সংস্কার সংক্রান্ত যেকোনো পদক্ষেপ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর চীনা দূতাবাসে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সবসময়ই বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা, ঐক্য ও উন্নয়ন কামনা করে চীন।
বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে চীন। বাংলাদেশে চলমান সংস্কার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে না চাইলেও কৌশলগত সম্পর্ক জোরদারের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন তিনি।
এ সময় তিনি ডিজিটাল অর্থনীতি, গ্রিন ইকনোমি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এর মতো বিকাশমান ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সহায়তার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে জাপানের প্রতি বাণিজ্য উপদেষ্টার আহ্বান
ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে আরও বেশি চীনা প্রতিষ্ঠানকে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করবে তারা।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ ও চীন কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশটিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে বলেও জানান চীনের এই রাষ্ট্রদূত। কূটনৈতিক সম্পর্কের এই সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও কৌশলগত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে চীন আগ্রহী বলে জানান তিনি।
এ সময় চীন নিজেদের রোড এন্ড বেল্ট ইনিশিয়েটিভে বাংলাদেশের কৌশলগত অংশীদারত্ব নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায় বলে উল্লেখ করেন তিনি। ব্রিফিং চলাকালে বাংলাদেশকে দেওয়া চীনের ঋণের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন কখনোই ঋণের সাথে কোনো শর্ত জুড়ে দেয় না।’
চীন ইতোমধ্যে বাংলাদেশে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। দুই কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশ ও চীন পরস্পরকে সাহায্য করে আসছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।