জরুরি অবস্থা
জরুরি অবস্থা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করতে সবাই একমত: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘জরুরি অবস্থা ঘোষণা কোনো পরিস্থিতিতেই যেন রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত না হয়, সেটা নিশ্চিত করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত। বিদ্যমান সংবিধানের ১৪১ নং অনুচ্ছেদের (ক), (খ), (গ) এর সমস্ত কিছুর ক্ষেত্রে সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্তন ও পরিমার্জন করার ব্যাপারেও দলগুলো একমত।
সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১০ম দিনের আলোচনার শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
সভায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য কমিশনের আজ জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণ- এ দুটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে৷ বিদ্যমান সংবিধানের ১৪১ নং অনুচ্ছেদে জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয়টি আছে, যা নিয়ে অতীতে খুব বেশি আলোচনার সুযোগ ছিল না। আজ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
‘পূর্ববর্তী আলোচনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে ঐকমত্য কমিশন হতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয়ে সংশোধিত প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাব নিয়ে পরবর্তী সভায় অধিক আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। ভবিষ্যতের আলোচনায় সুস্পষ্টভাবে বলা যাবে এ ব্যাপারে কতটুকু একমত হওয়া গেছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশ তত পিছিয়ে যাবে: সিলেটে মির্জা ফখরুল
ঐকমত্য কমিশনের সাথে আলোচনায় অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল এবং জোটগুলো উপজেলা পর্যায়ে পর্যায়ক্রমে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একমত পোষণ করেছে বলে জানান তিনি।
‘তবে দল এবং জোটগুলো অধস্তন আদালত সম্প্রসারণের জন্য কিছু বিষয় বিবেচনায় নেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করেছে। যেমন, সদর উপজেলার আদালত জেলা জজকোর্টের সাথে সংযুক্ত রেখে সুনির্দিষ্ট করে দিতে হবে। বিদ্যমান চৌকি আদালত, দ্বীপাঞ্চল এবং ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত আদালত বহাল রেখে এর প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।’
আলী রীয়াজ বলেন, জেলা সদরের কাছাকাছি উপজেলার নতুন আদালত স্থাপনের প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জরিপের দরকার। অবশিষ্ট উপজেলাগুলোর জনসংখ্যার ঘনত্ব, ভৌগোলিক অবস্থান ও বৈশিষ্ট, যাতায়াত ব্যবস্থা, দূরত্ব, অর্থনৈতিক অবস্থা, মামলার সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে পর্যায়ক্রমে আদালত স্থাপন করা হবে। অধস্তন আদালতের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা। আইনগত সহায়তা কার্যক্রম উপজেলা পর্যায়ে পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
১৫১ দিন আগে
মাঙ্কিপক্স: ওয়াশিংটনের কিং কাউন্টিতে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা
মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেলসহ ওয়াশিংটনের কিং কাউন্টিতে শুক্রবার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
কিং কাউন্টির এক্সিকিউটিভ ডাও কনস্টানটাইন বলেন, ‘আমরা সৌভাগ্যবান যে, কিং কাউন্টিতে দেশের অন্যতম সেরা জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং আজকের পদক্ষেপটি নিশ্চিত করবে যে আমাদের কাছে মাঙ্কিপক্সের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সমস্ত সরঞ্জাম রয়েছে।’
সিয়াটল টাইমস জানিয়েছে, রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ওয়াশিংটনে ৩৩৩টি মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ২৭৫টি কিং কাউন্টিতে। দুই সপ্তাহ আগে সেখানে ১৬৬ জন মাঙ্কিপক্স রোগী ছিল।
রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পিয়ার্স কাউন্টিতে ২১, স্নোহোমিশ কাউন্টিতে সাত, স্পোকেনে কাউন্টিতে পাঁচ, ক্লার্ক কাউন্টিতে পাঁচ এবং ইয়াকিমা কাউন্টিতে চারজন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বিশ্বের ৯২টি দেশ ও অঞ্চলে মাঙ্কিপক্স রোগে ৩৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ রোগে মারা গেছেন ১২ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বুধবার জেনেভায় বলেন, গত সপ্তাহে মাঙ্কিপক্সে প্রায় ৭ হাজার ৫০০ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে যা আগের সপ্তাহের থেকে ২০ শতাংশ বেশি।
পড়ুন: মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
