বিনোদন
শাকিব খানের 'তুফান' চলচ্চিত্রের চমকপ্রদ কিছু তথ্য
২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মধ্যে দিয়ে কাজ শুরু হয় ‘তুফান’ চলচ্চিত্রের। সেই থেকে হৈচৈ-এর শুরু ঢালিউড সুপার স্টার শাকিব খান অভিনীত এই নতুন মুভি নিয়ে। ২৮ মার্চ প্রথম পোস্টার প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে দর্শক ও গণমাধ্যমজুড়ে জল্পনা-কল্পনা যেন আরও বেড়ে গেছে। শাকিব ভক্ত ছাড়াও ছবিটি এবার বাংলা মুভিপ্রেমিদের আরও বড় অংশকে আকৃষ্ট করছে। কেননা বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটিতে অংশ নিচ্ছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় সব তারকারা। চলুন, অ্যাকশন ঘরানার চলচ্চিত্র ‘তুফান’ নিয়ে চমকপ্রদ কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
‘তুফান’ এর পর্দার পেছনের শিল্পীরা
ছবিটির নির্দেশনায় রয়েছেন এ সময়ের ভিন্ন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফি। প্রথম ছবি ‘পোড়ামন ২’ (২০১৮) দিয়ে বাজিমাত করার পর থেকে তিনি একের পর এক দুর্দান্ত ছবি উপহার দিয়ে চলেছেন। ‘পরান’ (২০২২), ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’ (২০২১) এবং ‘সুড়ঙ্গ’ (২০২৩) এ অনবদ্য নির্মাণশৈলী রাফিকে এনে দিয়েছে স্বতন্ত্র ভক্তশ্রেণী।
বাংলাদেশের আলফা-আই স্টুডিওস ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি এবং ভারতের এসভিএফ- এই ৩টি প্রোডাকশন হাউজ যৌথভাবে প্রযোজনা করছে ছবিটি। স্বভাবতই নির্মাণ খরচের প্রতিযোগিতায় সমসাময়িক সব সিনেমাকে পেছনে ফেলতে যাচ্ছে ‘তুফান’।
আরও পড়ুন: শাকিব-সোনাল জুটি: কতটা বরাবর হলো!
‘তুফান’ চলচ্চিত্রের গল্প
কাহিনী ও চিত্রনাট্য নিয়ে পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা এখনও গোপনীয়তা বজায় রেখে চলেছেন। এরই মধ্যে ফার্স্ট লুক প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে ভক্তদের মাঝে ছবি নিয়ে কৌতুহলটা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।
সোফায় হেলান দেওয়া শাকিব খানের বৈমানিক সানগ্লাসের সঙ্গে কালো জ্যাকেট, লম্বা ও ঢেউ খেলানো চুল মারদাঙ্গা কাহিনীর আভাস দিচ্ছে।
বুকের কাছে বোতাম খোলা শার্টের মাঝে গলার কালো লকেট, হাতের অনামিকা ও কনিষ্ঠায় কালো আংটি। এর সঙ্গে পায়ের কাছে কালো বন্দুকটি হলিউডের গডফাদার মুভির কথা মনে করিয়ে দেয়। সর্বপরি, দর্শক এবার পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় দেখতে চলেছে গ্যাংস্টার শাকিবকে। সেই সূত্রে বলা যেতে পারে যে, আদ্যোপান্ত হাই-ভোল্টেজ অ্যাকশন ঘরানার ছবি হতে যাচ্ছে ‘তুফান’।
আরও পড়ুন: ভারতের ৩ রাজ্যে শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’
‘তুফান’ এ দুই বাংলার সেরা তারকারা
সিনেমাটির সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক বিষয়টি হলো এর কাস্টিং। বাংলাদেশ ও ভারতের জনপ্রিয় সব তারকাদের বড় পর্দায় একসঙ্গে দেখা যাবে এখানে। ফলে প্রত্যেক তারকার স্বতন্ত্র ভক্তদের সংযোজনে দুই বাংলা জুড়ে বিশাল এক দর্শক শ্রেণী তৈরি হয়েছে ‘তুফান’ এর জন্য।
শাকিব খানের বিপরীতে প্রধান সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন কলকাতার তারকা মিমি চক্রবর্তী।
এটি কেবল মিমি-শাকিব জুটির প্রথম ছবিই নয়, সেই সঙ্গে এটি মিমির অভিনয় ক্যারিয়ারেও প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র। ২০১২ সালের ‘বাপি বাড়ি যা’ এবং ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ দিয়ে লাইমলাইটে আসেন মিমি। এরপর থেকে বিভিন্ন আর্ট ফিল্মসহ অনেক ব্যবসায়িক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। বিগত বছরগুলোতে তার সেরা কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘এসওএস কলকাতা’ (২০২০) এবং ‘বাজি’ (২০২১)।
আরও পড়ুন: রাফির পরিচালনায় শাকিব খানের ‘তুফান’
‘তুফান’-এ প্রধান সহশিল্পী হিসেবে আরও থাকছেন বাংলাদেশের ছোট পর্দার তারকা মাসুমা রহমান নাবিলা। বড় পর্দায় আনাগোণাটা খুব একটা না থাকলেও ‘আয়নাবাজি’ (২০১৬)-এর মাধ্যমে দর্শকদের মনে এক বিশাল জায়গা করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
ছবিতে খলনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে টলিউড অভিনেতা যীশু সেনগুপ্তকে। বিনোদন জগতে তার পদার্পণ বেশ আগে হলেও ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’ (২০০৮), ‘আবহমান’ (২০১০), ‘নৌকাডুবি’ (২০১১), ‘চিত্রাঙ্গদা’ (২০১২) চলচ্চিত্রগুলো তাকে ব্যাপক সুখ্যাতি এনে দিয়েছে। বিগত দশকে তার সেরা কাজগুলো ছিলো ২০১৪-এর ‘জাতিস্মর’, ২০১৫-এর ‘রাজকাহিনী’ ও ‘আরশিনগর’, ২০১৬-এর ‘জুলফিকার’।
অতিথি চরিত্র হলেও ‘তুফান’-এর সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরীর যুক্ত হওয়াটা দারুণ চমক দিয়েছে মুভিপ্রেমীদের।
আরও পড়ুন: একই প্ল্যাটফর্মে দুই তারকা শাকিব-সাকিব
চলতি বছরের ‘রুমি’ এবং ‘মনোগামী’ এর জনপ্রিয়তার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন সিনেমার খবরটি নেটিজেনদের মধ্যে রীতিমতো প্রত্যাশার ঝর বইয়ে দিয়েছে। বিশেষ চরিত্রটি কেমন হবে তা এখনও খোলাসা করা হয়নি। ফলে রায়হান রাফি ও চঞ্চল চৌধুরীর এই কাজ নিয়ে কৌতুহল বেড়েই চলেছে সিনেমাপ্রেমীদের।
এখানেই শেষ নয়; ‘তুফান’ টিমের সঙ্গে আরও রয়েছেন ৬ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার বিজয়ী বর্ষিয়ান অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। তার এই সেরা কাজগুলো হচ্ছে ‘শঙ্খনাদ’ (২০০৪), ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ (২০১৬), ‘ফাগুন হাওয়ায়’ (২০১৯), ‘গহীন বালুচর’ (২০১৭) এবং ‘বিশ্বসুন্দরী’ (২০২০), এবং ‘নোনা জলের কাব্য’ (২০২১)। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে বহু সিনেমায় কাজ করলেও শাকিব খানের সঙ্গে এই প্রথম কাজ করছেন ফজলুর রহমান বাবু।
এছাড়া রায়হান রাফির ২০২১ সালের সিনেমা ‘খাচার ভিতর অচিন পাখি’তেও তার কাজ ব্যাপক ভাবে সমাদৃত হয়। যে কোনো চরিত্রে অবলীলায় মিশে যাওয়ার মতো এক অদ্ভূত স্বতঃস্ফূর্ততা রয়েছে এই শক্তিমান অভিনেতার মাঝে।
আরও পড়ুন: না ফেরার দেশে অভিনেতা রুমি
‘তুফান’ সিনেমায় আরও দেখা যাবে শহীদুজ্জামান সেলিম, একে আজাদ সেতু, গাজী রাকায়েত এবং হাসনাত রিপনকে।
কবে মুক্তি পাচ্ছে ‘তুফান’
সিনেমার শুটিং শুরু হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। এ পর্যন্ত ভারতের হায়দারাবাদের রামুজি ফিল্ম সিটিতে শুটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ৯০ দশকের গাড়ি, বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনায় সাজানো সেটটি দারুণ ভাবে নজর কেঁড়েছিল দর্শকদের।
বর্তমানে কলকাতা শহরে দৃশ্য ধারণের কাজ চলছে, যেটি শুরু হয়েছিল গত ১৫ এপ্রিল থেকে। চলবে প্রায় এক মাস ধরে। পরিকল্পনা অনুসারে একটি ট্রেইলারও প্রকাশ করা হবে শিগগিরই। বাকি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে যাবতীয় চমক নিয়ে ‘তুফান’ এর পর্দা উঠবে আগামী ঈদুল আজহায়।
আরও পড়ুন: খালিদকে স্মরণ করে শুরু হচ্ছে টিএমএম বাংলা সংগীত প্রতিযোগিতা ২০২৪
শেষাংশ
দুই বাংলার বড় বড় ৩টি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সমর্থনে শাকিব খানের ‘তুফান’ মুভি বাংলাদেশি ছবির জন্য এক মাইলফলক হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে ওটিটি (ওভার-দ্য-টপ) এর বদৌলতে রায়হান রাফির ভিন্ন ধারার নির্মাণশৈলী বাংলাদেশি ছবির নতুনত্বের ব্যাপারে অবহিত করবে গোটা বিশ্বকে।
অন্যদিকে, শাকিব খানসহ মিমি চক্রবর্তী, যীশু সেনগুপ্ত, চঞ্চল চৌধুরী, মাসুমা রহমান নাবিলা, ও ফজলুর রহমান বাবুর ভক্তরা সব মিলে বিশাল এক দর্শক শ্রেণী তৈরি করছে ‘তুফান’-এর জন্য। এই ধারাবাহিকতায় সর্বাঙ্গীনভাবে এই সিনেমার জন্য শৈল্পিক গুনগত মানের পাশাপাশি থাকছে ব্যবসায়িক ভাবেও সফল হওয়ার অপার সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: কারিনা-টাবু ও কৃতির ক্রু: তিন প্রজন্মের তিন নায়িকার রম্য সিনেমা
অস্কারজয়ী অভিনেত্রী এমা স্টোন ‘নিজ নামেই’ পরিচিত হতে চান
হলিউডে নিজের শক্তিশালী ভূমিকার জন্য বিখ্যাত এমা স্টোন তার জন্মের সময় দেওয়া নামটিতেই পরিচিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
বিবিসির একটি প্রতিবেদনে অভিনেত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, তার অভিনয়ের মঞ্চের নামের চেয়ে তার ব্যক্তিগত পরিচয়ের দিকে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন এমা স্টোন। তিনি বলেছেন, ‘আমার নিজের নামে ফিরতে পারলে খুব ভালো হতো। আমি এমিলি হতে চাই।’
দ্য হলিউড রিপোর্টারের সঙ্গে আলাপচারিতায় অভিনেত্রী উল্লেখ করেছিলেন, তিনি এমন লোকদের পছন্দ করেন যারা তাকে ভালোভাবে জানেন। যাদের সঙ্গে কাজ করেন, তারা তাকে এমিলি বলে ডাকলেই তার ভালো লাগে।
স্টোন ব্যাখ্যা করেন, অভিনেতাদের ইউনিয়নে নাম নিবন্ধনের সময় প্রথমে তার পরিবর্তন করা হয়। কারণ অন্য একজন সদস্য তার নাম নিবন্ধন করেন। ।এ কারণে 'এমা' নামটি গ্রহণ করতে তিনি বাধ্য হয়েছিলেন।
তার নতুন প্রকল্প, "দ্য কার্স" এর প্রচারমূলক সাক্ষাৎরের সময় এ ব্যাখ্যা দেন তিনি। তার আসল নাম ব্যবহার না করায় অস্বস্তির কথা প্রকাশ করেন এমা। তিনি বলেন, একই কারণে তিনি অন্য নাম ব্যবহার করেছিলেন। তবে এটি আর করবেন না ।
তিনি বলেন, তার সহঅভিনেতা নাথান ফিল্ডার প্রায়ই তাকে ‘এম’ বলে ডাকেন। এটি তিনি সহজভাবেই মেনে নিয়েছেন। ফিলডার বলেন, ‘এটি বন্ধুত্ব স্থাপনের একটি উপায়।’
আরও পড়ুন: কারিনা-টাবু ও কৃতির ক্রু: তিন প্রজন্মের তিন নায়িকার রম্য সিনেমা
স্টোন প্রাথমিকভাবে তার প্রিয় স্পাইস গার্ল এমা বান্টনের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এমা নামটি বেছে নিয়েছিলেন, যিনি বেবি স্পাইস নামেও পরিচিত।
ইউনিয়ন বিধিবিধানের কারণে পেশাগত নাম গ্রহণের অনুশীলন বিনোদন শিল্পে খুবই সাধারণ ঘটনা। উদাহরণস্বরূপ, প্রাক্তন 'ডক্টর হু' তারকা ডেভিড টেন্যান্ট তার আসল নাম ডেভিড ম্যাকডোনাল্ড। তিনি পেট শপ বয়েজের নীল টেন্যান্ট থেকে তার পেশাগত নামটি বেছে নিয়েছিলেন।
একইভাবে, কানাডিয়ান সংগীতশিল্পী দ্য উইকেন্ড কপিরাইট সমস্যাগুলো এড়িয়ে যাওয়ার জন্য একটি 'ই' বাদ দিয়ে তার পেশাগত নামটি পরিবর্তন করেন। আমেরিকান অভিনেত্রী ও পরিচালক এলিজাবেথ ব্যাংকস তার আসল নাম এলিজাবেথ মিচেলকে স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ডে নিবন্ধিত করেছিলেন।
এই নাম পরিবর্তনের ঘটনাগুলো হলিউড ফিল্ম ওকে ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে তাদের পেশাদার এবং ব্যক্তিগত পরিচয় বজায় রাখার ক্ষেত্রে শিল্পীরা যে প্রায়শই একক চ্যালেঞ্জ এবং ব্যক্তিগত আপসের মুখোমুখি হয়, তা তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: সালমান খানের মুম্বাইয়ের বাড়ির সামনে গুলি
না ফেরার দেশে অভিনেতা রুমি
কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল ক্যান্সারে আক্রান্ত অভিনেতা অলিউল হক রুমি। যা তাকে মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে গেল।
সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
খবরটি নিশ্চিত করে তার পরিবার। ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর রুমি ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসা নিতে যান। সেখানে থেকে দেশে ফিরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার শিবনারায়ণ দাস মারা গেছেন
১৯৮৮ সালে ‘এখন ক্রীতদাস’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ের যাত্রা শুরু করেন রুমি। টেলিভিশনের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। ২০০৯ সালে ‘দরিয়া পাড়ের দৌলতী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয় তার।
রুমি অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক ‘ঢাকা টু বরিশাল’, ‘আমেরিকান সাহেব’, ‘জার্নি বাই বাস’, ‘বাকির নাম ফাঁকি’, ‘যমজ সিরিজ’, ‘কমেডি ৪২০’, ‘চৈতা পাগল’, ‘জীবনের অলিগলি’, ‘মেঘে ঢাকা শহর’ ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: গায়ক খালিদ মারা গেছেন
ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই মারা গেছেন
খালিদকে স্মরণ করে শুরু হচ্ছে টিএমএম বাংলা সংগীত প্রতিযোগিতা ২০২৪
টিভি মেট্রো মেইল কানাডার ব্যানারে সংগীত শিল্পী খালিদকে স্মরণ করে অনলাইনে শুরু হচ্ছে 'টিএমএম বাংলা সংগীত প্রতিযোগিতা ২০২৪'।
উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে যে কোনো প্রতিযোগী রেজিস্ট্রেশন করে নিজের গানের ভিডিও পাঠাতে পারবেন। প্রতিযোগী সেরা দশজনকে নিয়ে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে তিন পর্বের ফাইনাল রাউন্ড।
এই প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পীরা। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন পর্বে বিচারক হিসেবে থাকবেন সংগীত শিল্পী তপন চৌধুরী, সামিনা চৌধুরী, আশিকুজ্জামান টুলু, সাইদ হাসান টিপু (অবসকিউর ), তানভীর তারেক, এবং তরুণ মুন্সী ।
আগামী ২৫ ও ২৬ মে এবং ১ জুন টরন্টো ও নিউইয়র্ক সময় দুপুর ১২টা আর ঢাকা সময় রাত ১০ টায় যথাক্রমে অনুষ্ঠিত হবে এই তিনটি পর্ব।
সেরা ১০ জনকে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে বিশেষ সনদপত্র। আর সেরা ৩ জনকে সনদপত্রসহ পুরস্কার হিসাবে টিভি মেট্রো মেইলের ব্যানারে দেশের স্বনামধন্য সংগীত শিল্পীদের তত্ত্বাবধানে ১টি করে মৌলিক গান সুর ও কম্পোজে করে দেওয়া হবে।
প্রতিযোগিতাটির আয়োজক টিভি মেট্রো মেইলের নির্বাহী সম্পাদক ইমামুল হক জানান, ‘অনলাইনে বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হলেও মূল তিনটি পর্ব হবে সরাসরি লাইভ। এই প্রতিযোগিতাটির মাধ্যমে আমরা উত্তর আমেরিকাতে বাংলা সংগীতের জন্য প্রতিভাবান সংগীতশিল্পীদের উৎসাহিত করতে চাই। টিএমএম এর পুরো আয়োজনটি সদ্য প্রয়াত সংগীত শিল্পী খালিদকে স্মরণ করে করা হচ্ছে।’
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে উত্তর আমেরিকার অধিবাসী যে কেউ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা কেবল মাত্র একটি বাংলা গান, আধুনিক, ব্যান্ড সঙ্গীত অথবা লোক সঙ্গীত, ১৫ মে এর মধ্যে পাঠাতে পারবেন।
অনলাইন এ রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। বাদ্যযন্ত্র ছাড়া, কিংবা বাদ্যযন্ত্রসহ কিংবা মিউজিক ট্র্যাক ব্যবহার করে নিজকণ্ঠে গাওয়া যে কোনো বাংলা গানের ভিডিও ক্লিপ ‘টিভি মেট্রো মেইলের’ নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠাতে হবে। প্রতিযোগিতার বিস্তারিত নিয়মাবলী ও শর্তের জন্যে আয়োজকরা টিভি মেট্রো মেইলের ফেসবুক পেজ, ইভেন্ট পেজ ও ইউটিউবে নজর রাখবার জন্যে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে ইমেইল করতে বলেছেন আয়োজকরা।
ভেনিস ইন্টারন্যাশনাল আর্ট বিয়েনালে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ
বিগত বছরগুলোর মতো এবারও মর্যাদাপূর্ণ ভেনিস ইন্টারন্যাশনাল আর্ট বিয়েনালে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছে। এবারের বিয়েনালের মূল প্রতিপাদ্য 'বিদেশিরা সর্বত্র'।
গত ১৮ এপ্রিল পর্যটন নগরী ভেনিসে 'সম্প্রীতির আকাঙ্ক্ষা: সভ্যতার সংকটে' শীর্ষক বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। এসময় বিপুল সংখ্যক শিল্পী, শিল্পপ্রেমী ও সমালোচক, সাংবাদিক, প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্য, শিক্ষাবিদ ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিল। এ ছাড়া মিলানে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ, ভেনিসে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল ফ্যাব্রিজিও ইপপোলিটো ডি'অ্যাভিনো, বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের কিউরেটর ভিভিয়ানা ভানুচিও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিদেশি শ্রোতাদের উদ্দেশে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, বিশ্বের প্রথম সারির শিল্প প্রদর্শনী ভেনিস বিয়েনালে অংশ নিতে পেরে বাংলাদেশ গর্বিত। বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে প্রদর্শিত শিল্পকর্মগুলো দেশের খ্যাতিমান ও প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীরা করেছেন।
আরও পড়ুন: এবারের ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় ১০টি নাটক
তিনি জানান, বাংলাদেশে এশিয়ান আর্ট বিয়েনালও আয়োজন করা হয়, যা সারা বিশ্বের শিল্পবোদ্ধাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বাংলাদেশে আয়োজিত আগামী শিল্প প্রদর্শনীগুলোতে অংশ নিতে ইতালির শিল্পী ও শিল্প সমালোচকদের আমন্ত্রণ জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বশেষ ইতালি সফরের সময় বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি সই হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন মিলানে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল। এর মাধ্যমে দুই দেশের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের শিল্পকলার সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে; যা বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে তুলে ধরা দরকার।
জাবেদ আরও বলেন, বর্তমান সরকারের জনকূটনীতি প্রচেষ্টায় সাংস্কৃতিক কূটনীতি অন্যতম অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্র।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাফরিজা শ্যামা এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী অধ্যাপক শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।
টানা পঞ্চমবারের মতো ভেনিস বিয়েনালে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। ৬ মাসব্যাপী এ আয়োজন চলবে চলতি বছরের নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত৷
আরও পড়ুন: কারিনা-টাবু ও কৃতির ক্রু: তিন প্রজন্মের তিন নায়িকার রম্য সিনেমা
সালমান খানের মুম্বাইয়ের বাড়ির সামনে গুলি
বলিউড অভিনেতা সালমান খানের মুম্বাইয়ের বাড়ির সামনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে শহরটির পুলিশ।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, রবিবার ভোর ৫টার দিকে দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেলে করে এসে সালমান খানের বান্দ্রার বাসভবনের বাইরে ৫টি গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ফের সালমান খানকে হত্যার হুমকি, অভিযুক্ত আটক
পুলিশ জানিয়েছে, সালমান খানের বাসভবনের প্রথম তলায়ও একটি গুলি লাগে। বিদেশি অস্ত্র ব্যবহার করে গুলি চালানো হয়েছে। মুম্বাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং কারা গুলি চালিয়েছে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
গত বছর ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) জানায়, ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের ঘটনার কারণে কারাগারে বন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হত্যার উদ্দেশ্যে শীর্ষ ১০ জনের মধ্যে একজন হলেন সালমান খান। হরিণ শিকারের ঘটনা বিষ্ণোই সম্প্রদায়কে ক্ষুব্ধ করেছিল বলে দাবি ওই গ্যাংস্টারের।
বিষ্ণোই জানিয়েছেন, তাঁর অনুচর সম্পাত নেহরা হামলার উদ্দেশ্যে খানের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে নজরদারি চালাচ্ছিলেন। তবে হরিয়ানা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স নেহরাকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: হুমকির পর সালমান খানের নিরাপত্তা জোরদার
গত বছরের ১১ এপ্রিল আরেকটি হত্যার হুমকির চিঠি পাওয়ার পরে মুম্বাই পুলিশ সালমান খানের নিরাপত্তা লেভেল ওয়াই+ এ উন্নীত করে।
খবরে বলা হয়েছে, সালমানকে হুমকির ই-মেইল পাঠানোর অভিযোগে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী এক ভারতীয় ছাত্রকে লুকআউট সার্কুলার (এলওসি) দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বলিউড অভিনেতা সালমান খানকে হত্যার ষড়যন্ত্র!
কারিনা-টাবু ও কৃতির ক্রু: তিন প্রজন্মের তিন নায়িকার রম্য সিনেমা
গত ২৯ মার্চ মুক্তির পর থেকেই দর্শক সহ সমালোচকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে বলিউড মুভি ক্রু। প্রথমবারের মতো একসঙ্গে অভিনয় করা তিন প্রজন্মের তিন নায়িকা টাবু, কারিনা ও কৃতি চলচ্চিত্রের মূল আকর্ষণ। শুধু তাই নয়, হৈচৈ-এর ব্যপ্তি সম্প্রসারিত হয়েছে নারীপ্রধান হিন্দি ছবির জগতে এর যুগান্তকারী ভূমিকা পর্যন্ত। তবে অভিনয়, চিত্রনাট্য, ও নির্মাণের বিচারে ছবিটি কতটুকু উতড়ে যেতে পেরেছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ক্রু মুভির কলাকুশলীরা
নিধি মেহরা ও মেহুল সুরির চিত্রনাট্যে রম্য চলচ্চিত্রটির পরিচালনায় ছিলেন রাজেশ এ কৃষ্ণান। টাবু, কারিনা কাপুর খান, ও কৃতি স্যানন ছাড়াও ছবিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ, রাজেশ শর্মা, কুলভূষণ খারবান্দা, এবং কলকাতার অভিনেতা শাশ্বত চ্যাটার্জি। এছাড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গেছে জনপ্রিয় স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান ও টিভি উপস্থাপক কপিল শর্মাকে।
সঙ্গীত আয়োজনে ছিলেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ, বাদশা, রাজ রঞ্জোধ, বিশাল মিশ্র, অক্ষয়-আইপি, ভার্গ-রোহিত। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর কম্পজিশনের দায়িত্বে ছিলেন জন স্টুয়ার্ট এদুরি।
আরও পড়ুন: এবারের ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় ১০টি নাটক
সিনেমাটোগ্রাফিতে কাজ করেছেন অনুজ রাকেশ ধাওয়ান। চলচ্চিত্রের সার্বিক সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন মনন সাগর।
ক্রু-এর নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বালাজি মোশন পিকচার্স এবং অনিল কাপুর ফিল্মস অ্যান্ড কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক। প্রযোজনা কমিটিতে ছিলেন একতা কাপুর, রিয়া কাপুর, অনিল কাপুর এবং দিগ্বিজয় পুরোহিত।
ক্রু চলচ্চিত্রের কাহিনী
গল্পটি গীতা শেঠি, জেসমিন কোহলি, এবং দিব্যা রানা নামের তিন বিমানবালাকে নিয়ে। দেউলিয়াপ্রায় কোহিনূর এয়ারলাইন্সে তাদের ছয় মাসের বেতন বাকি।
গীতাকে তার নিজের সংসারসহ তার ছোট ভাইয়ের পরিবারেও আর্থিক সাহায্য দিতে হয়।
আরও পড়ুন: ঈদের কেনাকাটায় জনপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর জেসমিন বড় হয়েছেন নানা-নানীর কাছে। তাই পারিবারিক সম্পর্কের প্রতি তার ভীষণ বিতৃষ্ণা। তবে বিলাস জীবন-যাপনের প্রতি তার প্রচণ্ড আকর্ষণ।
আর দিব্যার পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ নিতে যেয়ে অনেক ঋণ জমে যায়। কিন্তু যথেষ্ট সুযোগের অভাবে তার ভাগ্যে শেষমেষ বিমানবালার চাকরি মেলে। অবশ্য বাড়ি ফেরার সময় বিমানবালার পোশাক বদলে পাইলটের পোশাক পরে পরিবারের সামনে হাজির হন। এভাবে একদিকে পরিবারকে ফাঁকি দেন, আর অন্যদিকে টেনে চলেন সেই ঋণের বোঝা।
এমন আর্থিক সংকটে তিন জনেরই টালমাটাল অবস্থা। এরই মধ্যে কোহিনূর এয়ারলাইন্সের মালিক বিজয় ওয়ালিয়া সবাইকে ফাঁকি দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে এতদিন ধরে সব ঠিক হয়ে যাবে ভেবে যে স্বপ্ন তারা বুকে লালন করে আসছিল, তার সব গুড়েবালি হয়ে যায়।
ঠিক এমনি সময় তাদের কাছে সুযোগ আসে স্বর্ণ চোরাচালানের। এই সুযোগের সদ্ব্যবহারের মধ্য দিয়ে তাদের জীবনে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা, আর সিনেমার কাহিনীতে যুক্ত হতে থাকে বিচিত্র স্তর।
আরও পড়ুন: ঈদে ঘরে ফিরতে অনলাইনে প্লেন, বাস ও ট্রেনের টিকেট কাটার উপায়
এবারের ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় ১০টি নাটক
ঈদ উৎসবের সঙ্গে এবার থাকছে ঝড়-বৃষ্টির আমেজ। তাই ঘরে থাকার আনন্দটা বেশ ভালো জমে উঠবে ঈদ নাটকের সঙ্গে। ঈদুল ফিতর ২০২৪ এ এই আবহকে কেন্দ্র করে চাঁদ রাত থেকে শুরু করে পুরো সপ্তাহজুড়ে জড়ো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের নাটক। উৎসবমুখরতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রোমান্টিক ও কমেডির মিশেলে প্রস্তুতি নিয়েছে ছোট পর্দার ঈদ নিবেদন। পাশাপাশি বৈচিত্র্যপূর্ণ কিছু নাটকীয়তাও স্থান পেয়েছে নাট্যপ্রেমীদের ভিন্ন স্বাদ দিতে। চলুন, সেগুলোর মধ্যে থেকে আসন্ন ঈদের সেরা ১০টি নাটকের ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
আসন্ন ঈদুল ফিতর ২০২৪ এ যে ১০টি নাটক দর্শকনন্দিত হওয়ার অপেক্ষায়
.
জাদুর শহর
ধনী পরিবারের সন্তান মাদকের টাকার জন্য জড়িয়ে পড়ে ছিনতাইয়ে। এমনকি সেই ছিনতাইয়ে একজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়। কাহিনী সামনে এগোনোর সঙ্গে উন্মুক্ত হতে থাকে এই ঘটনার সঙ্গে নাটকের প্রধান চরিত্রগুলোর এক বিস্ময়কর যোগসূত্র।
এমনি গল্প নিয়ে নাটকটি পরিচালনা করেছেন তুহিন হোসেন। চিত্রনাট্যে ছিলেন নাহিদ হাসনাত। শ্রেষ্ঠাংশে রয়েছেন ফারহান আহমেদ জোভান এবং সাফা কবির। এছাড়া অন্যান্য ভূমিকায় রয়েছেন হিন্দোল রয়, দিশা এবং আখি আক্তার।
‘জাদুর শহর’ দেখা যাবে এনটিভির পর্দায় এবং তারপর মুক্তি পাবে এনটিভি নাটক ইউটিউব কন্টেন্ট হিসেবে।
আরও পড়ুন: আম্বানিপুত্রের রাজকীয় বিবাহ-পূর্ব অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি তারকা ও খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বদের মিলনমেলা
প্রেম এসেছিল একবার
রামিম একটি বিজ্ঞাপন সংস্থার কর্মকর্তা। একটি বিজ্ঞাপনে ভয়েজ ওভার দেওয়ার সুবাদে নীলিমার সঙ্গে পরিচয় হয় রামিমের। তাদের দুজনের মধ্যেই একটি সাধারণ ব্যাপার হচ্ছে- দুজনেই কবিতাপ্রেমী। আর এর ভিত্তিতেই পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব এবং সে বন্ধুত্ব পরিণত হয় পরিণয়ে।
এই মিষ্টি প্রেমের গল্প নিয়ে চিত্রনাট্য বানিয়েছেন মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। আর সেই চিত্রনাট্যকে নাটকে রূপ দিয়েছেন পরিচালক রুবেল হাসান।
নাটকে রামিমের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান এবং নীলিমা চরিত্রে রয়েছেন তানজিম সাইয়ারা তটিনী। অন্যান্যদের মধ্যে আছেন- মিলি বাশার, শম্পা নিজাম, নিজাম উদ্দিন তামুর এবং আনন্দ খালিদ।
প্রযোজনা সংস্থা সিএমভি’র ব্যানারে নির্মিত নাটকটি মুক্তি পাবে সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
শেষমেশ
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিক-খ্যাত পরিচালক কাজল আরেফিন অমি এবার দেখাতে চলেছেন পারিবারিক গল্প। ‘শেষমেশ’ শিরোনামের এই নাটকে পারিবারিক সম্পর্কগুলোকে ফুটিয়ে তোলা হবে হাস্যরসের মাধ্যমে।
নাটকে বিভিন্ন ধরনের অযাচিত অথচ কষ্টসাধ্য কাজের মাধ্যমে একটি ছেলে তার পরিবারকে খুশী করার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষমেশ তা কতটুকু সুখের আর কতটুকু বিড়ম্বনাপূর্ণ হয় তারই হিসেব চলে গোটা নাটক জুড়ে।
বরাবরের মতো এবারও অমির পুরনো নাট্যগ্রুপ থেকে থাকছেন মনিরা মিঠু, জিয়াউল হক পলাশ, পারসা ইভানা, পাভেল, চাষি আলম এবং শিমুল শর্মা। পাশাপাশি আরও দেখা যাবে সুমন পাটোয়ারী, সাদিয়া তানজিন, ইশরাত জাহিন এবং তানজিম হাসান অনিককে।
নাটকটি এই ঈদে ক্লাব ইলিভেন এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব কন্টেন্ট হিসেবে থাকছে।
আরও পড়ুন: একই প্ল্যাটফর্মে দুই তারকা শাকিব-সাকিব
আমরণ বিয়েশন
সেরনিয়াবাত শাওনের রচনা ও পরিচালনায় অদ্ভূত শিরোনামের এই নাটকটি সম্পূর্ণ কমেডি ঘরানার। ফাহাদকে বিয়ে করার জন্য সরাসরি বাসায় এসে হাজির হয় তার প্রেমিকা মারিয়া। ফাহাদ বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে তার বাসাতেই আমরণ অনসন শুরু হয় মারিয়ার। এমন অদ্ভূত কাণ্ডে বাসায় সাংবাদিকরাও এসে জড়ো হয়। বিয়ের জন্য অনসনকে এখানে নাম দেওয়া হয়েছে বিয়েশন।
এখানে ফাহাদ হিসেবে থাকছেন উদীয়মান তারকা জুনায়েদ বুকদাদি। আর মারিয়া চরিত্রে আছেন এ সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী তানজিন তিশা।
নাটকের সহশিল্পীরা হলেন শিল্পী সরকার অপু, মেহেদী হাসান পিয়াল, দিলু মজুমদার, তিশা চৌধুরী, এবং নীলা ইস্রাফিল। ‘আমরণ বিয়েশন’ এনটিভি থেকে সম্প্রচারণের জন্য নির্ধারিত। অতঃপর এটি এনটিভি নাটক ইউটিউব কন্টেন্ট হিসেবেও মুক্তি পাবে।
আরও পড়ুন: সুপারশী: যে দ্বীপে পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ
বুনোফুল ও ভাঙা ফুলদানি
জনপ্রিয় জুটি খায়রুল বাশার ও সাদিয়া আয়মানের এই রোমান্টিক নাটকটি পরিচালনা করেছেন সেলিম রেজা। গল্প, সংলাপ ও চিত্রনাট্যে ছিলেন নাসির খান।
ইমতিয়াজ ও রানু পরস্পরকে ভালবাসে। কিন্তু রানু পরিবার এই সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। কারণ ইমতিয়াজের একটি পা খোঁড়া। এই প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে তাদের প্রণয় আদৌ আলোর মুখ দেখতে পারবে কিনা তারই গল্প বলেছে এই নাটকটি।
অন্যান্য অভিনয়শিল্পীর হলেন তুতিয়া ইয়াসমিন পাপিয়া, আনিকা তাবাসসুম হায়াত, নাবিলা আলম পলিন এবং নুসরাত মেঘলা।
আরও পড়ুন: রেস্তোরাঁ-শপিং মলে প্রবেশের আগে যে বিষয়গুলোতে সাবধান থাকা জরুরি
এবারের ঈদ আয়োজনে বড় পর্দার ১০টি চলচ্চিত্র
নতুন সিনেমার মাধ্যমে ঈদ বিনোদনটা বেশ পুরনো। বিগত কয়েক দশকে ঢালিউড চলচ্চিত্রের অনেক চড়াই- উৎরাই হলেও ঈদের সময় বাংলা ছবির শোরগোলটা ছিল স্বাভাবিক। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এমনকি ব্যবসায়িক সিনেমাগুলোর পাশাপাশি মূলধারার কাতারে শামিল হচ্ছে শৈল্পিক ও নিরীক্ষাধর্মী ছবিগুলোও। তাই ভিন্ন স্বাদে বাড়ছে দর্শকদের প্রত্যাশা। চলুন, ঈদুল ফিতর ২০২৪-এ মুক্তির অপেক্ষায় থাকা তেমনি কিছু বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
আসন্ন ঈদুল ফিতর ২০২৪ এ যে ১০টি বাংলাদেশী সিনেমা দর্শক মাতানোর অপেক্ষায়
রাজকুমার
২০২২ সালের ২৯ মার্চ সিনেমার ফার্স্ট লুক প্রকাশের পর থেকেই হৈচৈ শুরু হয়েছে ‘রাজকুমার’ নিয়ে। রোমান্টিক-অ্যাকশন ঘরানার এই মুভিতে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের নায়িকা হয়েছেন মার্কিন অভিনেত্রী কোর্টনি কফি। আর এ নিয়ে মোট ৩টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করলেন পরিচালক হিমেল আশরাফ।
এখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুবর্ণা মোস্তফা, আফজাল হোসেন, ফারুক আহমেদ এবং ডা. এজাজ।
‘রাজকুমার’ বাংলাদেশের একটি গ্রাম্য যুবকের আমেরিকার যান্ত্রিক শহরে তার মাকে খোঁজার গল্প। এই অক্লান্ত যাত্রায় একে একে যুবকটি সম্মুখীন হয় অভিবাসন বাধা, ভিন্ন সংস্কৃতি, এমনকি প্রেম-ভালবাসার।
আরও পড়ুন: অ্যামাজন প্রাইমের পর এবার টফির পর্দায় আসছে ‘ওরা ৭ জন’
কাজলরেখা
দেশের সাড়া জাগানো চলচ্চিত্রকার গিয়াস উদ্দিন সেলিমের দীর্ঘ ১২ বছরের গবেষণার ফসল এই চলচ্চিত্র। মৈমনসিংহ গীতিকার ‘কাজলরেখা’ অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটির গল্প, পরিচালনা এবং প্রযোজনা করেছেন সেলিম নিজেই। সিনেমার পটভূমিক আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগের।
মুভির নাম ভূমিকায় দেখা যাবে মন্দিরা চক্রবর্তীকে। সুচ কুমারের ভূমিকায় থাকছেন শরিফুল রাজ। আর খলচরিত্র কঙ্কণ দাসী হিসেবে রয়েছেন রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা।
চলচ্চিত্রটিতে আরও আছেন ছোট পর্দার তারকা খায়রুল বাশার, সাদিয়া আয়মান, ইরেশ যাকের, আজাদ আবুল কালাম, ও শাহানা সুমি।
লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী
ওটিটি (ওভার-দ্যা-টপ) প্ল্যাটফর্ম চরকি’র ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রজেক্টের ১২টি ওয়েব ফিল্মের একটি ‘মনোগামী’। পরিচালনায় আছেন স্বয়ং প্রজেক্ট তত্বাবধায়ক প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। প্রজেক্টের অধীনে ইতোমধ্যে তার পরিচালিত ও অভিনীত ‘অটোবায়োগ্রাফি’ ফিল্মটি বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। এবারের ঈদুল ফিতরে ‘মনোগামী’র মাধ্যমে তিনি তুলে ধরতে যাচ্ছেন নারী-পুরুষের সম্পর্কের তীক্ত সত্য কিছু দিক। এর আগে তার এই প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছিলো ‘ব্যাচেলার’ (২০০৪) ছবিতে। এবারে আলোকপাত করা হয়েছে বিবাহিত জীবনের দিকে।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ আয়কারী ১০ বাংলাদেশি চলচ্চিত্র
সিনেমার শ্রেষ্ঠাংশে রয়েছেন এ সময়ের বিনোদন পাড়ার সবচেয়ে পরিচিত মুখ চঞ্চল চৌধুরী। তার সঙ্গে সহশিল্পী হিসেবে আছেন সঙ্গীতশিল্পী ও ইউটিউবার জেফার রহমান এবং নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন প্রেমাকে।
দেয়ালের দেশ
বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত এই রোমান্টিক ছবির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো চিত্র-পরিচালনা করলেন মিশুক মনি। ছবির কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্যও সবই তার লেখা। চলচ্চিত্রের গল্প এগিয়েছে দুটি ভিন্ন সময়কে কেন্দ্র করে।
‘দেয়ালের দেশ’-এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো জুটিবদ্ধ হয়েছেন শরিফুল রাজ ও শবনম বুবলী। ব্যবসায়িক ছবির নায়িকা হিসেবে সুপরিচিত বুবলীকে এবার দেখা যাবে অকৃত্রিম বাস্তবধর্মী চরিত্রে।
চলচ্চিত্রের অন্যান্য সহশিল্পীরা হলেন জিনাত শানু স্বাগতা, আজিজুল হাকিম, সাবেরী আলম, শাহাদাত হোসেন, এ কে আজাদ সেতু, সমাপ্তি মাশুক, এবং দীপক সুমন।
আরও পড়ুন: ঈদের কেনাকাটায় জনপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
মেট্রো সিনেমার ব্যানারে যৌথ ভাবে ছবির প্রযোজনা করেছেন মাহফুজুর রহমান ও মিশুক মনি।
ওমর
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী চলচ্চিত্রকার মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ দীর্ঘদিন পর বিনোদন পাড়ায় ফিরছেন ‘ওমর’-এর মাধ্যমে। মুভির শিরোনামটি ঠিক করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ছবির গল্প নিয়ে এখনও ‘ওমর’ টিমের কেউই তেমন কিছু প্রকাশ করেননি। তবে চিত্রনাট্য লিখেছেন সিদ্দিক আহমেদ।
চলচ্চিত্রের নাম চরিত্রে রয়েছেন শরীফুল রাজ। বিশেষ একটি চরিত্রে আবির্ভূত হবেন কলকাতার অভিনেত্রী দর্শনা বণিক। এছাড়া আরও থাকছেন ফজলুর রমান বাবু, নাসির উদ্দিন খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, এরফান মৃধা শিবলু, ও আয়মান সিমলাকে। মাস্টার কমিউনিকেশন্সের ব্যানারে মুভির প্রযোজনায় ছিলেন খোরশেদ আলম।
আরও পড়ুন: টুয়েলভথ ফেইলের মতো অনুপ্রেরণা সৃষ্টিকারী ১০ সিনেমা
‘নাতি খাতি বেলা গেল’ দিয়ে জনপ্রিয়তা শুরু খালিদের
নব্বইয়ের দশকে ‘মিক্স মাস্টার’ বলা হতো সদ্য প্রায়ত গায়ক খালিদকে। ব্যান্ডের মিক্সড অ্যালবাম মানে খালিদের একটি গান যেন না থাকলেই নয়। তাই বলে ক্যারিয়ারে তার গানের সংখ্যাটা যে অনেক তা কিন্তু নয়। তবে সেই তুলনায় জনপ্রিয় গানের সংখ্যাটা অনেকেরই চেয়ে বেশি বলা যায়।
পুরো নাম খালিদ সাইফুল্লাহ। তবে আশি ও নব্বইয়ের দশকের ব্যান্ড সংগীতের শ্রোতারা তাকে ‘চাইম খালিদ’ নামে চেনে।
‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘ঘুমাও তুমি’ অথবা ‘কোনো কারণে’ দিয়ে খালিদ তুমুল জনপ্রিয় হলেও তার পরিচিতি মূলত শুরু হয় ‘নাতি খাতি বেলা গেল’ গানটি দিয়ে।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ: অপূর্বর পাশে সহকর্মীরা
১৯৮১ সালে গানের জগতে যাত্রা শুরু খালিদের। ১৯৮৩ সালে যোগ দেন ‘চাইম’ ব্যান্ডে। ১৯৮৭ সালে সারগামের ব্যানারে প্রকাশিত হয় প্রথম অ্যালবাম ‘চাইম’। আর সেই অ্যালবামের গান ‘নাতি খাতি বেলা গেল’। তবে এরসঙ্গে ‘তুমি জানো নারে প্রিয়’, ‘কীর্তনখোলা নদীতে আমার’, ‘এক ঘরেতে বসত কইরা’, ‘ওই চোখ’, ‘সাতখানি মন বেজেছি আমরা’ গানগুলোও শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নেয়।
এরপর নব্বইয়ের দশকে মিক্সড অ্যালবাম দিয়ে জনপ্রিয়তা আরও ছড়িয়ে পড়ে খালিদের। জনপ্রিয় হয়ে উঠে‘কোনো কারণেই’, ‘কীভাবে কাঁদাবে’, ‘হয়নি যাবার বেলা’, ‘আবার দেখা হবে’, ‘নীরা’সহ আরও অনেক গান।
পাশাপাশি রেডিও-তে জনপ্রিয়তার সঙ্গেও খালিদের নামটি চলে আসে। রেডিওতে গান শোনা একটা ট্রেন্ড শুরু হয় ২০০৫ সালের পর থেকে। আর প্রতিটি শোতে খালিদের গানের অনুরোধ থাকবে না এমনটা হয়তো কমই হতো।
আর রেডিওর জনপ্রিয় সময়টার পর খালিদকে আর নিয়মিত গানে পাওয়া গেল না। নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে নিলেন বলা যায়। আর সবার সঙ্গে যোগাযোগটাও কমিয়ে আনেন।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বেছে নেন প্রবাস জীবন। আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউ ইয়র্কে পরিবারসহ বসবাস করতেন। এক ছেলে তার। সেখানেই পড়াশোনা করছে। মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন খালিদ। খুব একটা কোথাও যেতেন না তিনি। কিছুদিন আগেই দেশে এসেছিলেন খালিদ।
প্রতিবারের মতো এবারও হয়তো সময় শেষে ফিরে যেতেন আমেরিকায়। কিন্তু সেটি আর হলো না।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাজধানীর গ্রিন রোডে একটি হাসপাতালে মারা যান খালিদ। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোরে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স গোপালগঞ্জ পৌঁছায়। জোহরের নামাজের পর গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে শহরের গেটপাড়া কবরস্থানে তার বাবা মায়ের কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় এই সংগীত তারকাকে।
আরও পড়ুন: গায়ক খালিদ মারা গেছেন
দ্বন্দ্ব ভেঙে সমঝোতায় অপূর্ব ও আলফা আই