যাবজ্জীবন
জবি শিক্ষার্থী হত্যা: ৭ জনের যাবজ্জীবন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ফরহাদ আলী সরদার ওরফে ঝন্টু, মাহমুদ তারিক ওরফে তারিক, আ. গফুর, সোহাগ, তৌফিকুল ইসলাম, জুয়েল ওরফে বখতিয়ার ও হাসিবুল হাসান ওরফে হাসিবুল। এদিকে সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ জন পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আব্দুর রহিম ২০০০ সালের ৭ জানুয়ারি নিজ বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে উপজেলার দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে যায়।
১১ জানুয়ারি বাড়ি থেকে বের হয়ে দিবাগত রাত পর্যন্ত আর বাড়ি ফিরে আসেন না তিনি। পরদিন সকালে ওই গ্রামের পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি পুকুরপাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম বাবুল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত রবিবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ফেনসিডিল বহনের দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিলেটে যুবক হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
সিলেটে যুবক হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
দীর্ঘ ১২ বছর পর সিলেটের কানাইঘাটে যুবক শাহনেওয়াজ হত্যা মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে সিলেটের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. শাহাদৎ হোসেন প্রামানিক এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার পাত্তন গ্রামের নুরুল হক ওরফে কুঠি মাস্টারের ছেলে আবুল কাশেম উরফে মারুফ, একই গ্রামের নুরুল হকের ছেলে বাবুল আহমেদ, ইরফান আলীর ছেলে লোকমান, কানাইঘাট উপজেলার মালিগ্রামের মৃত মকবুল আলীর ছেলে খলিল উদ্দিন ও একই এলাকার মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে দর্জি হেলাল।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বিলিয়ার্ড খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবক হত্যা: গ্রেপ্তার ৫
এর মধ্যে বুধবার রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবুল কাশেম ওরফে মারুফ ও দর্জি হেলাল। আসামি বাবুল আহমেদ, লোকমান ও খলিল উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিদের সঙ্গে কানাইঘাট উপজেলার মালিগ্রামের ফখরুল ইসলামের ছেলে শাহনেওয়াজের পূর্ববিরোধ ছিল। এর জেরে ২০১১ সালের ২৬ জুন রাত ৯টার দিকে শাহনেওয়াজকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে শাহনেওয়াজের পরনের গেঞ্জি দিয়ে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে কানাঘাট উপজেলার পর্বতপুর গ্রামের লাইন নদীতে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।
দুই দিন পরও শাহনেওয়াজ বাড়ি না ফেরায় তার পরিবার খুঁজতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে যুবক হত্যা: মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার ৪
২৯ জুন সকাল ৯টার দিকে পর্বতপুর লাইন নদীর সাকোঁতে শাহনেওয়াজের লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন তার পরিবারকে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন গিয়ে শাহনেওয়াজের লাশ শনাক্ত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহত শাহনেওয়াজের পিতা ফখরুল ইসলাম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কানাইঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর কানাইঘাট থানার এসআই এনাম উদ্দিন আহমেদ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন এবং ২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচার কাজ শুরু করেন আদালত।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে যুবক হত্যায় ৩ জনের ফাঁসি, ৭ জনের যাবজ্জীবন
দীর্ঘ শুনানি ও ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার (২০ মার্চ) আদালত রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুল ইসলাম ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মো. ছয়ফুল আলম, এ এস এম এ গফুর ও রমা চন্দ্র নাথ মামলাটি পরিচালনা করেন।
টাঙ্গাইলে ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
টাঙ্গাইলে ধর্ষণ মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহবুবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার মহানন্দপুর কইষ্টা বাজার গ্রামের মো. আসলামের ছেলে সাগর আহমেদ (২১) ও জিতাশহরি গ্রামের মৃত আবু সাইদের ছেলে নাইচ আহমেদ নাবিল (২১)।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এপিপি মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস মিয়া জানান, সখিপুরের বাসারচালা এলাকায় ১৩ বছরের একটি কিশোরীকে প্রথমে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন আসামি সাগর। ২০২২ সালের জুনে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন সাগর ও তার বন্ধু নাবিল। পরে ওই কিশোরী বাড়িতে গিয়ে ঘটনা জানালে মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে ২ জুলাই সাগর, নাবিল ও ফরহাদকে আসামি করে সখিপুর থানায় মামলা করেন। ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এসআই মো. সালাউদ্দিন। আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতেই রায় পড়ে শোনান বিচারক।
তিনি আরও জানান, আসামি ফরহাদ হোসেনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মহিউদ্দিন মিয়া মামুন।
আরও পড়ুন: হলমার্ক কেলেঙ্কারি: এমডি তানভীর ও তার স্ত্রীসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন
মানিকগঞ্জে স্বর্ণ পাচার চক্রের ৫ জনের যাবজ্জীবন
মানিকগঞ্জে স্বর্ণ পাচার চক্রের ৫ জনের যাবজ্জীবন
মানিকগঞ্জে স্বর্ণ পাচারকারী চক্রের ৫ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
এ মামলায় ১৫ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মধুরনাথ সরকার ও আইনজীবী নজরুল ইসলাম বাদশা।
