চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপি নেতার বাড়ি ভাঙচুর
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় শুক্রবার রাতে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বাড়িতে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।
মিরসরাই উপজেলা বিএনপি শাখার আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়িতে এই ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে একদল যুবক শহিদুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায় বলে শনিবার অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীর ছোট ভাই জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী।
হামলার সময় দুর্বৃত্তরা ঘরের লাইট, সিসিটিভি ক্যামেরা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য' গঠন
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিএনপির চলমান আন্দোলনকে ভয় পেয়ে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগেও বেশ কয়েকবার আমার বাড়িতে হামলা হয়েছে এবং আগুন দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, আমরা এগুলোকে ভয় পাই না।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিথ্যা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী: ফখরুল
চট্টগ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর ইন্তেকাল
চট্টগ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন দৈনিক আজাদীর সাবেক চীফ রিপোর্ট ও যায়যায়দিন পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ছিলেন।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
আরও পড়ুন: প্রবীণ সাংবাদিক এম শাহজাহান মিয়া মারা গেছেন
তিনি স্ত্রী ও এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
১৯৭৪ সালে সাংবাদিকতা পেশা শুরু করেন হেলাল উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি দৈনিক গণকণ্ঠ, দৈনিক আজাদী, দৈনিক সমকালে কাজ করেন। তিনি দৈনিক আজাদীর চিফ রিপোর্টার ও সমকালের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
জানা গেছে, একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য হেলাল উদ্দিন চৌধুরী শুক্রবার সকালে কক্সবাজার যান।
আরও পড়ুন: যুগান্তরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হাবিবুর রহমান ৪২ বছর বয়সে মারা গেছেন
দুপুরে সেখানে অনুষ্ঠান চলাকালে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রথমে সিসিইউতে এবং পরে লাইফ সাপোর্টে রেখে চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। সব চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেন।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আশিকুর রহমান বলেন, প্রবীণ সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী সাহেব আজ (শুক্রবার) দুপুর ১২টা ৩৮ মিনিটে আমাদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন বুকে ব্যথা নিয়ে। সেখানে ইসিজি করে তার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ সামর্থ দিয়ে উনার চিকিৎসা চালিয়ে গেছেন। কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: ‘ঘুড্ডি’ পরিচালক সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকি মারা গেছেন
সীতাকুণ্ডে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ১১
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত এবং ১১জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার জোড়আমতল এবং সুলতানা মন্দির এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. মছিউদৌলা (৭১) উপজেলার জোড়আমতল এলাকার কুয়েত কামালের বাড়ির মৃত সুলতান আহমদের ছেলে।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জোড়আমতল এলাকায় গার্লস স্কুলের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় উল্টো পথে আসা একটি অজ্ঞাত লরী মছিউদৌলাকে চাপা দেয়।এসময় খবর পেয়ে কুমিরা ফায়ার সার্ভিস টিম তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ফিরোজ ভূঁইয়া।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার বাঁশবাড়িয়াস্থ সুলতানা মন্দির এলাকায় কক্সবাজারগামী বাস একটি লরিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ওই বাসের ১১ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন।
হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর দুর্ঘটনা দুটির সত্যতিা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী আহত
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদ ইকবাল। তিনি পরিবার নিয়ে কুষ্টিয়া থেকে বান্দরবান যাচ্ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এলাকায় বহনকারী হাইচ মাইক্রোবাস কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছেন।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, কুষ্টিয়া থেকে পুলিশ কর্মকর্তাসহ তার পরিবারকে বহনকারী হাইচ গাড়িটি চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে পৌঁছার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। পরে সেটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি প্রাইভেটকার। আর এতেই ঘটনাস্থলে মারা যান জাহিদ ইকবাল।
