থাইল্যান্ড
ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে দেশটির রাজধানী ব্যাংককের উদ্দেশে বুধবার রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতেই এই সফর।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট বুধবার সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।
স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বিমানটি।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক জোরদারে সরকারি সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
এর আগে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, 'এটি দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় ধরনের সফর।’
১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এই প্রথম বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে সফর।
গত জানুয়ারিতে নির্বাচনে জয়লাভের পর কোনো দেশে শেখ হাসিনার এটিই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সফরকালে থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে লেটার অব ইনটেন্টসহ বেশ কয়েকটি সহযোগিতা দলিল সই হবে।
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং সম্পর্ক সম্প্রসারণে পর্যটন খাতে সহযোগিতা ও শুল্ক সম্পর্কিত পারস্পরিক সহযোগিতাসংক্রান্ত আরও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সহযোগিতা চাইবে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, নৌ সংযোগের বিষয়েও আলোচনা হবে।
২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন এবং তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
একই দিনে প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডে সরাসরি চলবে জাহাজ : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে দলিল সই শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সম্মানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।
সফরকালে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাকলাওচাওহুয়া এবং ও রানি সুথিদা বজ্রসুধাবিমালাক্ষণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে এ বহুপাক্ষিক সফরে ২৫ এপ্রিল কমিশন ফর ইউএনএসকাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিয়ে সেখানে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একই দিনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়া আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
'লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অষ্টম অধিবেশনটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে অঞ্চলব্যাপী সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করার একটি সুযোগ হবে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা ও মন্ত্রী এবং অন্যান্য মূল স্টেকহোল্ডারদের এই অধিবেশনে একত্রিত করবে।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (এসকাপ) ৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসকাপ সম্মেলনটি আগামী ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
সরকারের সিনিয়র এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, অর্থমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে আরও থাকবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, সফরকালে একটি দ্বিপক্ষীয় উপাদান যুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে, যাতে অর্ধ ডজন দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নথি সই হতে পারে।
আগামী ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
'লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৮তম অধিবেশনটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে এই অঞ্চলে সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করার একটি সুযোগ তৈরি করবে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনার লক্ষ্যে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা ও মন্ত্রী এবং অন্যান্য মূল স্টেকহোল্ডারদের এই অধিবেশনে মিলিত করবে।
আয়োজকরা বলছেন, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা ডিজিটাল উদ্ভাবনের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে উন্মোচনের সুযোগগুলো চিহ্নিত করা এবং টেকসই উন্নয়নে তাদের অবদান জোরদার করার পন্থাগুলো নিয়েও আলোচনা করতে সক্ষম হবেন।
একটি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা অংশীদার এবং স্টেকহোল্ডারদের বিস্তৃত পরিসরে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেবে, যারা ইতোমধ্যে ডিজিটাল উদ্ভাবনগুলোর মাধ্যমে এই অঞ্চল জুড়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখছে।
টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এককভাবে অবস্থান করছে।
ইতোমধ্যে, এই অঞ্চলটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল অর্থনীতি, গভটেক এবং ইন্টারনেট অফ থিংসের মতো অগ্রণী প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় পরিচালিত উদ্ভাবনের জন্য একটি গতিশীল কেন্দ্র হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। তবুও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাপক সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করতে আরও দক্ষতা এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে এই অঞ্চলের একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ঈদের শুভেচ্ছায় জনকল্যাণে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর
আসুন সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করি: পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী
বহুপক্ষীয় ফোরাম: ২৪ এপ্রিল থেকে ৬ মে থাইল্যান্ড-সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী
চলতি এপ্রিল ও আগামী মে মাসে বহুপক্ষীয় ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে থাইল্যান্ড, সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ঢাকার কর্মকর্তারা জনিয়েছেন, তার এই ত্রিদেশীয় সফরের কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আগামী ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (এসকাপ) অষ্টম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৪ এপ্রিল ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
'লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অষ্টম অধিবেশনটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করবে। একই সঙ্গে এটি ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে অঞ্চলব্যাপী সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করারও একটি সুযোগ হবে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা ও মন্ত্রী এবং অন্যান্য মূল অংশীজনদের এই অধিবেশনে একত্রিত করবে।
আরও পড়ুন: রূপপুর দ্বিতীয় পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণে রোসাটমকে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
এছাড়াও, অংশগ্রহণকারীরা ডিজিটাল উদ্ভাবনের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে উন্মোচনের সুযোগগুলো চিহ্নিত করতে এবং টেকসই উন্নয়নে তাদের অবদান জোরদার করার পন্থাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে সক্ষম হবে।
একটি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা বিস্তৃত অংশীদার এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেবে, যা ডিজিটাল উদ্ভাবনগুলো প্রদর্শন করবে যা ইতোমধ্যে এই অঞ্চল জুড়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৮-২৯ এপ্রিল রিয়াদে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের 'গ্লোবাল কোলাবরেশন, গ্রোথ অ্যান্ড এনার্জি ফর ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক বিশেষ বৈঠকে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: দেশে শিশু-মাতৃমৃত্যু কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৮ এপ্রিল তিনি রিয়াদে থাকবেন।
এই বিশেষ বৈঠক সরকারি ও বেসরকারি খাতের নেতাদেরকে অভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
বৈঠকটি এই অঞ্চল এবং এর বাইরেও ফোরামের মূল উদ্যোগগুলোকে এগিয়ে নেবে। এর লক্ষ্য ক্রমবর্ধমান উত্তর-দক্ষিণ বিভাজন দূর করা, যা উদীয়মান অর্থনৈতিক নীতি, শক্তি রূপান্তর এবং ভূ-রাজনৈতিক অভিঘাতের মতো বিষয়গুলো আরও প্রশস্ত হয়েছে।
এটি সমস্ত খাত এবং শিল্প থেকে ৭০০ জনেরও বেশি নেতাকে একত্রিত করবে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাপী সহযোগিতাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে একটি বিস্তৃত সংলাপ সক্ষম করবে, টেকসই উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী শক্তি রূপান্তরকে উন্নীত করবে, আরও ন্যায়সঙ্গত এবং সহনশীল বিশ্ব অর্থনীতি গঠনে ফোরামের কাজকে সমর্থন করবে।
অন্যদিকে গাম্বিয়া ৪-৫ মে বাঞ্জুলে ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত।
গাম্বিয়া বলেছে, বাঞ্জুলে অনুষ্ঠেয় ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্য নিশ্চিত করতে তারা সম্ভাব্য সবকিছু করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী ৩ মে গাম্বিয়া যাবেন।
৭ মে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মানুষের জন্য কাজ করুন, জনগণের আস্থা হারাবেন না: জনপ্রতিনিধিদেরকে প্রধানমন্ত্রী
১২-১৩ মে ঢাকায় বিমসটেকের বৈঠক
বিমসটেকের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে এমিনেন্ট পারসনস গ্রুপের (ইপিজি) তৃতীয় বৈঠক আগামী ১২-১৩ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
বিমসটেক নেতাদের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে ইপিজি।
এর আগে গত ১১-১২ মার্চ ঢাকার বিমসটেক সচিবালয়ে ইপিজির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিমসটেকের বর্তমান চেয়ারম্যান থাইল্যান্ডের ইপিজি সদস্য ডক্টর সুনথর্ন চাইনদিপম।
বৈঠকে ৬টি বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রের ইপিজি সদস্যরা অংশ নেন।
বিমসটেকের মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডের নেতৃত্বে ইপিজির আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী
বিমসটেক-২০৩০ এজেন্ডা অনুযায়ী একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত বঙ্গোপসাগর অঞ্চল গড়তে বিমসটেকের সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুপারিশ করার লক্ষ্যে সংস্থাটির প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়াসহ কাঠামো নিয়ে কাজ করছে ইপিজি।
দুই দিনের বৈঠকে বিমসটেকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনার সময় প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ কাঠামোর পাশাপাশি বিমসটেকের বাহ্যিক সম্পর্ক এবং সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করে ইপিজি।
