আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
লন্ডনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
মহান একুশের অমর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে লন্ডন হাইকমিশনে ‘মহান শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালিত হয়েছে।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম সকালে দূতাবাসে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে দিবস পালনের সূচনা করেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সারাদেশে পালিত হলো 'অমর একুশে'
এ উপলক্ষে হাইকমিশনার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে বাংলা ভাষাকে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেন এবং পরবর্তীতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সর্বপ্রথম বাংলায় ভাষণ দিয়ে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করেন। বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সালে বিশেষ কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করে একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবসকে ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন। যার ফলে আজ সমগ্র বিশ্বব্যাপী সবাই অমর একুশকে নিজ নিজ মাতৃভাষার দিবস হিসেবে উদযাপন করছেন।’
হাইকমিশনার আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগেই ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বের একমাত্র আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সিটিটিউট। তিনি বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্যও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।’
এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শুনানো হয় এবং একুশের মহান ভাষা শহিদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার ও মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এতে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: টোকিওতে পালিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সারাদেশে পালিত হলো 'অমর একুশে'
জাতি সোমবার 'অমর একুশে', ভাষা শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
মহান ভাষা আন্দোলন জাতির ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, যার লক্ষ্য ছিল মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি স্ব-সত্তা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষা করা।
আরও পড়ুন: ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগেই বিশ্বব্যাপী মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: পররাষ্ট্র সচিব
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘অমর একুশে’-আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহিদ দিবস উপলক্ষে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম রবিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী মধ্যরাতের এক মিনিটে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অমর একুশের ৭০ বছর এবং স্বাধীন বাংলাদেশে অমর একুশে পালনের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও একটি ডাটা কার্ডও অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ভাষা শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন সজীব ওয়াজেদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান সকালে ঢাবি ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গান গেয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে খালি পায়ে হেঁটে সর্বস্তরের মানুষ ভাষা আন্দোলনের সেই বীর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যারা বাংলা ভাষার স্বীকৃতি অর্জনের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন।
সোমবার বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা শহীদ মিনার এলাকা পরিষ্কার করতে গিয়ে ফুল অপসারণ করেন।
টোকিওতে পালিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ শ্রদ্ধা ও গাম্ভীর্যের সঙ্গে সোমবার শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে।
ভাষা শহিদদের স্মরণে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ দূতাবাসের অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
পরে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রদূত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করেন এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে দিনটির তাৎপর্য নিয়ে একটি অনলাইন আলোচনার আয়োজন করে দূতাবাস।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঢাবিতে প্রভাত ফেরি অনুষ্ঠিত
ভাষা শহিদ ও মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ প্রার্থনার মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। এছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের সদস্য, প্রবাসী বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের মঙ্গল ও দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে প্রার্থনা করা হয়।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন বীর ভাষা শহীদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে, রাষ্ট্রদূত মাতসুশিরো হোরিগুচি, সেক্রেড হার্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও জাপান-বাংলাদেশ সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসাকি ওহাশি ও টোকিও ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কিয়োকো নিওয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
বক্তারা এসময় বাংলার পাশাপাশি অন্যান্য ভাষাকে সমুন্নত রাখার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
দিবসটির ইতিহাস ও তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক দিক নিয়ে অনুষ্ঠানে একটি সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্র ‘বাংলা’ দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা নিবেদন
ভারত-বাংলাদেশের ‘নো ম্যান্স ল্যান্ডে’ ভাষাপ্রেমীদের মিলন মেলা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে দুই বাংলার ভাষাপ্রেমীদের মিলন মেলা বসে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের নো ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায়। কেবলমাত্র ভাষার টানে সোমবার সকালে দু’দেশের মানুষ যোগ দেন ২১ শের এই মিলন মেলায়।
