ট্রেন
৪ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মল্লিকপুর এলাকায় তেলবাহী মালগাড়ি ৯৫২-এর একটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হওয়ার চার ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওয়াগনটি লাইনচ্যুত হওয়ায় সিলেটের সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে কুলাউড়া থেকে রিলিফ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত তেলবাহী ওয়াগন ট্রেনটি উদ্ধার করার পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী দুটি ট্রেন ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সিলেট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে শনিবার ভোরে সিলেটে পৌঁছে তেল আনলোড করা বিশেষ ট্যাংক ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে ফিরছিল। রাত সাড়ে ৯টায় মল্লিকপুর এলাকায় পৌঁছালে একটি ওয়াগনের চাকা লাইনের বাইরে চলে যায়।
৫ দিন আগে
তিন ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ইটাখোলা স্টেশনের কাছে সিলেট থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে করে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে নোয়াপাড়া স্টেশনের মাস্টার মো. মনির হোসেন জানান, সকাল সোয়া ১০টার দিকে সিলেট থেকে ঢাকাগামী ট্রেনটি নোয়াপড়া স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। পরবর্তীতে ইটাখোলা স্টেশনের অদূরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে অন্য কোনো ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়নি।
আখাউড়া থেকে রিলিফ ইঞ্জিন এনে বেলা দেড়টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয় বলে জানান তিনি।
৭ দিন আগে
ট্রেন সেবা লাভজনক করতে লোকোমোটিভ কেনার উদ্যোগ
বাংলাদেশে ট্রেন সেবা থেকে ক্ষতি কমে এলেও এখনো পুরোপুরি লাভজনক হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিন। তাই এ খাতকে আরও লাভজনক করতে আধুনিক লোকোমোটিভ কেনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ইউএনবিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে শেখ মঈনুদ্দিন বলেন, রেল খাতকে লাভজনক করতে হলে আমাদের আরও আধুনিক লোকোমোটিভ কেনা প্রয়োজন। লোকোমোটিভের অভাবই এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা। নতুন লোকোমোটিভ ক্রয় করা হলে ট্রেন চলাচল বাড়বে, যাত্রীদের যাতায়াত আরও সহজ হবে এবং খরচও কমে আসবে।
তার ভাষ্যে, ট্রেনে যাত্রীর অভাব নেই। আমরা যাত্রীদের জন্য নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণ নিশ্চিত করতে চাই। লোকোমোটিভের ঘাটতি পূরণ করতে পারলে ট্রেন সার্ভিস আরও দ্রুত ও কার্যকর হবে।
শেখ মঈনুদ্দিন আরও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই পাবলিক ট্রান্সপোর্ট খাত সরাসরি লাভজনক নয়। কিন্তু খরচ কমিয়ে দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এটি টেকসই করা সম্ভব। এজন্য আমাদের প্রশাসনিক দক্ষতা ও নীতিনির্ধারণে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
শেখ মঈনুদ্দিন জানান, নতুন ট্রেন সংযোগের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে মাস্টার প্ল্যানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে কিছু অংশে কাজ শুরু করেছি। ঈশ্বরদী এলাকায় ট্রেনলাইন সোজা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এতে অনেক কিলোমিটার পথ কমে যাবে।
লোকোমোটিভ কেনার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনের চেয়ে কিছু বেশি লোকোমোটিভ কেনার পরিকল্পনা আছে। আশা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
হাই-স্পিড বা পাতাল ট্রেন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে শেখ মঈনুদ্দিন বলেন, আমাদের দেশে এখনো সে ধরনের অবকাঠামো প্রস্তুত নয়। গ্রীন রেলওয়ে নিয়ে আলোচনা চলছে, তবে এগুলো বাস্তবায়নে আরও সময় লাগবে।
যমুনা ট্রেন প্রকল্প সম্পর্কে তিনি জানান, পুরনো লাইনের সংস্কারকাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। নতুন প্রকল্পের কাজও আগামী মাসের মধ্যেই শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
৪৩ দিন আগে
১৯টি বগি পটিয়ায় রেখেই চলে গেল পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন
কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের বাফার হুক ও হোস পাইপ ভেঙে ইঞ্জিন থেকে ১৯টি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মাঝপথে বগিগুলো রেখেই চট্টগ্রাম পৌঁছে যায় ইঞ্জিন। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পটিয়ার কমলমুন্সির হাট স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাত ১১টা পর্যন্ত বগিগুলো রেললাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। পরে চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থেকে উদ্ধারকারী ইঞ্জিন পাঠানো হয়।
