ইয়েমেন
মার্কিন বিমান হামলায় ইয়েমেনে কারাগারে ৬৮ অভিবাসী নিহত
ইয়েমেনে আফ্রিকান অভিবাসীদের বন্দি করে রাখা একটি কারাগারে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ৬৮ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৪৭ জন।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) দেশটির হুতি বিদ্রোহীরা এমন দাবি করেছে। তবে এমন কোনো হামলা চালানো হয়েছে বলে স্বীকার করেনি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবর বলছে, হুতিদের অন্যতম ঘাঁটি বলে খ্যাত ইয়েমেনের সাদা অঞ্চলে এই হামলা হয়েছে। ইয়েমেন হয়ে কাজের সন্ধানে সৌদি আরবে যাওয়া চেষ্টা করা ইথিওপিয়াসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা এতে হতাহতের শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিমান হামলার পর ইয়েমেন ছেড়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান
এমন এক সময়ে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে, যখন হুতিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ইরানের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। বিদ্রোহীদের লক্ষ্য এই হামলা চালানোর পর ‘অপারোশন রাফ রাইডার’ নামে চালানো মার্কিন অভিযান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তোলার সম্ভাবনা তৈরি হলো।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের দেওয়া এক বিবৃতিতে কথিত ব্যাপক বিমান হামলায় মার্কিন বাহিনীর জড়িত থাকার নির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পেট হেগসেথের অনির্ভরযোগ্য সিগন্যাল মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে আক্রমণ সংক্রান্ত স্পর্শকাতর তথ্য প্রকাশ করায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে আমেরিকায়।
সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, ‘কার্যকর অভিযানের নিরাপত্তার খাতিরে আমরা সচেতনভাবে আমাদের চলমান বা ভবিষ্যৎ অভিযানের তথ্য সামান্য প্রকাশ করেছি।’ এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের অভিযান নিয়ে আমরা খুবই সতর্ক, তবে আমরা কী করেছি বা করব—তা সুর্নিদির্ষ্টভাবে প্রকাশ করব না।’
তবে ইয়েমেনের সাদায় হামলার বিষয়ে অ্যাসোসিয়েট প্রেসের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়নি মার্কিন বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড।
হুথিদের নিয়ন্ত্রিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার শিকার কারাগারটিতে ১১৫ জন অভিবাসী আটক ছিলেন।
বিদ্রোহীদের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, হামলায় কারগারে থাকা ৬৮ জন অভিবাসী নিহত ও ৪৭ জন আহত হয়েছেন।
কারাগারে হামলা চালিয়ে অভিবাসীদের হত্যার ঘটনাকে ’খুবই দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘের সংস্থা আন্তর্জাতিক অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)।
সংস্থাটি বলেছে, ‘এই ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি এড়াতে এবং তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার ও রক্ষা করার সকল প্রচেষ্টা করা অত্যন্ত জরুরি।’
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে সন্দেহজনক মার্কিন বিমান হামলা
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল রাস ইসা জ্বালানি বন্দরে মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৭৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১৭১ জন ইয়েমেনি। এই হামলাটি মার্কিন হামলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল। তবে ১৮ এপ্রিল বন্দরে চালানো হামলার বিষয়ে আজকের বিবৃতিতে ব্যাখ্যা দিয়েছে সেন্ট্রাল কমান্ড।
২২০ দিন আগে
ইয়েমেনে সন্দেহজনক মার্কিন বিমান হামলা
ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ হুথি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় সন্দেহজনক বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। শুক্রবার (২৮ মার্চ) ভোরে এসব হামলা চালানো হয়।
এসব হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট করা হয়নি। গত ১৫ মার্চ থেকে মার্কিন বাহিনীর শুরু করা অভিযানের হামলাগুলোর তুলনায় এটির তীব্রতা বেশি ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি বিমান হামলায় লেবাননে নিহত ৬, আহত ২৮