নো ম্যান্স ল্যান্ডে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদিতে সকাল সাড়ে সাড়ে ১০ টায় যৌথভাবে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, ভারতের পক্ষে পশ্চিমবঙ্গ বনগাঁও অঞ্চলের এমএলএ শ্রী বিশ্বজিত রায়, এমপি মমতা ঠাকুর, জেলা তৃণমূল সভাপতি আলোরানী সরকার, বনগাঁও পঞ্চায়েত প্রধান পরিতোষ বিশ্বাস এবং বাংলাদেশের পক্ষে যশোর-১ আসনের সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন, কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলিফ রেজা, অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, ওসি কামাল ভূইয়া, ওসি রাজু আহমেদ, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এনামূল হক মকুল ও সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন, যুগলীগের সভাপতি অহেদুজ্জামান অহিদ ও সাধারণ সম্পাদক সোহরাব চেয়ারম্যান।
দুই দেশের জনগণই নয়, রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তারাও বাদ যায়নি শহীদ বেদীতে ফুল দিতে। আজকের একুশ দু’দেশের বাঙালি জাতিকে দিয়েছে মর্যাদার আসন। পরে বাংলাদেশ ও ভারতের পক্ষে থেকে মিষ্টি পাঠানো হয় দুই দেশের জনগণের জন্য।
পরে বিকালে ওপারে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
‘ভাষার স্পষ্ট ব্যাখ্যা’ মহামারির সময় গুরুত্বপূর্ণ অভিব্যক্তি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন করোনা মহামারির সময়ে ভাষা ও অভিব্যক্তির ‘স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন’ ব্যাখ্যার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, বিশ্বের কোনো কোনো নেতা যেখানে জাতীয়তাবাদী/সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিয়ে মহামারিকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির কাজে ব্যবহার করেছেন, সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা জার্মানির তৎকালীন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের মতো নেতারা এ সময়ে মানুষের প্রতি সহমর্মিতা, সংহতি, এবং অন্তর্ভুক্তির বার্তা দিয়েছেন।
কুয়ালালামপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উদযাপনে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন, সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স, টেলরস্ ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ১৭-১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ‘মহামারী ও ভাষা’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। হয়। এ উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন।
ইভেন্টটি একাধিক দেশ এবং প্রতিষ্ঠানের সক্রিয় এবং স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং ভাষাকে একত্রিত করেছে, যা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সারমর্মকে প্রতিফলিত করে।
মালদ্বীপের কলা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিষয়কমন্ত্রী ইউমনা মামুন তার ভিডিও বার্তায় করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভাষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন।
তিনি ১৯৫২ সালের বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের কথাও স্মরণ করেন।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ার বলেছেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত বৈচিত্র্য সংরক্ষণের চেতনাকে বহন করে।
টেলরস ইউনিভার্সিটির নির্বাহী ডীন প্রফেসর ড. লীথিয়ানান্থন আরি রাগাভান বলেন যে, ভাষা-সৃষ্ট যোগসূত্র সংস্কৃতির দেয়াল পেরিয়ে যেতে পারে । তিনি আরও বলেন যে, কোভিড-১৯ মহামারি ভাষা ও সাংস্কৃতিক বিবর্তনের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব ফেলেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমতিয়াজ আহমেদ তার স্বাগত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, চলমান মহামারি কাটিয়ে উঠতে হলে ভাইরাসের ভাষা, রাষ্ট্রের ভাষা এবং জনগণের ভাষার মধ্যে মেল-বন্ধন তৈরির কোন বিকল্প নেই।
পড়ুন: সিমলা সংলাপ: আঞ্চলিক শান্তি নিশ্চিত করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত ঢাকার
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
২১ ফেব্রুয়ারি যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মাতৃভাষার জন্য বাঙালি জাতির সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে ফেব্রুয়ারি একই সঙ্গে পালিত হবে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে।
১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির কার্যক্রম তামাশা ছাড়া আর কিছু না: বিএনপি
রিজভী জানান, কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাদের দল ২০ ফেব্রুয়ারি দিবসটি উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার আযোজন করবে।
তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায় বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দল ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখবেন এবং কালো পতাকা উত্তোলন করবেন।
ওইদিন সকাল ৬টায় নীলক্ষেতের বলাকা সিনেমা হলের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে জড়ো হবেন দলটির নেতাকর্মীরা। পরে তারা প্রথমে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের কবরে ফাতেহা পাঠ এবং পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এছাড়া সারাদেশে বিএনপির কয়েকটি ইউনিট বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করবে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি সরকারের আরেকটি 'আজ্ঞাবহ' ইসি গঠনে কাজ করছে: বিএনপি
সার্চ কমিটি ‘নাটকের’ অংশ: বিএনপি
নড়াইল সদর হাসপাতালের শহীদ মিনারটি দেখভালের কেউ নেই
নড়াইল জেলার সদর হাসপাতালের অভ্যন্তরে নির্মিত শহীদ মিনারটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
হেগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
ইউরোপীয়দের কাছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরার উদ্দেশে নেদারল্যান্ডের হেগে সৃষ্টিশীল উপায়ে অমর একুশে এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালিত
কোভিড-১৯ মহামারির বাস্তবতায় ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে বিনম্র শ্রদ্ধা, যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে ভাষা শহীদদের স্মরণের মাধ্যমে রবিবার ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করেছে জাতি।
বিশ্বের ৪০ ভাগ আদিবাসী নিজ ভাষায় শিক্ষার সুযোগ পান না: ইউনেস্কো
বিদ্যালয় এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বহুভাষিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্তির উপর গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বে বৈচিত্র্য আনয়নের লক্ষ্যে রবিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো)।