চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর বহুল প্রতীক্ষিত রেলসহ সড়ক সেতুর নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৪ মে) চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস থেকে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ফলক উন্মোচন করেন তিনি।
উদ্বোধন ঘোষণা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কালুরঘাট ব্রিজে আমার অনেক স্মৃতি। এই সেতুর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। আজ এখানে বোয়ালখালীর বাসিন্দাও উপস্থিত আছেন। কালুরঘাট সেতু তাদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত। এটি তৈরি হয়ে গেলে চট্টগ্রামবাসীর বহু কষ্টের অবসান হবে।’
তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক সেতু। আজকে একটি নতুন যাত্রা শুরু হলো এবং এটি দ্রুতগতিতে বাস্তবায়ন হবে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি কর্ণফুলী নদীর ওপর নতুন একটি কালুরঘাট সেতু নির্মাণ। এই ভিত্তিপ্রস্তরের মাধ্যমে বোয়ালখালী, পটিয়া ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের বহুদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।
৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের মূল সেতুর নির্মাণকাজ ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে রেলপথ বিভাগ। সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য হবে ১১ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১০০ ফুট।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টার
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর অধ্যাপক ইউনূস এই প্রথম চট্টগ্রাম সফরে গিয়েছেন।
প্রায় ১২ ঘণ্টার এই সফরে প্রধান উপদেষ্টার একাধিক কর্মসূচি রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে জানান, আজ সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে অধ্যাপক ইউনূস হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে সকাল ৯টা ২২ মিনিটে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন—মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, জ্বালানি উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফারিদা আখতার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রেসসচিব শফিকুল আলম।