এর আগে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি ঢাকায় প্রথম বৈঠক হয়।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা জোরদারে পরিকল্পনা বাস্তবে রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার বিমসটেক প্রধানের
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডে সরাসরি চলবে জাহাজ : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলের লক্ষ্যে উভয় দেশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে থাইল্যান্ডে সরাসরি জাহাজ চলাচল কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে। দুই বছর আগে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। দ্রুত দুই দেশের যৌথ গ্রুপের মিটিং হবে। ব্যবসায়িক কাজ দ্রুত চালু করতে পারব।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর সাক্ষাত শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মেরিন সেক্টরে বিশাল সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সিঙ্গাপুর ও কলম্বো হয়ে থাইল্যান্ডে যেতে হয়। এতে জাহাজ চলাচলে সময় লাগে ২০ থেকে ২২ দিন। সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হলে সময় লাগবে ৩ থেকে ৪ দিন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫০ বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সে সম্পর্ক যাতে আরও জোরদার হয় সে লক্ষ্যে উভয় দেশ কাজ করছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থায় (আইএমও) ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হওয়ায় থাইল্যান্ড বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং ভালোভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। দুই দেশের মধ্যে সংস্কৃতিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে খুব মিল রয়েছে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাড়াতে কাজ করছি।
মিয়ানমারের সংঘাত বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেকোনো সংঘাত ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করে। এটা মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এ সংঘাতের কোন প্রতিফলন ঘটলে আমরা চুপ থাকব না। চোখ বুঝে থাকব না। তাদের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কিছু সদস্য এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছি। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, দেশের সার্বিক নিরাপত্তা, দেশের মানুষের জীবন, জীবিকায় কোন সমস্যা হলে আমরা বসে থাকব না। মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছি।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের সংঘাতে টেকনাফ স্থলবন্দরে কোন প্রভাব পড়ার সংবাদ নেই। কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার কোন খবর নেই।
আরও পড়ুন: সদরঘাট ফিটফাট আছে, থাকবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বাল্কহেড ধাক্কা দেওয়ায় ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৪
থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলে মঙ্গলবার বাস দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, রাজধানী ব্যাংকক থেকে দক্ষিণের সংখলা প্রদেশের দিকে যাওয়ার পথে প্রাচুয়াপ খিরি খান প্রদেশে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ৪৯ জনকে বহনকারী বাসটি হাট ওয়ানাকর্ন জাতীয় উদ্যানের কাছে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
প্রাচুয়াপ খিরি খান প্রদেশ থাইল্যান্ড উপসাগর ও মিয়ানমার উপসাগরের মধ্যবর্তী একটি উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত।
হুয়ে ইয়াং পুলিশ স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট উইরাপাট কেতেসা বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, চালক হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া চালকের রক্ত পরীক্ষার ফলাফলের জন্য কর্মকর্তারা অপেক্ষা করছেন।’
তিনি আরও বলেন, কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, নিহতদের অধিকাংশই থাই এবং কয়েকজন বার্মিজ।
সাওয়াং রুংরুয়েং রেসকিউ ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, আহত ৩৫ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ফের নিহত ২
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে যাত্রীবাহী বাসে গুলি, নিহত ৯
থাইল্যান্ডের জন্য বাংলাদেশকে 'দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশদ্বার' হিসেবে তুলে ধরবে বিটিসিসিআই
৩০ নভেম্বর ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য সবচেয়ে বড় বিজনেস টু বিজনেস ম্যাচমেকিং সেমিনারে অংশ নিতে ৫০ সদস্যের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দল থাইল্যান্ড সফর করবেন।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রহিম; বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর; বাংলাদেশ থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিটিসিসিআই) সভাপতি শামস মাহমুদ।
বাংলাদেশ থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকায় রয়্যাল থাই দূতাবাস যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে সরকারের সহযোগিতা চায় বিটিসিসিআই
