সাইবার সিকিউরিটি অর্ডিন্যান্স ২০২৪-এর ২(৫) ধারায় মৌলিক অধিকার হিসেবে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবহারের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ভোক্তাদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য বিজয় হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা শীর্ষস্থানীয় সংগঠন বাংলাদেশ মোবাইল ফোন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএমসিএ) এটিকে দেশের ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক অর্জন হিসাবে বিবেচনা করে।
এক বিবৃতিতে বিএমসিএ সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাকে মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা সাংবিধানিক সংস্কার কমিশনে প্রস্তাব জমা দিয়েছি, সেমিনার করেছি এবং নাগরিকদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা এবং তথ্য সুরক্ষার অধিকার সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দাবির প্রতি ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। যা আমরা নতুন বাংলাদেশে ভোক্তাদের জন্য আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিজয় হিসাবে বিবেচনা করি। তাদের সহায়তার জন্য আমরা প্রধান উপদেষ্টা, আইটি উপদেষ্টা এবং আইসিটি পলিসি অ্যাডভাইজারকে ধন্যবাদ জানাই।’
বিএমসিএ সভাপতিও আশা প্রকাশ করেন, এই অধিকারটি শেষ পর্যন্ত সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে। ‘আমরা বিশ্বাস করি, সবার জন্য ইন্টারনেটে সমান ব্যবহারের অধিকারটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে সবার অধিকার নিশ্চিত করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই পদক্ষেপ নিরবচ্ছিন্ন, উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধাকে সবার মৌলিক অধিকার হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন করবে।’
তাদের দাবিগুলোর প্রতি সংহতির পাশাপাশি দাবিগুলো প্রাপ্য গুরুত্বের সঙ্গে কভার করা এবং সমর্থন করার জন্য মিডিয়া এবং ভোক্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএমসিএ।