ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর স্মৃতিস্তম্ভ কালি দিয়ে ঢেকে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে কে বা কারা এটি ঘটিয়েছে, তা জানা যায়নি। এ নিয়ে এলাকায় প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত থেকে ভোরের মধ্যে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার উত্তরায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। এরপর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে মুগ্ধর স্মরণে প্রতিকৃতি ও স্মৃতিস্তম্ভ করা হয়। চিনাইর ডিগ্রি কলেজের সামনেও তার স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। মূলত, ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে ওই কলেজের সামনে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওই স্তম্ভে মুগ্ধর ছবি বসানো হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, গত রবিবার চিনাইর ডিগ্রি কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে চিনাইরে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে এ ঘটনা ঘটিয়ে কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হতে পারে।
চিনাইর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আলী আজম সাংবাদিকদের জানান, নবীনবরণ অনুষ্ঠান নিয়ে এলাকায় বিএনপির দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিরোধ দেখা দেয়। গত সোমবার থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই বিরোধকে কাজে লাগিয়ে একটি চক্র এই কাজটি করে থাকতে পারে। ওই চক্র শান্ত চিনাইরকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল আহমেদ বলেন, মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর স্মৃতিস্তম্ভের উদ্যোক্তা আমি। কে বা কারা তার স্মৃতিস্তম্ভে কালি দিয়েছে, আমি জানি না। বিষয়টি নিয়ে আমি মর্মাহত। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।