ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবুর সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্সের মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের পর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুন্দর, সুষ্ঠু ও সফল হবে। এখনও কিছু মানুষের মধ্যে নির্বাচন হবে কিনা—এ নিয়ে আতঙ্ক থাকলেও বিএনপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে এবারের নির্বাচন অবশ্যই অনুষ্ঠিত হবে এবং তা সফল হবে।
তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে দুটি ব্যালট থাকবে—একটি দলীয় প্রতীকের জন্য এবং অন্যটি গণভোটের জন্য।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোর পাশাপাশি স্থানীয় সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য তিনি সবার কাছে দোয়া কামনা করেন এবং একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
বক্তব্যে মাহমুদ হাসান খান বাবু তার আসনসহ চুয়াডাঙ্গা জেলার সার্বিক উন্নয়ন ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মানুষের পাশে থেকে এলাকাভিত্তিক অবকাঠামো, সড়ক যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ক্রীড়া খাতের উন্নয়নে কাজ করা হবে। পাশাপাশি কৃষিপণ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে টেকসই কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে বেকারত্ব হ্রাসের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা একটি কৃষিভিত্তিক বৃহৎ জোন হওয়ায় জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। জেলাবাসীর এই প্রাণের দাবি বাস্তবায়নে তিনি আন্তরিকভাবে কাজ করতে চান। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে উপজেলাভিত্তিক আধুনিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও জানান।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই নির্বাচন সফল হওয়াই বর্তমানে মানুষের একমাত্র আশা। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলায় চারটি ফুটবল মাঠ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, একটি রাষ্ট্র পুনর্গঠনে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দুর্নীতি রোধে রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ীদের সম্মিলিতভাবে সৎ থাকা জরুরি। এই তিন পক্ষ ঠিক থাকলে সমাজে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি কমে যাবে। একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু রাষ্ট্র গঠনের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে জয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার উন্নয়নে সবার আগে দুর্নীতি প্রতিরোধে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচি, সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সরদার আল আমিন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আজাদ মালিতা, সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি রফিক রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক এম এ মামুন, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাইজার চৌধুরী, সাংবাদিক হুসাইন মালিক, জিসান আহমেদসহ জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা।