আজ শনিবার, সাপ্তাহিক ছুটির ২য় দিন। সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির কারণে মাঝেমধ্যে ঢাকার বাতাসে বেশ ইতিবাচক প্রভাব পড়তে দেখা গেলেও দূষণের মাত্রা বাড়তে দেখা গেছে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি; ঢাকার বাতাস ‘হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠেছে।
আজ সকাল ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১৪২। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী বলা যায়, এই মাত্রার মানের বাতাস হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই সপ্তাহে ঢাকার বায়ুদুষণের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, গত শনিবার (৪ অক্টোবর ) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ৬৬ একিউআই স্কোর নিয়ে ‘মাঝারি’ শ্রেণিতেই ছিল ঢাকার বাতাস। পরের দিনও একই সময়ে ঢাকার বাতাস ৬৬ স্কোর নিয়ে ‘মাঝারি পর্যায়েই ছিল।
সোমবারও (৬ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ ছিল। একিউআই স্কোর আগের দুইদিনের মতোই ৬৬ ছিল।
আরও পড়ুন: বায়ুদুষণের শীর্ষে লাহোর, ঢাকার বাতাসের মান আজ ‘ভালো’
তবে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি দেখা যায়। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এদিনও বাতাসের মান ‘মাঝারি’ পর্যায়ে থাকলেও স্কোর বেড়ে দাঁড়ায় ৯৭ তে। এই স্কোরের বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে ওঠার খুব কাছাকাছি।
পরদিন বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে আরও অবনতি ঘটে শহরটির বাতাসের মানে। একিউআই স্কোর বেড়ে দাঁড়ায় ১৩২ এ, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে ওঠার খুবই কাছাকাছি।
এরপর বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি অব্যাহত থাকে। আইকিউএয়ারের তথ্যমতে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১৬৫ স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাস বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে ওঠে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালেও দূষণের মাত্রা বেশিই লক্ষ্য করা গেছে। এদিনও ১৬৩ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেনীতেই অবস্থান করছিল। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছিল ঢাকা।
তবে আজ সামান্য উন্নতি হয়েছে। ১৪২ স্কোর নিয়ে তালিকার ১২তম স্থানে নেমে এসেছে ঢাকা। সাধারণত নিচে নামা নেতিবাচক হলেও এই অবনমন স্বস্তির। কারণ দূষণ থেকে যতটাসম্ভব দূরে থাকা যায়, ততই ভালো।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুমানে আজ ভোরের বৃষ্টির প্রভাব
এদিকে, আজ পাকিস্তানের লাহোর শহর উঠে এসেছে তালিকার প্রথম স্থানে, যার একিউআই স্কোর ২১৩। ১৭৪ ও ১৬১ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কাতারের দোহা।
দূষণের স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।