থাইল্যান্ডকে বাংলাদেশের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার হিসেবে গড়ে তুলতে এবং থাইল্যান্ডের দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশদ্বার হিসেবে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে বাংলাদেশ থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উক্ত সফর হবে থাইল্যান্ডে সিরিজ সফরের প্রথম- জানিয়েছে বিটিসিসিআই।
'বাংলাদেশ অ্যান্ড থাইল্যান্ড: নিউ হরাইজনস ফর ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট' শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ।
থাইল্যান্ডের কৃষি, সৌন্দর্য ও ত্বকের যত্ন, নির্মাণ, হালকা প্রকৌশল, টেক্সটাইল, এভিয়েশন, আতিথেয়তা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং মৎস্য খাতের শতাধিক প্রতিষ্ঠান এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবে।
এই সফরে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, এফডিআই (প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ), যৌথ উদ্যোগ, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং সহযোগিতার নতুন উপায় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া, প্রতিনিধি দলের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও থাইল্যান্ডের বাণিজ্য প্রতিনিধি ড. নালিন তাভিসিন; পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব সারুন চারোয়েনসুয়ান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-স্থায়ী সচিব একাচাত সীতাভোরারাতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের জন্য গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, নির্মাণ, হালকা প্রকৌশল এবং কৃষি খাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শনের জন্য ৪টি কারখানা পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
ঢাকা-ব্যাংকক রুটে ১ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইউএস-বাংলা
আন্তর্জাতিক গন্তব্যগুলোর মধ্যে বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় গন্তব্য থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক।
১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা থেকে ব্যাংকক রুটে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বর্তমানে ঢাকা-ব্যাংকক রুটে ইউএস-বাংলা সপ্তাহে ৫দিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
যাত্রীদের অতিরিক্ত চাহিদার কারণে ১ ডিসেম্বর থেকে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে ব্যাংকক অবতরণ করবে। একই দিন বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে ব্যাংকক থেকে উড্ডয়ন করে ঢাকায় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন: ইউএস-বাংলার নিজস্ব অর্থায়নে ট্রেইনি এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ
এছাড়া সোম, বুধ, শুক্র ও শনিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকা উড্ডয়ন করে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ব্যাংককে অবতরণ করবে। একই দিন দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে ব্যাংকক থেকে উড্ডয়ন করে ঢাকায় বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে পৌঁছাবে।
কোম্পানিটির পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
ঢাকা-ব্যাংকক রুটে ওয়ানওয়ের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২৭ হাজার ৫০৭ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ৩৩ হাজার ১৫৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভাড়ায় সকল ধরনের ট্যাক্স ও সারচার্জ অন্তর্ভূক্ত।
বর্তমানে ইউএস-বাংলা সকল অভ্যন্তরীণ রুটসহ আন্তর্জাতিক রুট ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, চেন্নাই, মালে, গুয়াংজু, কুয়ালালামপুর, দোহা, শারজাহ, দুবাই, মাস্কাট ও কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
উল্লেখ্য, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানবহরে ৮টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ৯টি এটিআর ৭২-৬০০সহ মোট ২০টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে দু’টি ৪৩৬ আসনের এয়ারবাস ৩৩০ যুক্ত করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল প্রতিনিধিদলের বৈঠক
ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচন: সায়মা ওয়াজেদকে সমর্থনের জন্য থাইল্যান্ডের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন সায়মা ওয়াজেদকে সমর্থনের জন্য থাইল্যান্ড সরকারের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সরকার সায়মা ওয়াজেদকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের (এসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক পদের জন্য মনোনীত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সোমবার (১৬ অক্টোবর) একটি উচ্চ-পর্যায়ের আঞ্চলিক বৈঠকে যোগদানের জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে থাই জনস্বাস্থ্য বিষয়কমন্ত্রী ডা. চোলনান শ্রীকাউয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
এসময় আব্দুল মোমনে ডব্লিউএইচও এসইএআরও -এর আঞ্চলিক পরিচালক পদে বাংলাদেশের প্রার্থী ড. সায়মা ওয়াজেদকে সমর্থন জানানোর জন্য থাই সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
