সিলেটের বিয়ানীবাজারের ৪ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন।
এরা হলেন- সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ও আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহবাবুর রহমান খান শিশু, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জেলার নেতা চারখাইয়ের হোসেন মুরাদ চৌধুরী; উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেওলার মো. জহুর উদ্দিন এবং সহ-প্রচার সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাথিউরার মো. আমান উদ্দিন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, উপজেলা প্রশাসনের কার্যক্রমে অসহযোগিতা, ইউপি কার্যালয়ে অনুপস্থিতি, মাসিক উন্নয়ন সভায় গরহাজির, একাধিক মামলায় পলাতক থাকাসহ বিভিন্ন কারণে তাদের বিরুদ্ধে বরখাস্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে তারা ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্র জানায়, ইউপি চেয়ারম্যানরা মামলায় পলাতক থাকার কারণে তৃণমূলের সাধারণ মানুষ সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর একাধিক মামলা হলে তারা অনেকেই আত্মগোপনে চলে যান। এ কারণে দাপ্তরিক কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে পড়েছে। গ্রেপ্তারের ভয়ে তারা সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২
অবশ্য চারখাইয়ের চেয়ারম্যান একটি হত্যা মামলায় কারাবাস শেষে বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হলে বিধি-মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আলোকে উপজেলা প্রশাসন ওই চেয়ারম্যানদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়।
ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী, ইউএনও কারণ দর্শানো ব্যাতিরেকে ইউপি চেয়ারম্যানদের বরখাস্ত করার অধিকার কেউ রাখেন না।
বিয়ানীবাজার ইউএনও গোলাম মুস্তাফা মুন্না জানান, স্থানীয় সরকার ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।