ট্রেনটিতে প্রায় ৯০০ যাত্রী ছিলেন। হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও দীর্ঘ সময় ভোগান্তির শিকার হন তারা। অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দর এলাকায় ট্রেন লাইনচ্যুত, ঢাকামুখী ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসার পর কমল মুন্সির হাট স্টেশনে পৌঁছালে ইঞ্জিনের বাফার হুক ও হোস পাইপ ভেঙে যায়। এতে বগিগুলো থেকে ইঞ্জিন আলাদা হয়ে যায়। এ সময় চালক ইঞ্জিন নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে চলে যান, আর যাত্রীবাহী বগিগুলো স্টেশনেই দাঁড়িয়ে থাকে। পরে বগিগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রাত ১১টার দিকে পাহাড়তলী থেকে উদ্ধারকারী ইঞ্জিন পাঠানো হয়।
পটিয়া রেল স্টেশনের মাস্টার মোহাম্মদ পাভেল জানান, উদ্ধারকারী ইঞ্জিন পৌঁছালে যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এর আগে, গত ২৬ জুলাই কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড ব্রেক বগির হুক ভেঙে গিয়ে মূল ট্রেন থেকে বগিটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার গোমদণ্ডী স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ৩০ মিনিট ট্রেনটি সেখানে আটকে ছিল। পরে বিচ্ছিন্ন বগি ফেলে মূল ট্রেন চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
একের পর এক এ ধরনের ঘটনায় রেলওয়ের যান্ত্রিক ত্রুটি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা।
৯৪ দিন আগে
আসনবিহিন টিকিট কেটে ‘বসে যাওয়ার অপরাধে’ বৃদ্ধকে মারধর: ট্রেনের কর্মকর্তা বরখাস্ত
আসনবিহিন টিকিট কেটে ‘বসে যাওয়ার অপরাধে’ ট্রেনযাত্রী এক বৃদ্ধকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত রেলওয়ের কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রশাসন। ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ওই বৃদ্ধের এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে ট্রেন আটকায়। পরে পরিস্থিতি শান্ত করতে অভিযুক্তকে বরখাস্ত করা হয়।
ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার। রবিবার (৩০ মার্চ) বিকাল আড়াইটার দিকে ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ভেতর এ ঘটনা ঘটে। পরে কসবা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
কসবা রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, গতকাল (রবিবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন ৬২ বছর বয়সী উপজেলার সায়েদাবাদ এলাকার বাসিন্দা ফুল মিয়া। কসবা স্টেশন পর্যন্ত আসনবিহীন একটি টিকিট কেটে ট্রেনের পাওয়ার কার বগিতে অবস্থান করেন তিনি। একপর্যায়ে ফাঁকা জায়গা পেয়ে সেখানে বসেও পড়েন।
বেলা আড়াইটার দিকে ট্রেনটি ফেনী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে ট্রেনের পাওয়ার কার অপারেটর কাউসার মিয়া এগিয়ে গিয়ে ফুল মিয়ার কাছে টিকিট আছে কিনা জানতে চান। সে সময় আসনবিহীন টিকিট আছে বলে জানান তিনি। আসনবিহীন টিকিট কেটে বসে পড়ার অপরাধে তার কাছে ২০০ টাকা জরিমানা চান কাউসার। টাকা না দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় অপমানজনক কথাবার্তার একপর্যায়ে বৃদ্ধ ফুল মিয়াকে মারধর শুরু করেন তিনি।
এ ঘটনার কথা ফুল মিয়ার কাছ থেকে কসবারই আরেক যাত্রী শুনে তার ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে পোস্ট করেন। ভিডিওটি কসবার স্থানীয় জনগণের মাঝে মুহূর্তেই ছড়িয়ে যায়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা কসবা রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান নেন। পরে ট্রেনটি কসবা স্টেশনে পৌঁছালে সেটিকে আটকে দেন স্থানীয়রা।
এরপর ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অভিযোগ শুনে পাওয়ার কার অপারেটর কাউসার মিয়াকে আটক করেন ট্রেনের গার্ড।
তবে স্থানীয় জনতার রোষ না কমলে একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ছামিউল ইসলাম, স্থানীয় থানা পুলিশ ও সেনা সদস্যরা কসবা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ সময় কাউসার ফুল মিয়ার কাছে ক্ষমা চান। পরে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে জানালে বিকাল ৫টার দিকে স্টেশন ছেড়ে দেন স্থানীয়রা।
ইউএনও ছামিউল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ট্রেনের ওই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ খবরে উত্তেজিত জনতা শান্ত হলে ট্রেনটি নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে কসবা স্টেশন ছেড়ে যায়।’
২৪৮ দিন আগে
যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন, ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলবে ট্রেন
আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে সেতু ‘যমুনা রেলসেতু’। এটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে যমুনার বুকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলবে।
