ভিড়
ধানমণ্ডি ৩২: চতুর্থ দিন রাতেও উৎসুক জনতার ভিড়
ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙার চতুর্থ দিন রাতেও উৎসুক জনতার ভিড় কমেনি। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার পর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভাঙন এখনও চলছে। তবে এবার বহিরাগতরা এসে ভাঙা ভবন থেকে ব্যবহার্য ইট, লোহা খুলে নিয়ে যাওয়ায় ব্যস্ত।
দেখা যায়, ফুটপাতে বিশাল আকৃতির কন্টেইনার ভাঙছেন কয়েকজন। ঝালাই করে বড় বড় লোহার পাত খুলে নেওয়া হচ্ছে বিক্রির জন্য।
গত বুধবার ভাঙন শুরুর পর থেকেই চলছে ইট, পাথর, লোহাসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী লুটপাট। প্রথম দিকে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা থাকলেও এখন জায়গাটি একেবারে উন্মুক্ত। ফলে অবশিষ্ট যা কিছু আছে, অনায়াসে তা নিয়ে যাচ্ছে লোকজন।
৩২ নম্বরে আসা অনেকেই জানান, এখানে কী হয়েছে, এখনও কী চলছে—তা দেখতে এসেছি। কেউ কেউ আবার স্মৃতি হিসেবে রাখতে ছবি তুলতে এসেছেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ নিয়ে সরকারের বিবৃতি
২৯৯ দিন আগে
চট্টগ্রামে গণটিকা নিতে কেন্দ্রে ভিড়, ভোগান্তিতে মানুষ
চট্টগ্রামে চরম ভোগন্তিতে চলছে গণটিকা কার্যক্রম। শনিবার সকাল থেকে চলছে নগরীর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ৪১টি ওয়ার্ড ও নগরীর ১৫টি উপজেলায় একসঙ্গে এ টিকাদান কর্মসূচি চলছে।
ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন টিকা নিতে আসা লোকজন। কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। নগরী ও জেলায় একদিনে (শনিবার) সাড়ে চার লাখ লোককে গণটিকা কার্যক্রমে করোনার প্রথম ডোজ দেয়ার লক্ষ্য নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।তবে উপজেলাগুলোতে সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম শুরু হলেও নগরীর কেন্দ্রগুলোতে দেখা গেছে অব্যবস্থাপনা। সময়মতো স্বাস্থ্যকর্মীরা কেন্দ্রে না আসায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। এছাড়া বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রের বাইরে সড়কে দেখা গেছে মানুষের লম্বা লাইন।সকালে নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে স্থাপন করা অস্থায়ী টিকাকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করতে থাকে টিকা প্রত্যাশীরা। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অনেককে। সময়মতো স্বাস্থ্যকর্মীরা কেন্দ্রে না আসায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। মোস্তফা হাকিম কলেজ কেন্দ্রে টিকাগ্রহণে ইচ্ছুক হাজারও নারী-পুরুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের। এছাড়া বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রের বাইরে সড়কে দেখা গেছে মানুষের লম্বা লাইন।
আরও পড়ুন: এক কোটি টিকা দেয়ার লক্ষ্যে বিশেষ কর্মসূচি শুরু
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামে গণটিকা কার্যক্রম সকাল থেকে সুষ্ঠুভাবে চলছে। সকালে লালদিঘীর পাড় টিকাদান কেন্দ্রসহ নগরীর বেশকটি কেন্দ্র সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। টিকা নিতে আসা লোকজন সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা গ্রহণ করছেন।তিনি আরও বলেন, ‘আজ একদিনে নগরী ও জেলার ১৫টি উপজেলায় সাড়ে চার লাখ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আশা করছি, আমরা সফল হবো।’
১৩৭৮ দিন আগে
টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের ভিড়, স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই
করোনার টিকা নিতে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের মাধ্যমিকস্তরের শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। রানীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যালয়ে অস্থায়ী টিকা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এই একটি মাত্র কেন্দ্রে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক সঙ্গে অনেক শিক্ষার্থী টিকা নিতে আসে। তাদের সঙ্গে অভিভাবকরাও ছিলেন। স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই ছিল না, যে যাঁর মতো করে চলেছেন। হাসপাতালের সামনেই ছিল অভিভাবকদের ভিড়। সেখানে গাদাগাদি করে একে অপরের সঙ্গে গল্প মেতে উঠেন তাঁরা।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো নিয়মের বালাই নেই। কেউ শারীরিক দূরত্ব মানছে না। সবাই গা ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছে। এতে কারও করোনা হয়ে থাকলে অন্যদের মধ্যেও তা সংক্রমিত হবে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া উচিত ছিল।
আরও পড়ুন: করোনার টিকার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ!
রাণীশংকৈলের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে এই কেন্দ্রে আসে। কিন্তু সেখানে কোনো সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি। শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে দীর্ঘ অপেক্ষায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কারও মুখে মাস্ক নেই।
এছাড়া টিকা কেন্দ্রটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের পাশে হওয়ায় সড়কে দেখা দেয় যানজট। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরাও।
অভিভাবকেরা জানান, একসঙ্গে এত বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে মাত্র একটি কেন্দ্রে টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। এ অব্যবস্থাপনার কারণে করোনামুক্ত হওয়ার বদলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ চাইলে আরও আগে থেকেই কেন্দ্র সংখ্যা বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পরিসর বাড়ানো যেত।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের মাস্ক ব্যবহার করাতে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা মাস্ক পরতে অনীহা প্রকাশ করে।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ১২ থেকে ১৭ বছরের শতভাগ শিক্ষার্থীর টিকাদান সম্পন্ন
৩১ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
১৪১৯ দিন আগে
দৌলতদিয়ায় রাজধানীমুখী মানুষের ভিড়
ঈদ শেষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ রাজধানী মুখী হতে শুরু করেছে। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে।
সোমবার সকাল থেকে শুরু করে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কর্মমুখী মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে এই ঘাটে।
আরও পড়ুন: ঈদ শেষে পাটুরিয়াঘাট হয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ
কুষ্টিয়া থেকে আসা যাত্রী সুজন সাহা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, কুষ্টিয়া থেকে কয়েকজন মিলে একটি মাহেন্দ্র গাড়ি রিজার্ভ করে দৌলতদিয়া ঘাটে আসেন। ৫নম্বর ঘাটের কাছে মাহেন্দ্রটি নামিয়ে দেয়। অন্যান্যদের ঘাটে অপেক্ষমান ফেরিতে উঠতে দেখে নেমে পড়েন তারাও। পরে জানতে পারে ওই ঘাট থেকে ফেরি ছাড়বে না। ৩ নম্বর ঘাটে থাকা ফেরি ছাড়ার সিরিয়াল রয়েছে।
ঘাট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এমন অবহেলায় চরম বিরক্তি প্রকাশ করে এই যাত্রী।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জের পাটুরিয়াঘাটে পারের অপেক্ষায় পণ্যবোঝাই ট্রাকের সারি
এদিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে আসা ফেরিতেও যানবাহনের সাথে এখনও ঘরমুখো মানুষজন দক্ষিণাঞ্চলের দিকে যেতে দেখা গেছে। পাটুরিয়া ঘাট থেকে সকাল ৯টার দিকে ছেড়ে আসা রো রো ফেরি বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানে ব্যক্তিগত গাড়ির সাথে বেশকিছু মোটরসাইকেল ও যাত্রী পার হতে দেখা গেছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো: ফিরোজ শেখ বলেন, ফেরির সিরিয়াল আমাদের বিষয় নয়। এটা নিয়ন্ত্রণ বা সিরিয়াল ঠিক করেন ফেরির মাস্টাররা। যে ফেরিটি প্রথম ঘাটে ভিড়ে অপেক্ষায় থাকে, সিরিয়াল অনুযায়ী সেটিই আগে ছেড়ে যাবে। এরপরও করোনায় লকডাউনের কারণে তো আমরা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। যাত্রীরা যে যেভাবে পারছে সে সেভাবেই ফেরিতে উঠে পড়ছে। এত মানুষকে সামলানো মুশকিল।
১৬৬৩ দিন আগে
করোনা মহামারিতে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড়
ঈদুল ফিতরের ঠিক দুই দিন আগে শনিবার যখন দেশে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হলেন তখনও ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষদের গ্রামে যাওয়া বন্ধ করা যায়নি।
২০২১ দিন আগে
করোনার মাঝেও বিএসএমএমইউ’র ফটকে বিএনপি কর্মীদের ভিড়
সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়া বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বুধবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে ভিড় জমিয়েছেন দলের অনেক নেতা-কর্মী। যদিও করোনাভাইরাসের কারণে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন ভিড় না করতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
২০৮১ দিন আগে