শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের পর দেশের আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে ঢাকা কাস্টম হাউস আগামী ২৪ ও ২৫ অক্টোবর (শুক্র ও শনিবার) অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) ঢাকা কাস্টম হাউস থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, কাস্টম হাউস, ঢাকার আওতাধীন এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে আগামী শুক্র ও শনিবার অফিস খোলা থাকবে। নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদেশে আরও বলা হয়, দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং ব্যবসায়িক গতি সচল রাখার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কাস্টম হাউস, ঢাকার যৌথ কমিশনার সুমন দাশের সই করা ওই আদেশে উল্লেখ করা হয় জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
গত ১৮ অক্টোবর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেশ কয়েক ঘণ্টা সব ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকে।
স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আগুনের সূত্রপাত হয়। অগ্নিকাণ্ডের পর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়, আর বেশ কয়েকটি আগত ফ্লাইট চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আগুনে বিপুল পরিমাণ আমদানি পণ্য, তৈরি পোশাক ও ওষুধশিল্পের কাঁচামাল এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের নমুনা পুড়ে যায়। শিল্প সংগঠনগুলোর হিসাবে, ক্ষয়ক্ষতি ও কার্যক্রমে বিঘ্নের পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা) পর্যন্ত হতে পারে।
সময়মতো সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল তৈরি পোশাক রপ্তানি খাত বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বিশেষ করে নমুনা পণ্য ধ্বংস হওয়ায় নতুন অর্ডার পাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
এদিকে বিমানবন্দরে কার্গো জট তৈরি হয়েছে, বহু আমদানি পণ্য ক্লিয়ারেন্সের অপেক্ষায় পড়ে আছে, আর সংরক্ষণের জায়গাও মারাত্মকভাবে সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে সরকার ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে। পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর নিরাপত্তা পরিদর্শন ও লজিস্টিক পুনর্মূল্যায়নের আশ্বাসও দিয়েছে তারা।