আরও পড়ুন: ফেনীতে সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার আদালতে আত্মসমর্পণ, কারাগারে প্রেরণ
তারা আরও জানান, গাড়িতে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদের ছেলে, দুই বোন ও দুই ভাগনের পাশাপাশি প্রাইভেটকারে থাকা দু’জনও এতে আহত হন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যান।
সীতাকুণ্ডের কুমিরা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মো. শাহাদাত হোসেন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিহত পুলিশ সদস্যের লাশ কুমিরা হাইওয়ে থানায় আছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হবে।’
নিহত পুলিশ পরিদর্শক জাহিদ ইকবাল বাংলাদেশ পুলিশের ২৭তম ব্যাচের ক্যাডেট (এসআই) ছিলেন। তিনি রাণীসংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন। সম্প্রতি বদলি হয়ে সর্বশেষ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সিআইডি পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০২২ সালে তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার শ্রেষ্ঠ ওসিও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার স্ত্রী রেশমা-ও পুলিশ পরিদর্শক।
আরও পড়ুন: পত্নীতলায় ট্রাকের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
চট্টগ্রামে পটিয়া ও সীতাকুণ্ডে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের পটিয়ার কমল মুন্সির হাট এবং সীতাকুণ্ডের ইকোপার্ক গেট এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- এস এম আজিজুর রহমান খোকন, সৈয়দ আলম ও সীতাকুণ্ডে অজ্ঞাত এক নারী (৫৫)।
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঈগল পরিবহনের দ্রুতগামী যাত্রীবাহী একটি বাস রাত সাড়ে ১১টায় পটিয়া কমল মুন্সির হাট এলাকায় এলে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
এতে মোটরসাইকেল আরোহী দুইজন গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পটিয়া হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রশিদ বলেন, ঘাতক বাসটি পটিয়া হাইওয়ে পুলিশ জব্দ করেছে। তবে চালক ও চালকের সহাকরী পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে, একই সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ইকোপার্ক গেট এলাকায় ট্রাক চাপায় অজ্ঞাত (৫৫) এক নারী নিহত হয়েছেন।
কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, রাতে রাস্তা পারাপারের সময় ওই নারী ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ওই নারীর পরিচয় শনাক্তে পিবিআই আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে। ট্রাক নিয়ে চালক পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ইরাকের উত্তরাঞ্চলে বিয়ের অনুষ্ঠানে আগুন লেগে নিহত শতাধিক
সাতক্ষীরায় ছেলের বন্ধুদের হাতে বাবা নিহত
মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের একাংশের কর্মীসভায় হামলা করেছে অপর অংশের নেতাকর্মীরা। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে মিরসরাই সদর ইউনিয়নের সুফিয়া রোডের নুরজাহান কমিউনিটি সেন্টারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গিয়াস উদ্দিনের কর্মী সমাবেশে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিনের দাবি, মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানা এবং ৯ নম্বর সদর মিরসরাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল আলম দিদারের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনে সমর্থক।
হামলায় আহত কয়েকজন হলেন- হৃদয়, পলাশ, সাইফুল, নুরুল বাকী, সবুজ, কামরুল, সেলিম, রহিমউল্লাহ, রনি ও হাসান। আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গিয়াস উদ্দিন জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানা এবং ইউপি চেয়ারম্যান দিদারের নেতৃত্বে আমার শান্তিপূর্ণ সমাবেশে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় আমার বেশকয়েকজন নেতাকর্মী মারাত্মক আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মিরসরাই থেকে অপহৃত ব্যক্তি ভারতীয় সীমান্ত থেকে উদ্ধার, আটক ১
মিরসরাই ৯ নং সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম দিদার বলেন, এখানে রাজনীতি করতে হলে সাংগঠনিক উপজেলা ও ইউনিয়নের কমিটি রয়েছে। আগামী ৬ অক্টোবর মিরসরাইতে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে। গিয়াস উদ্দিনকে অনুরোধ করতে যাই, যেন আগামী ৬ তারিখ পর্যন্ত অন্যকোনো সভা- সমাবেশ না করে। তখন তার কিছু অনুসারী উত্তেজিত হয়ে তেঁড়ে এসে আমাদের উপর হামলা করে। আমরা কারো উপর হামলা করি নাই।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, আমরা খবর পাই একটি রাজনৈতিক সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তবে কোনো পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ এখনো আসেনি থানায়।