অ্যাসেসিয়েটেড প্রেসের (এপি) একটি পর্যালোচনায় দেখা যায়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টে জো বাইডেনের চেয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছেন। কারণ হিসেবে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ও পদস্থ কর্মকর্তাদের ওপর হামলার পাশাপাশি শহরগুলোতে বোমা হামলা চালাচ্ছে।
হুতিদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ইয়েমেনের রাজধানী সানায় শুক্রবারের হামলায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি সাদা, লোহিত সাগরের বন্দর নগরী হোদেইদা এবং ইয়েমেনের আল-জওফ, আমরান ও মারিব প্রদেশের আশপাশে হামলা চালানো হয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
তবে সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়া আর কোন স্থানটিকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানায়নি হুথি বিদ্রোহীরা। সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সামরিক ও বেসামরিক উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়। রাজধানীর আশেপাশের এলাকায় সামরিক, গোয়েন্দা পরিষেবার কার্যক্রম ও বেসামরিক নাগরিকরা থাকেন।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, একটি ভিডিওতে তারা দেখেছে যে, রাজধানী সানায় অনেক মানুষ শবে কদরের রাত জাগার সময় একটি বোমা ফেলা হচ্ছে, সেখান থেকে ব্যাপক ধোয়ার কুণ্ডলী উঠছে।
সানার উত্তরাঞ্চলে আমরানের পাহাড়ি এলাকার হামলার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে হুথিদের সামরিক স্থাপনা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
হুথিদের আল মাসিরাহ স্যাটেলাইট নিউজ নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, হামলার পর যোগাযোগের নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়ে। সেখানে ১৯টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হোয়াইট হাউজের পূর্বানুমতি ছাড়া হামলা চালানোর ক্ষমতা থাকা মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ২০০
নতুন করে চালানো ধারাবাহিক বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। গাজা উপত্যকায় ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলি জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করলে মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে বিমান হামলা শুরু করে।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত শতাধিক বাণিজ্যিক জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা। এর মধ্যে দুটি জাহাজকে ডুবিয়ে দিয়েছে এবং চারজন নাবিককে হত্যা করেছে। তারা মার্কিন জাহাজকে লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে, যদিও তাতে সফল হয়নি গোষ্ঠীটি।
২৫২ দিন আগে
হুতিদের ওপর মার্কিন হামলা শুরু, নিহত ৩১
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে হুতিদের উপর মার্কিন হামলায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রবিবার ( ১৬ মার্চ) হুতি-সমর্থিত স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।—খবর ডনের।
খবরে বলা হয়, দেশটির রাজধানী সানায় নিহত হয়েছেন ১৩ জন এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শনিবার (১৫ মার্চ) থেকে হুতিদের ওপর জোরালো হামলা শুরু করে মার্কিন বাহিনী।
লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর ও আরব সাগরের কৌশলগত অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির মিত্রদের বাণিজ্যিক জাহাজে হুতিদের হামলার কড়া জবাবে হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: খলিল মাহমুদকে আটক: ট্রাম্প টাওয়ারে ইহুদিদের বিক্ষোভ
ইরান-সমর্থিত এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি সমুদ্রপথে হামলা বন্ধ না করলে ‘ভয়াবহ প্রাণঘাতী অস্ত্র’ চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের বীর যোদ্ধারা সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। সমুদ্রপথে শত্রুদের মোকাবিলায় এই হামলা চালাচ্ছে তারা।’
সমুদ্রপথে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ও সামরিক জাহাজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই হুতিদের ওপর হামলা শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এ সময়ে ইরানকেও সতর্ক করেন ট্রাম্প। হুতিদের কোনোভাবে সহায়তা করলে হুতিদের হামলার জন্য ইরানকে সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই সানা ও সাদা প্রদেশের হুতিদের ঘাঁটিগুলোতে মুহুর্মুহু মার্কিনি হামলার খবর নিশ্চিত করেছে গোষ্ঠীটির সদস্যরা। রবিবার সকালেও অঞ্চলগুলোতে বিমান হামলা চালোনো হয়েছে জানান তারা।
এই হামলা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি অ্যাক্টিভিস্ট আটক: যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন
এদিকে হুতি মিডিয়া অফিসের উপপ্রধান নাসিরউদ্দিন আমির বলেছেন, এই হামলা তাদের কোনোভাবেই নিরস্ত্র করতে পারবে না, বরং যুক্তরাষ্ট্রেকে তারা পাল্টা জবাব দেবেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, সানা বরাবরের মতোই গাজার ঢাল হয়ে থাকবে। কোনো পরিস্থিতিতেই গাজাকে উপেক্ষা করা হবে না বলে জানান তিনি।
হুতিদের আরেক মুখপাত্র মোহাম্মদ আব্দুলসালাম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানান, হুতিরা সমুদ্রপথে আন্তজার্তিক সম্প্রদায়ের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে বলে ট্রাম্পের দাবি ‘মিথ্যা ও ভ্রান্ত’।
সম্প্রতি ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়াতে গাজায় মানবিক সহায়তা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। এর জবাবে পুনরায় জাহাজে হামলা শুরু করার ঘোষণা দেয় হুতিরা। তবে ঘোষণা দিলেও হুতিদের হামলার কোনো খবর পাওয়া না গেলেও হুতিদের ঘাঁটিতে হামলা শুরু করে মার্কিন বাহিনী।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এর জবাবে পরদিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাতে শুরু করে ইসরায়েল।
ওই বছরের শেষ দিক থেকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে ইরান সমর্থিত হুতিরা। গাজায় ইসরায়েলি হামলার শিকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা এসব হামলা চালাচ্ছে বলে দাবি করেন তারা।
ইয়েমেনে মার্কিনি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হামাস। টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের চরম অবমাননা’ বলে অভিহিত করেছে হামাস। এছাড়াও ইয়েমেনের ‘সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতার’ ওপর এই হামলাকে হুমকি বলে ঘোষণা দিয়েছে তারা।
২৬৪ দিন আগে
বিমান হামলার পর ইয়েমেন ছেড়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান
ইয়েমেনের সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের এক কর্মী আহত হওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস দেশ ছেড়েছেন।
হামলার পর সরিয়ে নেওয়া আহত কর্মীর কথা উল্লেখ করে তেদ্রোস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমরা এখন জর্দানে রয়েছি। সেখানে তাকে আরও চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) টেড্রোস ও জাতিসংঘের অন্য কর্মকর্তারা যখন ইয়েমেন ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই এ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
হুথিদের হাতে আটক জাতিসংঘের ১৩ কর্মীর মুক্তির লক্ষ্যে জাতিসংঘের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নিতে দেশটিতে যাওয়া টেড্রোস এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, সব জায়গায় বেসামরিক নাগরিক ও মানবতাবাদীদের ওপর হামলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য ও পরিচর্যার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক সংকটের মূলে লিঙ্গ বৈষম্য: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, তারা ইরানি অস্ত্র চোরাচালানে ব্যবহৃত হুথিদের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন বিমান হামলায় হতাহতের কথা জানিয়ে বলেছে, এতে বিমানবন্দর ও অন্যান্য স্থানের উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পুরো পরিমাণ এবং হতাহতের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট করতে পারেনি তারা।
৩৪২ দিন আগে
গত নভেম্বর থেকে ১৮৮টি জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতিরা
গত নভেম্বর থেকে ইয়েমেনের হুতিরা লোহিত সাগর, আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরে ১৮৮টি জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করেছে বলে দাবি করেছেন গোষ্ঠীটির নেতা আবদুল মালিক আল-হুতি।
বৃহস্পতিবার হুতি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে সামরিক অভিযান হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে।
এছাড়াও হুতিরা চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১১টি মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেন আবদুল মালিক।
