বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণে এবার আমরণ অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া, মঙ্গলবার (১৩) দুপুর ২ টার মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করলে পুরো দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে, সোমবার (১২ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চলমান একাডেমিক শাটডাউন কর্মসূচির মধ্যে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
রাত সাড়ে নয়টার দিকে ডাকা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, ‘উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছেন না। ২৮ দিন ধরে চলমান এই আন্দোলনের কোনো পর্যায়ে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। অথচ শেষ মুহূর্তে এসে ফেসবুক লাইভে আসছেন। আমাদের স্পষ্ট কথা, তার মত ফ্যাসিস্ট উপাচার্য আমরা চাই না।’
আরও পড়ুন: ভিসি অপসারণের দাবিতে ববিতে ‘একাডেমিক শাটডাউন’ ঘোষণা
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে মেনে নিয়ে উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা আমাদের কথার কোনো কর্ণপাত করেননি। তাই মঙ্গলবার দুপুর ২টার মধ্যে উপাচার্য যদি পদত্যাগ না করেন, তাহলে আমরা দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দেব।’
আরেক শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দাবি মেনে না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা একসঙ্গে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দ্রুত আমাদের দাবি মেনে না নিলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে।’
এদিকে, সোমবার শিক্ষার্থীদের ডাকা একাডেমিক ও প্রশাসনিক শাটডাউনে ববিতে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। দিনভর ২৫টি বিভাগে পরীক্ষা চললেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে দেখা যায়নি।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিবৃতি ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষকরা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও একাংশ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
এ ছাড়াও চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান, ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে মশাল মিছিল ও অবরোধ, উপাচার্যের বাসভবনে তালা লাগানো, সংবাদ সম্মেলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।