থাই জনস্বাস্থ্যমন্ত্রী তাদের সিদ্ধান্তকে ‘বাংলাদেশের প্রতি শক্তিশালী সমর্থন’ বলেও উল্লেখ করেছেন।
ডব্লিউএইচও এসইএআরও -এর পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচনের প্রার্থীদের নাম ডব্লুএইচও মহাপরিচালক ড. তেদ্রোস আধানম গেব্রেইসাস চলতি বছরের ১৮ আগস্ট সংশ্লিষ্ট সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে পাঠিয়েছিলেন।
প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশের মনোনীত সায়মা ওয়াজেদ এবং নেপাল মনোনীত ডা. শম্ভু প্রসাদ আচার্য।
ডব্লিউএইচও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক কমিটি ভারতের নয়াদিল্লিতে ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত একটি বৈঠকে পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক মনোনীত করার জন্য ভোট দেবে।
তারপরে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ২০২৪ সালের ২২ থেকে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত ডব্লিউএইচও নির্বাহী বোর্ডের ১৫৪তম অধিবেশনে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে।
নবনিযুক্ত আঞ্চলিক পরিচালক ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং একবার পুনরায় নিয়োগের জন্য যোগ্য হবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বর্তমানে দুইদিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে রয়েছেন। সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আঞ্চলিক বৈঠকে যোগ দিতে ব্যাংককে মোমেন
এরপর সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ড. মোমেনথাই জনস্বাস্থ্য বিষয়কমন্ত্রী ড. চোলনান শ্রিকাওয়ের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ড. চোলনান শ্রিকাও তার কার্যালয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসময় ড. চোলনান শ্রিকাওকে অভিনন্দন জানান।
বিমসটেক সম্মেলন: নভেম্বরে থাইল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল
নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের সময় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল থাইল্যান্ড সফর করবে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে বাংলাদেশ আঞ্চলিক গ্রুপিংয়ের সভাপতিত্ব করবে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিআইডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া সম্প্রতি এক সৌজন্য সাক্ষাতে বলেছেন, থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বিদেশি বিনিয়োগবান্ধব নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ পেতে পারেন। কারণ দুই দেশের মধ্যে একই রকম পরিবেশগত ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে।
রবিবার (৬ আগস্ট) বাংলাদেশ-থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিটিসিসিআই) নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলাপকালে চেয়ারম্যান একথা জানান।
থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠানটি সফল করতে বিডা থেকে সব ধরনের সহযোগিতা ও সহায়তা কামনা করেছে বিটিসিসিআই।
বিটিসিসিআই বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ; বিশেষ করে কর অব্যাহতি সুবিধা, প্রণোদনা, বাংলাদেশে বিদেশি কোম্পানিতে কর্মরত বিদেশি বিশেষজ্ঞদের বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করার জন্য বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছে।
বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী নেতাদের বিটিসিসিআইয়ের প্রস্তাবে তাদের সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী বছরের শেষ দিকে থাইল্যান্ডে বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেবেন
তিনি কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা, পাট ও পাটজাত পণ্য, মৎস্য, ওষুধ ইত্যাদি খাতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগের উপর জোর দেন।
বিটিসিসিআইয়ের সভাপতি শামস মাহমুদ সংগঠনটির নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদকে বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান ও এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
তিনি বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিটিসিসিআই-এর পরিকল্পনার বিষয়েও বিডা কর্মকর্তাদের জানান।
বিটিসিসিআই সভাপতি বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে বিভিন্ন পণ্য যেমন ফার্মাসিউটিক্যালস, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া, আরএমজি ও সিরামিকের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে শ্রম নিবিড় শিল্প স্থানান্তরের উপর জোর দেন।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য এগিয়ে আসার জন্য পরিচালনা পর্ষদকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়াতে কাজ করার জন্য বিটিসিসিআই-এর প্রশংসা করেন।
সভায় মোহসিনা ইয়াসমিন, সহসভাপতি মো. সেলিম সুলাইমান, অনারারি ডিরেক্টর খেমাহাট অর্চওয়াথামরং, ডিরেক্টর ফাইন্যান্স মোহাম্মদ জুনায়েদ ইবনে আলী, শাহজাদা এ হামিদ, মো. আহসানুজ্জামান, ব্রহ্মাণ্ড প্রতাপ বড়ুয়া, বিটিসিসিআইয়ের সচিব মো. নাজমুল হোসেন এসিএসসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কলম্বোতে বিমসটেক সনদ স্বাক্ষরিত
বিমসটেক নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর