২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) পর্যন্ত দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের অভিযান ও গোলাবর্ষণের কারণে মোট ৫৬৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ সময়ে আহত হয়েছে আরও অন্তত ১ হাজার ৮৪৮ জন।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এক প্রতিবেদনে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহতদের ৮৪ শতাংশই পুরুষ এবং তাদের ৯৩ শতাংশই লেবানিজ। তাদের ৫৩ শতাংশের বয়স ৪৪ বছরের নিচে।
আহতদের ৪২ শতাংশ আঘাতজনিত কারণে, ৪৩ শতাংশ বিস্ফোরণে এবং ১৫ শতাংশ রাসায়নিক সংস্পর্শে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পর্যন্ত দেশটিতে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাত নিয়ে আরব লীগ মহাসচিবের উদ্বেগ
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা করার সময় থেকেই হামলা শুরু করেছে হিজবুল্লাহ। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে গুলি বিনিময় চলছে। তবে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সঙ্গে লড়াই সম্প্রতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। এটি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তা একটি পূর্ণ যুদ্ধের রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হিজবুল্লাহ হামাসের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। তাদের সঙ্গে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হলে ইরানও তাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে তারাও ইসরালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করতে পারে। সর্বোপরি, এটি একটি বড় পর্যায়ের আঞ্চলিক যুদ্ধের রূপ নিতে পারে।
সম্প্রতি হিজবুল্লাহর মোকাবিলায় ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে সৈন্য জড়ো করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এ ব্যাপারে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছেন, আমাদের কাছে নতুন এমন অস্ত্র ও গোয়েন্দা সক্ষমতা রয়েছে, যা ইসরায়েলের গভীরে আরও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করার সক্ষমতা রাখে।
অবশ্য গাজায় যুদ্ধবিরতি হলেই কেবল ইসরায়েলে হামলা বন্ধ করা হবে বলে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের গোলান মালভূমিতে ‘হিজবুল্লাহর’ হামলায় ১২ কিশোর নিহত