স্বাস্থ্যখাতসহ শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের সংস্কারের তিন দফা দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করেছে ছাত্রজনতা। এর আগে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয় পুলিশ।
রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল নগরীতে এই কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে তারা শেবাচিম হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করতে গেলে বাইরে থাকা আন্দোলনকারীরা হাসপাতালের ভিতরে থাকা কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয় পুলিশ।
এরপর আন্দোলনকারীরা সেখান থেকে সরে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও করে এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। জেলা প্রশাসকের একজন প্রতিনিধি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে রুমে ডাকেন। এ সময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটক আটকে দেওয়া হয়। গেট আটকে দেওয়ায় আন্দোলনের সংগঠক মহিউদ্দিন রনিসহ অন্যরা মনক্ষুন্ন হয়ে ফিরে যান।
দেশের সব সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা দূর, রোগীদের হয়রানি বন্ধ এবং স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট ভাঙার দাবিতে ২০ দিন ধরে এই আন্দোলন চলছে। ছাত্রজনতার ব্যানারে এই কর্মসূচি হলেও আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের কয়েকজন সাবেক নেতা।
অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শেবাচিম হাসপাতালের প্রধান গেট আটকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান নিয়েছে। হাসপাতালের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকজনকে মুখে মাস্ক পরে হাতে লাঠি নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। এতে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
পড়ুন: লালবাগে সংঘবদ্ধ পিটুনিতে যুবক নিহত
স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের আন্দোলনকারীরা বলেন, শেবাচিম হাসপাতালের সামনে অনশনে বসা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা হয়েছে। উল্টো থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঠেকাতে নানান ষড়যন্ত্র হচ্ছে, কিন্তু এসব কর্মকাণ্ড দিয়ে আন্দোলন থামানো যাবে না।
অন্যদিকে হাসপাতালের কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন, আন্দোলনের নামে সহকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। তাই তারা নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, হাসপাতালসহ নগরীর কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।