প্রতিযোগিতায় বেঁচে থাকার জন্য একটি জয়ের প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের ফুটবলারদের। রবিবার বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরভা স্টেডিয়ামে ১৪তম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় গ্রুপ খেলায় মালদ্বীপের বিরুদ্ধে একটি দুর্দান্ত জয় সেই প্রয়োজন পূর্ণ করেছে।

বাংলাদেশ খেলা ইতিবাচকভাবে শুরু করে এবং মাঠ দখলে রেখে আধিপত্য বিস্তার করে। কিন্তু ১৭তম মিনিটে হামজা মোহাম্মদের একটি গোল থেকে পিছিয়ে পড়ে। পুরো খেলায় মালদ্বীপের লক্ষ্যে মাত্র দুটি শটের একটি। বিপরীতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ৯টি শট।

গ্রিন এবং রেডস সমতা আনয়নের জন্য উন্মত্তভাবে তাকিয়ে ছিল, এবং হাফ টাইমের ঠিক আগে ৪২তম মিনিটে রাকিব হোসেনের মাধ্যমে তাদের প্রচেষ্টার ফল দেয়।

দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশকে আধিপত্য বজায় রাখতে দেখা যায়। তারিক কাজী ৬৭তম মিনিটে একটি গোলমুখের এলোমেলো লড়াই থেকে দলকে এগিয়ে দেন এবং তৃতীয় প্রচেষ্টায় বল জালে জড়ান।

আরও পড়ুন: ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল

বিশ্বনাথের স্থলাভিসিক্ত হয়ে বক্সের বাঁ দিক থেকে চমৎকারভাবে শেষ করে ৯০তম মিনিটে তৃতীয় একটি গোল যোগ করেন মোরসালিন।

পিছিয়ে থেকে মালদ্বীপকে হারিয়ে সাফের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ

মালদ্বীপের বিপক্ষে পরাজয়ের ফলে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যেত।  আর ড্র হলে সেটাও কঠিন হয়ে যেত।

যাইহোক, দলটি তাদের প্রথম ম্যাচের পরাজয় থেকে ফিরে আসে এবং একটি জয় নিশ্চিত করে।

আরও পড়ুন: অবশেষে ইন্টার মায়ামিকে বেছে নিলেন লিওনেল মেসি

এটি মালদ্বীপের সঙ্গে এক খেলা বাকি থাকতে বাংলাদেশকে পয়েন্টে রাখে, যেটি তারা ভুটানের বিপক্ষে খেলবে, আর মালদ্বীপ লেবাননের বিপক্ষে খেলবে।

বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেছেন যে তাদের মূল লক্ষ্য সেমিফাইনালে পৌঁছানো, কিন্তু তারা একই সময়ে একটি ম্যাচ নিচ্ছে।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ছিল ২০০৩ সালে। তারা ঘরের মাঠে ফাইনালে মালদ্বীপকে পরাজিত করে প্রথম সাফ শিরোপা জয় করে। প্রসঙ্গত, সেই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ শেষবার মালদ্বীপকে হারিয়েছিল, যারা ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের উচ্ছে আরোহন করেছিল।

গত দুই দশকে বাংলাদেশ দুবার সাফের ফাইনালে উঠেছে কিন্তু সেই ঐতিহাসিক অর্জনের পুনরাবৃত্তি করতে ব্যর্থ হয়েছে।

আরও পড়ুন: ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ: কম্বোডিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে অপরাজিত বাংলাদেশ