তিনি আরও বলেন, নুরজাহান কমিউনিটি সেন্টারে রাজনৈতিক সমাবেশের ব্যাপারে প্রশাসনের কোনো অনুমতি ছিল না।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে হানিফের বাসের ধাক্কায় এনজিওকর্মী নিহত
মিরসরাইয়ে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
চট্টগ্রামে মিতু হত্যা: আরও ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন
চট্টগ্রামে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আরও চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
চারজনের মধ্যে জব্দ তালিকার দু’জন এবং সিআইডি’র ব্যালাস্টিক এক্সপার্টও রয়েছে। এর আগে এই মামলায় ১৪ সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ বলেন, মিতু হত্যা মামলায় চার জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এনিয়ে মোট ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
আজকে কোনো সাক্ষীর জেরা হয়নি। এর মধ্যে সেসময় সিআইডি চট্টগ্রামে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (ব্যালাস্টিক এক্সপার্ট), ফলের দোকানদার, পুলিশ কনস্টেবল ও মিতুর একই ভবনের বাসিন্দা আছেন। আগামী ১৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জিইসি মোড়ের একটি ফল দোকানের কর্মচারি আবদুর রহিম জানান, ঘটনার দিন সকালে দোকান খুলতে গেলে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও জড়ো হওয়া লোকজন দেখতে পান তিনি। তারা জানায়, এখানে একজনকে সন্ত্রাসীরা মেরে চলে গেছে। সেখান থেকে পুলিশ তিনটি গুলি, একটি গুলির খোসা ও এক জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করে জব্দ তালিকা করে। আমাকে স্বাক্ষর করতে বলায় আমি স্বাক্ষর করি।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যাকাণ্ড: ৭ বছর পর আসামি গ্রেপ্তার
মিতুর একই ভবনের বাসিন্দা উম্মে ফরহাদ আহমেদ সুরমা আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জানান, আমার দুই ছেলেও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে পড়ে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে আমার স্বামী ফোন করে আমাকে জানায়, মিতু ভাবি মারা গেছে। আমি লিফট থেকে নেমে দেখি মাহির। ও আমাকে বলে, আমার আম্মু মারা গেছে। সে তখন কান্না করছিল। তাকে ভবনের ভিতরে পাঠিয়ে আমি ওয়েল ফুডের সামনে যাই। দেখি মিতু ভাবি রাস্তায় পড়ে ছিলেন রক্তাক্ত অবস্থায়। গুলির চিহ্ন দেখি। এরপর পুলিশ সুরতহাল করে। আমি স্বাক্ষর করি।
সে সময়ের পাঁচলাইশ থানার কনস্টেবল রনিতা বড়ুয়া আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জানান, ঘটনার দিন সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে এসআই ত্রিরতন বড়ুয়া ফোন করে বলে যে জিইসি মোড়ে একটা লাশ আছে। ওখানে যেতে। আরও দুজন পুলিশ সদস্যসহ সেখানে যাই। ওখানে গিয়ে দেখি ওয়েল ফুডের সামে কালো বোরকা পরা একটি লাশ পড়ে আছে। এসআই ত্রিরতন বড়ুয়া সুরতহাল করেন। তাকে সহযোগিতা করি। তিনি জব্দ তালিকাও করেন।
আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে সেসময় সিআইডি চট্টগ্রামে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক ব্যালাস্টিক এক্সপার্ট আবদুর রহিম জানান, ২০১৬ সালের ৩০ জুন সিএমপি ডিবি’র সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. কামরুজ্জামানের কাছ থেকে পাওয়া স্মারক মূলে সাদা কাপড়ে মোড়ানো একটি কাগজের বাক্সের ভিতর সিলগালা অবস্থায় আলামত পাই। আলামত হিসেবে ৭ পয়েন্ট ৬৫ এমএম পিস্তলের দুটি অব্যবহৃত, একটি ব্যবহৃত ও একটি মিস ফায়ার হওয়া কাতুর্জ, স্থানীয়ভাবে তৈরি একটি পয়েন্ট ৩২ ক্যালিবারের রিভলবার, স্থানীয়ভাবে তৈরি একটি রিভলবার পাওয়ার কথা আদালতে জানা। এসব আলামতের বিষয়ে মতামত, ব্যালাস্টিক রিপোর্ট ও রাসায়নিক প্রতিবেদন তিনি পরীক্ষা শেষে জমা দেন বলে আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন।
পিবিআই’র তদন্তে বেরিয়ে আসে, মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ অভিযোগে ২০১২ সালের ১২ মে বাবুলের দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই এ মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলায় বাদী মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন
মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
উদ্বোধনের অপেক্ষায় বঙ্গবন্ধু টানেল, টোলের হার চূড়ান্ত
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রাথমিক নির্মাণকাজ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।
মূল টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য পুরোপুরি সজ্জিত ও প্রস্তুত। এটি দেশের প্রথম পানির নিচের টানেল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে টানেলটি উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে সমাবেশে ভাষণ দেবেন।
পরের দিন থেকে সুড়ঙ্গটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। যা এই অঞ্চলের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পরিবহন মাইলফলক হবে।
এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, টানেলের প্রাথমিক নির্মাণকাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে টানেলের মধ্যে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই অসাধারণ প্রকল্পের উদ্বোধন পানির নিচে টানেলের যুগে বাংলাদেশের প্রবেশের সূচনা করছে।
তিনি বলেন, এই ‘স্মরণীয় অর্জন’ দেশের অভ্যন্তরে যোগাযোগের একটি নতুন যুগের সূচনা করবে, যা জাতির জন্য গর্বের বিষয়।
সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন ইউএনবিকে বলেন, প্রাথমিকভাবে টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।
তিনি বলেন, চলমান প্রচেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস এবং থানা ভবনের মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপনসহ বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। টানেল প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৯৮ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, উদ্বোধনের পরও আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
তিনি বলেন, একটি পুলিশ স্টেশন, একটি ডাম্পিং এলাকা এবং একটি স্টেশন স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং এর জন্য জায়গা সহজেই পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যারা এই অভিযানের সঙ্গে জড়িত এবং যারা রক্ষণাবেক্ষণ করবেন তাদের নিজস্ব গাড়ি থাকবে।
সচিব বলেন, নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে টানেল এলাকার অভ্যন্তরে এবং এর আশেপাশে যানবাহন চলাচল পরিচালনার জন্য ট্রাফিক বিভাগ একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
টানেলের অভ্যন্তরে যানবাহনগুলো ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম হবে।
টানেলে কী ধরনের যানবাহন চলবে তা ঠিক করা হয়েছে। টোলও নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেতু সচিব।
সেচিব বলেন, টানেলের ধারণাটি আমাদের কাছে নতুন। এজন্য এর কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এটি অন্যান্য সেতু বা রাস্তা থেকে আলাদা। সেক্ষেত্রে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে টানেলেটি নিরাপদ থাকবে এবং যারা এটি ব্যবহার করবে তারাও নিরাপদ থাকবে।
হোসেন আরও বলেন, এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি মনে করি না যে এই মুহূর্তে দুই বা তিন চাকার গাড়ির জন্য এটি নিরাপদ।
টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুন-অর-রশিদ ইউএনবিকে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল চালু হলে চট্টগ্রাম শহরের পরিধি বাড়বে।
টানেলের এক প্রান্ত চট্টগ্রাম শহর এবং অপর প্রান্ত আনোয়ারা উপজেলার দিকে। টানেলের উন্নয়ন আনোয়ারাকে একটি ক্রমবর্ধমান শহরে রূপান্তরিত করছে। একই সঙ্গে আনোয়ারা উপজেলায় জমির দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: নির্ধারণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল হার
আনোয়ারা উপজেলায় টানেলের টার্মিনাসে যাওয়ার রাস্তার দু'পাশে গড়ে উঠছে ছোট-বড় অসংখ্য শিল্প কারখানা। টানেলটি চালু হলে কর্ণফুলী নদী পারাপারের সময় কমে দাঁড়াবে মাত্র ৩ মিনিটে।
যেহেতু সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। টানেলটি রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের পাশাপাশি পর্যটন নগর কক্সবাজারের মধ্যে সড়ক যোগাযোগে একটি রূপান্তরমূলক পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত।
মূল টানেলটির দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার এবং দুটি চার লেনের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার।
এ ছাড়া মূল টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার লিংক রোড এবং আনোয়ারা প্রান্তে ৭২৭ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার থাকবে।
টানেলটি কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে অবস্থিত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত প্রথম বা উত্তর টানেলের বোরিং শুরু করেন।
২০১১ সালে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই এবং ২০১৪ সালে একটি সমঝোতা স্মারকের পর ২০১৫ সালের ৩০ জুন ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ঠিকাদার নিয়োগের পর ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণকাজ শুরু হয়।
বাংলাদেশ ও চীন সরকারের (জিটুজি) যৌথ অর্থায়নে মোট ১০ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
টানেলের নির্মাণকাজ করছে চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি)।
কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে চীনের সাংহাইয়ের অনুরূপ ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ ধারণা তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু টানেল ব্যবহারে মোট ১২ ধরনের যানবাহনে টোল চার্জ দিতে হবে। প্রাইভেটকারের ক্ষেত্রে ন্যূনতম টোল ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পিকআপ ট্রাককে প্রতি ক্রসিংয়ে ২০০ টাকা এবং মাইক্রোবাসে ২৫০ টাকা ভাড়া নেওয়া হবে।