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হলো এটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। একই সঙ্গে দু’অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য বদলের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হলো।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ১০টায় যমুনা রেলসেতুর পূর্বপার ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি ও জাইকার সাউথ এশিয়া ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর জেনারেল ইতো তেরুকি।
এর আগে বিষয়টি নিশ্চিত করেন যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর থেকে সেতুর আপ ও ডাউন দুটি লেন দিয়ে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ সব ট্রেন পূর্ণমাত্রায় চলাচল করবে। একসময় রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের শিল্পসমৃদ্ধ জেলাগুলো থেকে সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে অবহেলিত ও উন্নয়নবঞ্চিত করে রাখা প্রমত্তা যমুনা দু’অঞ্চলবাসীর কাছে এখন শুধু কল্পনা মাত্র।
প্রমত্তা যমুনা নদীর ওপর নির্মিত যমুনা সেতু ১৯৯৮ সালে চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি রেল যোগাযোগও স্থাপিত হয়। চালু হওয়ার প্রায় ১০ বছর পর ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাঁটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। সেই থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হচ্ছিল।
বিশাল এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ২০২০ সালের ৩ মার্চ যমুনা বহুমুখী সেতুর ৩০০ মিটার উজানে আলাদা রেলওয়ে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং ওই বছরের ২৯ নভেম্বর রেল সেতুটি নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করা হয়। এ রেলসেতুর প্রথম পিলার নির্মাণে ২০২১ সালের মার্চে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: যমুনা রেলসেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আজ
দেশের দীর্ঘতম এ রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের প্রথম নির্মাণ ব্যয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা নির্ধারিত হলেও পরে তা ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন করেছে দেশি উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
দেশের সর্ববৃহৎ এ রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে জাপানি কোম্পানি ওটিজি ও আইএইচআই জয়েন্টভেঞ্চার। জাপানি ৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিশাল এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। জাপান, ভিয়েতনাম, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের ৭ হাজারেরও বেশি কর্মীর ৪ বছরের পরিশ্রমে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।
সেতুটিতে ৫০টি পিলার, প্রতি দুই পিলারের মাঝে একটি করে মোট ৪৯টি স্প্যান রয়েছে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার হলেও দুদিকে ৭ দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন পারাপারের মধ্য দিয়ে দেশের বৃহত্তম এই রেলসেতু দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ওইদিন সাধারণ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ৬ মিনিটে ট্রেন সেতু পার হলেও আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর থেকে সেতুর ওপর দিয়ে উভয় লেনে ট্রেন চলবে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে।
যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এ সেতুর প্রতিটি স্প্যানের ওপর জাপানিদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেললাইন বসানো হয়েছে। এর ফলে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান বলেন, আগের রেলসেতুতে লোডের সীমাবদ্ধতা ছিল। ৪৩ দশমিক ৭ কিলো নিউটন পার মিটারের কম লোডের ট্রেন চলতে পারতো। সেক্ষেত্রে শুধু মিটারগেজ ট্রেনে পণ্য সরবরাহ করা যেত। আমাদের এ অঞ্চলের ব্রডগেজের চাহিদা বেশি। ইন্ডিয়া থেকে প্রচুর মালামাল আমদানি করা হয়। রেল যোগাযোগ চালু হলে ব্যবসায়ীরা সমুদ্রপথে মালামাল আমদানি না করে রেলপথেই করতে পারবেন। শুধু তাই নয় এই সেতুটি দিয়ে এখন সব ধরনের মালবাহী ট্রেন চলাচলও করতে পারবে নির্বিঘ্নে। তবে ডাবল ইস্ট্র্যাক যাকে বলা হয়, অর্থ্যাৎ দুই ট্রেন একইসঙ্গে চলতে পারবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শুরুতে এ সেতুর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু রাখা হলেও শেখ হসিনার সরকারের পতনের পর অর্ন্তবতী সরকার গত ডিসেম্বরে প্রজ্ঞাপন জারি করে সেতুর নাম পরিবর্তন করে ‘যমুনা রেলসেতু’ রাখে।
২৬২ দিন আগে
পাকিস্তানে ট্রেন থামিয়ে প্রায় ৫০০ যাত্রী জিম্মি, দাবি না মানলে হত্যার হুমকি
পাকিস্তানের কোয়েটা থেকে পেশওয়ারমুখী জাফর এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেনের প্রায় ৫০০ যাত্রীকে জিম্মি করছে দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। তাদের দাবি না মানা হলে সব জিম্মিকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে স্থানীয় গুদালার ও পিরু কোনেরি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানভিত্তিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
খবরে বলা হয়, ট্রেনটি থামানোর আগে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছে বন্দুকধারীরা। এতে ট্রেনের চালক আহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে চরম আতঙ্কে সময় পার করছেন ট্রেনটির যাত্রীরা। ট্রেনটি বর্তমানে একটি টানেলের মধ্যে আটকা পড়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত ৩০
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবর বলছে, দুর্গম কারাকোরাম পাহাড়ি এলাকায় ট্রেনটি থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে বন্দুকধারীরা। সেখানে গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের রেলওয়ে পুলিশ বলছে, ট্রেনটি থামিয়ে রাখা হয়েছে। সেটিতে প্রায় ৫০০ যাত্রী রয়েছেন। তাদের মধ্যেও অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে, তবে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি একপ্রেস ট্রিবিউন।
হাসপাতালের আশপাশে জরুরি প্রটোকল সক্রিয় করা হয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গম এলাকা বলে পরিচিত কারাকোরাম পর্বতশ্রেণির এলাকা ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযান চালাতে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। গোলাগুলি শুরু করার আগে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত করতে বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) জানিয়েছে, তারাই ট্রেনটি থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করেছে। নিরাপত্তা বাহিনী পিছু না হটলে যাত্রীদের হত্যা করা হবে।
এই হামলার নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নকবী বলেন, ‘নিরাপরাধ যাত্রীদের ওপর যেসব নরপশু গুলি চালিয়েছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেলুচিস্তান সরকার জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অঞ্চলটিতে কয়েক দশক ধরে সরকার, সেনাবাহিনী ও চীনা স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে প্রায়ই হামলা চালিয়ে আসছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তারা প্রদেশটির খনিজ সম্পদের হিস্যা দাবি করে আসছেন।
বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা দাবি করা বিএলএ গত কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বিচ্ছিন্নতাবদাী গোষ্ঠী। তাদের অভিযোগ, বেলুচিস্তানের গ্যাস ও খনিজসম্পদ অন্যায়ভাবে শোষণ করছে পাকিস্তান সরকার।
আরেক পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের তথ্যমতে, গত বছর থেকে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বেড়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে কোয়েটা রেলওয়ে স্টেশনে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৬ জন নিহত ও ৬২ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সেনা অভিযানে ১০ জন নিহত
থিংকট্যাংক পাক ইনস্টিটিউট ফর পিস স্টাডিজের (পিআইপিএস) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর এবং চলতি বছরের শুরুতে সন্ত্রাসী হামলার কারণে পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সেই ২০১৪ সালের পর্যায়ে চলে গেছে।
এতে বলা হয়, যদিও ২০১৪ সালের মতো চলতি বছর পাকিস্তানের কোনো সুনির্দিষ্ট অঞ্চল সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে নেই, কিন্তু বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়ার বিভিন্ন অংশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। ২০২৪ সালে ওই অঞ্চলটিতেই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা সবেচেয়ে বেড়েছে।
বিএলএ ছাড়াও বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) নামের আরেকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী অঞ্চলটিতে সক্রিয় বলে পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যম-সূত্রে জানা জায়।
২৬৮ দিন আগে
পরিবহন পরিষেবায় অনলাইন টিকেট বুকিং ২০২৫: ঘরে বসে বাস, ট্রেন, ও বিমানের টিকেট কাটার উপায়
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশের পরিবহন ব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে অনলাইন টিকেটিং ব্যবস্থা। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিবহনে সিট বুকিং-এর জন্য এখন আর দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার বিড়ম্বনা নেই। স্থল, রেল কিংবা আকাশপথ যে কোনও ভাবে যাতায়াতের জন্য কাঙ্ক্ষিত টিকেটটি ঘরে বসেই কিনে নেওয়া যাচ্ছে। চলুন, বাস, ট্রেন, ও প্লেনের টিকেট ক্রয়ের জন্য সেরা ১০টি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যাপারে বিশদ জেনে নেওয়া যাক।
বাস, ট্রেন, ও প্লেনের সিট বুকিং-এর জন্য শীর্ষ ১০টি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
.
বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকেটিং সার্ভিস (Bangladesh Railway)
২০১২ সালের ২৯ মে সরকারি ভাবে চালু হয় অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার ব্যবস্থা। তারপর থেকে বিগত এক যুগে অনেকটা পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের ডিজিটাল টিকেট পদ্ধতি।
তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সর্বোচ্চ ১০ দিন আগে থেকে ট্রেনে সিট বুকিং দেওয়া যায়। এর জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হয় সাইটটিতে নিবন্ধন করা। এই পর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নাম্বার দিতে হয়। এরপরের কাজ স্টেশন, ভ্রমণের তারিখ, ট্রেনের শ্রেণী নির্বাচন। এখানে বিদ্যমান সিটের ভিত্তিতে প্রদর্শিত সিটের তালিকা থেকে এক বা একাধিক সিট বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে।
সবশেষে পেমেন্টের পদ্ধতিতে রয়েছে ক্রেডিট/ডেবিট বা বিকাশের মতো জনপ্রিয় মোবাইল পেমেন্ট গেটওয়েগুলো। পেমেন্ট শেষে প্রাপ্ত ই-টিকিটের প্রিন্ট নিয়ে রেল স্টেশনে পৌঁছতে হয়।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: eticket.railway.gov.bd
Bangladesh Railway–এর নিজস্ব অ্যাপ ‘রেল সেবা’ রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন উভয় প্ল্যাটফর্মের জন্য।আইফোন অ্যাপ: https://apps.apple.com/us/app/rail-sheba/id6499584782
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.shohoz.dtrainpwa
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (Biman Bangladesh Airlines)
রাষ্ট্রায়ত্ব এই এয়ারলাইন্সটিতে অনলাইন সিট বুকিং-এর সুবিধা যুক্ত হয় ২০১০ সালে। তাদের ওয়েবসাইট-এ যেয়ে ঘরে বসেই সম্পন্ন করা যায় টিকেট অর্ডার ও প্রাপ্তির কাজ। এখানে গন্তব্য, তারিখ, শ্রেণী নির্বাচন ও ইমেইল আইডি ও মোবাইল নাম্বারসহ যাত্রীর বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে হয়।
তারপর ডিজিটাল ব্যাংকিং বা মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম-এর মধ্যে যে কোনওটির মাধ্যমে পরিশোধ করা যায় টিকেটের মূল্য। অবশেষে ই-টিকিট প্রদান করা হয় যাত্রীদের ইমেলে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.biman-airlines.com/
অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপেল দুই ব্যবহারকারীদের জন্য Biman Bangladesh Airlines-এর রয়েছে বিমান অ্যাপ।
অ্যান্ড্রয়েড প্লে-স্টোর লিঙ্ক:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.BimanAirlines.Biman&hl=en&gl=US
অ্যাপেল অ্যাপ-স্টোর লিঙ্ক: https://apps.apple.com/us/app/biman/id6444130555
আরো পড়ুন: অনলাইন ঈদ শপিং ২০২৫: ঘরে বসে কেনাকাটার জন্য তৈরি পোশাকের শীর্ষ ১০ ব্র্যান্ড
সহজ (Shohoz)
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিবহন মাধ্যমগুলোর ই-টিকেট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এক নির্ভরযোগ্য নাম সহজ। ট্রেনের টিকেটগুলো বিআরআইটিএস (বাংলাদেশ রেলওয়ে ইন্টিগ্রেটেড টিকেটিং সিস্টেম)-এর সাথে যৌথভাবে ইস্যূ করে এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সহজ বাস, ট্রেন, লঞ্চ, প্লেন সব পরিবহনকে একটি একক মঞ্চের আওতায় নিয়ে এসেছে। তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিটি পরিবহন মাধ্যমের জন্য আলাদা ভাবে রওনা হওয়ার স্থান, গন্তব্য, ও যাত্রার তারিখ দেওয়ার পদ্ধতি রয়েছে। এর জন্য অবশ্যই একটি সার্বক্ষণিক ব্যবহৃত ইমেইল ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সরবরাহ করা জরুরি।
মোবাইল কিংবা ব্যাঙ্ক কার্ড-এর মাধ্যমে অর্থপ্রদানের পর টিকেটের সফ্ট কপির লিঙ্ক পাওয়া যাবে ইমেল বা এসএমএসের মাধ্যমে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.shohoz.com/
এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা যাবে স্মার্টফোন থেকেও।
গুগল প্লে-স্টোর লিঙ্ক: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.shohoz.rides
আইফোন অ্যাপ-স্টোর লিঙ্ক: https://apps.apple.com/us/app/shohoz-app/id1354321445?ls=1
আরো পড়ুন: পবিত্র রমজান ২০২৫-এ ইফতারের জন্য ঢাকার সেরা ১০টি রেস্টুরেন্ট
গোজায়ান (GoZayaan)
বাংলাদেশের অগ্রগামী ওটিএ’র (অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি)-এর মধ্যে গোজায়ান অন্যতম। দেশের ভেতরের ও বাইরের এয়ার ফ্লাইট কেন্দ্রিক টিকেটিং প্ল্যাটফর্মটির পথ চলা শুরু হয় ২০১৭ সাল থেকে। ই-টিকেটের পাশাপাশি GoZayaan হোটেল, ট্যুর, এবং ভিসা সংক্রান্ত সুবিধাও প্রদান করে থাকে।
এখান থেকে টিকেট অর্ডার করতে হলে প্রথমে অ্যাকাউন্ট
খুলে নিতে হবে। এর অধীনে টিকেট প্রাপ্তি সহ ফ্লাইটের যাবতীয় আপডেট পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটে ফ্লাইট সার্চের পাশাপাশি একাধিক ফ্লাইটের মধ্যে তুলনা করারও ফিচার রয়েছে।
ব্যাঙ্কিং ও মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেমগুলোর মধ্যে প্রায় সবগুলোই থাকায় সব শ্রেণীর গ্রাহকরাই অকপটেই ব্যবহার করতে পারেন।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://gozayaan.com/
এছাড়া আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড উভয় স্মার্টফোন গ্রাহকদের জন্য তাদের নিজস্ব অ্যাপও রয়েছে।
আইওএস অ্যাপ লিঙ্ক: https://apps.apple.com/us/app/gozayaan/id1635126688
অ্যান্ডয়েড অ্যাপ লিঙ্ক: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.gozayaan.app&hl=en
আরো পড়ুন: খেজুরের রকমফের: জেনে নিন ১০ প্রকার খেজুরের পুষ্টি, স্বাস্থ্যগুণ ও দাম
শেয়ার ট্রিপ (ShareTrip)
ট্রাভেল বুকিং বিডি নামের ছোট্ট ফেসবুক পেজটির উদ্দেশ্য ছিলো প্লেনের টিকেট বিক্রি করা। ২০১৩ সালের এই উদ্যোগের অঙ্কুরে পরের বছর জন্ম নেয় শেয়ার ট্রিপ। এটিই দেশে প্রথমবারের মতো একযোগে ন্যাশনাল ও ইন্টার্ন্যাশনাল দুই ফ্লাইটের জন্য অনলাইন টিকেটিং পদ্ধতি চালু করে।
ShareTrip-এর ওয়েবসাইটের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন অ্যাপ রয়েছে। এমনকি সব প্ল্যাটফর্মই ফ্লাইটগুলোর রিয়েল-টাইম মূল্য তালিকা প্রদর্শন করে। সাধারণ কর্মদিবস, সপ্তাহান্ত, ও ছুটি বিশেষে অর্থ পরিশোধের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে গ্রাহক ইমেইলের মাধ্যমে ই-টিকিট পেয়ে যান।
বুকিং-এর জন্য অবশ্যই অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। আর এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরবর্তীতে ফ্লাইট বাতিল বা তারিখ পরিবর্তন সংক্রান্ত আবেদনগুলো রাখা যায়।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://sharetrip.net/
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=net.sharetrip&hl=en
আইওএস অ্যাপ: https://apps.apple.com/us/app/sharetrip-flight-shop-voucher/id1469335892
আরো পড়ুন: রাতে বাসে বা গণপরিবহনে নিরাপদে ভ্রমণে কিছু সতর্কতা
ফ্লাইট এক্সপার্ট (Flight Expert)
মক্কা গ্রুপ অব কোম্পানি-এর এই ট্রাভেল এজেন্সি ২০১৭ সালের ১ মার্চ নিয়ে আসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিকেটিং পদ্ধতি। অবশ্য এই প্রযুক্তিকে ঘিরে পূর্ণাঙ্গ একটি ওয়েবসাইটের আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০২২-এর ৯ জুলাই। বর্তমানে দেশের প্রথম সারির ফ্লাইট বুকিং সাইটগুলোর মধ্যে Flight Expert অন্যতম।
অন্যান্য এজেন্সিগুলোর থেকে যে বিষয়টি প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে রেখেছে তা হচ্ছে ‘বুক ন্যাউ (পে লেটার)’ ফিচার। এই প্রক্রিয়ায় অর্ডার নিয়ে কোনও পেমেন্ট ছাড়াই যাত্রীর জন্য টিকেট বুক করে রাখা হয়। পরবর্তীতে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে গ্রাহক টিকেটের অর্থ পরিশোধ করেন। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহককে পেমেন্টের রিমাইন্ডার দেওয়া হয়।
সফল ভাবে অর্থ প্রদানপূর্বক এয়ারলাইন্সের ইস্যূকৃত টিকেটের পিডিএফ ফাইল চলে যায় গ্রাহকের ইমেইল ঠিকানায়।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://flightexpert.com/
ওয়েবসাইট মোবাইল-বান্ধব হওয়া সত্ত্বেও এদের রয়েছে স্বতন্ত্র আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.flightexpert.b2c&hl=en
আইফোন অ্যাপ: https://apps.apple.com/ag/app/flight-expert/id6457255223
আরো পড়ুন: মরণঘাতী ড্রাগ ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ থেকে বাঁচতে করণীয়
বিডিটিকেটস (bdtickets)
ঘরে বসে বাসের টিকেট সংগ্রহের জন্য রবি আজিয়াটার এই টিকেটিং পোর্টালটি ব্যাপকভাবে সমাদৃত। ২০১৫ সালে আত্মপ্রকাশের পর থেকে এরা প্রধানত দেশের আন্তঃনগর বাসগুলো নিয়ে কাজ করে আসছে। বর্তমানে bdtickets প্লেন বা লঞ্চের টিকেটও সরবরাহ করে তবে তার জন্য ১৬৪৬০ নাম্বারে ফোন দিতে হবে।
অন্যান্য টিকেটিং সাইটগুলোর মতো এদেরও রয়েছে নিবন্ধন, টিকেট অর্ডার, এবং পেমেন্ট সিস্টেম। তাদের মোবাইল অ্যাপ একটি; বিডিটিকেটস, যার অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপেল দুই সংস্করণই আছে।
যাত্রার সময় পরিবর্তন বা বাতিলের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পাদন করা যায় যাত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://bdtickets.com/
স্মার্টফোন থেকে এই কার্য সম্পাদনের জন্য পৃথক অ্যাপও রয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.bluetech.bdtickets.launcher&hl=en
আইওএস অ্যাপ: https://apps.apple.com/us/app/bdtickets/id1552613900
আরো পড়ুন: বাসা-বাড়িতে ডাকাতি প্রতিরোধে করণীয়
বাইটিকেটস (Buy Tickets)
২০১৮-এর ১৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বিমান টিকেটিং কার্যক্রম শুরু করে বাইটিকেট্স। ট্রাভেল এজেন্সি এয়ারস্প্যান লিমিটেড-এর এই উদ্যোগ বর্তমানে দেশের পর্যটন সেক্টরের এক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। বাস, লঞ্চ, বিমানের টিকেট বিক্রির পাশাপাশি এদের হলিডে ট্যুর প্যাকেজ ও হোটেল সেবাও রয়েছে।
উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো Buy Ticketsও গ্রাহকদের জন্য সহজ ইন্টারফেসে টিকেট কেনার সুযোগ দেয়। দেশের সমসাময়িক ওটিএগুলোর মতো এটিও এসএমএস বা ইমেলের মাধ্যমে গ্রাহককে ই-টিকেট সরবরাহ করে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://buytickets.com.bd/
স্মার্টফোন ব্যবহারকারিদের জন্য এই পরিষেবাটি শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে সমর্থিত।
অ্যান্ড্রয়েড স্টোর লিঙ্ক: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.buytickets.bd&hl=en
আরো পড়ুন: কক্সবাজার ইনানী সমুদ্রসৈকত ভ্রমণ: ঘুরে আসুন প্রবাল পাথুরে সৈকতে
যাত্রী (Jatri)
২০১৯-এ আত্মপ্রকাশ করা এই সাইটটির বিশেষত্ব হলো বাস ট্র্যাকিং-এর সুবিধা। এর মাধ্যমে সম্ভাব্য যাত্রীরা বাসের বর্তমান অবস্থান দেখে তার স্ট্যান্ডে পৌঁছার সময়টি যাচাই করতে পারেন।
যাত্রীর নিজস্ব ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ উভয় মাধ্যমেই এই ফিচারটি রয়েছে। সাইটে নিবন্ধনের পর নির্ধারিত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে যাতায়াতের যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায়। এই তথ্য পছন্দের বাসটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
মূল্য পরিশোধের জন্য Jatri-এর রয়েছে বিশেষ ডিমানি যাত্রী কার্ড। এর সাথে ডিজিটাল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ভিসা বা মাস্টার কার্ড যুক্ত করার সুবিধা আছে। ফলে যাত্রীরা তাৎক্ষণিক ভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে যাতায়াতের ভাড়া দিতে পারে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.jatri.co/
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.jatri.jatriuser&hl=en&gl=
আরো পড়ুন: রমজানে রোজা রাখার প্রস্তুতি: দেহ ও মনকে সুস্থ রাখতে করণীয়
পরিবহন.কম (paribahan.com)
এই সাইটটিতে দেশের বর্তমান অধিকাংশ পরিবহন পরিষেবার এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টার্ফেস) সংযুক্তি রয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে বিস্তৃত পরিসরে টিকেটিং সেবা প্রদান করতে পারে।
paribahan.com-এর আওতাভূক্ত পরিবহনগুলো হলো বাস, লঞ্চ এবং বিমান। এগুলোর যে কোনওটির টিকেট কেনার সময় যাত্রীরা নিজের পছন্দ মতো পরিবহন কোম্পানি বাছাই করতে পারেন। একই সঙ্গে দেশের প্রায় সবগুলো অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থার সুবিধা রেখেছে ওয়েবসাইটটি।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://paribahan.com/
তবে অসুবিধার জায়গা হচ্ছে পরিবহন.কম-এর কোনও মোবাইল অ্যাপ নেই।
শেষাংশ
অনলাইনে বাস, ট্রেন, ও বিমানের টিকেট ক্রয়ের এই ১০টি প্রতিষ্ঠান জনসাধারণের যাতায়াত ব্যবস্থার মানোন্নয়ন করেছে। সরকারি দিক থেকে এই বৃহৎ ভূমিকায় অবদান রাখছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকেটিং সার্ভিস। দেশ-বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে টিকেটিং ব্যবস্থাকে উন্নত করেছে বিমান বাংলাদেশ, শেয়ার ট্রিপ, গোজায়ান, এবং ফ্লাইট এক্সপার্ট। এগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে সহজ, বিডিটিকেট্স, ও বাইটিকেট্স। পিছিয়ে নেই শুধুমাত্র দেশের আভ্যন্তরীণ পরিবহনগুলোতে সীমাবদ্ধ থাকা যাত্রী এবং পরিবহন। সর্বপরি, এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন কাগুজে টিকেট ব্যবস্থার উৎকৃষ্ট বিকল্প, যা নাগরিক জীবনকে ধাবিত করছে উন্নত জীবন ধারণের দিকে।
আরো পড়ুন: পবিত্র ওমরাতে যাওয়ার পূর্বপ্রস্তুতি ও কিছু সাবধানতা
২৬৯ দিন আগে
ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় ট্রেন আটকে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে কুষ্টিয়ার ওপর দিয়ে চলাচলকারী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে কোর্ট স্টেশনে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে জনসাধারণ।
আরও পড়ুন: বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে বিপুল পরিমাণ কোকেন ও হিরোইন জব্দ
সোমবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে আসলে ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে।
পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা আধা ঘণ্টা পর ট্রেনটি ছেড়ে দেয়।
বিক্ষোভকারীরা জানায়, ট্রেনের রুট পরিবর্তনে যাতায়াতে অসুবিধা হবে। বিশেষ করে চিকিৎসা, শিক্ষা ও ব্যবসায়িক কাজে যাতায়াতের জন্য দুর্ভোগ বাড়বে। তাই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানান তারা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেয় বিক্ষুব্ধ জনসাধারণ।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনের ইনচার্জ ইতিয়ারা খাতুন বলেন, এই রুট থেকে ট্রেন সরানোর ব্যাপারে এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি।
দুই ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হলে কুষ্টিয়া-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেনের ব্যবস্থার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এই রুটে বিকল্প নতুন ট্রেনের ব্যবস্থার আশ্বাসের কথা বলেন এই কর্মকর্তা।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, বেনাপোল ও সুন্দরবন ট্রেনের প্রতিমাসে কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কৃষিজাত পণ্যের জন্য বিশেষ ট্রেন স্থগিত
৩৯৫ দিন আগে
পঞ্চগড়গামী আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত: ঢাকার সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক
বৃহস্পতিবার রাতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পঞ্চগড়গামী আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পর শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকাসহ সারাদেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
স্টেশন সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার স্টেশন থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ছাড়ার সময়সূচির শেষ ট্রেন ছিল। রাত ১২টা ৫ মিনিটে শাহজাহানপুর এলাকায় ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার ২৫ মিনিটের মধ্যে লাইনচ্যুত হলে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
সকাল ৬টা থেকে স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও লাইনচ্যুত হওয়ায় ট্রেন ছাড়তে দুই ঘণ্টা দেরি হয়।
কমলাপুর স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে ট্রেনের লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার করার পর সীমিত আকারে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
৪০৫ দিন আগে