মাঙ্কিপক্স নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
১২০৩ দিন আগে
মাঙ্কিপক্স: বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাবকে বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সারা বিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় সংস্থাটি এই সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেছেন, ৭০ টিরও বেশি দেশে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যে এই ভাইরাসকে এখন বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা হিসাবে ঘোষণা করা যায়।
শনিবার ডব্লিউএইচও এর এই ঘোষণায় বিরল এই রোগের চিকিৎসায় ভ্যাকসিনের জন্য বিনিয়োগকে আরও উৎসাহিত করতে পারে।
টেড্রোস ডব্লিউএইচও’র জরুরি কমিটিতে কর্মরত বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ঐকমত্যের অভাব সত্ত্বেও বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান এই প্রথম এ ধরনের পদক্ষেপ নিলেন।
টেড্রোস বলেন, ‘ সংক্রমণের নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে মাঙ্কিপক্স দ্রুত বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে আমরা খুব কমই বুঝি। তাই আমি মাঙ্কিপস্ক নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
‘আমি জানি এটি একটি সহজ বা সরল প্রক্রিয়া ছিল না এবং কমিটির সদস্যদের মধ্যে ভিন্ন মতামত রয়েছে’, তিনি আরও বলেন।
একটি বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা হল ডব্লিউএইচও’র সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা, কিন্তু উপাধির অর্থ এই নয় যে একটি রোগ বিশেষভাবে সংক্রমণযোগ্য বা প্রাণঘাতী।
ডব্লিউএইচও’র জরুরি বিষয়ক প্রধান ড. মাইকেল রায়ান বলেছেন, মহাপরিচালক মাঙ্কিপক্সকে সেই বিভাগে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাতে বিশ্ব সম্প্রদায় বর্তমান প্রাদুর্ভাবকে গুরুত্ব সহকারে নেয়।
যদিও মাঙ্কিপক্স কয়েক দশক ধরেই মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার কিছু অংশে আছে, তবে এটি এই মহাদেশের বাইরে বড় ধরনের প্রাদুর্ভাব সৃষ্টি করতে বা মে পর্যন্ত মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার কথা জানা যায়নি। এই সময়ে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং অন্যান্য জায়গায় কয়েক ডজন মহামারি সনাক্ত করা হয়েছে।
জুন মাসে ডব্লিউএইচও’র বিশেষজ্ঞ কমিটি বলেছে, বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব এখনও আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা নয়, তবে পরিস্থিতি পুনর্মূল্যায়নের জন্য এই সপ্তাহে প্যানেল আহ্বান করেছে।
১২৩১ দিন আগে
শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি
শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের পদত্যাগের দাবিতে দেশব্যাপী ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভের মধ্যেই দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে।
বিক্রমাসিংহের জারি করা জরুরি ডিক্রিতে জননিরাপত্তা অধ্যাদেশের এমন ধারাগুলোকে উল্লেখ করা হয়েছে; যা তাকে জননিরাপত্তার স্বার্থে, জনশৃঙ্খলা রক্ষা, বিদ্রোহ দমন, দাঙ্গা বা নাগরিক উত্তেজনা বা প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে নিয়ম-কানুন আরোপ করার অনুমতি দেয়।
জরুরি নিয়ম-কানুনের অধীনে বিক্রমাসিংহে যে কাউকে আটকের অনুমোদন দিতে পারেন, যেকোন সম্পত্তির দখল নিতে পারেন এবং যেকোন জায়গা তল্লাশি করতে পারেন। এমনকি তিনি যেকোনো আইন পরিবর্তন বা স্থগিতও করতে পারেন।
বিক্রমাসিংহে এমন সময় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন যখন তার পদত্যাগের দাবিতে দেশের বেশিরভাগ জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। এমনকি বিক্ষোভকারীরা তার কুশপুত্তলিকা পর্যন্ত পোড়াচ্ছে।
এর আগে রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেন তার পূর্বসূরী গোতাবায়া রাজাপাকসে।
আগামী দুই দিন পরেই দেশটির আইন প্রণেতারা নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। শনিবার থেকে আইনপ্রণেতারা রাজাপাকসের বাকি মেয়াদের জন্য নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। মঙ্গলবার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য মনোনয়নের শুনানি হবে এবং একাধিক প্রার্থী থাকলে বুধবার আইন প্রণেতারা ভোট দেবেন।
দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রটি একটি গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত, যা তার রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সূত্রপাত করেছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আইনপ্রণেতাদের বৈঠক
শ্রীলঙ্কার ২২ মিলিয়ন মানুষের জন্য খাদ্য, সার, ওষুধ ও জ্বালানির মতো মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিস আমদানির জন্য অর্থের অভাব রয়েছে। এর ফলে দেশটির নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে মধ্যবিত্ত মানুষেরাও পথে নামতে বাধ্য হয়েছে।
শ্রীলঙ্কা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও অন্যান্য ঋণদাতাদের কাছ থেকে সাহায্য চাইছে।
কিন্তু এসব গোষ্ঠীর শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, শ্রীলঙ্কার আর্থিক অবস্থা এতটাই দুর্বল যে এমনকি বেলআউট পাওয়াও কঠিন হয়ে গেছে।
অর্থনৈতিক সংকটের কারণে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং রাজাপাকসের নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়। এপ্রিলে অনেক মন্ত্রী পদত্যাগ করলেও প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে গত সপ্তাহ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন।
রাজধানী কলম্বো ছিল বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু। যেখানে বিক্ষোভকারীরা ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সামনে দখল করে রেখেছে।
বিক্ষোভকারীরা রাজাপাকসে ও তার শক্তিশালী রাজনৈতিক পরিবারের বিরুদ্ধে সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ পাচারের এবং অর্থনীতির অব্যবস্থাপনা করে দেশের পতন ঘটানোর করার অভিযোগ তোলে।
তার পরিবার দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে, তবে প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে স্বীকার করেছেন যে তার কিছু নীতি শ্রীলঙ্কার বিপর্যয়ে ইন্ধন জুগিয়েছে।
রাজাপাকসে বুধবার পালিয়ে প্রথমে মালদ্বীপে এবং পরে সিঙ্গাপুরে যান।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে
ইমেইল পাঠিয়ে পদত্যাগ করলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
১২৩৬ দিন আগে
শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হামলা, জরুরি অবস্থা ঘোষণা
শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হামলার পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের শ্রীলঙ্কা ছেড়ে যাওয়ার পর এই ঘোষণা দেয়া হলো।
অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে প্রেসিডেন্টের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরে বিক্ষোভকারীরা শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হামলা চালায়।
বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের পদত্যাগের দাবি করছেন।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন সরকার হলেই তিনি ক্ষমতা থেকে সরে যাবেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সংকটের মুখে শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্টের দেশত্যাগ
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০ জুলাই!
১২৪১ দিন আগে
গণবিক্ষোভের মুখে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের
শ্রীলঙ্কায় একদিন আগে জারি করা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করেছে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। এর আগে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে গণবিক্ষোভের জেরে জরুরি অবস্থা জারি করে প্রেসিডেন্ট।
মঙ্গলবার রাতে জারি করা এক ডিক্রিতে গোতাবায়া রাজাপাকসে বলেছেন, তিনি জরুরি আদেশ প্রত্যাহার করছেন।
এদিকে মঙ্গলবার শাসক জোটের প্রায় ৪০ জন আইনপ্রণেতা বলেছেন, তারা জোটের নির্দেশনা অনুযায়ী আর ভোট দেবেন না। তাদের বারবার আহ্বানের পরও প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ করা ও অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করছেন। আইনপ্রণেতাদের দাবি গোতাবায়া অন্তর্বর্তী সরকার গঠন না করলে সহিংসতার জন্য তাদেরকে দায়ী করা হবে।
গত সপ্তাহে রাজধানী কলম্বোতে প্রেসিডেন্টের বাড়ির কাছে বিক্ষোভকারীদের তুমুল বিক্ষোভের পর গোতাবায়া রাজাপাকসে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন।
রান্নার গ্যাস, পেট্রোল, বিদ্যুৎ ও গুঁড়ো দুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের ঘাটতি নিয়ে প্রথমদিকে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে এই বিক্ষোভ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং এখন বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ও তার সরকারের পদত্যাগ দাবি করছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় অন্তর্বর্তী সরকার নিয়োগের আহ্বান আইনপ্রণেতাদের
সোমবার থেকে টিভি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন ছবিতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাসীন দলের আইন প্রণেতাদের অফিস ও বাড়িতে ঢুকে পড়েছে এবং কিছু জায়গা ভাংচুর করেছে।
মঙ্গলবার, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর প্রথম নতুন সংসদ অধিবেশনে আইনপ্রণেতারা স্পিকারকে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছেন।
জনগণের ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী রাজাপাকসে পরিবার থেকে প্রেসিডেন্ট এবং তার বড় ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ক্ষমতায় ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ক্রীড়ামন্ত্রী নামাল রাজাপাকসের সঙ্গে যারা পদত্যাগ করেছেন তাদের মধ্যে আরও দুই ভাই, অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপাকসে এবং সেচ মন্ত্রী চামাল রাজাপাকসে ছিলেন।
রবিবার রাতে ৪০ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করে এবং গোতাবায়া রাজাপাকসে সকল দলকে ঐক্য সরকারে যোগদানের আমন্ত্রণ জানায়। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকট, লোডশেডিং, জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘাটতির সমাধানের দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন জনগণ।
দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও তীব্র জ্বালানি সংকট নিয়ে ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভের মুখে পড়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো ক্ষমতাসীন জোট
ঐক্য সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান শ্রীলঙ্কার প্রধান বিরোধী দলের
১৩৩৯ দিন আগে
বিক্ষোভের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে শুক্রবার দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।
দ্বীপ দেশটিতে চরম অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করে তার বাসভবনের কাছে বিক্ষোভ এবং দেশব্যাপী বিক্ষোভ পরিকল্পনার একদিন পর এ আদেশ জারি হলো।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পাবলিক সিকিউরিটি অধ্যাদেশ আরোপ করেছেন যা তাকে জননিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা রক্ষা, বিদ্রোহ দমন, দাঙ্গা বা নাগরিক বিশৃঙ্খলা বা প্রয়োজনীয় সরবরাহের রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দেয়।
এছাড়া তিনি গ্রেপ্তার অনুমোদন, যে কোনো সম্পত্তির দখল এবং যে কোনো স্থানে তল্লাশি করতে পারবেন। এছাড়া তিনি যেকোনো আইন পরিবর্তন বা স্থগিতও করতে পারেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ
প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছে বিক্ষোভের জেরে কয়েক ডজন মানুষককে গ্রেপ্তারের একদিন পর এই আদেশ জারি করা হয়েছে। এছাড়া রবিবার দেশব্যাপী জনবিক্ষোভের ডাকও দেয়া হয়েছে।
এদিকে রাজধানী কলম্বোর উপকণ্ঠে আরোপ করা কারফিউ শুক্রবার সকালে তুলে নেয়া হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা দীর্ঘ লোডশেডিং ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘাটতির জন্য রাজাপাকসেকে দায়ী করেছেন।
শ্রীলঙ্কার বিশাল ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং বৈদেশিক রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে। দেশটি আমদানির জন্য অর্থ পরিশোধেও লড়াই করছে। মানুষ জ্বালানির জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন। পর্যাপ্ত জ্বালানি না থাকায় দেশটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্ল্যান্ট পরিচালনা করা যাচ্ছে না। এ জন্য প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা দেশটিতে বিদ্যুৎ থাকছে না।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার ঋণের অনুরোধ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: মোমেন
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য দায়ী করা হচ্ছে- দেশটির সরকারের রপ্তানি ক্ষেত্রে বৈচিত্র না আনা এবং চা, পোশাক ও পর্যটনের মতো ঐতিহ্যবাহী উৎসের ওপর নির্ভরতা এবং আমদানি করা পণ্য ভোগের সংস্কৃতিকে।
করোনা মহামারিও শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গত দুই বছরে দেশটির সরকার ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
লঙ্কান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে সাড়ে ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে যা গত মাসে ছিল ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ এবং তা আরও বাড়তে পারে।
১৩৪৩ দিন আগে
মালয়েশিয়া প্রধানমন্ত্রীর জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রস্তাবে রাজার না
নতুন করে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের করা অনুরোধ রবিবার নাকচ করে দিয়েছেন দেশটির রাজা আব্দুল্লাহ সুলতান আহমেদ শাহ।
১৮৬৬ দিন আগে
জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সংবিধানের ১৪১ এ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছে।
২০৮৭ দিন আগে