খেলাধুলা
রেফারিং নিয়ে ফের বিতর্ক, তবে জিতে দুই মাদ্রিদকে টপকে শীর্ষে বার্সেলোনা
রেফারিদের আলোচনার কেন্দ্রে রেখে একটি সপ্তাহ শেষ করল লা লিগা। প্রথমে রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচে বিতর্কিত লাল কার্ড দেওয়া ও রিয়ালের জয়বঞ্চিত থাকা, এরপর আতলেতিকো মাদ্রিদ ম্যাচে শুরুতেই লাল কার্ড দেওয়ায় দশজন নিয়ে খেলে তাদের কোনোমতে হার এড়ানোর মতো ঘটনার পর রায়ো ভায়েকানোর একটি গোল অফসাইডে বাতিল করে বার্সেলোনার ড্রয়ের সম্ভাবনাকে জয়ে পরিণত করার মধ্য দিয়ে শেষ হলো সপ্তাহ।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বার্সেলোনার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ১-০ গোলে হেরেছে রায়ো ভায়েকানো।
পেনাল্টি থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করে এদিন বার্সাকে জিতিয়েছেন রবের্ট লেভানডোভস্কি।
এই জয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ তিন স্থান ওলট-পালট হয়ে গেছে।
লিগের ২৪তম রাউন্ডে মাদ্রিদের দুই দল ড্র করে দুই পয়েন্ট করে হারানোর সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিন নম্বর থেকে ফের পয়েন্ট টেবিলের চূড়ায় উঠে গেছে বার্সেলোনা।
আরও পড়ুন: ওসাসুনায় ড্র, শীর্ষস্থান থেকে তিনে নেমে যাওয়ার শঙ্কায় রিয়াল মাদ্রিদ
২৪ ম্যাচে ১৬ জয় ও ৩ ড্রয়ে দলটির পয়েন্ট ৫১। সমান ম্যাচে ১৫ জয় ও ৬ ড্রয়ে সমান পয়েন্ট নিয়েও বার্সার চেয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় শীর্ষস্থান থেকে দুইয়ে নেমে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। আর ১৪ জয় ও ৮ ড্রয়ে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে দুই থেকে তিনে অবনমন হয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদের।
এতে করে লিগের শীর্ষ তিন দলের পয়েন্ট ব্যবধান ৩ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১-এ। ফলে মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে এসে জমে গেছে শিরোপার লড়াই।
এদিন একটির বেশি গোল করতে না পারলেও ম্যাচে পরিষ্কার ফেবারিট ছিল কাতালানরাই। ম্যাচজুড়ে ৬০ শতাংশ সময় বলের দখল রেখে গোলের উদ্দেশে মোট ১৪টি শট নিয়ে তার পাঁচটি লক্ষ্যে রাখে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। অপরদিকে, রায়োর আটটি শটের চারটি লক্ষ্যে ছিল।
৯ ঘণ্টা আগে
ইউনাইটেডকে হারিয়ে ৩৫ বছর আগের স্মৃতি ফেরাল টটেনহ্যাম
জয়ের বিকল্প ছিল না চলতি মৌসুমে ভুগতে থাকা দুই দলেরই, তবে শেষমেষ জয় তুলে নিয়ে কোনোরকমে চাকরি বাঁচিয়েছেন আগ্নে পোস্তেকোগ্লু।
বলছি, টটেনহ্যাম হটস্পার ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কথা। টানা ব্যর্থতায় প্রিমিয়ার লিগের বড় দল হিসেবে খ্যাতিমান ক্লাবদুটির অবস্থা এ মৌসুমে বিপর্যয়কর। বারবার কোচ পরিবর্তন করেও ফল পাচ্ছে না ইউনাইটেড। এর মধ্যে আবার হটস্পারদের কাছে হেরে বসল তারা।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রিমিয়ার লিগে ২৫তম রাউন্ডের ম্যাচটি ১-০ গোলে হেরেছে রুবেন আমোরিমের শিষ্যরা।
চোট কাটিয়ে প্রায় এক মাস পর আজ টটেনহ্যামের শুরুর একাদশে থেকে খেলতে নামেন জেমস ম্যাডিসন। আর নেমেই জয়সূচক গোলটি করে নায়ক বনে গেছেন তিনি।
এই ম্যাচের আগে চোটের কারণে একাদশ সাজানোই কঠিন হয়ে পড়ে ইউনাইটেডের জন্য। যুবা দল থেকে ৮ খেলোয়াড়কে বেঞ্চে রেখে শিষ্যদের খেলতে পাঠান আমোরিম।
তবে ম্যাচের ত্রয়োদশ মিনিটেই টটেনহ্যামকে এগিয়ে নেন ম্যাডিসন। বক্সের ভেতর থেকে লুকাস বার্গভালের শট ইউনাইটেড গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা ঠেকালেও দলকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি তিনি। এরপর কাছ থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন ২৮ বছর বয়সী ইংলিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
এর আগে-পরে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড়রা, সুযোগ পেয়েছিল টটেনহ্যামও; তবে কেউই আর লক্ষ্যভেদ করতে না পারলে ১-০ গোলেই শেষ হয় ম্যাচ।
