জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, যেনতেন নির্বাচন করে আর কোনো ফ্যাসিবাদ কায়েম হতে দেওয়া যাবে না। কাউকে ভোটকেন্দ্র দখল করতে দেওয়া হবে না। ভোটকেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করলে দেশের জনগণ তাদের মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবে।
সোমবার (৯ জুন) দুপুরে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা জামায়াতের ঈদ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, স্বাধীনতার পর যারাই ক্ষমতায় এসেছেন জনগণের প্রত্যাশা পুরণ করতে পারেনি। জনগণ বারবার ষড়যন্ত্র, জুলুম ও ধোকাবাজের মধ্যে ছিল। অনেকেই মনে করছেন আমাদের প্রতিবেশি দেশের সহযোগিতা ছাড়া দেশ চালাতে পারবে না। আমি এটা বিশ্বাস করি না।
তিনি বলেন, ‘দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছিল রক্ত দিয়ে সেটা শেষ করেছে। ফ্যাসিবাদের নায়িকা হাসিনা পালিয়ে গেছে। দেশের গণতন্ত্র গলাটিপে হত্যা করেছে।’
মিথ্যা ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচারের নামে প্রহসন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মাওলানা নিজামীসহ জামায়াতের সব নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। জামায়াত কি কমেছে নাকি বেড়েছে? জামায়াত এখন ক্ষমতার দারপ্রান্তে।’
জামায়াতের এই নেতা তিনি আরও বলেন, ‘বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। খুনিদের কোনো ক্ষমা নাই। হত্যায় জড়িত কারও কোনো ক্ষমা নাই। জুলাই গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হয়েছে। শুধু হাসিনার বিচার করলে হবে না। যারা হত্যায় জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার ইতোমধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। অনেকের দুই মাস নির্বাচন দেরি করা সহ্য হচ্ছে না। তারা তো ১৬ বছরে কিছুই করতে পারেনি। এই দেশ কারও বাপের নয়, আবার কারও পরিবারেরও নয়। কেউ চোখ রাঙিয়ে কথা বলবেন না। কোরআন পুড়িয়ে অফিস পুড়িয়ে জামায়াতকে দমন করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদের পরিবর্তে ফ্যাসিবাদ যেন ক্ষমতায় না বসে: রফিকুল ইসলাম খান
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি করে তিনি বলেন, ‘দেশের ওপর আর কোনো দাদাগিরি ও আধিপত্যবাদ চলবে না। দেশকে নিয়ে যারা চক্রান্ত করছেন তাদের রুখে দেবে ১৮ কোটি জনতা।’
এছাড়া দেশের মানুষ আগামীতে চাঁদাবাজ ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে রায় দেবে বলেও জানান তিনি।
আটঘরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. নকিবুল্লাহ'র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আব্দুল আলিম মাসুদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, পাবনা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, কেন্দ্রীয় মানব সস্পদ বিভাগের সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।