দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করার প্রথম দিনেই ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গার ঘটনায় অভিযুক্ত দেড় হাজারের বেশি ব্যক্তির সবাইকে ক্ষমা বা দায়মুক্তি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত ছিল এই ক্ষমাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। এমনকি তারা রাষ্ট্রদ্রোহী ষড়যন্ত্র এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের ওপর আক্রমণ করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।
এই পদক্ষেপটি ক্যাপিটলে হামলার পরে বিস্তৃত বিচারিক কার্যক্রমকে কার্যকরভাবে উল্টে দিলো। একই সঙ্গে কংগ্রেসের একটি যৌথ অধিবেশন এবং শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তাকে আহত করার বিচারকেও ব্যাহত করল।
আরও পড়ুন: বার্নিকাটসহ ৩ কূটনীতিককে পদত্যাগ করতে বলছেন ট্রাম্পের সহযোগীরা
অ্যাটর্নি জেনারেলকে দেওয়া ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের মধ্যে ক্যাপিটল দাঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ৪৫০টি বিচারাধীন মামলা খারিজ করার আদেশও রয়েছে। এমনকি অভিযুক্তদের 'দেশপ্রেমিক' এবং অন্যায় বিচার বিভাগের শিকার হিসেবে বর্ণনা করে ট্রাম্প এই ক্ষমাকে 'জাতীয় পুনর্মিলন' হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তার কর্মকাণ্ড সমর্থক এবং প্রতিরক্ষা অ্যাটর্নিরা উদযাপন করেছেন। তবে ডেমোক্র্যাটিক নেতা এবং আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাসহ সমালোচকরা এটিকে ন্যায়বিচার ও জননিরাপত্তার অবমাননা আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ক্ষমার মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহী ষড়যন্ত্রের জন্য দোষী সাব্যস্ত ১৪ ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত ছিল। আর বাকিরা সম্পূর্ণ নিঃশর্ত ক্ষমা পান। তবে এই ঘোষণাটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এতে একদিকে সমর্থকরা কৃতজ্ঞতা এবং আশাবাদ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে, বিরোধীরা সংঘটিত সহিংস কাজ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের উপর প্রভাবকে তুলে ধরছেন— যাদের মধ্যে অনেকেই আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা রয়েছেন।
ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টেরর বিচারের বিরুদ্ধে নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচনের পর বিচার বিভাগ তার বিরুদ্ধে ফেডারেল ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করে। এর পরই দায়ীদের এই ব্যাপক ক্ষমার ঘোষণা এলো।
গত চার বছরে, ব্যাপক তদন্ত এবং বিচারের ফলে ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। যাদের অনেকেই দাঙ্গায় তাদের ভূমিকার জন্য যথেষ্ট কারাদণ্ডের সম্মুখীন হয়েছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাল বাংলাদেশ