আসামিরা হলেন- ইয়াহিয়া আমিন, শেখ আমিনুর রহমান, মো. মনিরুজ্জামান রনি, শেখ জাহিদুল ইসলাম ও মো. জহিরুল ইসলাম তারেক। তাদের বাড়ি সাতক্ষীরা, যশোর মুন্সীগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর রাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মানিকগঞ্জ থানাধীন তরা এলাকায বেনাপোলগামী একটি বাস আটক করে।
এ সময় তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে আটক করা হয়। তাদের পাঁচজনেরই দেহ তল্লাশি করে ২২৭টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। যার ওজন প্রায় ৪৪ কেজি।
এ ব্যাপারে সদর থানায় ৫ অক্টোবর সুবেধার মোকসেদ আলম বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলা: ৩৫ বছর পর ২ জনের যাবজ্জীবন
খুলনায় ২ শিশুকে ধর্ষণ মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন
নরসিংদীতে মাদরাসা শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
নরসিংদীর শিবপুরে চাঞ্চল্যকর মাদরাসা ছাত্র আবুল বাশার ওরফে বাদশা হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।
একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১ এর বিচারক শামিমা পারভিন এই রায় ঘোষনা করেন।
আসামি রায়হান শিবপুরের সৈয়দনগর পাঁচভাগ গ্রামের বাচ্চু মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেরপুরের ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা যায়, বাদশা স্থানীয় একটি মাদরাসায় লেখা পড়া করতেন। ২০০৬ সালের ১৮ জুলাই টাকার প্রয়োজনে বাদশা বাড়িতে আসে। ওই সময় বাশার তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে লাগানো কলা খেত থেকে কলার ছড়ি কাটতে যায়। এতে বাধা দেয় প্রতিবেশী বাচ্চু মোল্লা, তার ছেলে রায়হান মোল্লা ও তার পরিবারের সদস্যরা।
তাদের কথা উপেক্ষা করে কলার ছড়ি কাটার জেরে প্রতিপক্ষ বাচ্চু মোল্লার নির্দেশে তার ছেলে রায়হান মোল্লা পেছন থেকে বাদশাকে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার একদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নিহতের দাদা নুরুল ইসলাম মৃধা বাদী হয়ে রায়হান মোল্লাসহ চারজনকে আসামি করে শিবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে এ রায় প্রদান করেন।
নরসিংদী জজকোর্টের আইনজীবী ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আইনজীবী আসাদ্দুজ্জামান ওরফে জামান বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় রায়হানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। বাকি আসামিদের বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে স্বামীকে হত্যার ঘটনায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন
রাজবাড়ীতে স্বামীকে হত্যার ঘটনায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন
রাজবাড়ীতে স্বামীকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় স্ত্রী শাহিদা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: নাটোরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভীন এ রায় দেন।
শাহিদা বেগম বালিয়াকান্দির বংকুর গ্রামের মৃত আশরাফ সানার স্ত্রী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাড়ি বিক্রি করা নিয়ে ২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর সকালে শাহিদা ও তার স্বামীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ঘর থেকে লোহার রড নিয়ে এসে শাহিদা বেগমকে মারতে যান আশরাফ। তখন শাহিদা বেগম লোহার রডটি আশরাফের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে তাকেই মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই আশরাফ সানার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নিহতের মেয়ে আফরোজা বেগম বাদী হয়ে থানায় মায়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে এ রায় প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন
মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেরপুরের ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্কুলছাত্র তাজেমুল হককে (১৫) হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রবিউল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা আসামিরা হলেন- জেলার নাচোল উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকা আব্দুল খালেকের ছেলে রুবেল হোসেন আবীর ও নিয়ামুল হকের ছেলে হযরত আলী। এর মধ্যে হযরত আলী পলাতক।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) রবিউল ইসলাম জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি অটোরিকশা চালাতেন তাজেমুল হক। ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর আসামিরা ধান নিয়ে আসার কথা বলে তাজেমুল হকের অটোরিকশা ভাড়া নেয়। এরপর অটোরিকশা নিয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের পুকুরপাড়া মোড় এলাকায় একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে যায় তাজেমুলকে। সেখানে তার গলায় গামছা ও রশি পেঁচিয়ে এবং ইট দিয়ে মুখ থেতলে হত্যা করে তাকে। পরে ওই ভবনেই বালুচাপা দিয়ে লাশ গুম করে।
এ ঘটনায় তাজেমুলের নানা আব্দুল ওহাব বাদী হয়ে নাচোল থানায় মামলা করেন। ২০২১ সালের ৩১ মে নাচোল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম রসুল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেরপুরের ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেরপুরের নকলার তিন রাজাকারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার চেয়ারম্যান (হাইকোর্টের বিচারপতি) মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল এ রায় দেন।
তিন রাজাকার হলেন- এ কে এম আকরাম হোসেন, এস এম. আমিনুজ্জামান ফারুক ও মোখলেছুর রহমান ওরফে তারা।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তিন রাজাকারের যাবজ্জীবন সাজার রায় হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নকলার মুক্তিযোদ্ধারা।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: আপিলে আমৃত্যু সাজা কমিয়ে শামসুল হকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
