ধর্মঘট
চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক শেষে ধর্মঘট ও মানববন্ধন স্থগিত বিএসবিআরএ’র
চট্টগ্রামে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের পরিচালক পারভেজ উদ্দিন সান্টুর গ্রেপ্তারের পর হাতে হ্যান্ডকাপ ও কোমরে রশি বাঁধায় ‘লাঞ্ছনার’ প্রতিবাদে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) ডাকা শনিবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
একইসঙ্গে গতকাল (শুক্রবার) থেকে শুরু হওয়া চট্টগ্রামের সকল অক্সিজেন প্ল্যান্ট বন্ধ রাখার কর্মসূচিও প্রত্যাহার করা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামানের সঙ্গে বিএসবিআরএ’র নেতৃবৃন্দের অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে রাতে সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা জানানো হয়।
বৈঠকে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান বলেন, সীমা গ্রুপের পরিচালকের সঙ্গে যা হয়েছে তা অবশ্যই নিন্দনীয়। এ ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো শিল্প মালিকের সঙ্গে না ঘটে সে ব্যাপারে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি থাকবে।
আরও পড়ুন: সব মহানগর ও জেলায় মানববন্ধন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
বিএসবিআরএ'র সভাপতি আবু তাহের জানান, ‘আমাদের সম্মানিত সদস্য সীমা গ্রুপের পরিচালক জনাব পারভেজ উদ্দিন সান্টু সাহেবের পুলিশের কোমরে রশি বাঁধার ঘটনায় চট্রগ্রাম জেলা ও শিল্প পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং বিএসবিআরএ'র দাবি যৌক্তিক বলে মেনে নিয়েছেন। ভবিষ্যতে একইসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মানববন্ধন স্থগিতের অনুরোধ জানালে আমরা উনার কথায় কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা করছি।’
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার এস এম সফিউল্লাহ; শিল্প পুলিশের এসপি মোহাম্মদ সোলায়মান; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান; উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলমসহ বিএসবিআরএ-এর নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: ১১ মার্চ সব বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
সিলেট-জকিগঞ্জ রুটের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
জকিগঞ্জ সড়কে সরকারি বিআরটিসি বাস চলাচলের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৯মার্চ) থেকে ডাকা পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার (৮ মার্চ) বিআরটিসি বাস চলাচল নিয়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জরুরি সভার পর পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ জানান, জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনায় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিলেট-জকিগঞ্জ রুটে বিআরটিসি বাস আপ-ডাউন পাঁচটি ট্রিপ দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিভাগের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার, যান চলাচল শুরু
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ রুটে বিআরটিসির এই চারটি বাস (নাম্বার ঢাকা মেট্রো-ব-১৫- ৪৫৭৯, ১৫-৪৭৮০, ১৫-৫৪২৯ ও ১৫-৫৪৩১) চলাচল করবে।
যদি কোন গাড়ি নষ্ট হয় তা হলে ওই বাসের পরিবর্তে ঢাকা-মেট্রো ব-১৫-৪৬০৭ গাড়িটি চলাচল করতে পারবে। সভায় দুই পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে এসব সিদ্ধান্ত হওয়ায় সিলেট-জকিগঞ্জ রুটে মালিক-শ্রমিক আহুত কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়।
এর আগে গত ৫ মার্চ সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বিআরটিসি বাস চলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি দেয় জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
বিআরটিসি বাস বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারের পূর্ববর্তী আশ্বাস ৮ মার্চের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে ৯মার্চ থেকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের আগাম ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
রবিববার (৫ মার্চ) জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে মালিক-শ্রমিকদের জরুরি সভা থেকে নেতারা এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তখন পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা বলেন, সিলেট-জকিগঞ্জ রুটে বিআরটিসি বাস চলাচলের শুরু থেকেই বাসগুলো আসা-যাওয়া চারটি ট্রিপের পরিবর্তে সাত থেকে আটটি ট্রিপ দিতে শুরু করে। এতে যাত্রী সংকটে ক্ষতির মুখে পড়ে বাস মালিক ও শ্রমিকরা।
এ অবস্থায় জেলা মালিক ও শ্রমিক নেতারা গত ১০ জানুয়ারি ও ২৩ জানুয়ারি বিভাগীয় কমিশনার বরাবর দুটি স্মারকলিপি দেন। পরবর্তীতে বিভাগীয় কমিশনারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সভায় কয়েকদিনের মধ্যে এ ব্যাপারে আলোচনা করে সমাধান দেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করলেও এখন পর্যন্ত তার কোন সুরাহা হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে ৫ মার্চ রবিবার জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে জেলা মালিক-শ্রমিকদের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, ৮ মার্চের মধ্যে বিআরটিসি বাস চলাচল নিয়ে ষে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসন না করা হলে ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে সিলেট-জকিগঞ্জ রুটে সব ধরনের বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
এরআগে গত ৩০ জানুয়ারি একই দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় পরিবহন মালিক সমিতি ও জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
তবে শুরুতেই ভেস্তে যায় সেই ধর্মঘট।
এর মাস পেরুতেই একই দাবিতে ফের সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি দিলেন পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা।
এদিকে সিলেট-জকিগঞ্জ রুটে বিআরটিসি বাস চলাচল বন্ধের দাবিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা একাট্টা হলেও বিআরটিসি বাস চলাচলকে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।
সাধারণ যাত্রীরা বলছেন, যাত্রীসেবা না বাড়িয়ে দীর্ঘদিন থেকে ওই রুটের যাত্রীদের জিম্মি করে আসছিল পরিবহন ব্যবসায়ীরা।
বিআরটিসি বাস চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রীরা সেই জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ ঘণ্টা পর সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
মিছিল নিয়ে রাজশাহীর সমাবেশে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন
আগামী কালের গণসমাবেশকে কেন্দ্র রাজশাহীতে বিএনপির নেতাকর্মীরা দুই দিন আগে থেকেই আসতে শুরু করেছে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বুধবার রাত থেকে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা যে যার মতো সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন। সমাবেশের পাশে ঈদগাহ মাঠে শুয়ে-বসে সময় কাটাচ্ছেন তারা। সমাবেশস্থলে ঢুকতে পুলিশের বাধা থাকায় পাশেই ঈদগাহ মাঠে নেতকর্মিরা অবস্থান নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন জেলে উপজেলা থেকে নেতা কর্মিরা মিছিল নিয়ে নগরীতে প্রবেশ করে। সিএনজি, অটোরিকশা, ট্রাক, পিকআপ ভাড়া করে, ট্রেনে করে, কেউ পাঁয়ে হেটে মিছিল নিয়ে রাতেই সমাবেশস্থলে পৌঁছেন।
রাজশাহীর ঈদগাহ মাঠে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা ত্রিপল বিছিয়ে ছাময়ানা টাঙ্গিয়ে শুয়ে রাত কাটিয়েছেন। এক পাশে চলছে রান্নার কাজ।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা থেকে গতকাল সমাবেশস্থলে এসেছেন ষাটোর্ধ তবিবুর রহমান।
তিনি জানান, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সিএনজি, অটোরিকশা, পায়ে হেঁটে পুলিশের বাধা পেরিয়ে রাজশাহী আসতে সময় লেগেছে ১২ ঘন্টা। এখানে এসে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সরকারে অনিয়মের প্রতিবাদ করতেই অনেক দূর থেকে কষ্ট করে গনসমাবেশে এসেছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের পূর্বে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তি
রাজশাহী বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু বৃহস্পতিবার
বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ১০ দফা দাবি পূরণ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতি।
গণসমাবেশে মানুষকে আসতে বাধা দিতে এই পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগে পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বলছেন বিষয়টি ‘কাকতালীয়’। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাদের এই কর্মসূচির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
বুধবার বিকালে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপ কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর এ ঘোষণা দেন।
গত শনিবার (২৬ নভেম্বর) নাটোরে বিভাগীয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভায় ১০ দফা দাবি আদায়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর তারা বিভাগীয় কমিশনারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার কাছে তাদের দাবি পূরণে স্বারকলিপি দেয়।
সাফকাত মঞ্জুর বলেন, ‘মহাসড়কে নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়ে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে তাদের দাবি পুরণ হয়নি। এ কারণে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে অনিদিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এ ধর্মঘটের আওতায় থাকবে সব যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহন। তবে এরই মধ্যে যদি দাবির পক্ষে আশ্বাস পাওয়া যায় তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন।’
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
১০ দফা দাবিগুলো হলো-
১। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধন করতে হবে।২। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়ক বা আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার (নছিমন, করিমন, ভটভটি, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ইত্যাদি) চলাচল বন্ধ করতে হবে।৩। জ্বালানি তেল ও যন্ত্রাংশের মূল্য হ্রাস করতে হবে।৪। করোনাকালে গাড়ি চলাচল না করায় সে সময়ে ট্যাক্স মওকুফ করতে হবে।৫। সব ধরনের সরকারি পাওনাদির (ট্যাক্স-টোকেন, ফিটনেস) অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে।
৬। চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স-সংক্রান্ত নানাবিধ জটিলতা নিরসন করতে হবে।৭। পরিবহনের যাবতীয় কাগজ হালনাগাদ বা সঠিক থাকার পরও নানাবিধ পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে।৮। উপজেলা পর্যায়ে বিআরটিসি চলাচল দ্রুত বন্ধ করতে হবে।৯। মহাসড়কে হাট-বাজার আয়োজন বা পরিচালনা করা যাবে না এবং চলমান হাটবাজার অতি দ্রুত উচ্ছেদ করতে হবে।১০। যাত্রী ওঠানামার জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রত্যেক জেলায় ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ ও ট্রাক ওভারলোড বন্ধ করতে হবে।
এদিকে, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। বিএনপি নেতাদের দাবি, অন্যান্য বিভাগীয় গণসমাবেশের মতো রাজশাহীর গণসমাবেশে মানুষকে আসতে বাধা দিতে এই পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে জানান বিএনপি নেতারা।
বুধবার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গণসমাবেশ কমিটির সমন্বয়ক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘সমাবেশে যেন নেতাকর্মীরা আসতে না পারে সে জন্য রাজশাহী বিভাগে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। ধর্মঘট দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আটকে রাখা যাবে না। যে কোন মূল্যে এই গণসমাবেশ সফল করা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাফকাত মঞ্জুর বলেন, ‘গণসমাবেশের সঙ্গে তাদের ডাকা ধর্মঘটের কোনো যোগসূত্র নেই। বিষয়টি ‘কাকতালীয়’। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাদের এই কর্মসূচির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের পরিবহন ধর্মঘট চলছেই, বাড়ছে যাত্রীদের দুর্ভোগ
সারাদেশে ২৬ নভেম্বর থেকে নৌ-যান ধর্মঘট
বরিশালের নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাত্রীদের দুর্ভোগ
বরিশালে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ১৮টি রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে যাত্রীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
শ্রমিকরা তাদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার রাতে ধর্মঘটের ঘোষণা দেন।মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ মিলিয়ে ১৮টি রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টায় শ্রমিকরা বরিশাল টার্মিনাল থেকে লঞ্চগুলো সরিয়ে নেয় ও দূরপাল্লার নৌযান চলাচল বন্ধ আছে। ধর্মঘটের কারণে বরিশাল থেকে মালবাহী যানও চলাচল বন্ধ আছে।
নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের বরিশাল জেলা সভাপতি মাস্টার একিন আলি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।শ্রমিকদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- কর্মীদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র এবং সার্ভিস বই প্রদান; খাদ্য ও সমুদ্র ভাতা প্রদানের জন্য অবদানকারী ভবিষ্যত তহবিল ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন; কর্তব্যরত অবস্থায় দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর জন্য ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
হবিগঞ্জের পরিবহন ধর্মঘট চলছেই, বাড়ছে যাত্রীদের দুর্ভোগ
সারাদেশে ২৬ নভেম্বর থেকে নৌ-যান ধর্মঘট
সারাদেশে ২৬ নভেম্বর থেকে নৌ-যান ধর্মঘট
নৌ-যান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ; নৌ-যান শ্রমিকদের নিয়োগ পত্র,পরিচয় পত্র,সার্ভিস বুক প্রদানসহ ১০ দফা দাবি এবং আগামি ২৬ নভেম্বর রাত ১২টা থেকে সারাদেশে লাগাতার কর্মবিরতি সফল করতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নৌ-যান শ্রমিকরা।
শনিবার দুপুরে বিভাগীয় নৌ-যান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে বরিশাল নদী বন্দর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। যা নগরীর বাধ রোড, চকবাজার, লাইন রোড, সদর রোড ও ফজলুল হক এভিনিউ হয়ে পুনরায় নদী বন্দরে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে মানববন্ধন ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন তারা।সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ,শ্রমিক জোটের সমন্বয়কারী মোজাম্মেল সিকদার ও হারুনুর রশিদ সিকদার সহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে চলছে পরিবহন ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
সুনামগঞ্জে ২ দিনের বাস ধর্মঘটে দুর্ভোগে যাত্রীরা
হবিগঞ্জে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
সিলেটে বিএনপির সমাবেশের দিন পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
সিলেটে বিএনপির সমাবেশের দিন আগামী শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল-সন্ধ্যা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস মালিক সমিতি। এদিন নগরীর আলিয়া মাদরাসা মাঠে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথমে দুই দফা দাবিতে আগামী শনিবার (১৯ নভেম্বর) পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে সিলেট জেলা পরিবহন মালিক সমিতি। ফলে বিএনপির গণসমাবেশের দিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে না বাস। বাস চলাচল বন্ধের খবরের কয়েক ঘণ্টা পর এবার সড়কে সব ধরনের গাড়ি না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেট জেলা শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ৪ দফা দাবিতে তারা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বলে পরিবহন শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন।
সমাবেশকে ঘিরে সিলেটে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত রয়েছেন। তবে সিলেটে ডাকা পরিবহন ধর্মঘটের কারণে কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছেন।
তবে এসব পরিবহন ধর্মঘট সমাবেশে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
জানা যায়, বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংসদকে বিলুপ্ত, সরকারকে পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে বিভিন্ন বিভাগে বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশ করছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল বিভাগে এবং ফরিদপুর জেলায় গণসমাবেশ করেছে দলটি।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) সিলেটে দলটির উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠিতব্য এ গণসমাবেশকে সফল করে তুলছে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে মাঠে কাজ চালিয়েছেন। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছু ঠিক থাকলেও হুট করে এসে বাঁধা দাঁড়িয়েছে ‘পরিবহন ধর্মঘট’।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’র সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া বলেন, ‘আমরা চার দফা দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছি। আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা কঠোর আন্দোলন ডাকবো।’
আরও পড়ুন: শুক্রবার সকাল থেকে মৌলভীবাজারে ৩৬ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘট
দাবিগুলো হচ্ছে-সিলেটের সবকয়টি পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি প্রদান, সিএনজি চালিত অটোরিকশার নতুন রেজিস্ট্রেশন প্রদান, সিলেটের লামাকাজী ও শ্যাওলা সেতুতে টোল আদায় বন্ধ, হাইওয়েতে টমটম ও নসিমন চলাচল বন্ধ করতে হবে।
তবে নতুন সিএনজি চালিত অটোরিকশার নিবন্ধন না দেয়াসহ দুই দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল কবীর পলাশ জানান, দুইদফা দাবিতে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে নতুন করে সিএনজি চালিত অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন না দেয়া এবং অটোরিকশায় তিন জনের বেশি যাত্রী পরিবহন না করা ও চালকের আসনের পাশে গ্রিল লাগানো।
পলাশ আরও বলেন, বিএনপির সমাবেশের তারিখ ছিল ২০ নভেম্বর। পরবর্তীতে তারা তারিখ পরিবর্তন করেছে ১৯ নভেম্বর। কিন্তু পরিবহন মালিক সমিতি এর আগেই তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তাই বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে এই ধর্মঘটের কোন সম্পর্ক নেই।
এদিকে, পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে খুব বেশি শঙ্কিত নন বিএনপি নেতারা। ধর্মঘট ডাকা হলে করণীয় ঠিক করে রেখেছেন তারা। নেতাকর্মীদের আগের দিন সিলেট শহরে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে।
শহরে থাকা ও খাওয়ারও ব্যবস্থা করেছেন তারা।
ধর্মঘটের ব্যাপরে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বিএনপির সমাবেশ বাধাগ্রস্থ করতেই সরকার চাপ দিয়ে ধর্মঘট ডাকিয়েছে। তবে কোন ষড়যন্ত্রই গণজমায়েত বাধাগ্রস্থ করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপির সমাবেশের দিন বাস ধর্মঘট
ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশ: ৩৮ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু
সিলেটে বিএনপির সমাবেশের দিন বাস ধর্মঘট
সিলেটে আগামী শনিবার বিএনপির সমাবেশের দিন বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতি। সিলেট নগরীর আলিয়া মাদরাসা মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার বাস ধর্মঘটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ।
তিনি দাবি করেন, ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনও সম্পর্ক নেই। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
পলাশ বলেন, সিএনজি-অটোরিকশায় গ্রিল সংযোজন, সিলেটে রেজিস্ট্রেশনবিহীন অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করা, নতুন করে অটোরিকশার নিবন্ধন না দেয়ার দাবিতে আমরা এই মাসের শুরুতে বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপি দেই।
কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসন থেকে আমাদের কিছু জানানো হয় নাই। তাই বাধ্য হয়ে আমরা প্রতীকী ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরও পড়ুন: নৌ চলাচল বন্ধের পর এবার ভোলা-বরিশাল রুটে বাস ধর্মঘট
শনিবার সকাল ৬টা থেকে রবিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বাস ধর্মঘট পালিত হবে।
পরিবহন মালিকদের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির সমাবেশের দু’দিন আগে থেকে ধর্মঘট ডাকার জন্য মালিক ও শ্রমিক নেতাদের ওপর চাপ ছিল। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় নেতারাও সিলেটের নেতাদের ঢাকায় ডেকে নিয়ে তিনদিনের ধর্মঘট ডাকার অনুরোধ করেন।
তবে সিলেটের মালিক ও শ্রমিক নেতারা ধর্মঘটের পক্ষে ছিলেন না।
শেষ পর্যন্ত সবপক্ষকে সন্তুষ্ট রাখতে মালিক পক্ষ কেবল সমাবেশের দিন ধর্মঘট ডাকছে বলে জানিয়েছে এই সূত্র।
তবে ধর্মঘটের বিষয়ে এখনও কিছু জানেন না জানিয়ে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল হক বলেন, আমরা ধর্মঘটের পক্ষে নই। কোনও দলের কর্মসূচিতেই আমরা বাধা দিতে চাই না। শ্রমিকরা সবার সাথে আছে।
প্রসঙ্গত, নিত্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে দেশের বিভিন্ন বিভাগে সমাবেশ করছে বিএনপি।
এ পর্যন্ত ছয় বিভাগে সমাবেশ করেছে দলটি। সবগুলো বিভাগেই সমাবেশের দু’দিন আগে থেকে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল।
সিলেটে ১৯ নভেম্বর (শনিবার) বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। নগরীর চৌহাট্টা এলাকার আলিয়া মাদরাসা মাঠের এই গণসমাবেশ সফলে নেয়া হচ্ছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
ধর্মঘটের ব্যাপরে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বিএনপির সমাবেশকে বাধাগ্রস্থ করতেই সরকার চাপ দিয়ে ধর্মঘট ডাকিয়েছে।
তবে কোনও ষড়যন্ত্রই গণজমায়েত বাধাগ্রস্থ করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: বরগুনায় বাসমালিকদের ২ দিনের বাস ধর্মঘট
আকস্মিক বাস ধর্মঘটে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর রুটের যাত্রীদের দুর্ভোগ
সিলেটে ৭ম বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি
‘সরকারি বাহিনীর গ্রেপ্তার ও হয়রানির’ হুমকি উপেক্ষা করে ১৯ নভেম্বর ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সিলেট নগরীতে সপ্তম বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসায় সমাবেশের মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
জেলা বিএনপির নেতারা জানান, আগের অভিজ্ঞতা থেকেই নেতাকর্মীদের কৌশলগত নির্দেশনা দিয়েছেন। অন্য জেলা থেকে যে নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিতে আসবেন তাদের বাড়িতে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
আগের মতো সমাবেশকে সামনে রেখে পরিবহন ধর্মঘটের আশঙ্কায় সদর উপজেলার নেতাকর্মীদের কয়েকদিন আগেই শহরে আসতে বলা হয়েছে। দলের উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরও একই নির্দেশনা দেয়া হয়।
১৭ নভেম্বর কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেটে আসবেন। এ জন্য ওই দিন থেকে নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নেবেন।
এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ জানান, ১৯ নভেম্বরের আগে জেলায় কোনো ধরনের পরিবহন ধর্মঘটের খবর তিনি পাননি। এখন পর্যন্ত তিনি পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের কোনো খবর পাননি।
আরও্র পড়ুন: সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ একদিন এগিয়ে ১৯ নভেম্বর
তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হলে গণমাধ্যমকে আগেই জানানো হবে।’
সিলেট মহানগরের সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারাও সমাবেশ সফল করতে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
দলীয় নেতাকর্মীরা ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসনের নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, সকল প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সিলেটের জনসভা সফল করবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বিক সহযোগিতা করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এখানকার বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশ কমিশনারকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।
এছাড়া ১০ নভেম্বর সমাবেশ সফল করতে ছয়টি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান আব্দুল কাইয়ুম।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার নিশারুল আরিফ বলেছেন, সমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে পুলিশের অভিযানের অভিযোগ সত্য নয়।
এসএমপি কমিশনার বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তার করা পুলিশের একটি নিয়মিত কাজ। অহেতুক কাউকে হয়রানি করা পুলিশের উদ্দেশ্য নয়।’
চলমান আন্দোলনের ধারা অব্যাহত রাখার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করবে বিএনপি।
আরও্র পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশ শুরু
বরিশালের বঙ্গবন্ধু পার্কে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল
লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের ধর্মঘট, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ
চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজ শ্রমিকরা পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছে।
ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে পণ্য পরিবহনও বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় ‘সর্বস্তরের নৌযান শ্রমিকদের’ ব্যানারে এক সমাবেশে লাইটার জাহাজের শ্রমিকরা কাজ বন্ধের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম পৌঁছেছে ইউক্রেনের সাড়ে ৫২ হাজার টন গম
পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানকে প্রত্যাহার, লাইটার জাহাজের শ্রমিকদের ওঠা–নামায় ব্যবহৃত চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার (ওসি) অপসারণ, সাঙ্গু নদের মুখ খনন করে লাইটার জাহাজের নিরাপদ পোতাশ্রয় করা।
লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, ৩ নভেম্বর চরপাড়া ঘাটের কয়েকজন ইজারাদারের লোকজন ৮-৯ শ্রমিককে মারধর করলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিকরা সব লাইটার জাহাজ পারকির চরে নিয়ে যায় এবং চীনা ঘাট ব্যবহার করে জাহাজ ওঠা-নামা শুরু করে কিন্তু কর্তৃপক্ষ ওই ঘাটটিও উচ্ছেদ করে।
জসিম উদ্দিন বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে নদীপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডাম্পিং এ ফেলে দেয়া মিট অ্যান্ড বোন মিল পণ্য পাচার কালে ১০ ট্রাক জব্দ
চট্টগ্রামে র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় ৫ জনের কারাদণ্ড