আরও পড়ুন: উলভসকে হারিয়ে ফের ব্যবধান বাড়িয়ে নিল লিভারপুল
এই জয়ের ফলে লিগে চলতি মৌসুমে ইউনাইটেডের বিপক্ষে দুই লেগই জিতল টটেনহ্যাম। সবশেষ ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে এই কীর্তি গড়েছিল উত্তর লন্ডনের দলটি।
এছাড়া চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিনবার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয়ে সবগুলো ম্যাচই জিতল পোস্তেকোগ্লুর শিষ্যরা। ডিসেম্বরে লিগ কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ইউনাইটেডকে ৪-৩ গোলে হারিয়ছিল তারা।
এ নিয়ে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া ইউনাইটেড টানা দুটিসহ লিগে সবশেষ ১২ ম্যাচের ৮টিতেই পেল হারের তেতো স্বাদ (৩ জয়, ১ ড্র)।
এছাড়া লিগে প্রথম ২৫ ম্যাচের ১২টিই হেরেছে দলটি, যা ক্লাবের ইতিহাসে প্রথম এমন ব্যর্থতার ঘটনা। ২৫ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৮টি জিততে পেরেছে তারা; সেটিও ক্লাবের ইতিহাসে সর্বনিম্ন জয়ের রেকর্ড।
অন্যদিকে, টটেনহ্যামের সময়টাও ভালো কাটছে না। এই জয়ের আগে লিগে সবশেষ ১১ ম্যাচের ৮টিই হারে তারা। কেবল ঘরের মাঠেই সাড়ে তিন মাস (১০৫ দিন) পর পেল জয়ের দেখা।
আরও পড়ুন: সিটিকে বিধ্বস্ত করে লিভারপুলের ওপর চাপ অব্যাহত রাখল আর্সেনাল
অবশ্য, ২৫ ম্যাচে ৯ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১২তম স্থানে উঠে এসেছে টটেনহ্যাম। সমান ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে ১৫তম স্থানে নেমে গেছে ইউনাইটেড।
২৫ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চূড়ায় রয়েছে লিভারপুল; দিনের অপর ম্যাচে উলভারহ্যাম্পটনকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা। ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনালের অবস্থান দ্বিতীয়।
১ দিন আগে
উলভসকে হারিয়ে ফের ব্যবধান বাড়িয়ে নিল লিভারপুল
চোটজর্জর দল নিয়েও লেস্টার সিটির বিপক্ষে জিতে লিভারপুলের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান কমিয়ে চারে নিয়ে এসেছিল আর্সেনাল। তবে নিজেদের ম্যাচটি জিতে সেই ব্যবধান আবারও সাতে নিয়ে গেছে লিভারপুল।
প্রিমিয়ার লিগের ২৫তম রাউন্ডের ম্যাচে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) অ্যানফিল্ডে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আর্নে স্লটের শিষ্যরা।
ম্যাচের প্রথমার্ধে লুইস দিয়াস ও মোহাম্মদ সালাহর দুই গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল শোধ করেন উলভসের মাথেউস কুনিয়া।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই উলভসকে চেপে ধরে লিভারপুল। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে তারা। তবে বারবার তাদের আক্রমণগুলো কাটা পড়ছিল উলভারহ্যাম্পটনের জমাট রক্ষণে। এভাবে মিনিট পনেরো চলার পর আর পেরে ওঠেনি ভিতর পেরেইরার শিষ্যরা। পঞ্চদশ মিনিট পড়তেই লুইস দিয়াসের গোলে এগিয়ে যায় অল রেডরা।
এ সময় দুর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণে উঠে বাঁ পাশ থেকে বিপরীত দিক দিয়ে সঙ্গ দিতে দিতে এগোতে থাকা সালাহকে পাস দেন দিয়াস। এরপর বল নিয়ে সালাহ প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে পেনাল্টি স্পটের কাছাকাছি থাকা দিয়োগো জোতার উদ্দেশে ক্রস দেন। তবে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে তা চলে যায় বক্সের মধ্যেই বাঁ দিকে থাকা দিয়াসের কাছে। আর শরীর দিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে নিতে তিনি গোলপোস্টের ভেতর ঢুকে যান।
আরও পড়ুন: মেরিনোর জোড়া গোলে ব্যবধান কমাল আর্সেনাল
২২তম মিনিটে দুর্দান্ত জোতা-সালাহয় দ্বিতীয় গোলটি পেয়েই গিয়েছিল লিভারপুল, তবে কোনোমতে তাদের আটকে ব্যবধান বাড়তে দেননি উলভসের ডিফেন্ডাররা।
আক্রমণ অব্যাহত রেখে ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে পেনাল্টি পায় লিভারপুল, আর তা থেকে গোল করে দলের প্রত্যাশিত ব্যাবধান বাড়ান সালাহ।