তারা বলছেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ৫২ বছর পর কলঙ্কমুক্ত হলো নকলার মাটি ও মানুষ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারি প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন গণমাধ্যমকে জানান, গত ২৪ জানুয়ারি উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামিকেই আদালতে হাজির করা হয়।
তিনি আরও জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে এক নম্বর অভিযোগে নকলার রামেরকান্দি বিবিরচর ও মজিদ বাড়ি গ্রামে গিয়ে সংঘবদ্ধভাবে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
আর দুই ও তিন নম্বর অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে নকলার জালালপুর গ্রামের মো. আব্দুল হান্নান ও বাজারদি গ্রামের শাহজাহান আলী ওরফে সাজুসহ নিরস্ত্র গ্রামবাসীদের আপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
তিনটি অভিযোগই ট্রাইব্যুনালে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে প্রসিকিউশন। তবে চার নম্বর অভিযোগে জোর করে শ্রম আদায় বা কাজে বাধ্য করার অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় এ অভিযোগ থেকে তিন আসামিকেই খালাস দেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা প্রতিরোধে রাষ্ট্রসমূহ বাধ্য: জাতিসংঘ কমিটি
প্রসিকিউশনের তথ্যমতে, ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর এ মামলার তদন্ত শুরু হয়। ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে চার আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয় তদন্ত সংস্থা। পরে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর চার আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। পরে ১৪ নভেম্বর অভিযোগ আমলে নিয়ে পরের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
অভিযোগ গঠনের পর ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি জামিনে থাকা অবস্থায় মারা যান আসামি মো. এমদাদুল হক ওরফে খাজা। পরে প্রসিকিউশনের আবেদনে ৩০ জানুয়ারি এ আসামির নাম মামলা থেকে বাদ দেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিনই সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করা হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ এ মামলায় সাক্ষ্য দেন ১৩ জন সাক্ষী। আসামিপক্ষের কোনো সাক্ষী ছিল না। সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হলে ২০২২ সালের ৩ জুলাই যুক্তিতর্ক শুরু হয়। শেষ হয় চলতি বছর ২৪ জানুয়ারি।
এ দিনই মামলাটি রায়ের জন্য আপেক্ষায় রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার রায়ে তিন রাজাকারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
কোকেন উদ্ধার: পেরুর নাগরিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার ওয়েস্টার্ন হোটেল থেকে তিন কেজি কোকেন উদ্ধারের ঘটনায় পেরুর নাগরিক গাজাসিটাল ভারাডো জুয়ান পাবলোররাফেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার আরেক আসামি মোহাম্মদ মোস্তফা আশরাফ নামে এক পাকিস্তানি নাগরিককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন- মো. মোস্তফা, শামসুল হক, হালিমা খান সাদিয়া, সাবরিনা নাসরিন তানিয়া ও মো. আশরাফ নাসিম।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর সালাউদ্দিন হাওলাদার সাজার বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১১ জুন রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ওয়েস্টার্ন হোটেলের সপ্তম তলায় ৭০৭ নম্বর রুমে তল্লাশি চালান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এসময় পেরুর নাগরিক গাজাসিটাল ভারাডো জুয়ানের কাছে থাকা একটি ট্রাভেল ব্যাগের ভেতর থেকে তিন কেজি কোকেন জব্দ করা হয়।
চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটের হত্যা মামলায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোফাজ্জল হোসেন বাদী মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ওবায়দুল করীম ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০১৫ সালের ১৮ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন
আরও পড়ুন: গ্রাহকের টাকা আত্মসাত: ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
জয়পুরহাটের হত্যা মামলায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সালেহ মোহাম্মদকে হত্যার দায়ে ১৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস আলী এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামি হলেন- হাদিউজ্জামান , আরিফুল, আবু নাছের, শাহজাহান আলী, আশরাফ আলী, লাল মোহাম্মদ, মোহাম্মদ আলী, জহির, শাসছুল আলম, সায়েম উদ্দিন, ওবাইদুল, সইম, রহিম, আবু সাঈদ, আবু বক্কর, রানু বেগম ও সাহেরা বেগম।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শিশু হত্যা মামলায় দুই শিশুর ১০ বছরের কারাদণ্ড
নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় এ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন পাঁচ আসামি। তারা হলেন- অমিছা বেগম, শহিদুল ইসলাম, বেলছি বেগম, হাফেজা ফকির ও সবদুল ফকির। দণ্ডপ্রাপ্ত সকলের বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। এদের মধ্যে দুইজন পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০০৯ সালের ২ মে সকাল ৮টার দিকে সালেহ মোহাম্মদকে অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে আসামিরা। স্বজন ও এলাকাবাসী আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই পাঁচবিবি থানায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আজিজুল হক। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বুধবার এ রায় দেন।
জয়পুরহাটের জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল এ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: গ্রাহকের টাকা আত্মসাত: ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
মিরপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান, ২ জনের কারাদণ্ড