বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোনো আইরিশ শিল্পীর একক প্রদর্শনী হিসেবে উদ্বোধন করা হয়েছে খ্যাতনামা আইরিশ শিল্পী উনা হাইল্যান্ডের প্রদর্শনী ‘অ্যান দুআনায়ার: ভিজুয়াল পোয়েমস অব দ্য ডিসপসেসড’।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর বারিধারার গার্ডেন গ্যালারিতে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাকায় নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন বাংলাদেশে আয়ারল্যান্ডের অনারারি কনসাল মাসুদ খান।
গ্যালারি কসমস ও আয়ারল্যান্ড দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আয়ারল্যান্ড-বাংলাদেশ আর্ট একচেঞ্জ প্রোগ্রাম’র অংশ হিসেবে এই আয়োজন দেশদুটির মধ্যে সাংস্কৃতিক সংলাপ ও শিল্প বিনিময়ের একটি গতিশীল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি বলেন, ঢাকায় তিন সপ্তাহের এক সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন উনা হাইল্যান্ড। বাংলাদেশে এ ধরনের উদ্যোগে অংশ নেওয়া প্রথম আইরিশ শিল্পী তিনি। ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি পেশাদার শিল্পী হিসেবে কাজ করছেন বলেও উল্লেখ করেন কেভিন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আয়াল্যান্ডের দূতাবাস না থাকলেও তারা উন্নয়ন, বাণিজ্য ও অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের সহযোগী। এ সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত জানান, ঢাকায় অবস্থানকালে উনা শিল্পের মাধ্যমে স্মৃতি, নিরাময় ও সম্মিলিত প্রতিফলনের সম্পর্ক অনুসন্ধান করবেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃজনশীলতাকে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শক্তি হিসেবে দেখার দর্শন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস ও শিল্পের দৃঢ়তাকে তার কাজে তুলে ধরবেন।
এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে আরও গভীর শিল্প-সহযোগিতা সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন কেভিন। তার মতে, এই উদ্যোগের ফলে শুধু আইরিশ শিল্পীরাই বাংলাদেশে আসবেন না, বরং বাংলাদেশের শিল্পীরাও আয়ারল্যান্ডে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানে আগত দেশ ও বিদেশের সব অতিথিকে স্বাগত জানিয়ে কসমস গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ খান বলেন, ‘শুরুতে আমি একটু চিন্তিত ছিলাম— যথেষ্ট সময় পাবো কি না, সবকিছু ঠিকভাবে হবে কি না। কিন্তু আমাদের সবার প্রচেষ্টা, আর বিশেষ করে উনা’র অক্লান্ত পরিশ্রমে সবকিছু দারুণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’
আইরিশ এই শিল্পীকে অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ, পরিশ্রমী ও দারুণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী হিসেবে উল্লেখ করে মাসুদ বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে আশা করি তিনি আবারও বাংলাদেশে আসবেন।’
মাসুদ খান বলেন, শিল্পীদের স্থিতিশীলতা দিতে হবে, যাতে তারা নিজেদের কাজ উন্নত করতে পারেন, উদ্ভাবন করতে পারেন এবং শিল্পক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। এই দিক থেকে আয়ারল্যান্ড অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। আমাদের একে অপরের কাছ থেকে শেখার অনেক কিছু আছে।