দিয়াসের দৌঁড় অনুমান করে মাঝমাঠে নিজেদের অর্ধ থেকে বল বাড়ান এক সতীর্থ। এরপর প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন দিয়াস। এ সময় বল ধরতে ছুটে এসে ঝাঁপ দেন উলভস গোলরক্ষক হোসে সা, আর সঙ্গে সঙ্গে তার হাতে পা বেধে পড়ে যান দিয়াস। ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এরপর ৩৭তম মিনিটে পানেনকা শটে ব্যবধান বাড়ান সালাহ।
এ নিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে চলতি মৌসুমে তার গোলসংখ্যা হলো ২৮টি। আর অ্যাসিস্ট মিলিয়ে মোট ৪৭ গোলে অবদান রেখেছেন এই মিসরীয় তারকা।
প্রথমার্ধে আক্রমণ ও বলের দখলে পরিষ্কার ফেবারিট ছিল লিভারপুলই। তার ফলস্বরূপ দুটি গোলও আদায় করে নেয় তারা।
আরও পড়ুন: সিটিকে বিধ্বস্ত করে লিভারপুলের ওপর চাপ অব্যাহত রাখল আর্সেনাল
১ দিন আগে
ওসাসুনায় ড্র, শীর্ষস্থান থেকে তিনে নেমে যাওয়ার শঙ্কায় রিয়াল মাদ্রিদ
নতুন বছরে বার্সেলোনার বিপক্ষে বড় হারে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা হাতছাড়া হলেও লা লিগা, কোপা দেল রে ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জানুয়ারি মাসজুড়ে অপরাজিত ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ওই একটি ছাড়া বাকি সবগুলো ম্যাচ জিতলেও ফেব্রুয়ারি পড়তেই লা লিগায় ভুগছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এই মাসে আগের দুই ম্যাচের একটিতে হার ও অন্যটি ড্র করার পর আজ তৃতীয় ম্যাচেও পয়েন্ট হারিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
লা লিগার ২৪ রাউন্ডের ম্যাচে শনিবার ওসাসুনার এল সাদার স্টেডিয়ামে দলটির বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে আরও দুই পয়েন্ট হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এতে করে লিগে সবশেষ তিন ম্যাচ মাত্র দুই পয়েন্ট সংগ্রহ করল দলটি।
এর ফলে শীর্ষস্থান নড়বড়ে হয়ে গেছে লস ব্লাঙ্কোসদের। শুধু তা-ই নয়, এই রাউন্ডে স্ব স্ব ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা জিতলে শীর্ষস্থান থেকে একেবারে তিন নম্বরে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তাদের।
আরও পড়ুন: আবারও সমতায় শেষ মাদ্রিদ ডার্বি, বার্সেলোনার হাসি
এদিন ফেদেরিকো ভালভের্দের অ্যাসিস্টে ম্যাচের পঞ্চদশ মিনিটেই ঠিকানা খুঁজে নিয়ে রিয়ালকে ভালো শুরু এনে দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে ৩৯তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় চ্যাম্পিয়নরা, লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় দলটির অতি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় জুড বেলিংহ্যামকে।
এ সময় রিপ্লেতে কোনো ফাউল করতে দেখা যায়নি তাকে। তবে রেফারির সঙ্গে কিছু একটা বলতে বলতে এগিয়ে আসছিলেন বেলিংহ্যাম। সম্ভবত আপত্তিকর কোনো মন্তব্যের জন্য লাল কার্ড দেখেন এই ইংলিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
প্রথমার্ধে ১-০ গোলের লিড ধরে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমে উঠলে ১৩ মিনিটের মাথায় সমতায় ফেরে ওসাসুনা।
এ সময় বক্সের মধ্যে খুব কাছ থেকে জন মনকায়োলার নেওয়া শট কোর্তোয়া ফিরিয়ে দিলে দ্বিতীয় চেষ্টায় আন্তে বুদেমিরের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। শট নেওয়ার পরপরই তাকে ফাউল করে বসেন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, আর ভিএআর মনিটরে রিপ্লে দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি হোসে মুনুয়েরা মন্তেরো। এরপর সফল স্পট কিকে দলকে সমতায় ফেরান বুদিমির।
আরও পড়ুন: এস্পানিওলে ধরাশায়ী রিয়াল মাদ্রিদ
বাকি সময়ে বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করে রিয়াল মাদ্রিদ, তবে ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় এগিয়ে যাওয়া হয়ে ওঠেনি ভিনি-এমবাপ্পেদের। এরপর যোগ করা সময়ে এগিয়ে যেতে পারত দুই দলই, তবে সেই প্রচেষ্টাগুলোও ব্যর্থ হলে ১-১ সমতায়ই শেষ হয় ম্যাচ।
