৪৪তম বিসিএসে ১ হাজার ৭১০টি শূন্য পদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সাময়িকভাবে মনোনীত করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
সোমবার (৩০ জুন) রাতে পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী না পাওয়ায় কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারের ২০টি পদে প্রার্থী মনোনয়ন করা সম্ভব হয়নি। মনোনয়ন-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইট ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
পিএসসি জানিয়েছে, লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও সব প্রার্থীকে ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। যাদের মনোনয়ন হয়নি, তাদের নন-ক্যাডার শূন্য পদে নিয়োগের জন্য সরকারের অধিযাচন পাওয়া সাপেক্ষে মেধাক্রম ও বিদ্যমান বিধি অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে সুপারিশের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এর আগে, ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগ দিতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ৪৫তম, ৪৬তম ও ৪৭তম বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষাও চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, নিয়োগ পাবেন ৩ হাজার চিকিৎসক
এই পাঁচ বিসিএস নিয়ে পিএসসির রোডম্যাপে ৩০ জুন ফল প্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী নির্ধারিত দিন রাতে এই ফল প্রকাশিত হয়েছে।
২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছিল। পরীক্ষার সব ধাপ পেরিয়ে ফল প্রকাশ করতে পৌনে চার বছর লেগে গেল।
২০২৪ সালের এপ্রিলে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে প্রথম দফায় এবং সরকার পতনের পর ২৫ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় তা স্থগিত করা হয়।
পরবর্তী সময়ে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ‘ন্যায্যতা বজায় রাখতে’ প্রার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগের কমিশনের নেওয়া পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই পরীক্ষা শেষে গতরাতে চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়েছে।