ভারতীয় হাইকমিশন
ঢাকায় ভারতীয় সেনাপ্রধান
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদের আমন্ত্রণে রবিবার চার দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে।
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জেনারেল মনোজ পান্ডের দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই প্রথম বিদেশ সফর। সফরে তার স্ত্রী অর্চনা পান্ডে এবং তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রয়েছে।
হাইকমিশন জানায়, এই সফরে ভারতের সেনাপ্রধান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনীর সার্ভিস চিফগণ, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও প্রধান এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করার কথা রয়েছে।
পড়ুন: ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন শুরু
মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিলে পুলিশের বাধা
নবী মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির দুই নেতার অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার অভিমুখে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণমিছিল ব্যারিকেড দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী মিছিল শুরু করে।
দলটির আমীর মুফতি রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাইয়ের নেতৃত্বে মিছিলটি দুপুরে শান্তিনগর মোড়ে পৌঁছলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের থামিয়ে দেয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উইংয়ের সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম কবির বলেছেন, পুলিশ তাদের দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে প্রতিবাদ স্মারকলিপি জমা দেয়ার জন্য বারিধারার হাইকমিশন মিশনে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সাবেক নেতা নূপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা ভারতীয় মিশনে চলে যাওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি শেষ করে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পুনরায় বাস সার্ভিস চালু
মহামারি করোনার কারণে প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে পুনরায় বাস সার্ভিস চালু হয়েছে। শুক্রবার সকালে আগরতলা-আখাউড়া ও হরিদাসপুর-বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত বাস সার্ভিস শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মিতালী এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু
ভারতীয় হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রায় দুই বছর যাবত স্থগিত ছিল যা আবার চালু হওয়ায় পর্যটন বৃদ্ধি পাবে এবং দুই দেশের মানুষের মাঝে সম্পর্ক আরও জোরালো হবে। এছাড়া ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়া গেলে ডাউকি ও তামাবিল চেকপোস্ট দিয়ে যথাসময়ে বাস চলাচল শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ২ বছর পর কলকাতা থেকে খুলনায় এলো ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’
উল্লেখ্য, ভারত ও বাংলাদেশে সাশ্রয়ী, জনবান্ধব যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ হল বাস সার্ভিস। এটি দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম।
ডিআরইউ’কে উপহার হিসেবে অটোমেটিক হ্যান্ড সেনিটাইজেশন ডিসপেনসার দিলো ভারতীয় হাইকমিশন
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন অটোমেটিক হ্যান্ড সেনিটাইজেশন ডিসপেনসার মেশিন ও মাস্ক শুভেচ্ছা উপহার দিয়েছে।
সোমবার দুপুরে ভারতীয় হাইকমিশনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের কাছে দুটি সেনিটাইজেশন মেশিন ও মাস্ক হস্তান্তর করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
এ সময় নজরুল ইসলাম মিঠু ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডিআরইউ’র মিট দ্য রিপোর্টার্সে আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: ডিআরইউ সভাপতি মিঠু, সম্পাদক হাসিব
পেশাগত উন্নয়ন ও মর্যাদার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছে ডিআরইউ: স্পিকার
ঢাকায় ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন
ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন বুধবার তাদের চ্যান্সেরি প্রাঙ্গণে ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করেছে।
ভারতীয় হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দিবসটি উপলক্ষে হাইকমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং জাতির উদ্দেশে দেয়া রাষ্ট্রপতির ভাষণ পাঠ করেন।
ঢাকায় অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকগণ কোভিডবিধি অনুসরণ করে গণতন্ত্র দিবস উদযাপনে যোগ দেন এবং তাদের পরিবেশনায় একটি দেশাত্মবোধক গানের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-রাশিয়া অংশীদারিত্ব দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ পূরণ করে: সের্গেই লাভরভ
বুধবার ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস
চট্টগ্রামে যুদ্ধ সমাধিতে ভারতীয় হাইকমিশনের শ্রদ্ধা
চট্টগ্রাম মহানগরীর বাদশা মিয়া সড়কে অবস্থিত ওয়ার সিমেট্রির সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী ও ভারতের দুই প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কমনওয়েলথ দেশগুলোর হয়ে লড়াই করে মৃত্যুবরণকারী ভারতীয় সৈন্যদের সমাধিস্থল এটি।
রবিবার সকালে যুদ্ধ সমাধিতে তারা এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ভারতীয় হাইকমিশন বলেন, ‘ভারত যখন স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন করছে। তখন শ্রদ্ধার সাথে সেসব সাহসী নারী-পুরুষদের স্মরণ করছে যারা আগামীর জন্য নিজেদের বর্তমানকে বিসর্জন দিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতীয়দের আত্মত্যাগ মিত্র দেশগুলোর বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ভারতীয় সৈন্যরা যুদ্ধের সমস্ত ক্ষেত্রে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছিল।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর রামকৃষ্ণ মিশনে ভারতীয় হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি
জানা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে চট্টগ্রামের গভীর নৌ-বন্দর আরাকানে অপারেশন পরিচালনার জন্য একটি উৎকৃষ্ট ঘাঁটি এবং একটি হাসপাতাল কেন্দ্র ছিল। মূলত হাসপাতালের কর্মীদের জন্য তৈরি সমাধিস্থলটি বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন স্থান থেকে লাশ সৎকারের জন্য সম্প্রসারণ করা হয়েছিল। এখানে ৭৫১ যুদ্ধসমাধি রয়েছে,এর মধ্যে ১৪ নাবিক, ৫৪৫ সৈন্য ও ১৯৪ জন বিমানবাহিনীর সদস্য রয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এই সমাধিসৌধ প্রতিষ্ঠা করে।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্মৃতিসৌধে নতুন ভারতীয় হাইকমিশনারের শ্রদ্ধা নিবেদন
এছাড়াও এই যুদ্ধ সমাধিতে বিশ্বযুদ্ধের নয় এমন চারটি সমাধিও রয়েছে। এখানে যুক্তরাজ্য, কানাডা,অস্ট্রেলিয়া,নিউজিল্যান্ড,পূর্ব আফ্রিকা, পশ্চিম আফ্রিকা,বার্মা (মিয়ানমার), নেদারল্যান্ডস,জাপান এবং অবিভক্ত ভারতের সৈন্যদের সমাধি রয়েছে। অবিভক্ত ভারতের ২১৪ জনের সমাধির মধ্যে ১০ জনের বেশি রয়েছেন যারা বর্তমানে বাংলাদেশের অধিবাসী।
এ সকল ব্যক্তিরা ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত অক্ষ শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
‘ভারত-বাংলাদেশ একে অপরের আপন ভাইয়ের মতো’
ভারতীয় হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব দেবব্রত পাল বলেছেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ একে অপরের আপন ভাইয়ের মতো।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করি প্রতিবেশি দু’দেশ একে অপরের আপন ভাইয়ের মতো। ভাইয়ে ভাইয়ে ছোট খাটো বিরোধ থাকতে পারে সেটা আবার কিছু সময় পরেই ঠিক হয়ে যায়। বিবাদমান যে কোন সমস্যা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হবে। ছিট মহলসহ নানা সমস্যার সমাধান হয়েছে, আগামীতে আরও হবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর রামকৃষ্ণ মিশনে ভারতীয় হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি
বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় দেবব্রত পাল এসব কথাগুলো বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হবে। বঙ্গবন্ধুর চেতনায় বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে তাতে সম্ভাবনার দার উন্মোচন হচ্ছে। এদেশের যে কোন সমস্যায় আমরা ছিলাম আগামীতেও থাকবো। আমরা একে অপরের প্রতি আস্থাশীল।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ দ্রুত ও জরুরিভাবে টিকা পাবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এই দেশে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময়ে যারা বিরোধী ছিল আজও তারা সক্রিয় রয়েছে। তারাই আমাদের নিয়ে (ভারতকে) কথা বলার চেষ্টা করে।’
ফরিদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকির সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খোকন, অধ্যাপক মিজানুর রহমান মানিক, মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান ফরিদ, পান্না বালা, হাবিবুর রহমান হাবিব, বিজয় পোদ্দার, শেখ ফয়েজ আহম্মেদ, জাহিদ রিপন, রেজাউল করিম, সঞ্জিত দাসসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা।
রাজধানীতে রোকেয়া সুলতানার শিল্পকর্ম প্রদর্শনী উদ্বোধন
ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ৫০ বছর স্মরণে গুলশানে অবস্থিত ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে শিল্পী রোকেয়া সুলতানার শিল্পকর্ম প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) এই প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়।
বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ, লেখক এবং ১৯৭১ সালের গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসির মামুন এবং ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এসময় বেঙ্গল ফাউন্ডেশন কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত শিল্পী রোকেয়া সুলতানার শিল্পকর্ম বিষয়ক একটি মনোগ্রাফও উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানটির মধ্য দিয়ে ভারতে রোকেয়া সুলতানার শিল্পকর্মের প্রথম স্বতন্ত্র প্রদর্শনের সূচনা হয়েছে, যা আগামী ২৩ অক্টোবর নয়াদিল্লির ললিত কলা একাডেমিতে শুরু হবে। সম্পূর্ণরূপে আইসিসিআর কর্তৃক আয়োজিত শিল্পকর্ম প্রদর্শনীটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কলকাতায়ও অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, এই প্রদর্শনীটি শান্তিনিকেতনে অধ্যয়নকালীন শিল্পীর মনোমুগ্ধকর যাত্রাকে চিত্রিত করেছে। তিনি শান্তিনিকেতনে সোমনাথ হোর, সনৎ কর এবং লালু প্রসাদ শ’র তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষিত হয়ে বাংলাদেশে তার শিল্পীজীবনের প্রসার ঘটিয়েছেন।
রোকেয়া সুলতানা একজন পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশি প্রিন্টমেকার এবং চিত্রশিল্পী।
তিনি ১৯৮৩ সালে আইসিসিআর বৃত্তি নিয়ে বিশ্বভারতী, শান্তিনিকেতন থেকে চারুকলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
পড়ুন: গান্ধীজীর জীবন এবং বাণী আজও প্রাসঙ্গিক: দোরাইস্বামী
মাগুরায় ৭১২ মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি
অক্টোবরে আবার টিকা রপ্তানি শুরু করবে ভারত
প্রায় ছয় মাস বন্ধ রাখার পর ভারত তাদের উদ্বৃত্ত করোনা টিকা আগামী মাস (অক্টোবর) থেকে রপ্তানি শুরু করবে। প্রথমে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশি দেশগুলো অগ্রাধিকার পাবে।
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, ‘দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, সরকার উদ্বৃত্ত টিকা থেকে রপ্তানির পাশাপাশি আগের মতো অনুদানও দেবে। এক্ষেত্রে প্রতিবেশিরাই বেশি গুরুত্ব পাবে।’
হাইকমিশন বলছে, ‘শিগগিরই যুক্তিসঙ্গত পরিমাণে সরবরাহ শুরু হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ রেখেছে।’
ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মন্দাভিয়া বলেন, ‘উদ্বৃত্ত টিকা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াইয়ে ভারতের প্রতিশ্রুতি পূরণে সরবরাহ করা হবে, তবে ভারতীয়দের টিকা দেয়া সরকারের ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ থাকবে।’
আরও পড়ুন: চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ভারতের টিকা পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে আইটেক দিবস উদযাপন
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন ৫৭তম ভারতীয় কারিগরি এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা (আইটেক) দিবস উদযাপন করেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে এ উপলক্ষে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী উপস্থিত ছিলেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হাইকমিশন জানায়, ১৯৬৪ সালে ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা কৌশল কাঠামোর আওতায় ভারতের উন্নয়ন সহযোগিতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আইটেক কর্মসূচি প্রচলিত হয় যার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ভারতের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা ও উপযুক্ত প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রদান করা হয়। প্রতি বছর হিসাব, নিরীক্ষা, ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ, গ্রামীণ উন্নয়ন, সংসদীয় বিষয়াবলীর মত বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য ১৬১টি সহযোগী দেশে ১০ হাজারের বেশি প্রশিক্ষণ পর্বের আয়োজন করা হয়।
আারও পড়ুন: ফরিদপুর রামকৃষ্ণ মিশনে ভারতীয় হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি
এতে বলা হয়, আইটেক সহযোগিতায় বাংলাদেশ আমাদের প্রধানতম এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। গত বছর কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ই-আইটেকের অধীনে বেশ কয়েকটি ভার্চুয়াল কোর্সের আয়োজন করা হয়েছিল। এসব কোর্সের মধ্যে ছিল প্রথম সারির বিভিন্ন ভারতীয় ইনস্টিটিউটে নারীকেন্দ্রিক প্রোগ্রাম, কোভিড ব্যবস্থাপনা, সুশাসন অনুশীলন, ডেটা অ্যানালিটিক্স, দূর অনুধাবন, অ্যাডাল্ট হেপাটোলজি ইত্যাদি বিষয়ক কোর্স।
হাইকমিশন আরও জানায়, ২০০৭ সাল থেকে আইটেক কর্মসূচির অধীনে চার হাজারের বেশি বাংলাদেশী তরুণ পেশাজীবী ভারতে এ ধরনের বিশেষায়িত স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী কোর্স সম্পন্ন করেছে। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের মেধাবীদের সাথে আমাদের সেরা বিষয়গুলো ভাগ করে নেয়ার সুযোগ পাই। যার ফলে, আমরাও এদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা থেকে সমানভাবে উপকৃত হই বিশেষ করে যা অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করছে।
অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে প্রায় ১০০ জন প্রাক্তন আইটেক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুঁজতে অস্ট্রেলিয়া পাশে আছে: হাইকমিশনার