যাবজ্জীবন
গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, অধ্যাদেশ জারি
গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজার বিধান রেখে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে অধ্যাদেশের গেজেট জারি করা হয়েছে।
এর আগে, গত ৬ নভেম্বর এই অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইবুনাল গঠনের করা হবে। এই অধ্যাদেশের অধীনে অপরাধ হবে জামিন ও আপসের অযোগ্য।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য যদি কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার, আটক, অপহরণ বা স্বাধীনতা হরণ করার পর বিষয়টি অস্বীকার করে অথবা ওই ব্যক্তির অবস্থান, অবস্থা বা পরিণতি গোপন রাখে এবং এ কাজের ফলে ওই ব্যক্তি আইনগত সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হন, তাহলে কাজটি গুম বা শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হবে। এই অপরাধে দায়ী ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে।
আর গুমের ফলে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটলে বা গুমের পাঁচ বছর পরও তাকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব না হলে দায়ী ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
যদি কোনো ব্যক্তি গুমের স্বাক্ষ্য-প্রমাণ নষ্ট করেন বা গুমের উদ্দেশ্যে গোপন আটককেন্দ্র নির্মাণ, স্থাপন বা ব্যবহার করেন, তাহলে ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে অধ্যাদেশে জানানো হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা কমান্ডারদের জন্যও সাজার বিধান রয়েছে অধ্যাদেশে। এ বিষয়ে বলা হয়েছে, যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কমান্ডার বা দলনেতা এ ধরনের অপরাধ সংঘটনে অধস্তনদের আদেশ, অনুমতি, সম্মতি, অনুমোদন বা প্ররোচনা দেন, কিংবা নিজেই অংশ নেন, তাহলেও তিনি মূল অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা কমান্ডারের অবহেলা বা অদক্ষতার কারণে অধস্তনরা এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়ালেও সাজা পাবেন সেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
শৃঙ্খলা বজায় রাখা, অধস্তনদের নিয়ন্ত্রণ বা তত্ত্বাবধান করার ব্যর্থতার ফলে অধস্তনরা যদি এ ধরনের অপরাধ করে, তাহলেও তিনি মূল অপরাধের দায়ে দণ্ডিত হবেন বলে অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করার আগ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির অবস্থান ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে’ গোপন রাখা যাবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক হলেও তার অনুপস্থিতিতে বিচার সম্পন্ন করা যাবে।
৩ দিন আগে
নড়াইলে ডাকাতির সময় হত্যা, পাঁচজনের যাবজ্জীবন
নড়াইল সদর উপজেলায় ডাকাতিকালে নির্মল পোদ্দারকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক এলিনা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (অতিরিক্ত পিপি) অ্যাডভোকেট তারিকুজ্জামান লিটু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—শাহিন মুন্সি, আক্তারুজ্জামান বাবুল, সেলিম, নজরুল ইসলাম মৃধা ও তেজারত মোল্যা। এর মধ্যে তেজারত মোল্যা কারাগারে উপস্থিত ছিলেন, অন্য চারজন পলাতক রয়েছেন।
পড়ুন: ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষকের যাবজ্জীবন
মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৪ জুন রাতে সদর উপজেলার ভওয়াখালী গ্রামে ডাকাতরা বাড়িতে হামলা চালিয়ে নির্মল পোদ্দারকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে পলি পোদ্দার নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত পাঁচ আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ দেন। তবে তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
৯৪ দিন আগে
ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষকের যাবজ্জীবন
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ওই ছাত্রীর গৃহশিক্ষক মাশরুর রহমান সজীবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) আতোয়ার রহমান এই সাজা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বিশেষ পিপি আব্দুল লতিফ লতা।
সাজা পাওয়া মাশরুর রহমান সজীব যশোর পালবাড়ি তেঁতুলতলা এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে। তিনি ঢাকা বাড্ডার বাসিন্দা।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী যশোর শহরের একটি কলেজে ভর্তি হন। এরপর পালবাড়ি এলকায় ফুফুর বাড়ি থেকে পড়াশোনা করতেন। গৃহশিক্ষক হিসেবে তাকে পড়াতেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া সজীব। একপর্যায় তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
২০১৬ সালের ১৫ জুন বাড়ির সবার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে সজীব ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তাদের সম্পর্ক উভয় পরিবারে জানাজানি হয়ে যায়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সজীব ওই ছাত্রীকে তার আত্মীয়ের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করেন। তিনি গোপনে তাদের বিশেষ মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও-ও ধারণ করে রাখেন। পরবর্তীতে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সজীব ঘোরাতে থাকেন এবং যোগোযোগ বন্ধ করে দেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে শিশুহত্যা মামলায় সৎ মায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এরপর গত বছরের ৩০ জুলাই সজীবের মাকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, সজীব ওই ছাত্রীকে বিয়ে করবেন না। শুধু তাই নয়, সজীব অন্যত্র বিয়ে করেছেন বলেও জানান তার মা।
এ ঘটনায় ওই বছরের ১৭ আগস্ট যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় করেন ওই ছাত্রী।
আদালতের তৎকালীন বিচারক অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আসামি সজীবকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় সজীব আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
১০৭ দিন আগে
নওগাঁয় হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
নওগাঁয় স্কুলছাত্র অপহরণ ও হত্যার মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে পৃথক একটি ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত চার আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— মিশু (১৯) ও পিংকি (৩০)। এ মামলায় আরও দুই কিশোর আসামি হুজাইফা ও সাজু আহমেদের ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ায় তাদের ১০ বছর আটকাদেশ দেওয়া হয়।
আরেক মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন— মোরশেদ আলী (৩৫) রবিউল ইসলাম (৩৮)। এ মামলায় সুলতানা পারভিন নামে এক নারীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
হত্যা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৭ নভেম্বর নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার খাদাইল গ্রামের নাজমুল নামের এক স্কুল ছাত্রকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে তার বাবার কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন কয়েকজন যুবক। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে পরের দিন আসামিরা নাজমুলকে হত্যা করে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে আক্কেলপুর রেলগেটের উত্তর পাশে ডোবার মধ্যে ফেলে রাখেন। পরে নাজমুলের বাবা বদলগাছী থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ (বৃহস্পতিবার) দুই আসামি মিশু ও পিংকিকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে, ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মান্দা উপজেলার চকদেবীরাম গ্রামের এক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে উপজেলার বালুবাজার গ্রামের মোরশেদের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে রবিউল ইসলাম। এ সময় তিনি মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রেখে দেন। পরবর্তীতে ওই মেয়েকে রবিউল বিয়ে না করলে মেয়ের পরিবার তাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিলে আসামি রবিউল মেয়ের স্বামীর কাছে ধর্ষণের ভিডিও পাঠান, ফলে তার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
এর কিছুদিন পরে বিক্রমপুরে ওই মেয়ের দ্বিতীয় বিয়ে হলে রবিউল আবারও একই কাজ করলে দ্বিতীয় স্বামী আইনি পরামর্শের কথা বলে ওই মেয়েকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্কুলছাত্র হত্যা: সাইফুলসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
এরপর ধর্ষণের শিকার ওই মেয়ে নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করলে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে সংশ্লিষ্টতা থাকার রিপোর্ট দেয় মান্দা থানা পুলিশ।
পরে দীর্ঘদিন ধরে চলা এ মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ (বৃহস্পতিবার) মোরশেদ আলী এবং রবিউল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ মামলায় সুলতানা পারভিন নামে আরেক আসামির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে খালাস প্রদান করেন।
উভয় মামলার রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
১২৭ দিন আগে
১১ বছর পর রায়, ফরিদপুরে রাজন হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরের মধুখালীতে রাজন হত্যা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অনাদায়ে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার প্রমাণ লোপাটের দায়ে ওই পাঁচজনকে আরও সাত বছর করে কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি আরমান হোসেন (৩৬), মির্জা মাজহারুল ইসলাম মিলন (৩৯), মামুন শেখ (৩৮) ও ইলিয়াছ মৃধা (৩৮) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামি আছাদ শেখ পলাতক রয়েছেন। পরে আদালতের নির্দেশে চারজনকে পুলিশ পাহারায় কারাগারে পাঠানো হয়।
এদের সবার বাড়ি মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। অপরদিকে, মামলার অপর দুই আসামি হাসান সিকদার ও আশরাফুল সিকদারকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ বিকালে ফরিদপুরের মধুখালীর রফিকুল ইসলামের ছেলে শাহ মো. রাজন (২৮) মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে না ফেরায় তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
চার দিন পর তার পালসার মোটরসাইকেল মধুমতি নদীর পাশে তারাপুর শ্মশানঘাট সংলগ্ন পানিতে জেলেদের জালে ধরা পড়ে। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ।
পুলিশ মামুন শেখের বাড়িতে গিয়ে রাজনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে এবং মোবাইল কললিস্টের সূত্র ধরে আরমান হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আরমান রাজন হত্যায় নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, রাজনকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মামুনের সহায়তায় কৌশলে কুড়ানিয়ার চর এলাকায় একটি বাগানে ডেকে নিয়ে গিয়ে আছাদ ও মামুন শেখসহ অজ্ঞাত ৫ থেকে ৬ জন ধারালো অস্ত্র দিয়া কুপিয়ে হত্যা করে লাশ বাগানের মাটির নীচে চাপা দিয়া রাখে। পরে পুলিশ মাটি খুড়ে রাজনের লাশ উত্তোলন করে।
হত্যাকাণ্ডে মির্জা মাজহারুল ইসলাম মিলনসহ অন্যরা লাশ ময়না তদন্তে বাঁধা দেওয়া, বিবিধ নেতিবাচক কর্মকাণ্ড ও পারিপার্শ্বিকতায় হত্যা ও লাশ গুমের ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত রাজনের মা জোৎন্সা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। পরে আদালতে চার্জশিট প্রদান করে পুলিশ। দীর্ঘ সাক্ষী ও শুনানি শেষে আজ (বৃহস্পতিবার) মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, রাজনকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার লাশ মাটি দিয়ে চাপা দিয়ে রাখা হয়। পরে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনে। এঘটনায় রাজনের মা বাদী হয়ে মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘ সাক্ষী ও শুনানি শেষে আজ আদালতের বিচারক রাজন হত্যা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এর মধ্যে একজন পলাতক রয়েছে। অন্যরা আদালতে হাজির ছিলেন। একই সঙ্গে প্রত্যেককে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড অনাদায়ে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়া মামলার প্রমান লোপাটের দায়ে ওই পাঁচ জনকে আরও ৭ বছর করে কারাদণ্ড এবং একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজন হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
১৪৮ দিন আগে
ইতালীয় নাগরিক তাবেলা হত্যা মামলা: ৩ জনের যাবজ্জীবন, খালাস ৪
১০ বছর আগে রাজধানীর গুলশানে ইতালীয় নাগরিক ও নেদারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিও-বিডির কর্মকর্তা তাবেলা সিজার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং চারজনকে খালাস দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন-তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগনে রাসেল।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম, তার ভাই আবদুল মতিন, শাখাওয়াত হোসেন ও সোহেল।
আসামিদের মধ্যে তামজিদ আহমেদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল, মতিন ও শাখাওয়াত আদালতে বিভিন্ন সময়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামি কাইয়ুম ও সোহেল মামলার বিচার চলাকালে পলাতক ছিলেন। মতিন জামিনে এবং বাকি চার আসামি কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকাদের রায় ঘোষণার সময় কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন তাবেলা। মামলার অভিযোগ সূত্র থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান ৯০ নম্বর সড়কের পশ্চিম প্রান্তে গুলশান এভিনিউ সংলগ্ন গভর্নর হাউসের দক্ষিণের দেওয়াল ঘেঁষা ফুটপাতে দুর্বৃত্তরা তাবেলা সিজারকে গুলি করে।
ওই সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ইসলামিক স্টেট (আইএস) দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়।
ওই হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আইসিসিও কো-অপারেশনের বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি হেলেন দার বিক বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করা হয়।
২০১৬ সালের ২৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুমসহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী।
একই বছরে ২৪ আগস্ট তৎকালীন মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, হামলাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করে দেশ-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে এই পরিকল্পনা করা হয়।
১৫৫ দিন আগে
হকার জুবায়ের হত্যা: ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন দুজনের
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত হকার জুবায়ের হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়া এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— সোনারগাঁও বরুমদী এলাকার আব্দুস সামাদ মুন্সীর ছেলে মো ইকবাল হোসেন (৩৭), বন্দরের নূর ইসলামের ছেলে মো. স্বপন (৪৯), কুমিল্লার মুরাদনগর এলাকার মো. আব্দুল মান্নানের ছেলে সায়মন ওরফে ইউনুস মিয়া (২৬) ও মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ এলাকার মো. মুহিতুর রহমানের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন সানি (২৭)।
যাবজ্জীবন পাওয়া দুজন হলেন— কুমিল্লার মুরাদনগর এলাকার হাছান আল মামুন (২২) ও কুমিল্লার বাঙ্গারা বাজারের রাসেল হোসেন (২৭)। তাদের মধ্যে রাসেল পলাতক রয়েছেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, ‘২০২১ সালে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার একটি হত্যা মামলায় পাঁচজনের উপস্থিতি ও একজনের অনুপস্থিতিতে আদালত রায় ঘোষণা করেছেন।’
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন
মামলার বাদী মুক্তা বেগম বলেন, ‘আদালতের এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট। আমি দ্রুত এই রায় কার্যকর দেখতে চাই।’
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাছুদা বেগম শম্পা বলেন, ‘এটি একটি আলোচিত হত্যা মামলা। ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে বলাকা পেট্রোল পাম্পের সামনে ফুটপাতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে দণ্ডপ্রাপ্তদের হাতে হকার জুবায়ের ছুরিকাঘাতে খুন হন। এ ঘটনায় নিহত জুবায়েরের মা মুক্তা বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আদালত এই রায় ঘোষণা করেছেন।’
২১২ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে যুবক হত্যায় দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ এই রায় দেন। তবে রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: চাচাতো বোনকে ধর্ষণের পর হত্যা, ভাইয়ের যাবজ্জীবন
আসামিরা হলেন— আড়াইহাজারের সেন্দি এলাকার রুস্তম আলীর ছেলে শামীম (৩০) ও তার ভাই হাবিবুল্লাহ (৩৪)। নিহত স্বপন আড়াইহাজারের কাহেন্দি এলাকার মৃত রহম আলী ছেলে।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৯ সালের ৩১ মে দুই ভাই শামীম ও হাবিবুল্লাহ মিলে স্বপনকে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার বোন জাহানারা বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় মামলা করেন। সে মামলায় আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।’
২১৮ দিন আগে
চাচাতো বোনকে ধর্ষণের পর হত্যা, ভাইয়ের যাবজ্জীবন
নড়াইলে হৃত্তিকা বৈরাগী (৪) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে তার চাচাতো ভাই হৃদয় বৈরাগীকে (২২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত হৃদয় বৈরাগী সদর উপজেলার বীরগ্রামের দিলীপ বৈরাগীর ছেলে। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এস এম আব্দুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে প্রতিদিনের মতো হৃত্তিকা তার কাকা দিলীপের বাড়িতে খেলতে যায়। ওইদিন রাত হয়ে গেলেও হৃত্তিকা বাড়িতে ফিরে না আসায় তাকে খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও পাওয়া যায়নি। পরদিন বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে হৃত্তিকার লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে জানতে পারেন তার কাকার বাড়িতে যাওয়ার পরে তার চাচাতো ভাই হৃদয় তার সঙ্গে খেলা করা অবস্থায় তাদের ঘরের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা এবং রাতের অন্ধকারে পুকুরের পাড়ে ফেলে রেখে যায়।
এর পরের দিন ৩০ ডিসেম্বর হৃত্তিকার বাবা দশরথ বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় হৃদয়ের নামে মামলা করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি উপস্থিত ছিলেন না।
২১৮ দিন আগে
নওগাঁয় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নওগাঁর পোরশা উপজেলায় বিয়ের প্রলোভনে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম ও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন—পোরশা উপজেলার সুরানন্দ গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে সাকিল (২৪) ও আলাদিপুর গ্রামের রবুর ছেলে আব্দুল আলীম (৩০)। রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৮ মার্চ রাতে ১৪ বছরের স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সুরানন্দ গ্রামের হাবিবুল্লাহ শাহের আম বাগানের দোচালা ঘরে নিয়ে যান সাকিল। সেখানে সাকিল ও আব্দুল আলীম ওই ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন।
আরও পড়ুন: মসজিদে শিশু বলাৎকার, যুবকের যাবজ্জীবন
পরে ওই ছাত্রী নিজেই থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
আজ (মঙ্গলবার) শুনানি শেষে ১০ জন সাক্ষীর বক্তব্যের ভিত্তিতে আদালত তাদের যাবজ্জীবন দেন। জরিমানার টাকা ধর্ষণ শিকার স্কুলছাত্রীকে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামি পক্ষে আইনজীবী আনোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।
২২০ দিন আগে