৩১টির কম আসনের বাসগুলোর ৩০০ টাকা এবং ৩২টির বেশি আসনের বাসগুলোর ৪০০ টাকা টোল দিতে হবে।
পাঁচ টন পর্যন্ত পণ্য বহনে সক্ষম ট্রাকের জন্য টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা। আট টনের ট্রাকে ৫০০ টাকা এবং ১১ টনের ট্রাকে ৬০০ টাকা দিতে হবে। তিন এক্সেল কনটেইনার ট্রেইলারের জন্য ৮০০ টাকা।
চার এক্সেলের একটি ট্রেলারের জন্য ১ হাজার টাকা। তবে প্রতিটি অতিরিক্ত এক্সেলের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা দিতে হবে।
টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য চালুর দিন থেকে টোল হার কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
চট্টগ্রামে ৮ টুকরো লাশের রহস্য উদঘাটন
চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গায় লাগেজ থেকে উদ্ধার করা মস্তকহীন ৮ খণ্ড করা লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম, পরিচয় ও হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিবিআই জানায়, পতেঙ্গার আকমল আলী রোডে লাগেজ থেকে উদ্ধার করা খণ্ড খণ্ড মরদেহের পরিচয় মিলিছে। ওই ব্যক্তির নাম মো. হাসান। তার বয়স ৫৮ বছর। তিনি বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের বরইতলি এলাকার সাহাব মিয়ার ছেলে। লাশের আঙুলের ছাপ নিয়ে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: তিস্তায় নিখোঁজের ১৬ দিন পর এইচএসসি পরীক্ষার্থী লাশ উদ্ধার
পিবিআই কর্মকর্তারা জানান, ৩০ বছর ধরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পর ১ বছর আগে ফিরে আসেন। পরে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তার সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ বাধে। সেই থেকে স্ত্রী ও দুই সন্তান তাকে মারার পরিকল্পনা করেন।
স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও ছেলে মোস্তাফিজকে আটকের পর পিবিআই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া পলাতক অন্য এক ছেলেকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।
পিবিআই চট্টগ্রাম নগর অঞ্চলের ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন সেলিম জানান, মো. হাসানের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে।সম্পত্তিকে কেন্দ্র করেই স্ত্রী ও ছেলেদের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে দুই ছেলেকে নিয়ে হাসানকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করেন তার স্ত্রী। হত্যার পর কেটে টুকরো করে লাগজে ভরে মাথা এক জায়গায় এবং লাগেজ ভর্তি ৮ টুকরো লাশ অন্য জায়গায় ফেলে দেয়।
সিএমপি পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আফতাব হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে পতেঙ্গা ১২ নম্বর ঘাট সংলগ্ন রাস্তার পাশে ঝোপের ভেতর থেকে পরিত্যক্ত লাগেজটি পাওয়া যায়। যাতে একটি লাশের খণ্ডিত অংশগুলো পাওয়া যায়। এর মধ্যে হাত-পায়ের আটটি খণ্ডিত অংশ ছিল। হাত-পাগুলো আট টুকরো করে কেটে টেপ মুড়িয়ে লাগেজে ভরা হয়েছিল। লাগেজের ভেতর শার্ট এবং লুঙ্গিও ছিল।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের টঙ্গীতে এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় নিখোঁজ ঝালমুড়ি বিক্রেতার লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে লাগেজ ভর্তি লাশের ৮ খন্ড উদ্ধার
চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গায় থেকে লাগেজ ভর্তি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশের ৮ খন্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পতেঙ্গার ১২ নম্বর ঘাট এলাকা ঝোঁপের ভেতর পড়ে থাকা লাগেজের ভেতর থেকে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে অন্য কোথাও হত্যা করে লাশ টুকরো করে লাগেজে ভরে এখানে এনে ফেলেছে। এ ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর খন্ডিত লাশ উদ্ধার
ঘটনা নিশ্চিত করে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আফতাব হোসেন বলেন, লাগেজে লাশের আটটি টুকরো পাওয়া গেছে। শরীর থেকে মাথা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। তবে লাগেজে শরীরের অন্যান্য অংশ থাকলেও মাথা ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ তাকে হত্যার পর টুকরো টুকরো করে লাগেজে ভরে ফেলে গেছে। তিনি আরও বলেন, নিহতের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।
ওসি আরও জানান, যে স্থানে লাগেজটি ফেলে রাখা হয়েছিল সেটি মূল সড়ক থেকে একটু ভেতরে সরু গলিতে। হাত-পাগুলো আট টুকরো করে কেটে টেপ মুড়িয়ে লাগেজে ভরা হয়েছিল। লাগেজের ভেতর নিহত ব্যক্তির শার্ট এবং লুঙ্গিও রয়েছে। আমরা আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
আরও পড়ুন: জগন্নাথপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর খন্ডিত লাশ উদ্ধার, ফার্মেসির মালিকসহ গ্রেপ্তার ৩