বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) এবং সম্মিলিত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক পরিষদের উদ্যোগে রাজধানীর আইডিইবি ভবনে এক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল: ‘বয়স্ক মানুষের শারীরিক সুস্থতা ও বয়সজনিত বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিলের সভাপতি ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে ষাটোর্ধ মানুষ মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ। ২০৫০ সালের মধ্যে মোট জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগ মানুষ বার্ধক্যে উপনীত হবে। বয়স্ক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য রক্ষায় ফিজিওথেরাপি কার্যকর সমাধান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। সরকার এ খাতে নীতি সহায়তা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে।’
তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, ‘ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন খাতে অপচিকিৎসা প্রতিরোধে ও সেবার মানোন্নয়নে রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাকটিশনার (ফিজিওথেরাপি) লাইসেন্স প্রদান এবং পেশাজীবীদের নিবন্ধন দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ও বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. কাজী মাজহারুল ইসলাম দোলন। তিনি বলেন, ‘ফিজিওথেরাপি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সরকারি ও বেসরকারি সমন্বয় বৃদ্ধি পেলে এ খাত আরও শক্তিশালী হবে।’
বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) এর সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মো. নেছার উদ্দিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মু. শফিকুল ইসলাম মাসুদ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ; ডা. মো. রিজওয়ানুর রহমান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; এবং সিআরপি’র নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিপিএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. এম শাহাদাৎ হোসেন। সমাপনী বক্তব্য দেন বিপিএ’র সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
বক্তারা দ্রুত সময়ে বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল থেকে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের লাইসেন্স ও নিবন্ধন প্রদানের পাশাপাশি প্রাইমারি থেকে টারশিয়ারি লেভেল পর্যন্ত চিকিৎসকদের নবম গ্রেডে নিয়োগের দাবি সরকারের কাছে জানান।
এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন, এ আয়োজনের মাধ্যমে দেশে ফিজিওথেরাপি সেবা আরও বিস্তৃত ও গ্রহণযোগ্য হবে।