পাঁচ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ ৮টি রাজনৈতিক দল।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে একটি প্রতিনিধি দল এই স্মারকলিপি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যায়। এর আগে গণমাধ্যমকে ওই দাবিগুলোর বিষয়ে জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে: জুলাই সনদ বাস্তবানের আদেশ জারি এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের তারিখ ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, বিগত সরকারের সব নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিও রয়েছে।
আট দলের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন।
এর আগে, বেলা ১১টার দিকে দলগুলো আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়ে এসে সমবেত হয়।
পরে পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপিদিতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পল্টন থেকে মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে পদযাত্রা শুরু করে জামায়াতসহ আটটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
এরপর সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি পল্টন থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে মৎস ভবন এলাকায় এলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাতে বাধা দেয়।
এরপর ৮ দলের ৯ জন নেতা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে যান।
গণভোটসহ ৫ দাবিতে যমুনা অভিমুখে জামায়াতসহ ৮ দল
তারা হলেন: জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল বারী মাসউদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক মূসা, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ইউসুফ সাদিক হক্কানী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, জাগপার সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম।
স্মারকলিপি দেওয়ার পর গণমাধ্যমে কথা বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
পরওয়ার বলেন, ১১ই নভেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করবে জামায়াতসহ আটটি রাজনৈতিক দল। তার আগেই সরকারকে দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান পরওয়ার।
নির্বাচনে কোনো জোট গঠন করবে না জামায়াত: শফিকুর রহমান
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ১১ই নভেম্বরের আগে দাবি না মানলে ওই দিন ঢাকার চিত্র ভিন্ন হবে বলে সরকারকে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে জুলাই সনদের প্রতি এই গণআকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন। তা না হলে ১১ তারিখে রাজধানী ঢাকার চিত্র ভিন্ন হবে।’
এর আগে, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ মিছিলের আগে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সোজা আঙুলে যদি ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করব।’
তিনি বলেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছে। ফেব্রুয়ারি কাছাকাছি চলে এসেছে, কিন্তু গণভোটের তারিখ ঘোষণা হচ্ছে না। নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেও গণভোট করতে আইনি বাধা নেই। এ বিষয়ে সময়ক্ষেপণ অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলবে।