যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ ভাইসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের আক্তারুজ্জামান হত্যা মামলায় ৩ ভাইসহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান খান এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
এসময় আসামি আল আমিন ও এনামুল হক ছাড়া অন্য পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুরের তিন ছেলে আসাদ মিয়া, আবুল কাশেম, ফালান মিয়া ও একই এলাকার রফিকের ছেলে আল-আমিন, এনামুল হক, সুমন মিয়া ও মাসুদ।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আল-আমিন ও এনামুল হক ছাড়া বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর বিকালে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের আক্তারুজ্জামান কাওনা বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন।
এ সময় বাড়ির কাছে পথে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আসামিরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে উদ্ধার কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আশরাফুন্নেছা বাদী হয়ে ২৯ ডিসেম্বর ৭ জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৯ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে আদালকে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা জেলা সিআইডির সহকারি পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ২ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ২ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রাম মহানগরীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত কাজল চৌধুরী হত্যা মামলায় দুই আসামিকে বিভিন্ন ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম ৩য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন এই রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- মহানগরীর কোতোয়ালী থানার জয়নগর ১ নম্বর গলি আহমদ মিয়ার বাড়ির আবু ছিদ্দিকের ছেলে মো. হাছান। তিনি বায়েজিদ থানার আতুরার ডিপু মৃধা পাড়া জহির সওদাগরের বাড়ির স্থায়ী বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
অপর আসামি আবু বক্কর খান রাজু ডবলমুরিং থানার হাজীপাড়া জাহাঙ্গীর কলোনীর মো. আসসাফ আলীর ছেলে। তিনি ঝালকাঠির নলছিটি থানার বারই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দুলাল চন্দ্র দেবনাথ রায় প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কাজল চৌধুরী হত্যা মামলায় ৩০২ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই আসামি হাছান ও রাজুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া ৩৯৪ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় হাছান উপস্থিত ছিলেন।
তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি রাজু পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা মূলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নিহত কাজল চৌধুরী সীতাকুণ্ডে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার ভাই উজ্জ্বল চৌধুরী চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার সিরাজদ্দৌল্লা রোডের মাছুয়া ঝর্ণা এলাকায় চৌধুরী ফার্মেসি পরিচালনা করতেন।
২০০৪ সালের ১৩ আগস্ট রাত ১২টার দিকে ফার্মেসি বন্ধ করে নগদ টাকা নিয়ে বাসায় ফেরার পথে একটি অটোরিকশায় করে এসে চার ছিনতাইকারী তাদের উপর হামলা করে। এসময় কাজলকে ছুরিকাঘাত করে হাতে থাকা ব্যাগসহ ২৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় কাজলের বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারী।
এদিকে কাজলকে বাঁচাতে তার ভাই উজ্জ্বলকে হাতে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারী। এসময় দুই ভাইয়ের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাজল চৌধুরী মারা যান।
এই ঘটনায় কাজলের স্ত্রী রত্না চৌধুরী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ২০০৬ সালের ৩০ মে মামলা তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র দেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা। একই বছরের ২০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে। বিচারিক কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। এই মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বরিশালে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও মাদক মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া উভয় মামলায় প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা জজ আব্বাস উদ্দীন ও নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
মৃতদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- জেলার আক্কেলপুর উপজেলার আওয়ালগাড়ি গ্রামের সাহাদুলের ছেলে সাজাদুল।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের মৃত বাবর মণ্ডলের ছেলে রব্বুল মণ্ডল, গোলাম মোস্তফার ছেলে রিপন মিয়া ও ফজলুলের ছেলে মাহাবুল। এর মধ্যে রব্বুল ও রিপন পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আক্কেলপুর উপজেলার আওয়াল গাড়ি গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে রূপালীর সঙ্গে একই গ্রামের সাজাদুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ হয়।
২০০৯ সালের ২০ফেব্রুয়ারি রাতে আসামি রূপালীকে বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে যান। পরে নদীর পাড়ে তাকে হত্যা করে লাশ আগুনে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে। পরের দিন সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা থানায় মামলা দায়েরের পর আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
অন্যদিকে, ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল পাঁচবিবি উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রাম থেকে ১ হাজার ৪৫০টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন ও ৭০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পাঁচবিবি থানায় মাদকের মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ আসামির যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
খুলনায় ১৯ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
১৯ বছর পর স্ত্রী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহিদ হাসানকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ফুলতলা থানাধীন বুড়িয়ারডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে মাটির নিচ থেকে কোটি টাকার হেরোইন জব্দ, গ্রেপ্তার ১
গ্রেপ্তার জাহিদ খানজাহান আলী থানার আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের পাড়িয়ারডাঙ্গা গ্রামের কাওসার মোল্লার ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খানজাহানআলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পলাশ কুমার দাসের নেতৃত্বে পথেরবাজার পুলিশ ক্যাম্পের এসআই কামরুল হুদা নাঈম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে ১৯ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্ত্রী হত্যার দায়ে ১৯ বছর সাজা হওয়ার পর থেকে জাহিদ ছদ্মবেশে বিভিন্ন এলাকায় পলাতক ছিলেন।
অভিযান পরিচালনাকারী পুলিশ পরিদর্শক পলাশ কুমার দাস জানান, জাহিদ ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি পান এবং ২০০৪ সালে যশোরের অভয়নগর থানায় বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের জের ধরে জাহিদ হাসান তার স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেন।
এক পর্যায়ে জাহিদ হাসানের স্ত্রীর লাশ নদী থেকে উদ্ধার হয় এবং তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে যশোর জেলার অভয়নগর থানায় মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে জাহিদ হাসানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
জাহিদ হাসান ভারতে চার বছর পলাতক থাকেন। বাংলাদেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকেন। সর্বশেষ তিনি পুনরায় খুলনা জেলায় ফিরে এসে ফুলতলা এলাকায় ভিন্ন একটি গ্রামে আত্মগোপন করে থাকেন এবং তার নিজের নামসহ পিতা মাতার নাম পরিবর্তন করে শুধুমাত্র হোসেন নাম ধারণ করেন।
একইসঙ্গে বেশভূষার কিছুটা পরিবর্তন এনে নিজেকে আড়াল করতে দাড়ি রেখে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছুদিন ধরে চাকরি করছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আ. লীগ নেতা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২
ভারতে ‘পাচারকালে’ সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে নাটোরের এক গৃহবধূ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
কিশোরগঞ্জে ভাই হত্যা মামলায় ৫ ভাই-বোনসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় ভাইকে হত্যার অপরাধে চার ভাই ও এক বোনসহ সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক ফাতেমা জাহান স্বর্ণা এ আদেশ দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের খালিশাখালি গ্রামের গ্রামের মতিউর রহমানের চার ছেলে নজরুল (৩৮), খোকন (৪০), সাত্তার (৩৫) ও বকুল (৪৮) এবং মেয়ে চম্পা আক্তার (৩৫)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
বাকি দুই আসামি হচ্ছে একই গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা খাতুন এবং মকু'র ছেলে মো. সৈয়দ (৫০)। আসামিরা সকলেই একই এলাকার বাসিন্দা।
রায় ঘোষণার সময় ছয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামি নজরুল বিচার চলাকালে জামিনে গিয়ে পলাতক হয়।
মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী এপিপি দিলিপ কুমার ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর বাড়ির সীমানায় গাছকাটা নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে রিটন মিয়াকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন তার ভাই-বোনেরা। পরে প্রতিবেশীরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সালমা আক্তার বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি পাকুন্দিয়া থানায় মামলা করেন।
২০১৭ সালে ১৯ অক্টোবর মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সারোয়ার জাহান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ আসামির যাবজ্জীবন
নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নওগাঁর পোরশার ইলাম গ্রামের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে পলাতক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌশলী মকবুল হোসেন জানান, ২০১৪ সালের ১০ জানুয়ারি ওই শিক্ষার্থী নানীর বাড়ি যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন।
চলতি মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ সোমবার বেলা ১২টায় রায় ঘোষণা করেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকার সাজা পরোয়ানাসহ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে জরিমানার টাকা ধর্ষণের শিকার নারীকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
অপর আরেকটি ঘটনায় জেলার পত্নীতলার কাশিপুর এলাকার এক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে একই গ্রামের কাজল মালীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দুপুর ১২টায় এক আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত বিশেষ কৌশলী মকবুল হোসেন জানান, পত্নীতলার কাশিপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী নারী ২০২০ সালের ২৭ মার্চ ধর্ষণের শিকার হন।
এই অভিযোগে প্রতিবন্ধী নারীর স্বামী ২০২০ সালের ১ এপ্রিল পত্নীতলা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। আদালতে আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের তিন বছরের কারাদণ্ড
২০২২ সালে ৮ জুন মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়ে চলতি বছরের ৩ আগস্ট শেষ হয়। গত বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
আসামি পক্ষে আইনজীবী সোমেন্দ্রনাথ কুন্ডু মামলা পরিচালনা করেন। জরিমানার অর্থ ধর্ষণের শিকার নারীকে প্রদানের নির্দেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা: চাঁদপুরে নকল সরবরাহের অভিযোগে কলেজ কর্মচারীকে কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ আসামির যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে, আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এ রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মোশাররফ হোসেন প্রকাশ লিটন (২৫), মো. আকবর হোসেন প্রকাশ (২৮) ওরফে হাত কাটা আকবর, মো. সুমন (৩০), মো. নুরুল আবছার প্রকাশ স্বপন (৩২) ও আবুল বশর ওরফে বশর (৪৭)।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের তিন বছরের কারাদণ্ড
রায় ঘোষণার সময় আকবর হোসেন, মোশাররফ হোসেন ও নুরুল আবছার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজাপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আবুল বশর ও সুমনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর জিকো বড়ুয়া জানান, ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা: চাঁদপুরে নকল সরবরাহের অভিযোগে কলেজ কর্মচারীকে কারাদণ্ড
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সন্দ্বীপ উপজেলার রহমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী সকালে স্কুলে যায়। কিন্তু এরপর আর বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা স্কুল ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। পরদিন দুপুরের দিকে ওই ছাত্রীর বাড়ির পশ্চিম পাশে জমি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ছাত্রীর মা পারভিন আক্তার বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
২০১৭ সালের ২১ আগস্ট পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলায় ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এই রায় দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মাহামুদুল হক হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ড. আবুল হাসানাতের আদালত এ রায় দেন। রায়ে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন কলিম উল্লাহর ছেলে আব্দুল মালেক।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা এলাকার মৃত ইয়াকুব মিয্ঞার ছেলে শামসুল ইসলাম ও তার ভাই সৈয়দ আহম্মেদ।
আরও পড়ুন: বরিশালে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- একই এলাকার মৃত ইয়াকুম মিয্ঞার ছেলে আইয়ুব আলী, আইয়ুব আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম, মো. ইউসুফের ছেলে আজম বাদশা ও আলমগীর, বেলায়েত আলীর তিন ছেলে জসিম উদ্দীন আবুল কাশেম ও নাজিম উদ্দীন এবং একই থানার পদুয়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া এলাকার আব্দুল হাকীমের ছেলে নুরুল আলম।
রায়ের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী নাজিম উদ্দীন।
ঘটনার বিবরণে আদালত সূত্রে জানা যায়, ২২ বছর আগে ২০০১ সালের ৩ নভেম্বর লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড রাজঘাটা এলাকায় ভুক্তভোগী মাহামুদুল হককে মারধর ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সন্ত্রাসীরা।
৫ নভেম্বর মাহামুদুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
এ ঘটনায় মাহামুদুল হকের ভাই আলী আহমেদ বাদী হয়ে ১১ নভেম্বর ১৩ জনের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় মামলা করে। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০২ সালের ২৮ জানুয়ারি আদালতে এজাহারভুক্ত ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০০৬ সালের ৮ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ। মামলায় বিচার চলাকালে ২ জন আসামির মৃত্যু হয়।
মামলায় মোট ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের তিন বছরের কারাদণ্ড
সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ানের ৩ বছরের কারাদণ্ড
দিনাজপুর কারাগারের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির হাসপাতালে মৃত্যু
সাঈদ আলী (৫৯) নামে দিনাজপুর জেলা কারাগারের এক কয়েদির জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। তিনি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি ছিলেন।
বুধবার (২ আগস্ট) ভোরে গুরুত্বর অসুস্হ হয়ে পড়লে তাকে কারা হাসপাতাল থেকে ভোর ৫টায় জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে ভোর সাড়ে ৫ টায় মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুর জেলা কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
সাঈদ আলী দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার গড়পিংলাই গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। গত বছরের ২৩ মে থেকে সাজা ভোগ করছিলেন তিনি।
জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে ক্রোধের বশবতি হয়ে গত ২০০৯ সালের ২০ আগস্ট রাতে হুমাযুন কবীর নামে একজন মুদি দোকানিকে অপহরণ করে হত্যা করেন তিনি।
জেলা কারাগারের জেলার এ. কে. মাসুম জানান, যাবজ্জীবন সাজাভোগী কয়েদি সাঈদ আলী কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে গুরুত্বর অসুস্হ অবস্থায় কারা হাসপাতাল থেকে ভোর ৫টায় জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে ভোর সাড়ে ৫ টায় মারা গেছে সে।
তিনি আরও বলেন, দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে তার লাশ হস্হান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতালে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
বাগেরহাট কারাগারের হাজতির মৃত্যু
ঢামেক হাসপাতালে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
সামছুল হক (৫৫) নামে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) এক কয়েদির ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে।
তিনি মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি ছিলেন এবং তার বাবার নাম মঙ্গল খান।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতালে যুদ্ধাপরাধী হাজতির মৃত্যু
মঙ্গলবার দিবাগত (২ আগস্ট) রাত ২টা ২০ মিনিটে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় কারারক্ষীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক ও কারারক্ষীদের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কারাগারে ওই কয়েদি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তিনি জানান, তখন কারা চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকা হাসপাতালে নিয়ে আসে কারারক্ষীরা। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতাল থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দীর মৃত্যু