এই ড্রয়ের ফলে ২৪ ম্যাচে ১৫ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
দিনের অপর ম্যাচে ঘরের মাঠে সেল্তা ভিগোকে আতিথ্য দেবে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদ। ম্যাচটি জিতে ২৪ ম্যাচে (১৫ জয় ও ৭ ড্র) ৫২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ থাকবে তাদের সামনে।
এছাড়া রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে সোমরবার রাতে ২৪তম রাউন্ডের ম্যাচটি জিতলে রিয়ালের সমান ৫১ পয়েন্ট হবে বার্সেলোনার। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে রিয়ালকে পেছনে ফেলার সুযোগ থাকবে তাদের সামনেও।
২ দিন আগে
মেরিনোর জোড়া গোলে ব্যবধান কমাল আর্সেনাল
আক্রমণভাগের বেশিরভাগ খেলোয়াড় চোটে পড়ায় জোড়াতালি দিয়ে দল সাজিয়ে লেস্টারের মাঠে খেলতে নামে আর্সেনাল। আর তার ফায়দা তুলে নিতে দারুণ লড়াইও চালায় রুড ফন নিস্টেলরয়ের শিষ্যরা। তবে শেষের দিকে রক্ষণ এলোমেলো হয়ে গেল তাদের, আর জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল আর্সেনাল।
কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে মিকেল আর্তেতার দলের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে লেস্টার সিটি।
আর্সেনালের পক্ষে দুটি গোলই করেন দলটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার মিকেল মেরিনো।
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে কয়েকবার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি দুই দল। প্রত্যেকেই মাত্র একটি করে শট লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয়। ফলে স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন না এনেই বিরতিতে যায় দুদল।
আরও পড়ুন: কোপা দেল রে: আরও একটি এল ক্লাসিকো ফাইনালের সম্ভাবনা
বিরতি থেকে ফিরে গোল পাওয়ার চেষ্টা কিছুটা বাড়িয়ে দেয় লেস্টার। এর সঙ্গে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে আর্সেনালও। এরই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে আর্সেনালের ১৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ইথান নোয়ানেরির শট পোস্টে লাগে।
তবে এ ঘটনার পর বেশিক্ষণ জাল অক্ষত রাখতে পারেনি লেস্টার।
ম্যাচের ৮১তম মিনিটে লেস্টারের ডি-বক্সের বাইরে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে গোলমুখে ক্রস উড়িয়ে দিলে তা ফিরিয়ে দেন দলটির ডিফেন্ডাররা। এরপর ফিরতি বল ধরে ডানপাশে মেরিনোকে পাস দেন নোয়ানেরি। বল ধরে বক্সে ঢোকার মুখেই জায়গা করে নিয়ে দূরের পোস্ট বরাবর বাঁকানো শট নেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার, আর গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জড়িয়ে যায় জালে।
নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট আগে দ্বিতীয় গোলে আর্সেনালের জয় নিশ্চিত করেন মেরিনো।
নিজেদের বক্সের ভেতর থেকে নিউক্যাসলের আক্রমণ প্রতিহত করার পর বল ধরে দুর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণে ওঠে আর্সেনাল। বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে মাঝমাঠ থেকে এগোতে থাকা লেয়ান্দ্রো ত্রোসাকে পাস বাড়ান রিকার্দো কালাফিওরি। এরপর ত্রোসা বাঁ দিকে মেরিনোর উদ্দেশে বাড়ালে তা ধরে বক্সে ঢুকে কাছের পোস্ট ঘেঁষে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
ফলে ড্রয়ের আশাটুকুও শেষ হয়ে যায় লেস্টারের। আর পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্তেতার শিষ্যরা।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের চূড়ায় থাকা লিভারপুলের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে চারে নামিয়েছে আর্সেনাল। ২৫ ম্যাচে ১৫ জয় ও ৮ ড্রয়ে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়েই রয়েছে আর্সেনাল। লিভারপুলের পয়েন্ট ৫৭, অবশ্য এক ম্যাচ কম খেলেছে তারা।
আরও পড়ুন: আবারও সমতায় শেষ মাদ্রিদ ডার্বি, বার্সেলোনার হাসি
অন্যদিকে, চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই ভুগতে থাকা লেস্টার এ নিয়ে লিগে ১৬টি হারের স্বাদ পেল। ২৫ ম্যাচে মাত্র চার জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে টেবিলের ১৮ নম্বরে।
২ দিন আগে
কোপা দেল রে: আরও একটি এল ক্লাসিকো ফাইনালের সম্ভাবনা
সেমিফাইনালের চার দল নিশ্চিত হওয়ার পর ছিল কে কার প্রতিপক্ষ হচ্ছে—ছিল তার অপেক্ষা। অবেশেষে সেই অপেক্ষারও অবসান হয়েছে। ড্রয়ের মাধ্যমে সেমিফাইনালের প্রত্যেক দলের প্রতিপক্ষ নির্ধারিত হয়েছে।
স্প্যানিশ সময় বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কোপা দেল রের সেমিফাইনালের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে আতলেতিকো মাদ্রিদকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বার্সেলোনা এবং রিয়াল সোসিয়েদাদকে পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
স্প্যানিশ সুপার কাপের মতো কোপা দেল রেতেও এল ক্লাসিকো ফাইনালের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দুই লেগের সেমিফাইনালে বিপক্ষ দলকে হারিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা যদি ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারে, তবেই সেই সম্ভবানা বাস্তবে রূপ নেবে।
টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত সব ম্যাচ নকআউট হলেও সেমিফাইনাল খেলা হবে দুই লেগে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম লেগের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, আর দ্বিতীয় লেগের খেলা হবে এপ্রিলের ২ তারিখে।
এবার প্রথম লেগের ম্যাচটি ঘরের মাঠে খেলবে রিয়াল সোসিয়েদাদ ও বার্সেলোনা এবং দ্বিতীয় লেগ ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পাচ্ছে মাদ্রিদের দুই দল।
আগামী ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে চলতি মৌসুমের কোপা দেল রে ফাইনাল।
আরও পড়ুন: বেতিসকেও ৫ গোল দিয়ে কোপা দেল রের কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
গত মৌসুমে মায়োর্কাকে হারিয়ে ৪০ বছর পর কোপা দেল রে জেতা আথলেতিক বিলবাও এবার বিদায় নেয় শেষ ষোলো থেকেই। ২৪ বার এই শিরোপা জিতে কোপা দেল রে জয়ের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাস্কে অঞ্চলের এই ক্লাবটি।
তবে ৩১ বার কোপা দেল রে জয় করে তালিকায় সবার উপরে অবস্থান বার্সেলোনার। ২০ বার এই শিরোপা জিতে তৃতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ। এছাড়া ১০ বার কোপা দেল রে জিতে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। আর তৃতীয় শিরোপা জয়ের অভিযানে এবার সেমিফাইনাল উৎরে যাওয়ার চেষ্টা করবে রিয়াল সোসিয়েদাদ।
৫ দিন আগে
ফিক্সিংকাণ্ডে ৫ বছর নিষিদ্ধ বাংলাদেশের সোহেলী
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কোডের পাঁচটি ধারা ভঙ্গের দায়ে সব ধরনের ক্রিকেট ও ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলী আক্তার।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোহেলীকে সাজা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বশেষ ২০২২ সালে খেলেছেন এই ক্রিকেটার। তবে ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে বাংলাদেশের এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন তিনি।
আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (আকসু) কাছে দায় স্বীকার করে নিয়েছেন সোহেলী। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তার নিষেধাজ্ঞা থেকে কার্যকর হয়েছে।
২০২৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার লতাকে মোবাইল ফোনে ফিক্সিংয়ের বার্তা পাঠান। সে সময় বড় অঙ্কের টাকার লোভ দেখান তিনি। ওই ক্রিকেটার অবশ্য অসাধু পথে পা না দিয়ে আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানান।
ওই সময় সোহেলী সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছিলেন, তিনি সতীর্থ লতাকে মজা করে মিথ্যা মিথ্যা প্রস্তাব দিয়েছিলেন মাত্র। তবে সেই কারণে এবার নিজে ফেঁসে যাচ্ছেন তিনি।
