পার্বত্য
রাজধানীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রীর এপিএস আহত
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) সাদেক হোসেন চৌধুরী বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কাওরান বাজারে ছিনতাইকারীর হামলায় আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এপিএস রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পার্বত্য চট্টগ্রাম বিভাগ) মো. রেজুয়ান খান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাবিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত শিক্ষার্থী লাইফ সাপোর্টে
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং-এর বাসায় দাপ্তরিক কাজ শেষ করে প্রাইভেটকারে ফার্মগেটের বাসায় ফিরছিলেন তিনি।
গাড়িটি কাওরান বাজার সার্ক ফোয়ারা অতিক্রম করার সময় এক ছিনতাইকারী এপিএসের হাতে থাকা মোবাইল ফোন ধরে টান দেয়। এপিএস এ সময় ছিনতাইকারীকে বাধা দিলে ছিনতাইকারী তার হাতে ছুরির আঘাত করে পালিয়ে যায়।
পরে, তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঝাড়খন্ডে অ্যাপার্টমেন্টে অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ নিহত ১৪, আহত ১২
মতলবে আগুনে পুড়ল ৪ দোকান, আহত ৬
পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক: উশৈ সিং
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।
শুক্রবার বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নের বাগমারা বাজারে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কল্যাণে অত্যন্ত আন্তরিক।’
আরও পড়ুন: আন্দোলনের নামে সহিংসতা করবেন না: বিএনপিকে প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি
উশৈ সিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের জনগণের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা, সেবা প্রদানের আন্তরিকতা এবং সাহায্য করার নিরন্তর প্রবণতা দেশকে উন্নয়নের শীর্ষে নিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী দরিদ্র নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন, ছাগল, কৃষি স্প্রে মেশিন এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন।
অনুদানের মধ্যে রয়েছে ২০টি ছাগল, ২০টি সেলাই মেশিন, ৩০টি স্প্রে মেশিন এবং শিক্ষা উপকরণ।
আরও পড়ুন: বিরোধী দল সঙ্কটের মধ্যে রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সরকারি কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
রাঙামাটিতে ৩২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন বাতিলসহ সাত দফা দাবিতে জেলা শহরে ৩২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি শহর এলাকায় এ হরতাল পালিত হবে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ৫ দিনব্যাপী বৈসাবি মেলা আয়োজন
সোমবার দুপুরে রাঙামাটির একটি স্থানীয় রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই হরতালের ডাক দেয়া হয়।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সকল নেতাদের পক্ষে বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মুজিবুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, রাঙামাটি শহর এলাকায় ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩২ ঘন্টা হরতাল পালন করবে নাগরিক পরিষদ। হরতাল চলাকালে এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে মিছিল, পথসভাসহ ভুমি কমিশনের বৈঠককে প্রতিহত করা হবে।
আরও পড়ুন: একই স্থানে আ.লীগ-বিএনপির সমাবেশ, রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সাত দফা দাবিগুলো হচ্ছে-
১. পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে জনসংখ্যা অনুপাতে সকল জাতি গোষ্ঠী থেকে সমান সংখ্যক সদস্য নিশ্চিত করতে হবে।
২. পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি নিরোধ নিষ্পত্তির কার্যক্রম শুরুর আগে, ভূমির বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভূমি জরিপ সম্পন্ন করতে হবে।
৩. জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ভূমির ওপর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ভূমি কমিশন সংশোধনী আইন ২০১৬ এর ধারা সমূহ বাতিল করতে হবে।
৪. পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রবর্তন করতে হবে এবং সমতলের মতো জেলা প্রশাসকদের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার দিতে হবে।
৫. কমিশন কর্তৃক ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কারণে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি খাস জমিতে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. পার্বত্য চট্টগ্রামে তথাকথিত রীতি, প্রথা ও পদ্ধতির পরিবর্তে দেশে বিদ্যমান ভূমি আইন অনুসারে ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
৭. বাংলাদেশ সরকারের আদেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক কর্তৃক বন্দোবস্তকৃত অথবা কবুলিয়ত প্রাপ্ত মালিকানা থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর জামান ডালিম, যুগ্ম-সম্পাদক রুহুল আমিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এম মাসুম রানা, রাঙামাটি জেলা কমিটির মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আসমা মল্লিক।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বন্য হাতির আক্রমণে মানসিক প্রতিবন্ধীর মৃত্যু