার তেল, পেট্রোল, রান্নার জন্য গ্যাস, সার ও স্যানিটারি প্যাডের দাম কত ছিল এবং এই পণ্যগুলো মূল্য ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের আগের মূল্যের সাথে তুলনা করা হয়েছিল (যখন রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল)।
অংশগ্রহণকারীদের তাদের জীবন জীবিকার ওপর এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সম্পর্কেও প্রশ্ন করা হয়েছিল এবং সম্ভাব্য উত্তরগুলোর একটি সিরিজ থেকে কমপক্ষে একটি প্রতিক্রিয়া নির্বাচন করতে উৎসাহিত করা হয়।
জরিপে অংশ নেওয়া ১৪টি দেশ হলো- আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র (ডিআরসি), ইথিওপিয়া, হাইতি, কেনিয়া, মালাউই, মিয়ানমার, নেপাল, নাইজেরিয়া, সিয়েরা লিওন, সোমালিল্যান্ড, জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ে।
আরও পড়ুন: আগামী বছরগুলোতে দেশে সারের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার সমস্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছেন এবং এই নীতিকে সার্বজনীনভাবে পালিত হওয়া আবশ্যক জানিয়ে এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।
সোমবার বিকালে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস সেমিহালের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
ফোনালাপে সেমিহাল বাংলাদেশ ও ইউক্রেনের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউক্রেন থেকে খাদ্য শস্যের নির্বিঘ্ন পরিবহনের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করে বলেন যে বাংলাদেশ চায় বিদ্যমান যুদ্ধ অতি দ্রুত অবসান হোক, যাতে পৃথিবীর ‘ব্রেড বাস্কেট’ খ্যাত ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য সহজেই খাদ্য ঘাটতির দেশগুলোতে পাঠানো যায়।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত রপ্তানি সুযোগ কাজে লাগান: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের নেতৃত্বে ‘কৃষ্ণ সাগর শস্য উদ্যোগ’-এর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান এবং এই উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি এই মহতী উদ্যোগ অব্যাহত রাখার বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী ডেনিস সেমিহাল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে; বিশেষ করে জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংগঠনে ইউক্রেনের পাশে থাকার জন্য অনুরোধ করেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন যে বাংলাদেশ জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতি অনুযায়ী সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি সমস্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তিকে সমর্থন করেন এবং যা সকল ক্ষেত্রে সার্বজনীনভাবে পালিত হওয়া আবশ্যক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলমান যুদ্ধে সাধারণ জনগণ ও শিশুদের মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরাও যুদ্ধ থেকে উঠে এসেছি। যুদ্ধ কোনো পক্ষের জন্যই মঙ্গল বয়ে আনে না। বাংলাদেশ শান্তির নীতিতে বিশ্বাসী।’
পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস সেমিহাল-এর সুস্বাস্থ্য কামনা করেন এবং ইউক্রেনের জনগণের কল্যাণ প্রার্থনা করেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে মধ্যস্থতাকারী হতে পারে ভারত: ভারতীয় গণমাধ্যমকে মোমেন
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাশ: বাংলাদেশসহ ৩২টি দেশ ভোট দেয়নি
ইউক্রেনের কাখোভকা বাঁধ ধ্বংস, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
ইউক্রেনের কাখোভকা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ ধ্বংস এবং খেরসন অঞ্চলে তীব্র বন্যার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে।
মঙ্গলবার আঞ্চলিক সরকারের প্রধান আন্দ্রেই আলেক্সিয়েঙ্কো এ কথা জানিয়েছেন।
আলেক্সিয়েঙ্কো এক টেলিগ্রাম পোস্টে বলেন, আজ সকালে হোলা প্রিস্তান শহরে ১২ জন এবং ওলেশকি শহরে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনার আহ্বান চীনের
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, যোগাযোগের সমস্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে, বিশেষ করে ওলেশকি ও হোলা প্রিস্তান শহরে।
গত ৬ জুন কাখোভকা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে চালানো এক হামলায় বাঁধটি ভেঙে পড়ার পর ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এতে সেখানকার হাজার হাজার বাসিন্দা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনা করায় শিক্ষার্থীর ৮ বছরের কারাদণ্ড
ইউক্রেনে যুদ্ধ ও দুর্যোগে ২০২২ সালে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ৭১ মিলিয়ন: প্রতিবেদন
পুতিন-শি জিনপিং বৈঠক, বিচ্ছিন্ন রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য রাজনৈতিক উৎসাহ
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর বিচ্ছিন্ন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে রাজনৈতিক উত্সাহ দিতে তার সঙ্গে বৈঠক করবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
এই বৈঠকের কারণ ও উদ্দেশ্য কি তার কোনো বিশদ বিবরণ দেয়নি শি’র সরকার।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার আগে শি ও পুতিন ঘোষণা করেছিলেন যে তাদের ‘সীমাহীন বন্ধুত্ব’ ছিল, তবে যুদ্ধের পুরোটা সময়ই চীন নিজেকে নিরপেক্ষ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে। এমনকি বেইজিং গত মাসে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিল।