সোহেলীর আইসিসির দুর্নীতি বিষয়ক ২.১.১ ধারা ভেঙেছেন। সেখানে তিনি ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিং করতে প্ররোচিত করেছেন। ২.১.৩ ধারাও ভেঙেছেন, যেখানে বলা হয়েছে, তিনি ম্যাচ পাতানোর জন্য অন্যকে উৎসাহিত করার দরুণ অর্থ বা পুরস্কার নিয়েছেন কিংবা চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
আইসিসির প্রতিবেদনে ২.১.৪ ধারা ভঙ্গের কথা বলা হয়েছে, যেখানে তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাউকে ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিংয়ে সম্পৃক্ত হতে উৎসাহিত করেছেন বা প্ররোচিত করেছেন। ২.৪.৪ ধারায় বলা হয়েছে, আইসিসিকে তিনি তদন্তের স্বার্থে তথ্যাদি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ২.৪.৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই নারী ক্রিকেটার তদন্তে বাধা দিয়েছেন, তথ্যা দিতে বিলম্ব করেছেন বা তথ্যাদি নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন।
সোহেলী বাংলাদেশ নারী দলের হয়ে দুটি ওয়ানডে খেলেছেন। ২০১৩ সালে তার অভিষেক হয় ও ২০১৪ সালে শেষ ওয়ানডে খেলেন। দেশের জার্সিতে তিনি ১৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। যার প্রথমটি ২০১৩ এবং শেষটি খেলেছেন ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর।
৬ দিন আগে
আবারও সমতায় শেষ মাদ্রিদ ডার্বি, বার্সেলোনার হাসি
মাদ্রিদ ডার্বি; জিতলে শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে পয়েন্ট ব্যবধান অনেকটা বাড়িয়ে নেবে রিয়াল মাদ্রিদ, আর তাদের হারিয়ে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদ ব্যবধান কমিয়ে শিরোপাস্বপ্ন আরও জোরালো করবে। অপরদিকে, এই দুই দল যেন ড্র করে, এই আশায় চাতকপ্রাণ হয়ে ছিল শিরোপার অপর দাবিদার বার্সেলোনা। আশার এই ত্রিকোণ পিরামিড বেয়ে অবশেষে বিজয়ের হাসিটা হেসেছে বার্সেলোনা।
হ্যাঁ, লা লিগায় মৌসুমের প্রথম মাদ্রিদ ডার্বির মতো দ্বিতীয় ডার্বিও শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়।
এতে করে এক পয়েন্ট পেয়ে ৫০ পয়েন্টে টেবিলের চূড়ায়ই রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, আর ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই আতলেতিকো। তবে নভেম্বর-ডিসেম্বরে বেশ কয়েক ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়ে শিরোপার দৌড়ে যতটা পেছনে পড়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা, ২৩তম রাউন্ডে নিজেদের ম্যাচটি জিতে ব্যবধান কমিয়ে রিয়ালের সঙ্গে ২ ও আতলেতিকোর সঙ্গে ১-এ আনার সুযোগ তৈরি হয়েছে তাদের।
এদিন পেনাল্টি থেকে ম্যাচের প্রথমার্ধে আতলেতিকোকে এগিয়ে নেন হুলিয়ান আলভারেস, পরে দ্বিতীয়ার্ধে গোল করে রিয়ালকে সমতায় ফেরান কিলিয়ান এমবাপ্পে।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনাকে খুশি করে সমতায় শেষ মাদ্রিদ ডার্বি
ম্যাচের আগে দুদিন আগে ফুটবলকে বিদায় জানানো রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ব্রাজিলীয় ফুটবলার মার্সেলোকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়। মাঠে উপস্থিত থেকে বের্নাবেউয়ের সমর্থকদের ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি। এরপর শুরু হয় খেলা।
৯ দিন আগে
এবারের বিপিএলে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যত কার্যক্রম
সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল-২০১৫) পরিবেশবান্ধব করতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় একাধিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে। এর মধ্যে রয়েছে— মাঠের ভেতরে ও বাইরে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া পরিবেশবান্ধব প্ল্যাকার্ড ও প্রপ ব্যবহারের পাশাপাশি চার-ছক্কা উদযাপনের উপকরণেও পরিবেশবান্ধব বার্তা সংযোজন করা হয়।
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচে প্রতিটি দলের অধিনায়কের মধ্যে গাছ বিনিময়ের ব্যবস্থা রাখা হয়, যা পরিবেশ সচেতনতার প্রতীক হিসেবে কাজ করে। ম্যাচ চলাকালে এল আকৃতির বিজ্ঞাপন ও থিমেটিক টিভিসি সম্প্রচার, যেখানে জিরো ওয়েস্ট ক্যাম্পেইন, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বর্জন, বায়ু ও শব্দদূষণ রোধের বার্তা বোঝায়।
ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামের তিনটি ভেন্যুতে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ কর্নার স্থাপন করা হয়। এসব কর্নারে পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রম প্রদর্শনের পাশাপাশি দর্শকদেরও পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হয়।
পরিবেশদূষণ রোধে ইন্টারঅ্যাক্টিভ বিন স্থাপন করা হয়, যেখানে রঙ চিহ্নিত বিনের মাধ্যমে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুন: বিপিএল ২০২৫ টি২০ ক্রিকেটের প্রথম সারির প্রতিদ্বন্দ্বীরা
ম্যাচ চলাকালে রেডিওতে পরিবেশ সচেতনতামূলক বার্তা সম্প্রচারের জন্য জনপ্রিয় আরজেদের এনডোর্সমেন্ট যুক্ত করা হয়। পাশাপাশি বিপিএল সংশ্লিষ্ট ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটক প্ল্যাটফর্মে পরিবেশ সচেতনতা-বিষয়ক বার্তা প্রচার ও বুস্টিং করা হয়।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিপিএল-২০২৫ কেবল একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নয়, বরং একটি পরিবেশ সচেতনতামূলক উৎসবে রূপ নেয়, যা তরুণদের পরিবেশ রক্ষায় উৎসাহিত করে। ক্রিকেট, ফুটবলসহ খেলাধুলা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ সকল প্রকার অনুষ্ঠানের পরিবেশবান্ধব আয়োজন করতে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
৯ দিন আগে
শেষের নাটকীয়তায় পরও রেকর্ড গড়ে ফের বিপিএল চ্যাম্পিয়ন বরিশাল
বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে প্রথম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল চিটাগাং কিংস। তবে তামিম ইকবাল ও কাইল মেয়ার্সের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তাদের সে স্বপ্ন গ্লানিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দেয় কিংস। এটি ছিল বিপিএলের ফাইনালে প্রথম ইনিংসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ। ফলে শিরোপা ধরে রাখতে রেকর্ড করতে হতো বরিশালকে।
আর লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দুই ব্যাটারের ব্যাটিং ঝড় এবং শেষের নাটকীয়তার পর তিন বল বাকি থাকতেই শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে তামিম ইকবালের দল।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে সর্বোচ্চ ২৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ের ভীত গড়ে দেন অধিনায়ক তামিম। এরপর কাইল মেয়ার্সের ২৮ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংসটি সে কাজ আরও সহজ করে দেয়। যদিও শেষদিকে মেয়ার্স ও মাহমুদুল্লাহকে ফিরিয়ে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল চিটাগাং, তবে রিশাদ হোসেনের ৬ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে সেই আশার গুড়েও বালি পড়ে।
চিটাগাংয়ের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন শরিফুল ইসলাম। চার ওভারে ৩৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া নাঈম ইসলাম দুটি ও বিনুরা ফের্নান্দো নিয়েছেন একটি উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন তামিম, আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে চলেন তৌহিদ হৃদয়। প্রথম ওভারে বিনুরাকে তামিম তিনটি চার মারলে ওই ওভারে ১৪ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। এরপর আরাফাত সানিকে দেখেশুনে খেলে তৃতীয় ওভারে ফের বিনুরার বলে তিনটি চার মেরে ১২ রান সংগ্রহ করেন তামিম।
চতুর্থ ওভারে খালেদ আহমেদ দেন ১১ রান। পরের দুই ওভারে উইকেট ধরে রাখায় মনোযোগী হলে রানের চাকা কিছুটা গতি হারায়। ফলে পাওয়ার প্লেতে চিটাগাংয়ের মতোই বিনা উইকেটে ৫৭ রান সংগ্রহ করে বরিশাল।
সপ্তম ওভারে একটি করে ডবল, চার ও ছক্কায় ১৩ রান সংগ্রহ করে বরিশাল, সেই সঙ্গে ২৪ বলে একটি ছক্কা ও ৯টি চারের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম।
অষ্টম ওভারটি দেখেশুনে খেলার পর নবম ওভারে বরিশাল শিবিরে জোড়া আঘাত হানে চিটাগাং। শরিফুল ইসলামের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ হয়ে ফিরতে হয় তামিমকে, আর চতুর্থ বলে শরিফুলের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন নতুন ব্যাটার ডাওইড মালান। শুরুতে আম্পায়ার আউট না দিলেও শরিফুল রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি। ফলে দলীয় ৭৬ ও ৭৮ রানে প্রথম ও দ্বিতীয় উইকেট হারায় বরিশাল।
তামিম ফিরে গেলে খোলস ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তৌহিদ, তাতে কিছুটা সফলও হন তিনি; দশম ওভারে তৌহিদের দুটি চারসহ ১৫ রান তোলে বরিশাল। তবে পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন এই ওপেনার। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৮ বলে তিনটি চারে ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করে যান তিনি। এতে দলীয় সংগ্রহ একশ পূর্ণ করার আগেই বরিশালের তিন ব্যাটার বিদায় নেন।
চতুর্থ উইকেটে কাইল মেয়ার্স ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে বড় জুটি গড়ার আভাস মেলে। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিক। দ্বাদশ ওভারে মেয়ার্স দুটি ছক্কা হাঁকালে পরের ওভারের প্রথম তিন বলে তিনটি চার আসে, এর দুটি মুশফিকের ব্যাট থেকে ও পরেরটি অতিরিক্ত হিসেবে। চতুর্থ বলে ফের উড়িয়ে ব্যাট চালিয়ে ডিপ লেগে নাফের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৯ বলে তিনটি চারে ১৬ রান করে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ফিরে গেলে ভাঙ্গে ১৪ বলে ৩৪ রানের জুটি। পরে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জয়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন মেয়ার্স। এরই ধারাবাহিকতায় ১৫তম ওভারে দুটি ছক্কা ও একটি চার মেরে শেষ ৫ ওভারে জয়ের লক্ষ্য ৪৪ রানে নামিয়ে আনেন এই ক্যারিবীয়।
শেষের দিকে খালেদের বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন মেয়ার্স, তবে তা লুফে নিতে পারেননি শরিফুল। এরপর শেষ তিন ওভারে ২৫ রান নিতে হতো বরিশালকে। তবে অষ্টাদশ ওভারে আবারও দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন শরিফুল।
ওভারের তৃতীয় বলে শরিফুলের বলে ফের ক্যাচ দিলে মেয়ার্সের সেই ক্যাচ ধরতে ভুল হয়নি বদলি ফিল্ডার মার্শাল আইয়ুবের। তিনটি করে চার ও ছক্কায় ২৮ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন মেয়ার্স। এরপর পঞ্চম বলে মাহমুদুল্লাহকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ নিয়ে ফেরান মুশফিক। ফলে ৬ উইকেট হারানো বরিশাল শেষ দুই ওভারে পায় ২০ রানের লক্ষ্য।
১৯তম ওভারের প্রথম পাঁচ বলে রিশাদের একটি ছক্কাসহ মোট ১২ রান নিলে ম্যাচের পাল্লা বরিশালের দিকে ভারী হয়ে ওঠে। তবে পরের বলেই ফের নাটক। বিনুরার ওভারের শেষ বলে জোরে ব্যাট চালিয়ে শর্ট মিড-অনে ধরা পড়েন মোহাম্মদ নবি। ফলে শেষ ওভারে ৮ রান করতে হতো বরিশালকে।
এরপর শেষ ওভারের প্রথম বলেই লং অনে বিশাল ছক্কা হাঁকান রিশাদ। পরে দুই ব্যাটার একবার জায়গা পরিবর্তনের পর তৃতীয় বলে রান আউট হয়ে যান রিশাদ, কিন্তু আম্পায়ার দুহাত প্রসারিত করে ওয়াইড দিলে জয়োল্লাসে মেতে ওঠে বরিশালের সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: ইমন, খাওয়াজার ব্যাটে ফাইনালে পাহাড়সম লক্ষ্য পেল বরিশাল
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগাং কিংস: ১৯৪/৩ (ইমন ৭৮*, নাফে ৬৬, ক্লার্ক ৪৪; মোহাম্মদ আলি ১/২১, ইবাদত ১/৩৫)।
ফরচুন বরিশাল: ১৯৫/৭ (তামিম ৫৪, মেয়ার্স ৪৬, তৌহিদ ৩২; শরিফুল ৪/৩৪, নাঈম ২/১৮)।
ফলাফল: ফরচুন বরিশাল তিন উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তামিম ইকবাল।ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট: মেহেদী হাসান মিরাজ।
১০ দিন আগে