টেকনাফ
বিজিবি-বিজিপির দুই দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন সম্পন্ন
কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালী পাড়ার সেন্ট্রাল রিসোর্ট হল রুমে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহ সীমান্তে ২০টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২: বিজিবি
এই সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি'র কক্সবাজার রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব বলেন, সম্মেলনে মাদক পাচার, অবৈধ অনুপ্রবেশ, আন্তঃরাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ, সীমান্ত নিরাপত্তা, তথ্য বিনিময়, সমন্বিত টহল, পারস্পরিক আস্থা বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে দু’টি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনার ধারা অব্যাহত এবং প্রতিবেশি এই দুই বাহিনীর সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় উন্নীত, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে ও পারস্পারিক সহযোগিতায় ভূমিকা রাখবে।
কক্সবাজারে ২৫ দিন পর নিখোঁজ ৩ বন্ধুর লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে নিখোঁজ তিন বন্ধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ মে) দুপুর ১ টার দিকে তাদের লাশের সন্ধান পেয়ে সেখানে যান র্যাব ও পুলিশের দুটি দল।
নিহতরা হলেন- ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউছুপ, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রুবেল এবং কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, টেকনাফ দমদমিয়া পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অপহৃত তিন বন্ধু গত মাসের ২৮ এপ্রিল টেকনাফে পাত্রী দেখতে আসে। পথিমধ্যে সড়ক থেকে তাদের বহনকারী সিএনজি থামিয়ে একদল অপহরণকারীরা পাহাড়ের গহীন জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে তাদের ছেড়ে দিতে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে নির্যাতনের ভিডিও পাঠায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবিতে নিহত ১, উদ্ধার ১৩
ঘটনার পর থেকে পরিবারের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকটি সংস্থায় যোগাযোগ রক্ষা করে। কিন্তু গহীন জঙ্গল এবং অপহরণকারীরা বার বার স্থান পরিবর্তন করায় উদ্ধার এবং কাউকে আটক করা যায়নি।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করে র্যাব। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ এবং র্যাবের কয়েকটি টিম গভীর পাহাড়ে অভিযান শুরু করেছে। আটককৃত অপহরণকারীর দেখানো মতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সমুদ্রে নেমে আরও এক পর্যটক নিখোঁজ
কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
টেকনাফে বজ্রপাতে ২ জন নিহত
কক্সবাজারে বজ্রপাতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ মে) টেকনাফ উপজেলায় পৃথক স্থানে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের হাঁসপাড়া ওয়ার্ডের ছেলে রহমত উল্লাহ (৪০) এবং বাইননাপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে হেলাল উদ্দিন (২০)।
আরও পড়ুন: পাবনায় বজ্রপাতে ১৪ গরুসহ প্রাণ গেল কৃষকের
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন জানান, বুধবার সকাল ১১টার দিকে পানের খেত থেকে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে রহমত উল্লাহর মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, বুধবার সকালে সমুদ্র সৈকত থেকে স্প্যান সংগ্রহের সময় বজ্রপাতে হেলাল উদ্দিনের মৃত্যু হয়।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে নিহত ৯
ময়মনসিংহে বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্র নিহত
টেকনাফের দমদমিয়া চেকপোস্টে ১৪০০ ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার দমদমিয়া চেকপোস্ট থেকে এক হাজার ৪০০টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে আটক ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার দমদমিয়া চেকপোস্টে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারগামী পালকি পরিবহনের একটি বাস তল্লাশি করে ইয়াবাগুলো জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে এক লাখ ইয়াবা জব্দ, রোহিঙ্গা যুবক আটক
বিজিবি-২ এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধীন দমদমিয়া বিওপির একটি টহল দল দমদমিয়া চেকপোস্টে নিয়মিত তল্লাশি চালাচ্ছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার টেকনাফ থেকে কক্সবাজারগামী পালকি পরিবহনের একটি বাস দমদমিয়া চেকপোস্টে এসে তল্লাশির জন্য থামিয়ে দেওয়া হয়।
বিজিবির কে-৯ ইউনিটের একটি অনুসন্ধান কুকুর সন্দেহজনক আচরণে একজন যাত্রীকে শনাক্ত করেছে।
পরে টহল দলটি তল্লাশি চালিয়ে যাত্রীর আসনের নিচ থেকে এক হাজার ৪০০টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করে উক্ত যাত্রীকে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
সেন্টমার্টিন থেকে ৭ লাখ ইয়াবা উদ্ধার: কোস্টগার্ড
ঘূর্ণিঝড় মোখা লাইভ অনুসরণ করবেন যেভাবে
ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করছে। কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও টেকনাফ উপজেলায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা লাইভ অনুসরণ করুন:
মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ রবিবার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা রবিবার সকালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলে পৌঁছেছে এবং বিকালের মধ্যে ঝড়টির কেন্দ্রস্থল সিটওয়ে টাউনশিপের কাছে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টেকনাফে পাহাড় থেকে অপহরণকারী ও ডাকাতদলের প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৬
কক্সবাজারের টেকনাফের দুর্গম পাহাড় থেকে বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষকে অপহরণ ও ডাকাতির অন্যতম হোতা ছালেহ বাহিনীর প্রধানসহ ছয়জনকে আটক করেছে র্যাব -১৫।
শনিবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার র্যাব ১৫ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি টেকনাফে অপহরণের প্রবণতা বেড়েছে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে এটি জানতে পেরে আমরা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করি। আমাদের কাছে খবর আসে সালেহ বাহিনী অপহরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা গৃহহীন পাহাড়ে অভিযান পরিচলনা করি। এসময় সালেহ বাহিনীর প্রধানসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, দেশীয় তৈরি ৩টি একনলা বড় বন্দুক, ২টি একনলা মাঝারি বন্দুক, ৬টি একনলা ছোট বন্দুকসহ মোট ১১টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ১৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৪ রাউন্ড খালি কার্তুজ, ২টি ছুরি ও ৬টি দেশীয় দা উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
আরও পড়ুন: দুইদিনের ব্যবধানে টেকনাফে ৭ জন অপহরণ
গ্রেপ্তারেরা হলেন-ছালেহ বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলেহ ডাকাত, নুরুল আলম নূরু, আক্তার কামাল সোহেল, নুরুল আলম লালু, হারুনুর রশিদ ও এরিয়াজ উদ্দিন বাপ্পি।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন যে টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে অবস্থান করে হাফিজুর রহমান ওরফে ছলেহ ডাকাতের সরাসরি নেতৃত্বে এই চক্রটি অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র্যাব এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৫ রোহিঙ্গা শিশু ‘অপহরণ’, ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যুবককে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ
দুইদিনের ব্যবধানে টেকনাফে ৭ জন অপহরণ
কক্সবাজারের টেকনাফে অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীরা আরও দুইজনকে অপহরণ করেছে। এর দুইদিন আগে আরও পাঁচজনকে অপহরণ করে অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীরা। এই নিয়ে টেকনাফে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রবিবার (৩০এপ্রিল) সকালে টেকনাফের বাহাছড়ার জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অপহৃতরা হলেন- উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা গ্রামের বাসিন্দা মো. রহিম (৩২) ও মো. রেদোয়ান (২০)। আহতরা হলেন, আবদুল আমিন ও আব্দুল্লাহ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের নয়াপাড়ার রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের সি ব্লকের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বেলাল, মোহাম্মদ ইলিয়াসের ছেলে নূর কামাল, উবায়দুল্লাহর ছেলে নূর আরাফাত, বি ব্লকের মো. রফিকের ছেলে ওসমান এবং ডি ব্লকের মাহাত আমিনের ছেলে নুর কামাল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল হালিম।
তিনি জানান, ৩০ এপ্রিল সকালে দুইজন কৃষক অপহরণের কথা শুনেছি। পরে পুলিশের একটি টিম এলাকায় যায়। এরপর পাহাড়ে অভিযান শুরু করে।
এর আগে পাঁচ রোহিঙ্গা অপহরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তাদের উদ্ধার তৎপরতার কারণে পাঁচজন উদ্ধার হয়েছে। তবে এসব ঘটনার পিছনে কারা আছে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৫ রোহিঙ্গা শিশু ‘অপহরণ’, ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, 'সকালে পাঁচজন কৃষক পাহাড়ের কাছাকাছি পানের বরজে কাজ করতে গেলে ডাকাতের একটি দল তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় তিনজন পালিয়ে আসলেও দুজনকে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পালিয়ে আসার সময় ২ জনকে কুপিয়ে জখম করে।'
তিনি জানান, 'এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি অস্ত্রধারী ডাকাত দল অপহরণ-মুক্তিপণ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে এখানকার বাসিন্দারা ভয়ভীতির মধ্য রয়েছে।'
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, গত ৬ মাসে ক্যাম্পসহ টেকনাফের পাহাড়ে ৭২ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৪০ জন রোহিঙ্গা নাগরিক ও ৩২ জন স্থানীয় বাসিন্দা।
সবশেষ গত ২৬ এপ্রিল নয়াপাড়া ক্যাম্পের তিন শিশু অপহরণের শিকার হন। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসেন। এছাড়া গত ৩ মার্চ দুইশিশুকে অপহরণের ৮ ঘণ্টা পর ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয় অহরণকারীরা।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকায় খেত পাহারারত ৪ কৃষককে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তারা ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেন।
এছাড়া গেল ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার একটি পাহাড়ের ভেতর খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন আট ব্যক্তি। পরে তারাও ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তারা ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৪ কৃষক অপহরণের অভিযোগ
টেকনাফে ফের কলেজছাত্রসহ ৭ জন অপহরণ
টেকনাফে ৫ রোহিঙ্গা শিশু ‘অপহরণ’, ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
কক্সবাজারের টেকনাফের জাদিমুড়া এলাকা থেকে অপহৃত রোহিঙ্গা পাঁচ শিশুর পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় নয়াপাড়ার রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. একরাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরে জাদিমুড়ার ন্যাচার পার্ক থেকে মুখোশধারী ৭ থেকে ৮ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী পাঁচ শিশুকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে গেছে। এরপর অপহৃতদের পরিবারের কাছে ফোনে মুক্তিপণ দাবি করেছে। অপহৃত পাঁচ শিশুর মধ্যে তার বাড়ির কাছে একই ব্লকের তিনজন রয়েছে।
অপহৃতরা হলো- টেকনাফের নয়াপাড়ার রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের সি ব্লকের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বেলাল (১৩), মোহাম্মদ ইলিয়াসের ছেলে নূর কামাল (১২), উবায়দুল্লাহর ছেলে নূর আরাফাত (১২), বি ব্লকের মো. রফিকের ছেলে ওসমান (১৪) এবং ডি ব্লকের মাহাত আমিনের ছেলে নূর কামাল (১৫)।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যুবককে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা বলেন, ওই শিশুরা ঈদ উপলক্ষে বাইরে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে ছিল। এ সময় ন্যাচার পার্ক এলাকা থেকে তারা অপহৃত হয়। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও বলেন, তবে মুক্তিপণের বিষয়ে তাদের এখনও পরিবারগুলো কিছুই জানায়নি। তবে, তাদের উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হালিম জানান, অপহরণের কথা তিনি শুনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কারও কাছ থেকে কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এরপরও পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিড়ালের ছানা দেয়ার কথা বলে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ
টেকনাফে ফের কলেজছাত্রসহ ৭ জন অপহরণ
টেকনাফে মাদক জব্দ, আটক ৪
কক্সবাজারের টেকনাফের জালিয়ার দ্বীপে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা মিয়ানমারের চার নাগরিককে আটক করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি, ১ দশমিক ০৬ কেজি ক্রিস্টাল মেথ, ৩৫ বোতল বিদেশি মদ ও ৪৩০ ক্যান বিয়ার জব্দ করার দাবি করেছে বিজিবি।
সোমবার রাতে বিজিবি এ অভিযান চালায়।
আটককৃতরা হলেন- শফিউর রহমানের ছেলে ওয়াজ করিম (২২), আমির হাকিমের ছেলে মাহবুবুর রহমান (১৯), আনিস আহমেদের ছেলে মো. ফয়সাল (২০) এবং মিয়ানমারের হোসেন আহমেদের ছেলে জসিম উদ্দিন।
এদের মধ্যে ফয়সাল ও জসিম কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বালুখালী ক্যাম্পের বাসিন্দা।
বিজিবি-২-এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, খবর পেয়ে বিজিবি-২ এর একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায় এবং রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে সীমান্তবর্তী এলাকার জিরো লাইন অতিক্রম করার সময় একটি নৌকাকে চ্যালেঞ্জ করে।
পরে নৌকার ভেতর থেকে বিয়ার ও মদসহ চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তাদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে সাড়ে ১১ কোটি টাকার ক্রিস্টাল মেথ ও ইয়াবা জব্দ: বিজিবি
টেকনাফে ১২ কোটি টাকা মূল্যের মাদক জব্দ
টেকনাফে মাদক জব্দ, যুবক আটক
গ্যাসের গন্ধের খবরে ঢাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় 'গ্যাসের গন্ধের' খবরে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
রাজধানীর মগবাজার, বাড্ডা, বাসাবো, ধানমন্ডি, হাজারীবাগসহ বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা রাস্তায় গ্যাসের গন্ধের কথা জানিয়েছেন।
এর আগে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে বলা হয়, ঈদের সময় কারখানায় গ্যাস সরবরাহ না হওয়ায় সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে গ্যাসের চাপ বেড়ে যাওয়ায় 'ওভার-ফ্লো' ও গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে।
এতে আরও বলা হয় যে তিতাস গ্যাসের জরুরি ও কারিগরি টিম যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানে কাজ করছে।
তিতাস গ্যাসের হটলাইন- ১৬৪৯৬ উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের গন্ধের খবর মানুষের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
তিতাস গ্যাস ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’