সিরিয়ায় সৈন্যদের বহনকারী একটি বাসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ২০ জনকে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা। এতে আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় এই হামলা চালানো হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে দেশটির বিদ্রোহীরা।
বৃহস্পতিবার রাতের হামলাটি ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী (আইএস) সদস্যরা চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গোষ্ঠীটি সিরিয়ায় ২০১৯ সালে পরাজিত হওয়ার পর থেকে দেশটির কিছু কিছু অংশে তাদের গুপ্তঘাতক দলগুলোর সাহায্যে মারাত্মক হামলা চালিয়ে আসছে।
ব্রিটেন-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ইরাকের সীমান্তবর্তী দেইর এল-জোর প্রদেশের মায়াদিনের পূর্বাঞ্চলীয় শহরের কাছে একটি মরুভূমির রাস্তায় হামলায় ২৩ সিরীয় সেনা নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় আইএসের ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে ৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত
পূর্ব সিরিয়ার সংবাদ পরিবেশনকারী আরেকটি অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ বলেছে, ২০ জন সেনা নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সামরিক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, বৃহস্পতিবার রাতে এই হামলায় ‘অনেক সেনা নিহত ও আহত হয়েছে।’ তবে এটি বিস্তারিত বিবরণ দেয়নি, বা হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কেও কিছু জানায়নি।
আইএস সিরিয়া এবং ইরাকের বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২০১৪ সালের জুন মাসে খেলাফত ঘোষণা করেছিল। মাত্র তিন বছরের মধ্যে তাদের দখল করা অঞ্চলগুলো হারাতে থাকে এবং ২০১৭ সালে ইরাকে এবং এর দুই বছর পরে সিরিয়ায় পরাজিত হয় গোষ্ঠীটি।
এর আগে এক বছরের মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে আইএস’র গুপ্তঘাতক দল দেশটির কেন্দ্রীয় শহর সুখনার কাছে ছত্রাক সংগ্রহকারীদের ওপর ভয়াবহ হামলা চালিয়ে ৫৩ জনকে হত্যা করেছিল। যাদের বেশির ভাগই শ্রমিক ছিল। এছাড়া হামলায় নিহতদের মধ্যে সিরিয়া সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েজন সদস্যও ছিল।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় বিমান হামলায় ২৯ তুর্কি সেনা নিহত
জিহাদি গোষ্ঠীগুলোর ওপর গবেষণাকারী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চরমপন্থীদের হামলার নতুন ধারাটি সিরিয়া ও ইরাকের লাখ লাখ মানুষকে সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে শাসনকারীদের একটি নতুন পুনরুত্থানের চিহ্নিত করে কিনা তা খুব দ্রুতই ঠিক করতে হবে।
গত সপ্তাহে, আইএস সিরিয়ায় তার স্বল্প পরিচিত নেতা আবু আল-হুসেইন আল-হুসেইনি আল-কুরায়শির মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে। এই নেতা গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে চরমপন্থী সংগঠনটির প্রধান ছিলেন। মৃত্যুর আগে তার উত্তরাধিকারীর নামও ঘোষণা করেছেন তিনি। ২০১৯ সালে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের হাতে এর প্রতিষ্ঠাতা আবু বকর আল-বাগদাদি নিহত হওয়ার পর চতুর্থ শীর্ষ নেতা হিসেবে তিনি নিহত হন।