প্রায় ৬ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্যে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর সেখানে ১৯৮তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় মুসল্লিদের ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল এই ঈদগাহ ময়দান।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ১০টায় দেশের বৃহৎ এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জামাতে ইমামতি করেন মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। খুতবা শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এছাড়া নামাজ শেষে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধা ও ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের জন্য দোয়া করাসহ ফিলিস্তিনের গাজায় নিহত ও বিশ্বের নির্যাতিত মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এর আগে রেওয়াজ অনুযায়ী জামাত শুরুর আগে তিনবার বন্দুকের গুলি ফুটিয়ে নামাজ শুরুর প্রস্তুতি নিতে সংকেত দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঈদের নামাজ আদায় করলেন প্রধান উপদেষ্টা
এতে অংশগ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মেজাবে রহমত, পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরী ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাসহ সর্বস্তরের প্রায় ৬ লাখ মানুষ।
নামাজ শেষে শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনানো হয়, স্মরণকালের বৃহত্তম এবারের ঈদ জামাতে আনুমানিক ৬ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন।
এবার ঈদকে কেন্দ্র করে পাঁচ স্তরের নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পাঁচ প্লাটুন বিজিবিসহ র্যাব, পুলিশ, আনসার বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যদের নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন করা হয়। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করে মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয় মুসল্লিদের। তাছাড়া প্রথমবারের মতো নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলো সেনাবাহিনী।