হুতিদের নেতা জানান, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ জোরদার করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। এই সপ্তাহে ৩৯টি বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন ও ইসরায়েলি বাহিনী।
গত রবিবার ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর নগরী হোদেইদায় হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ছয়জন নিহত ও বহু আহত হয়।
এই হামলার কথা তুলে ধরে আল-হুতি জোর দিয়ে বলেন, এ ধরনের হামলা হুতির সামরিক অভিযানকে বাধা দিতে পারবে না।
ইসরায়েলিদের সঙ্গে সংঘর্ষে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে গত নভেম্বর থেকে আঞ্চলিক জলসীমা ও এর বাইরে 'ইসরায়েল-সংযুক্ত' জাহাজ এবং ইসরায়েলি স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে হুতি গোষ্ঠী।
এর জবাবে ওই অঞ্চলে মোতায়েন মার্কিন-ব্রিটিশ নৌজোট গত জানুয়ারি থেকে হুতিদের দমাতে নিয়মিত বিমান হামলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে।
৪২৭ দিন আগে
‘আমি ভেবেছিলাম, সবাই আমাকে ভুলে গেছে’: কর্নেল সুফিউল আনাম
জাতিসংঘের কর্মকর্তা বাংলাদেশি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুফিউল আনামকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইয়েমেনে আল-কায়েদা দ্বারা অপহরণ করেছিল। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) -এর সহায়তায় উদ্ধার হওয়ার পর আজ ঢাকায় ফিরে এসেছেন তিনি।
বুধবার সুফিউল আনামকে বহনকারী এমিরেটসের একটি ফ্লাইট সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
সুফিউল তার আগমনের পর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে তার বন্দিত্বের হতাশাজনক বর্ণনা দেন। তাকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
সুফিউল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে এনএসআই কর্মকর্তারা আমাকে উদ্ধার করে।’ এজন্য ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম সবাই আমাকে ভুলে গেছে। কিন্তু যখন আমি এনএসআই সদস্যদের সঙ্গে দেখা করি, তখন আমাকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে আমাকে ভুলে যাওয়া হয়নি।’
আরও পড়ুন: উত্তর নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীর হামলায় ১৫ জন নিহত, ৫ ত্রাণকর্মীকে অপহরণ
ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন,‘সন্ত্রাসীদের অপহরণ করার পর জীবিত বাড়ি ফিরতে পারব তা ভাবিনি। গত ১৮ মাস ধরে আমি খুব বিপজ্জনক পরিবেশে ছিলাম। আমি ভেবেছিলাম যে কোনো মুহূর্তে সন্ত্রাসীরা আমাকে মেরে ফেলবে।’
সংবাদ সম্মেলনে সুফিউল তাকে উদ্ধারকারী এনএসআই কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের পেশাদারিত্ব এবং তাদের দায়িত্ববোধ ভুলে যাব না।’
কীভাবে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সুফিউল বলেন, ‘১৮ মাস আগে যখন আমি পেশাগত দায়িত্ব থেকে ফিরে আসছিলাম তখন আমাকে অপহরণ করা হয়... বন্দিদশায় প্রতিদিনই মৃত্যুর ভয় দেখা দেয়। যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে কারাভোগ শেষে ফিরছেন ৫ বাংলাদেশি
৮৪৮ দিন আগে
ইয়েমেনে কারাভোগ শেষে ফিরছেন ৫ বাংলাদেশি
ইয়েমেনে নয় মাস কারাভোগ শেষে মুক্তি পাওয়া পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক রবিবার দেশে ফিরছেন।
১৭৯০ দিন আগে
ইয়েমেনে হুতিদের হাতে আটক ৫ বাংলাদেশি শিগগিরই ফিরছেন
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হুতি বিদ্রোহীদের হাতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে আটক থাকা পাঁচ বাংলাদেশি নাবিক শিগগিরই ভারত হয়ে দেশে ফিরছেন।
১৮২৯ দিন আগে
ইয়েমেনে সামরিক কুচকাওয়াজে মিসাইল হামলায় নিহত ৯
ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে সংযুক্ত আরব আমিরাত সমর্থিত একটি সামরিক কুচকাওয়াজে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ছয় সেনা এবং তিন শিশু নিহত হয়েছে বলে রবিবার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।
২১৬৮ দিন আগে
ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিমান হামলায় কমপক্ষে ১০০ নিহত
ইয়েমেন, ০২ সেপ্টেম্বর (এপি/ইউএনবি)- দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ দামারে হুতি বিদ্রোহীদের পরিচালিত এক বন্দিশালায় সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোটের একাধিক বিমান হামলায় রবিবার কমপক্ষে ১০০ ব্যক্তি নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে বিদ্রোহীদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
২২৮৬ দিন আগে