বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের পদ্ধতির চেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনই এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির আহ্বায়ক মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু।
তিনি বলেছেন, ‘যদি আগের মতো রাতেই ভোট হয়, যদি কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতি হয়, তাহলে বর্তমান পদ্ধতিতেই নির্বাচন হোক কিংবা পিআর পদ্ধতিতেই হোক— তাতে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে না।’
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মৌচাকে কসমস সেন্টারে আয়োজিত ‘ইলেকশন ২০২৬: অ্যা ক্রিটিক্যাল লুক অ্যাট প্রোপোশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)।
মঞ্জু বলেন, ‘নির্বাচন পদ্ধতির চেয়ে এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা কতটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতির ধারা বজায় রেখে একটি নির্বাচন করতে পারি, সেই সক্ষমতা ও সদিচ্ছা।’
পিআর পদ্ধতি নিয়ে দলীয় অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, যদি নিম্নকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতেই হয়, তাহলে এবি পার্টি চায় মিশ্র পিআর পদ্ধতি, যেখানে অধিকাংশ আসনে প্রচলিত ধারায় ভোট হবে, আর কিছু আসনে পিআর পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে।
এবি পার্টির এই নেতা বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি মুখরোচক আলোচনার জন্য ভালো, কিন্তু এটি বাস্তবে কাজে লাগানো বেশ কঠিন। বাস্তবতার নিরিখে এই পদ্ধতি কার্যকর ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা কম।’
থ্রেশহোল্ড পিআর পদ্ধতির প্রসঙ্গে মঞ্জু বলেন, ‘এ পদ্ধতিতে অসংখ্য দলের বদলে জোটবদ্ধ দল তৈরি হবে। এতে করে রাজনৈতিক আদর্শিক দ্বন্দ্ব কমে আসবে।’
নিম্নকক্ষে এখনেই পিআর পদ্ধতি না এনে সবার আগে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি আনার পক্ষে মত দেন এই রাজনীতিক।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মামুন আল মোস্তফা।
কসমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইউএনবির এডিটর-ইন-চিফ এনায়েতউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব সম জকরিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।