মসজিদের বারান্দায় সারিবদ্ধভাবে বসে আছেন অগণিত মানুষ। একসঙ্গে ইফতারে বসার ক্ষেত্রে ধনী-গরিবে নেই কোনো ভেদাভেদ। পুরো রমজান মাসজুড়েই ইফতারের সময় নিত্যদিনের চিত্র এটি।
প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে হাজারও মানুষ আসেন গণইফতারে অংশ নিতে। ফকির, মিসকিন, হতদরিদ্ররা যেমন আসেন, অনেক বিত্তবানরাও আসেন সাওয়াবের আশায়। এতো মানুষের সঙ্গে একত্রে ইফতারে অংশ নিতে পারা অনেকেই ভাগ্য মনে করেন।
বলছিলাম ছানিয়ে কাবা হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামে মোগল বিজয়ের স্মারক আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের কথা। জুমা মসজিদ হিসেবেই সবার কাছে বেশি পরিচিত। রমাজান মাসজুড়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ এখানে ইফতারে অংশ নেন ও নামাজ আদায় করেন।
১৯৯৬ সাল থেকে এ মসজিদে খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন মাওলানা ছাইয়্যেদ মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন তাহের জাবেরী আল মাদানী। ঐতিহ্যবাহী জুমা মসজিদের খতিবের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০০১ সাল থেকে প্রতিবছর এখানে আয়োজন করা হচ্ছে ধনী-গরিবের বৈষম্যহীন সুবিশাল ইফতার আয়োজন।
আরও পড়ুন: পুরান ঢাকার ইফতার বাজার: ‘বড় বাপের পোলায় খায়’ বনাম ‘সব বাপের পোলায় খায়’