চীন সরকার জানিয়েছে, শি সোমবার থেকে বুধবার মস্কো সফর করবেন, তবে তিনি চলে গেছেন কিনা তার কোনও ইঙ্গিত তারা দেয়নি।
রুশ সরকার জানিয়েছে যে শি’র মধ্যাহ্নে পৌঁছানোর কথা রয়েছে এবং এরপরে পুতিনের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে।
বৈঠকের আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিসির প্রতি একজন রাষ্ট্রপ্রধানের ‘বিচার বিভাগীয় অনাক্রম্যতাকে সম্মান করার’ এবং ‘সবকিছুকে রাজনীতিকরণ এবং ডাবল স্টান্ডার্ড ত্যাগের’ আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন আন্তর্জাতিক আদালত
চীন রাশিয়াকে তার অর্থনীতির জন্য তেল ও গ্যাসের উৎস হিসেবে এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমেরিকার আধিপত্যের বিরোধিতা করার অংশীদার হিসেবে মনে করে।
ওয়াশিংটনের আমেরিকান ইউনিভার্সিটির চীনা-রাশিয়ান সম্পর্কের বিশেষজ্ঞ জোসেফ টোরিজিয়ান বলেছেন,এ বৈঠক পুতিন ও শি’কে ওয়াশিংটনের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের সময়ে ‘শক্তিশালী অংশীদারিত্ব’- দেখানোর একটি সুযোগ দেবে।
টোরিজিয়ান বলেন, ‘এই বৈঠক চীনের দেয়া এমন ইঙ্গিত হতে পারে যে রাশিয়াকে সাহায্য করার জন্য তারা আরও বেশি কিছু করতে পারে; যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের আরও অবনতি হয় তবে তারা রাশিয়াকে শক্তিশালী করতে এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করতে আরও অনেক কিছু করতে পারে।’
প্রযুক্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার এবং হংকং ও মুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রতি ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আচরণ নিয়ে বিরোধের কারণে ওয়াশিংটন, ইউরোপ এবং এর প্রতিবেশীদের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্ক তিক্ত।
কেউ কেই ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে রাশিয়ার দাবি এবং তাইওয়ানের প্রতি বেইজিংয়ের দাবি একই বলে মনে করেন।
কমিউনিস্ট পার্টির দাবি, ১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের পরে চীন থেকে বিভক্ত হওয়া স্ব-শাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একত্র হতে বাধ্য করা হবে।
শি’র সরকার তাইওয়ানের চারপাশ দিয়ে ফাইটার জেট উড়িয়ে এবং সমুদ্রে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে দ্বীপটিকে ভয় দেখানোর প্রচেষ্টা জোরদার করছে।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে রাশিয়ার রাজস্ব বাড়াতে সাহায্য করার জন্য চীন ক্রেমলিনের থেকে তেল ও গ্যাস কেনা বাড়িয়েছে। তবে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ও সামরিক সহায়তার বিধানের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন এবং ইউরোপীয় সরকারগুলোর নির্ধারিত নিয়ম ভাঙে, এমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি চীন।
আরও পড়ুন: সৌদি-ইরান চুক্তির পর বিশ্বে বৃহৎ ভূমিকা রাখতে চায় চীন
গত শুক্রবার আইসিসি অভিযোগ করে যে ইউক্রেন থেকে হাজার হাজার শিশু অপহরণের জন্য পুতিন ব্যক্তিগতভাবে দায়ী। যেসব দেশের সরকার এই আদালতের কর্তৃত্ব স্বীকার করে, পুতিন তাদের দেশে গেলে তাৎক্ষণিক তাকে গ্রেপ্তার করতে তারা বাধ্য থাকবে।
পুতিন এখনও এই ঘোষণার বিষয়ে মন্তব্য করেননি, তবে ক্রেমলিন এই পদক্ষেপকে ‘আপত্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বরং এ রায়কে অবজ্ঞা করে পুতিন ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার ক্রিমিয়ান উপদ্বীপ দখলের নবম বার্ষিকী উপলক্ষে ক্রিমিয়া এবং দখলকৃত ইউক্রেনীয় বন্দর শহর মারিউপোল পরিদর্শন করেন।
রাশিয়ান সংবাদ প্রতিবেদনে তাকে মারিউপোলের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে এবং ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপলে একটি আর্ট স্কুল এবং একটি শিশু কেন্দ্র পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, আইসিসির উচিত ‘একটি বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখা এবং একজন রাষ্ট্রপ্রধানের প্রাপ্য বিচার বিভাগীয় অনাক্রম্যতাকে সম্মান করা’ এবং ‘সবকিছুকে রাজনীতিকরণ এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ত্যাগ করা উচিত’।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনা করায় শিক্ষার্থীর ৮ বছরের কারাদণ্ড
ওয়াং বলেন, ‘চীন ইউক্রেনের সঙ্কটের বিষয়ে তার বস্তুনিষ্ঠ ও ন্যায্য অবস্থান বজায় রাখবে এবং শান্তি আলোচনার প্রচারে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।’
রুশ সংবাদপত্র রাশিয়ান গেজেটে সোমবার প্রকাশিত একটি নিবন্ধে শি বলেছেন যে চীন ‘সক্রিয়ভাবে শান্তি আলোচনার চেষ্টা করেছে’।
চীনের সিনহুয়া নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে জানা যায় যে শি বলেছেন, ‘আমার আসন্ন রাশিয়া সফর হবে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও শান্তি স্থাপনের যাত্রা।’
শি আরও বলেছেন, ‘সঙ্কট সমাধানের একটি যুক্তিসঙ্গত উপায়’- খুঁজে পাওয়া যেতে পারে; যদি ‘সব পক্ষ অভিন্ন, সর্বাঙ্গীন, সহযোগিতামূলক এবং টেকসই নিরাপত্তার মনোভাব পোষণ করে।’
বেইজিংয়ে সেঙ্গে বৈঠকের পর ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের আশ্চর্য ঘোষণার পর শি এই সফর করছেন।
টোরিজিয়ান বলেন, শি একজন বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নিজেবে দেখতে চান, যিনি শান্তির কথা বলে ‘গঠনমূলক ভূমিকা পালন করছেন’। কিন্তু যুদ্ধ শেষ করার জন্য শি পুতিনকে চাপ দেবেন এমন কোনও সম্ভাবনা নেই।