সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে ফের দুটি বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রীদের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে মহাসড়কের ব্যাংক টাউন ও সিঅ্যান্ডবি এলাকায় সাভার ও রাজধানী পরিবহনের দুটি বাসে এ ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে গত দুই মাসে এই এলাকায় প্রায় এক ডজন যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল। ঘটনার পর ছিনতাইকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সাভার পরিবহনের চালককে আটক এবং রাজধানীর দারুসসালাম থানা পুলিশ বাসটি জব্দ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ছিনতাইয়ের শিকার স্থানীয় সাংবাদিক তায়েফুর রহমান জানান, আজ (শুক্রবার) দুপুর ১২টার দিকে সাভার পরিবহনের একটি বাসে করে তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। বাসটি ব্যাংক টাউন বাসস্ট্যান্ডে থামানো হলে তিনজন যুবক তাতে ওঠেন। পরে বাসটি ব্যাংকটাউন সেতুর ওপর উঠলে নারী যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, গলার হার, কানের দুলসহ স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে নেমে যান ওই তিন যুবক।
তিনি আরও জানান, ছিনতাইকারীরা তার স্ত্রীর গলায় থাকা লক্ষাধিক টাকা মূল্যের লকেটসহ এক ভরি ওজনের সোনার হার নিয়ে গেছে। এ সময় অন্যান্য নারী যাত্রীদের কাছ থেকে একইভাবে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তায়েফুরের দাবি, ‘বাসটির চালক ও সহকারী ছিনতাইকারীদের সঙ্গে জড়িত। তাদের আইনের আওতায় আনা হলে ছিনতাইকারীদের ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: সাভারে আবারও দিনে দুপুরে চলন্ত বাসে ছিনতাই
অপরদিকে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিঅ্যান্ডবি এলাকায় রাজধানী পরিবহনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
এ ঘটনার বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, তিনি রেডিও কলোনি থেকে টিউশনি করে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। পথে সিঅ্যান্ডবির আগে বাসটিতে হঠাৎ করে তিনজন যুবক ওঠেন।
তাদের তিনজনের কাছেই চাকু ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, একজন চালককে চাকু দেখিয়ে বাস থামান। অপর দুজন সব নারী যাত্রীদের স্বর্ণের হার, পুরুষ এক ব্যক্তির পকেটে থাকা ২০ হাজার টাকাসহ অস্ত্রের মুখে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যান।
সাভারের টিআই বিশ্বপদ শর্মা সাভার পরিবহনের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাসটির চালককে আটক করার কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘বাসটি রাজধানীর দারুসসালাম থানার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে সিঅ্যান্ডবির ঘটনাটির সম্পর্কে কিছু শুনিনি।’
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল মিয়া বলেন, ‘এমন কোনও সংবাদ আমি এখনও পাইনি। সেখানে তো আমাদের অলরেডি একটি চেকপোস্ট রয়েছে। বিষয়টি আমি খোঁজখবর নিচ্ছি।’